![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক অবিশ্বাসীদের মনে একটি প্রশ্ন প্রায়ই ঘুরপাক খায়, তা হলো – রাসূলুল্লাহ ﷺ বহু বিবাহের সঠিক কারন কি ? ”সাধারণ মুসলিম পুরুষ না ৪টার বেশী বিয়ে করতে পারে না? উনি তাহলে ১১টা বিয়ে করলেন কেন?” এমন প্রশ্ন করে অনেকেই। –বর্তমান সময় যখন অনলাইনে ও অফলাইনে নাস্তিকতা ও ইসলাম-বিদ্বেষ চরম আকার ধারণ করেছে তখন সাধারণ মুসলিমের জন্য এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা জরুরী হয়ে পড়েছে। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আছে এবং এই লেখায় আমি সেই উত্তর দিব। কিন্তু সেই উত্তরে যাওয়ার আগে ছোট্ট একটা ভূমিকার অবতারণা করতে হচ্ছে।
উত্তর বুঝার প্রি-রিকুইসিট জ্ঞান:
আমাদের উপমহাদেশে রাসূলুল্লাহ ﷺ কে নিয়ে লেখা কিছু বইতে, এবং বিভিন্ন আলেমরা তাদের লেকচারে তাঁকে নিয়ে খুব বাড়াবাড়ি রকমের কথা বলে থাকেন। যেমন – রাসূলুল্লাহ ﷺ নূরের তৈরী, তাঁকে সৃষ্টি না করা হলে কিছুই সৃষ্টি হত না, তিনি সকল প্রকার মানবিক ও জৈবিক চাহিদার উর্ধ্বে ছিলেন – ইত্যাদি। এই কথাগুলো ভুল। অবশ্যই রাসূলুল্লাহ ﷺ সব মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মানুষ এবং তিনি নিষ্পাপ, কিন্তু একথাও মনে রাখতে হবে তিনি আমাদের মতই রক্ত-মাংসের একজন মানুষ, যাকে তাঁর ঈমান ও আমলের কারণে আল্লাহ্ বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন।
বলুন, “আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ। যার উপর প্রত্যাদেশহয়েছে যে তোমাদের উপাস্য একমাত্র আল্লাহ্, তাই তাঁরই পথ অবলম্বনকরো এবং তাঁরই কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো”।(সূরাফুসসিলাত ৪১:৬)
আমাদের মধ্যে যেমন আশা-আকাংক্ষা, দু:খ-কষ্ট, অস্থিরতা-রাগ আছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর মধ্যেও এর সবই উপস্থিত ছিল। তাঁর সাথে আমাদের পার্থক্য হলো তিনি এগুলোকে নিজের নিয়ন্ত্রণের রাখতে পারতেন, আমরা কখনো পারি, কখনো পারি না। আমাদের মধ্যে যেমন কামনা-বাসনা আছে, স্বাভাবিকভাবে মানুষ হিসাবে তাঁর মধ্যেও এগুলো ছিল। আমরা যেমন সুন্দরের প্রতি আকৃষ্ট হই, তিনিও সুন্দরের প্রতি আকর্ষণ বোধ করতেন। আমাদের সাথে তাঁর পার্থক্য হলো – আমরা আমাদের বাসনা পূরণের জন্য আল্লাহর ﷻ দেয়া সীমা লঙ্ঘন করে ফেলি, যার দিকে তাকানো উচিত নয় তার দিকে তাকাই, যার সাথে সম্পর্ক করা আল্লাহর ﷻ বিধানের বাইরে তার সাথেও সম্পর্ক করি। কিন্তু, রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর চাহিদা পূরণের জন্য কখনোই আল্লাহর ﷻ দেয়া সীমাকে লঙ্ঘন করেননি, সর্বাবস্থায় আল্লাহর ﷻ হুকুম মেনে চলেছেন।
রাসূলুল্লাহ ﷺ (বা যে কোন মানুষের) যে কোন কাজ সম্পর্কে আমাদের আপত্তি থাকবে না যদি তা নিচের দুইটা (both) বিষয়কে মেনে চলে –
এক – যদি তা আল্লাহর ﷻ দেয়া সীমার মধ্যে থাকে। অর্থাৎ, আল্লাহ্ যদি কোন কিছুকে হালাল করে থাকেন তাহলে সেটা করলে দোষের কিছু নেই।
দুই – যদি কাজটি ঐ সমাজে গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে। (নামাজ,রোজা তথা ইবাদতের ক্ষেত্রে এই ২য় শর্তটি পূরণ হওয়া জরুরি নয়, কিন্তু পার্থিব কাজ যেমন বিয়ে, যুদ্ধ ইত্যাদির (worldly affairs) ক্ষেত্রে এই শর্তটি গুরুত্বপূর্ণ)
