নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন কেবলই ফুরিয়ে যায়।

মোঃ মাইদুল সরকার

একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............

মোঃ মাইদুল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুতুল খেলার দিনগুলো

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৪







দাদা, ও দাদা হামাক দশ পয়শার আলতা আর একখান পুতুল কিনে দিবু
মুই আলতায় চরণ রাঙ্গামু আর পুতুলক বিয়া দিমু
কথা দে, কথা দে দাদা সামনের হাটবার-
হামাক তুই এইগুলান কিনি দিবি, তোর হাতত ধরি, পায়ত পড়ি।

দিমক, দিমক কিনি দিমক, যাতো এল্যা হামাক আর জ্বালসনা
হাতত মেলা কাম পড়ি আছে, করবার দে দিকিনি একটু
কাম সারি, মুই হাপ ছাড়ি বাঁচো।

দাদা, তুই ম্যালা ঘামাছিস, নে নেবুর শরবত খা দিকিনি।
আহা ! কি সোয়াদ, তুই আমার লক্ষী বইন, মুই তোর শক পুরা করিম
তুই ভাবিসনা রিনা, হাটোত মুই মুড়ি, চানাচোর বেঁচি
তোর লাই লাল টুকটুকে একখান পুতুল আনিম আর আলতা।

জানস দাদা, পূব পাড়ার মালতী পায়ত আলতা দিয়া
দিনমান ঘুড়ি বেড়ায় পাথারে আর হামক কয় কিনা-
তুই গরিবের ছাওয়াল, তুই আলতা দিবার পারবুনা, পুতুলও পাবুনা।
ওর কাথা শুনি মোর চোখত পানি আইছে, গরীব দেইখ্যা কি মোর সাধ আল্লাদ নাই ?

তা থাকবো না ক্যারে, তুই কান্দিস না বইন
মুই কথা দিছি তোক দামী আলতা আনি দিমু
হ্যারে তোর পুতুলক কার লগে বিয়া দিবু ?


ক্যান মোর সখী আমেনার ব্যাটা পুতুলের লগে বিয়া দিমু
সেই দিন কিন্তু তোমার নিমন্ত্রন থাকলো দাদা।

তা বিয়ার দিন হামাক কি রান্দি বাড়ি খাওয়াবু ?
মজা করি গোসত পোলাক খায়ামু, তুই পেট ভরি খাবু কিন্তু দাদা।

দাদা খুশি হয়, কিন্তু বাস্তবে কবে যে, গোসত পোলাও খাওয়া হবে কে জানে ?

ছবি নজের তোলা।
কবিতাটা উত্তরাঞ্চলের ভাষায় লিখিত। যেহেতু ছেলে বেলা উত্তরাঞ্চলে কেটেছে তাই সেই টানে লিখা।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৫১

বিজন রয় বলেছেন: ভালো হয়েছে।
আপাতত প্লাস দিয়ে গেলাম।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:১১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ দাদা।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো কবিতা

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:১২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ আপু।

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৫

বিজন রয় বলেছেন: গ্রামীন জীবনের একটি সহজ-সরল কিশোরীর ইচ্ছা, স্বপ্ন, আকাঙ্খা, আবদার ফুটে উঠেছে কবিতায়। কবিতায় যেমন সহজ-সরল জীবন, আপনি তেমন অতি যত্নে সহজ করে লিখতে পেরেছেন। আমার মনে হয় এগুলো করা আপনার কাছে খুবই সহজ। কিভাবে পারেন!!

পুতুল খেলার বয়স থেকে বিয়ে পর্যন্ত একটি মেয়ের জীবন স্বল্প পরিসরে দেখতে পেলাম কবিতায়, আপনার হাতে বিষয়টি আরো হৃদয় কেড়েছে। আর আঞ্চলিক ভাষায় লেখা খুবই দুরূহ, কিন্তু আপনি কেমন সাবলিলভাবে লিখেছেন।

আফসোস, আজকাল পুতুল খেলা আর নেই, এসেছে ডলস হাউজ আর মোবাইল। অথচ পুতুল খেলা ছিল ছোটদের নির্মল আনন্দের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম, যা অনেক আধুনিক শিশুর কাছেই এখন অজানা।

কি আর করা, এভাবেই জীবন এগিয়ে যাবে।

সুন্দর ও ব্যতিক্রম কবিতার কবিকে শুভকামনা জানিয়ে গেলাম।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:৩১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
প্রথমেই ধন্যবাদ দাদা,

আপনি যেমন বলেছেন, আসলেই এগুলো লেখা আমার কাছে একদম পানির মত। এ কবিতাটা অনিকদিন পরে ছিল কোথাও প্রকাশ করিনি, পরে ভাবলাম সামুতেই দেই । কারণ সামু অন্যরকম এক ভালোবাসার জায়গা।

কতটুকু আঞ্চলিকতা তুলে ধরতে পেরেছি জানিনা তবে চেষ্টা করেছি।

পুতুল খেলা এখনও শহরে বা গ্রামে অল্প বিস্তর দেখা যায়। এই খেলার মাধ্যমে কিন্তু শিশু অনেক কিছু শিখে ফেলে। আফসুস সেই দিনগুলো একালের শিশুরা পাচ্ছে না।

ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.