উদাহরণস্বরূপ রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বহুবিবাহের কথা ধরা যাক। আমরা জানি – রাসূলুল্লাহ ﷺ বহু বিবাহ করেছেন – এটার অনুমতি আল্লাহর ﷻ কাছ থেকেও আছে, আবার তৎকালীন সমাজেও এটা গ্রহণযোগ্য প্র্যাক্টিস ছিল – কাজেই রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বহুবিবাহ নিয়ে কোন মুসলিমের আপত্তি থাকবে না। আবার বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় সাধারণভাবে বহু বিবাহ গ্রহণযোগ্য নয়। কাজেই কোন মুসলিম যদি সক্ষমতা থাকার পরেও সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার কথা বিবেচনা করে বহুবিবাহ না করে – তাহলেও আমরা বলব সে ঠিক করেছে। অন্যদিকে, পশ্চিমা বিশ্বে সমকামিতা একটি গ্রহণযোগ্য আচরণ, কিন্তু একজন মুসলিম হিসাবে আমরা এই আচরণের পক্ষে নই কারণ এটা আল্লাহর ﷻ দেয়া সীমার বাইরে।
এখানে বলে রাখা ভাল যে, ইসলামিক আইন যদিও কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা’ (Consensus) ও কিয়াসের (Analogy) উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত, কিন্তু এর প্রয়োগ আরো কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে যার মধ্যে আছে – মাসলাহা মুরসালা (Consideration of Public Welfare/জনতার বৃহত্তর স্বার্থ) ও উরফ (Social norm /সামাজিক রীতি)।
উপরের প্রি-রিকুইসিট জ্ঞানকে মাথায় রেখে এবার আসুন সরাসরি প্রশ্নে চলে যাওয়া যাক।
প্রশ্ন – ইসলামের যেখানে ১জন পুরুষের জন্য ৪জন স্ত্রী রাখার অনুমতি আছে, সেখানেমুহাম্মাদﷺকিভাবে ১১টা বিয়ে করলেন? তাঁর বৈবাহিক জীবন কি অস্বাভাবিক নয়?
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ১১জন স্ত্রী ছিল, যার মধ্যে ৯ জন একসাথে স্ত্রী হিসাবে ছিল (বাকী ২ জনের মৃত্যু হয়েছিল)। তাঁর স্ত্রীদেরকে আমরা সম্মানের সাথে উম্মাহাতুল মু’মিনীন (ঈমানদারদের মাতা) বলে থাকি।
যদিও একজন মুসলিমের জন্য চারজনের বেশী স্ত্রী রাখার অনুমতি নেই, কিন্তু রাসূলুল্লাহ ﷺ কে আল্লাহ্ চার এর বেশী স্ত্রী রাখার অনুমতি দিয়েছিলেন। আর এই অনুমতি দেয়া হয়েছে নিচের আয়াতের মাধ্যমে।
হে নবী, আমি আপনার জন্য বৈধ করেছি আপনার স্ত্রীদেরকে যাদের আপনিদেনমোহর দিয়েছেন …আর কোন ঈমানদার নারী নবীর কাছে নিবেদনকরলে আর নবী তাকে বিয়ে করতে চাইলে সে বৈধ।আর এ শুধু আপনারইজন্য, বাকী মুমিনদের জন্য নয়। [সূরা আহযাব ৩৩:৫০]
কিন্তু প্রশ্ন হলো এই সুবিধা রাসূলুল্লাহ ﷺ কে দেয়ার কারণ কি? আসুন এর কয়েকটা কারণ দেখা যাক –
রাসূলুল্লাহ সাঃ ﷺ এর শারিয়াহ কিছুটা ভিন্ন ছিল
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর শারিয়াহর কিছু অংশ সাধারণ মুসলিমদের থেকে ভিন্ন ছিল। এই ভিন্ন শারিয়াহ তাকে সুবিধা কিছু দিয়েছিল, কিন্তু দায়িত্ব দিয়েছিল তার চেয়ে অনেক বেশী। যেমন – রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্য প্রতিরাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া ওয়াজিব ছিল, একবার যুদ্ধের সরঞ্জাম পড়ে ফেলার পর যুদ্ধে না যাওয়া তাঁর জন্য হারাম ছিল, দান গ্রহণ করা তাঁর জন্য হারাম ছিল, মৃত্যুর সময় পরিবারের জন্য একটা পয়সা সম্পদ রেখে যাওয়াও তাঁর জন্য হারাম ছিল, এমন কি আজ পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বংশধরের কেউ যতই দরিদ্র হোক না কেন যাকাত নিতে পারবে না। এত কঠিন কঠিন নিয়মের বিপরীতে আল্লাহ্ তাঁকে খুব অল্প কিছু বিধানে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন, তার মধ্যে একটি হলো চারটির বেশী স্ত্রী রাখার অনুমতি।
রাসূলুল্লাহ ﷺ চাইলে আরো বেশী বিয়ে করতে পারতেন
রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর যৌবনের প্রাইম টাইম একজন মাত্র স্ত্রীর সাথেই কাটিয়েছিলেন – ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত তাঁর একজন মাত্র স্ত্রী ছিল। অথচ বহুবিবাহ করা আরব সমাজে একটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল এবং তিনি চাইলেই তখন একাধিক বিয়ে করতে পারতেন। আমাদের সমাজে যেমন বিয়ের সময় ছেলেদের যোগ্যতা দেখা হয় – তার পড়াশুনা, চাকরি-বাকরি, আয়-রোজগার দেখা হয়, তৎকালীন আরব সমাজে বিয়ের সময় একটা ছেলে বা মেয়ের একটা বৈশিষ্ট্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ছিল – তা হলো বংশমর্যাদা। রাসূলুল্লাহ ﷺ ছিলেন আরবের সবচাইতে সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশের সবচাইতে সম্মানিত ও লিজেন্ডারি ব্যক্তিত্ব আব্দুল মুত্তালিব এর সবচেয়ে প্রিয় নাতি। তাই তিনি চাইলে যৌবনে ও নবুয়তির আগে ১০-১২টা বিয়ে করা তার জন্য কোন ব্যাপারই ছিল না, কিন্তু তা তিনি করেন নি।
সেই সমাজে বিয়ে ছিল ঐক্য প্রতিষ্ঠার একটি অন্যতম উপায়
বর্তমানে আমরা যে সমাজে বাস করি তাতে বিয়ের উদ্দেশ্য একটাই থাকে – সামাজিক মর্যাদা অনুযায়ী একটা ছেলে / মেয়েকে তার জীবনসঙ্গীর সাথে মিলিয়ে দেয়া। কিন্তু, আরব সমাজে “রাষ্ট্র” বলে কিছু ছিল না এবং এক গোত্রের সাথে আরেক গোত্রের ঝগড়া-যুদ্ধ লেগেই থাকত। সেকালে সামাজিকভাবে সুরক্ষিত থাকার একমাত্র উপায় ছিল গোত্রবদ্ধ হয়ে চলা, তাই সেই সমাজে বিয়ের আরেকটি অন্যতম কারণ ছিল অন্য পরিবার বা অন্য গোত্রের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন করা। আর রাসূলুল্লাহ ﷺ যেহেতু আরবদের ৩ হাজার বছরের পুরনো রীতি-নীতিকে পরিবর্তন করে মাত্র ২৩ বছরে সম্পূর্ণ নতুন রাষ্ট্র-ব্যবস্থা ইসলামের প্রবর্তন করছিলেন, কাজেই এটা তার জন্য খুব জরুরী ছিল যে তিনি বিয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন গোত্রের সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করবেন। এই দিক থেকে চিন্তা করলে, বহুবিবাহের অনুমতি রাসূল্ললাহর ﷺ জন্য কোন সুবিধা ছিল না, বরং ছিল এক মহা দায়িত্ব।
নিচে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর স্ত্রীদের তালিকা ও বিয়ের মূল কারণ উল্লেখ করা হল।
স্ত্রীর নাম বিয়ের মূল কারণ বিয়ের সাল মন্তব্য
১ খাদিজাবিনতে খুয়াইলিদ (রা) সাধারণ সামাজিক বিয়ে নবুয়তের ১০ম বছর খাদিজার প্রস্তাবে দুই পরিবারের সম্মতিতে সাধারণ বিয়ে। এটা ছিল খাদিজার ৩য় বিয়ে।খাদিজা জীবিত থাকতে রাসূলুল্লাহ ﷺ আর কোন স্ত্রী গ্রহণ করেননি। খাদিজার মৃত্যুর সময় রাসূলুল্লাহ ﷺর বয়স ছিল ৫০ বছর। তাঁরা দীর্ঘ ২৫ বছর সংসার করেছিলেন।
২ সাওদাবিনতে জাম’আ (রা) সাধারণ সামাজিক বিয়ে নবুয়তের ১০ম বছর রাসূলুল্লাহ ﷺর খালা খাওলা এর পরামর্শে দুই পরিবারের সম্মতিতে সাধারণ বিয়ে।
৩ আইশা (রা) বিনতে আবু বকর (রা) সাধারণ সামাজিক বিয়ে ও বন্ধু আবু বকর (রা) এর সাথে পারিবারিক সম্পর্ক স্থাপন।এছাড়াও এতে আল্লাহর ﷻ পরোক্ষ নির্দেশ ছিল। (বুখারি) বিয়ের প্রতিশ্রুতি: নবুয়তের ১১ তম বছর।একসাথে বসবাস শুরু: ১ম হিজরী রাসূলুল্লাহ ﷺর খালা খাওলা এর পরামর্শে দুই পরিবারের সম্মতিতে সাধারণ বিয়ে।আইশা জিনিয়াস ছিলেন। তিনি কুরআন, হাদিস, ইসলামি আইন, প্রাচীন কবিতা ও বংশ-জ্ঞান (Geneology) এ এক্সপার্ট ছিলেন। অন্যতম সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী। তিনি রাসূলুল্লাহর ﷺ একমাত্র কুমারী স্ত্রী।
৪ হাফসা (রা) বিনতে উমার ইবনুল খাত্তাব (রা) বন্ধু উমার(রা) এর সাথে পারিবারিক সম্পর্ক স্থাপন ৩য় হিজরী এটা হাফসার দ্বিতীয় বিয়ে। আগের বিয়ে তিনি ১১ বছর বয়সে করেছিলেন।
৫ যাইনাব বিনতে খুযাইমা (রা) যাইনাবের দানশীলতার পুরষ্কার ও উত্তরের নাজদি অঞ্চলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন ৪র্থ হিজরী এটা ছিল তাঁর তৃতীয় বিয়ে। যাইনাব তাঁর দানশীলতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। উহুদের যুদ্ধে তাঁর স্বামী শহিদ হওয়ার পর এরকম মহান নারীর জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺই ছিলেন একমাত্র যোগ্য স্বামী। বিয়ের ৮ মাস পর তিনি ইন্তেকাল করেন।
৬ উম্মে সালামা(রা)অন্য নাম: হিন্দ বিনতে আবু উমাইয়া উম্মে সালামার ঈমান ও আমলের পুরষ্কার ৫ম হিজরী এটা ছিল তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে। তাঁর স্বামী উহুদের যুদ্ধের আঘাতে শহীদ হন। মৃত্যুর সময় তাঁর স্বামী দু’আ করেছিলেন তিনি যেন তার চাইতেও ভালো একজনকে স্বামী হিসাবে পান। আল্লাহ্ সেই দু’আ রাসূলুল্লাহ ﷺ এর মাধ্যমে কবুল করেন। উম্মে সালামা বহু হাদিস বর্ণনা করেছেন।
৭ যাইনাববিনতে জাহশ (রা) আল্লাহর ﷻ নির্দেশ (সূরা আহযাব:৩৭) ও পালক পুত্র যে নিজের পুত্র নয় এই ধারণা সমাজে প্রতিষ্ঠা করা ৫ম হিজরী এটা তাঁর ২য় বিয়ে। যাইনাব কুরাইশি ছিলেন ও রাসূলুল্লাহর ﷺ ফুপাত বোন ছিলেন। আরব সমাজে, কাযিনদের মধ্যে বিয়ে হওয়া খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার ছিল। আনাস(রা) বলেন – রাসূলুল্লাহ ﷺ যদি কোরআনের কোন আয়াত লুকাতেন তাহলে যাইনাবের সাথে বিয়ের আয়াতটাকেই লুকাতে চাইতেন (বুখারী)। – শুধু আল্লাহর ﷻ হুকুম পালনের জন্যই রাসূলুল্লাহ ﷺ এই বিয়েটা করেন।
৮ যুয়াইরিয়াহবিনতে আল-হারিস (রা) বানুল মুস্তালিকের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন ৫ম হিজরী এটা তাঁর ২য় বিয়ে। তিনি ছিলেন বানুল মুস্তালিক গোত্রপ্রধানের মেয়ে। যুয়াইরিয়াকে যুদ্ধবন্দি হিসাবে গ্রহণ করার পর রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে মুক্ত করেন এবং বিয়ে করেন। এভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেন। শত শত সাহাবী যুদ্ধবন্দীদের মুক্তি করে দেন। এই বিয়ের ফলে সম্পূর্ন বানুল মুস্তালিক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে।
৯ উম্মে হাবিবাবিনতে আবু সুফিয়ান (রা)অন্য নাম: রামলা কুরাইশদের মধ্য থেকে শত্রুভাব অপসারণ ৭ম হিজরী এটা তাঁর ২য় বিয়ে। তৎকালীন মুশরিক কুরাইশদের অবিসংবাদিত নেতা আবু সুফিয়ানের মেয়ে। কুরাইশদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে উম্মে হাবিবা আবিসিনিয়ায় চলে যান যেখানে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়, পরে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁকে বিয়ে করেন। এই বিয়ে অনেক মুশরিকের মধ্যে রাসূলুল্লাহ ﷺ ও ইসলামের প্রতি ভালবাসা তৈরীতে সাহায্য করে।
১০ সাফিয়াবিনতে হুয়াই (রা) ইহুদীদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন ৭ম হিজরী এটা তাঁর ২য় বিয়ে। তিনি ছিলেন ইহুদীদের বনু নাদির গোত্রের নেতার মেয়ে। তিনি প্রথম থেকেই বাবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্মকে পছন্দ করতেন। খন্দকের যুদ্ধে তাঁকে যুদ্ধবন্দি হিসাবে গ্রহণ করা হয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁকে মুক্তি দেন ও বিয়ে করেন। এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ ﷺ যুদ্ধবন্দি মুক্তিতে উৎসাহ দেন ও এটাও প্রমাণ করেন – ইহুদীদের প্রতি মুসলিমদের কোন জাতিগত বিদ্বেষ নেই।
১১ মাইমুনাহবিনতে আল-হারিস(রা)ইসলাম-পূর্ব নাম: বাররাহ চাচা আব্বাসের অনুরোধে ও কুরাইশদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন ৮ম হিজরী এটা তাঁর ২য় বিয়ে। হুদায়বিয়ার সন্ধির পরের বছর রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন উমরা করতে মক্কা আসেন তখন চাচা আব্বাস (রা) তাঁকে অনুরোধ করেন মাইমুনাকে বিয়ে করতে। এই বিয়ের পর রাসূল্ললাহ মক্কার কুরাইশদেরকে (যারা তখনও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেনি) তাঁর ওয়ালিমায় দাওয়াত দেন ও এভাবে তাদের সাথে সম্পর্কের উন্নয়নের চেষ্টা করেন।
উপরের তথ্য থেকে আমরা দেখতে পাই যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর বিয়েগুলো যে সব কারণে করেছিলেন তার মধ্যে আছে – স্বাভাবিক সামাজিক কারণ, কোন বন্ধুর সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করণ, কোন গোত্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন, অথবা যে গুণবতী নারীর স্বামী শহীদ হয়েছে তাঁকে সম্মানিত করার জন্য। আর এই বিয়েগুলোর ক্ষেত্রে সেই নারীর সৌন্দর্যও যদি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে আকর্ষণ করে থাকে তাতে দোষের কিছু নেই। একজন পুরুষ তো তাকেই বিয়ে করতে চাইবে যাকে তার সুন্দর লাগে – এটাই তো স্বাভাবিক বায়োলজিকাল ব্যাপার।
রাসূলুল্লাহ ﷺ জোর করে কাউকে বিয়ে করেন নাই
রাসূলুল্লাহ ﷺ কখনোই জোর করে কাউকে বিয়ে করেননি। তিনি ﷺ যাদেরকে বিয়ে করেছেন তাঁরা প্রত্যেকেই রাসূলুল্লাহ ﷺ এর স্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। যে তাঁর স্ত্রী হতে চায়নি, তাকে তিনি বিয়ে করেননি।
সাহিহ বুখারীতে বর্ণিত একটি হাদিস থেকে আমরা একটি ঘটনা জানি যেখানে উমাইমাহ বিনতে শাহরিল নামক এক মহিলা প্রাথমিকভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর স্ত্রী হতে সম্মতি জানায়। কিন্তু, বিয়ের রাতে সেই মহিলা তার মত পরিবর্তন করে ও স্ত্রী হতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। রাসূলুল্লাহ ﷺকে দেখে সে বলে উঠে – “আমি আপনার থেকে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি”। জবাবে রাসূলুল্লাহﷺবলেন – “তুমি সবচাইতে বড়র কাছেই আশ্রয় চেয়েছ। যাও, তুমি তোমার পরিবারের কাছে ফিরে যাও।” এভাবে করে বিয়ে কনসুমেট (স্বামী-স্ত্রী হিসাবে একসাথে থাকা) করার আগেই রাসূলুল্লাহ উমাইমাহকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন। অন্য কিছু বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ কে অপদস্থ করার জন্য কাফেররা মহিলাটাকে দিয়ে এরকম করিয়েছিল। ইতিহাসের বইগুলোতে এরকমও পাওয়া যায় যে এই মহিলা তার বাকী জীবন রাসূলুল্লার বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আফসোস করতে করতে কাটিয়েছিল।
রাসূলুল্লাহ ﷺ জোর করে কোন স্ত্রীকে ধরে রাখেন নাই
রাসূলুল্লাহ ﷺ তো জোর করে কাউকে বিয়ে করেন নাই, জোর করে কাউকে বিয়ের পরে ধরেও রাখেন নাই। বরং, তাঁর যে কোন স্ত্রী চাইলেই তাঁকে ছেড়ে চলে যেতে পারতেন।
হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে বলুন, “তোমরা যদি পার্থিব জীবনেরভোগ ও বিলাসিতাকামনাকর, তবে এসো, আমি তোমাদেরকে ভোগবিলাসেরব্যবস্থা করে দেই আর তোমাদেরকেভদ্রতারসাথে বিদায় দেই। আর তোমরাযদি আল্লাহ্, তাঁর রাসূল ও পরকাল চাও, তবে তোমাদেরমধ্যে যারাসৎ কর্মকরে আল্লাহ্ তাদের জন্য মহাপ্রতিদান প্রস্তুত করে রেখেছেন”। (সূরাআহযাব৩৩:২৮–২৯)
হাদিস থেকে আমরা বরং দেখি, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর স্ত্রীরা তাঁর কাছে ডিভোর্স তো চানই নি বরং প্রত্যেকেই যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন প্রশংসা করেছিলেন যে স্বামী হিসাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ কতটা মহৎ ছিলেন।
ইসলাম প্রতিষ্ঠার পর তিনি আর বিয়ে করেন নাই
আমরা লক্ষ্য করলে দেখব যে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ৭টি বিয়েই হয়েছে ৩য় থেকে ৮ম হিজরীর সময়। এটা ছিল রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জীবনের সবচেয়ে আন্দোলিত সময়, যখন মুসলিমরা বিভিন্ন গোত্রের সাথে যুদ্ধে যাচ্ছে, আবার বিভিন্ন গোত্রের সাথে শান্তিচুক্তি করছে। কাজেই, এই সময় এই বিয়েগুলো ছিল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারের অংশ বিশেষ। তিনি যদি নারীলোভীই হয়ে থাকবেন তাহলে তো এর আগে-পরেও তাঁর অনেক বিয়ে করার কথা ছিল। শুধু তাই না, রাসূলুল্লাহ ﷺ বেঁচেছিলেন ১১ হিজরী পর্যন্ত। কিন্তু, ৭ম হিজরির হুদায়বিয়ার সন্ধি ও হুনাইনের যুদ্ধে বিজয়ের পরে আরব ভূখন্ডে মুসলিমদের একচ্ছত্র আধিপত্য সময়ের ব্যাপারে হয়ে দাঁড়ায় – আল্লাহ্ নিজেই সূরা ফাতহ তে হুদায়বিয়ার সন্ধিকে “পরিষ্কার বিজয়” হিসাবে উল্লেখ করেছেন। আর তাই আমরা দেখতে পাই, ৯ম-১১তম হিজরীতে রাসূলুল্লাহ ﷺ গোত্রভিত্তিক সম্পর্ক উন্নয়নে আর কোন বিয়েও করেননি। তিনি যদি আসলেই শুধু নিজের চাহিদায় বিয়ে করে থাকতেন তাহলে তিনি ঐ শেষের ২ বছরেও বিয়ে করা করা থামাতেন না।
সম্পাদনা- মুসলিম চ্যারেটি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
তথ্য সূত্র:
১) শেইখ ইয়াসির কাযীর সীরাহ লেকচার
২) ড. সাল্লাবির সীরাহ বই
৩) শেইখ সাফিউর রাহমান মুবারাকপুরীর সীরাহ বই
৪) দি কোড অফ স্কলারস – শেইখ ইয়াসির বিরজাস
২| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
"মৃত্যুর সময় পরিবারের জন্য একটা পয়সা সম্পদ রেখে যাওয়াও তাঁর জন্য হারাম ছিল, "
-উনার মৃত্যুর পর, উনার স্ত্রীদের বেঁচে থাকার উপায় কি ছিল? তখন নিশ্চয় চাকুরী বাকূরী ছিলো না
৩| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
তখনকার দিনে যার ক্ষমতা বেশী ছিল, তিনি বেশী বিয়ে করতেন; সোজা ব্যাপার!
৪| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
এখনকার দিনে যার টাকা পয়সা বেশী, সে বিয়ে কম করে; বিয়ে না করে, মেয়ে নিয়ে থাকে
৫| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯
আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, রাসুলুল্লাহ (সা) ১১ টা বিয়ে কেন করেছিলেন সেই প্রশ্ন রাসুলুল্লাহ (সা) কে কখনো কেউ করে নি। সেই সময়ের বড় কাফেররাও তাকে এই নিয়ে কখনো কটাক্ষ করে নি। আর আজকালকার কিছু চেংটা ছেলেপেলে যারা ইসলামকে গালি দেয়ার মাঝে স্মার্টনেস খুজে তারা এসেছে রাসুলুল্লাহ (সা) এর চরিত্র বিশ্লেষণ করতে।
প্রথম কথা হচ্ছে, ২৫ বছরের সেই সুদর্শন যুবক, মক্কার নারীদের কাছে যে ছিল আরাধ্য, যে কোন নারীর দিকে ভ্রুক্ষেপও করত না, সেই যুবক বিয়ে করল বিগত যৌবনা ৪০ বছরের এক মহিলাকে। তারা ২৫ বছর নির্বিঘ্নে সংসারও করল, এর মাঝে সেই যুবক দ্বিতীয় কোন বিয়ে করার প্রয়োজন বোধ করল না। আর আজকের কিছু জ্ঞানী আসে সেই যুবকের চরিত্র বিশ্লেষণ করতে!
দ্বিতীয় কথা হচ্ছে রাসুল (সা) এর বাকি সব বিয়েই ছিল ৫০ বছর বয়সের পরে। যেই যৌবনের সময় তিনি বিগত যৌবনা এক নারীকে নিয়ে কাটালেন, সেই তার জীবনে এমন কি ঘটল যে জীবনের শেষ দিকে এসে তাকে এতগুলো বিবাহ করতে হল? এটা কি কখনো মনে হয় না? যে মানুষ যৌবনে কখনো মক্কার কোন অন্যায় অবিচার ধর্মীয় আচার নিয়ে কোন কথা বলে নি, ৪০ বছর পার হওয়ার পর হঠাত তার এমন কি হল যে সে মক্কার মূর্তিপুজার বিরোধিতা করতে শুরু করল? এসব কি কখনো ভেবে দেখেছেন?
৬| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২
মো: সাকিব হাসান বলেছেন: ভাই চাঁদগাজী পরবর্তী খলিফা শাসনকালে অনেক যুদ্ধ এর ফলে অনেক সাহাবী শহিদ হওয়ায় বহু মহিলা বিধবা হওয়ায়, ৪টার মত বিবাহের বিধান জারি করেন। তবে ইসলাম ধর্মে ‘সীমিত বহুবিবাহ’-কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আল-কোরআন ‘সীমিত বহু বিবাহ’-কে অনুমোদন করেঃ আমি আগেই উল্লেখ করেছি যে পৃথিবীতে আল-কোরআনই একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যা নির্দেশ করে- ‘কেবল একটি বিবাহ করো’। এর সমর্থনে পবিত্র কোরআনের সূরা নিসার ৩ নং আয়াতে রয়েছে-
“আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত| [/highlight]আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা|”
*এখানে ‘সীমিত বহুবিবাহ’ ও সুবিচার করতে না পারলে একটি বিবাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আল-কোরআন নাযিলের আগে বহু বিবাহের কোন ঊর্ধতন সীমা বা সংখ্যা ছিল না। অনেক লোক স্ত্রী-র সংখ্যার ব্যপারে প্রতিযোগীতা চালাতো, কেউ কেউ শতাধিক স্ত্রী গ্রহন করতো। শুধুমাত্র ইসলামই চারজন স্ত্রী রাখার ঊর্ধতম সীমা নির্ধারন করে দেয়। ইসলাম ২/৩/৪ পর্যন্ত স্ত্রী রাখার অনুমোদন দেয় এই শর্তেই যে, সে (স্বামী) তাদের মধ্যে সুবিচার করতে সমর্থ হবে। আর আপনার প্রশ্নের রাসুল্লাহ ( স: ) ১১টা বিয়ে কেন করেছিলেন, সেটা উ্ত্তর আপনি দেবেন? উনি আপনাকে বলে গেছেন, কেন উনি ১১টা বিয়ে করলেন? এর উত্তর আমার পোস্টই এর আছে তাও আপনার জন্য আবার দিলাম।
১ খাদিজাবিনতে খুয়াইলিদ (রা) সাধারণ সামাজিক বিয়ে নবুয়তের ১০ম বছর খাদিজার প্রস্তাবে দুই পরিবারের সম্মতিতে সাধারণ বিয়ে। এটা ছিল খাদিজার ৩য় বিয়ে।খাদিজা জীবিত থাকতে রাসূলুল্লাহ ﷺ আর কোন স্ত্রী গ্রহণ করেননি। খাদিজার মৃত্যুর সময় রাসূলুল্লাহ ﷺর বয়স ছিল ৫০ বছর। তাঁরা দীর্ঘ ২৫ বছর সংসার করেছিলেন।
২ সাওদাবিনতে জাম’আ (রা) সাধারণ সামাজিক বিয়ে নবুয়তের ১০ম বছর রাসূলুল্লাহ ﷺর খালা খাওলা এর পরামর্শে দুই পরিবারের সম্মতিতে সাধারণ বিয়ে।
৩ আইশা (রা) বিনতে আবু বকর (রা) সাধারণ সামাজিক বিয়ে ও বন্ধু আবু বকর (রা) এর সাথে পারিবারিক সম্পর্ক স্থাপন।এছাড়াও এতে আল্লাহর ﷻ পরোক্ষ নির্দেশ ছিল। (বুখারি) বিয়ের প্রতিশ্রুতি: নবুয়তের ১১ তম বছর।একসাথে বসবাস শুরু: ১ম হিজরী রাসূলুল্লাহ ﷺর খালা খাওলা এর পরামর্শে দুই পরিবারের সম্মতিতে সাধারণ বিয়ে।আইশা জিনিয়াস ছিলেন। তিনি কুরআন, হাদিস, ইসলামি আইন, প্রাচীন কবিতা ও বংশ-জ্ঞান (Geneology) এ এক্সপার্ট ছিলেন। অন্যতম সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী। তিনি রাসূলুল্লাহর ﷺ একমাত্র কুমারী স্ত্রী।
৪ হাফসা (রা) বিনতে উমার ইবনুল খাত্তাব (রা) বন্ধু উমার(রা) এর সাথে পারিবারিক সম্পর্ক স্থাপন ৩য় হিজরী এটা হাফসার দ্বিতীয় বিয়ে। আগের বিয়ে তিনি ১১ বছর বয়সে করেছিলেন।
৫ যাইনাব বিনতে খুযাইমা (রা) যাইনাবের দানশীলতার পুরষ্কার ও উত্তরের নাজদি অঞ্চলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন ৪র্থ হিজরী এটা ছিল তাঁর তৃতীয় বিয়ে। যাইনাব তাঁর দানশীলতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। উহুদের যুদ্ধে তাঁর স্বামী শহিদ হওয়ার পর এরকম মহান নারীর জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺই ছিলেন একমাত্র যোগ্য স্বামী। বিয়ের ৮ মাস পর তিনি ইন্তেকাল করেন।
৬ উম্মে সালামা(রা)অন্য নাম: হিন্দ বিনতে আবু উমাইয়া উম্মে সালামার ঈমান ও আমলের পুরষ্কার ৫ম হিজরী এটা ছিল তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে। তাঁর স্বামী উহুদের যুদ্ধের আঘাতে শহীদ হন। মৃত্যুর সময় তাঁর স্বামী দু’আ করেছিলেন তিনি যেন তার চাইতেও ভালো একজনকে স্বামী হিসাবে পান। আল্লাহ্ সেই দু’আ রাসূলুল্লাহ ﷺ এর মাধ্যমে কবুল করেন। উম্মে সালামা বহু হাদিস বর্ণনা করেছেন।
৭ যাইনাববিনতে জাহশ (রা) আল্লাহর ﷻ নির্দেশ (সূরা আহযাব:৩৭) ও পালক পুত্র যে নিজের পুত্র নয় এই ধারণা সমাজে প্রতিষ্ঠা করা ৫ম হিজরী এটা তাঁর ২য় বিয়ে। যাইনাব কুরাইশি ছিলেন ও রাসূলুল্লাহর ﷺ ফুপাত বোন ছিলেন। আরব সমাজে, কাযিনদের মধ্যে বিয়ে হওয়া খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার ছিল। আনাস(রা) বলেন – রাসূলুল্লাহ ﷺ যদি কোরআনের কোন আয়াত লুকাতেন তাহলে যাইনাবের সাথে বিয়ের আয়াতটাকেই লুকাতে চাইতেন (বুখারী)। – শুধু আল্লাহর ﷻ হুকুম পালনের জন্যই রাসূলুল্লাহ ﷺ এই বিয়েটা করেন।
৮ যুয়াইরিয়াহবিনতে আল-হারিস (রা) বানুল মুস্তালিকের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন ৫ম হিজরী এটা তাঁর ২য় বিয়ে। তিনি ছিলেন বানুল মুস্তালিক গোত্রপ্রধানের মেয়ে। যুয়াইরিয়াকে যুদ্ধবন্দি হিসাবে গ্রহণ করার পর রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে মুক্ত করেন এবং বিয়ে করেন। এভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেন। শত শত সাহাবী যুদ্ধবন্দীদের মুক্তি করে দেন। এই বিয়ের ফলে সম্পূর্ন বানুল মুস্তালিক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে।
৯ উম্মে হাবিবাবিনতে আবু সুফিয়ান (রা)অন্য নাম: রামলা কুরাইশদের মধ্য থেকে শত্রুভাব অপসারণ ৭ম হিজরী এটা তাঁর ২য় বিয়ে। তৎকালীন মুশরিক কুরাইশদের অবিসংবাদিত নেতা আবু সুফিয়ানের মেয়ে। কুরাইশদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে উম্মে হাবিবা আবিসিনিয়ায় চলে যান যেখানে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়, পরে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁকে বিয়ে করেন। এই বিয়ে অনেক মুশরিকের মধ্যে রাসূলুল্লাহ ﷺ ও ইসলামের প্রতি ভালবাসা তৈরীতে সাহায্য করে।
১০ সাফিয়াবিনতে হুয়াই (রা) ইহুদীদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন ৭ম হিজরী এটা তাঁর ২য় বিয়ে। তিনি ছিলেন ইহুদীদের বনু নাদির গোত্রের নেতার মেয়ে। তিনি প্রথম থেকেই বাবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্মকে পছন্দ করতেন। খন্দকের যুদ্ধে তাঁকে যুদ্ধবন্দি হিসাবে গ্রহণ করা হয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁকে মুক্তি দেন ও বিয়ে করেন। এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ ﷺ যুদ্ধবন্দি মুক্তিতে উৎসাহ দেন ও এটাও প্রমাণ করেন – ইহুদীদের প্রতি মুসলিমদের কোন জাতিগত বিদ্বেষ নেই।
১১ মাইমুনাহবিনতে আল-হারিস(রা)ইসলাম-পূর্ব নাম: বাররাহ চাচা আব্বাসের অনুরোধে ও কুরাইশদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন ৮ম হিজরী এটা তাঁর ২য় বিয়ে। হুদায়বিয়ার সন্ধির পরের বছর রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন উমরা করতে মক্কা আসেন তখন চাচা আব্বাস (রা) তাঁকে অনুরোধ করেন মাইমুনাকে বিয়ে করতে। এই বিয়ের পর রাসূল্ললাহ মক্কার কুরাইশদেরকে (যারা তখনও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেনি) তাঁর ওয়ালিমায় দাওয়াত দেন ও এভাবে তাদের সাথে সম্পর্কের উন্নয়নের চেষ্টা করেন।
৭| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩
আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত বলেছেন: "যদি তোমরা এতিমদের বে-ইনসাফের ভয় কর, তবে পছন্দমত নারীদের মধ্যে ২,৩ বা ৪ জনকে বিয়ে কর। কিন্ত যদি আশংকা কর যে তাদের মধ্যে ইনসাফ করতে পারবে না, তাহলে কেবল মাত্র #একজনকে বিয়ে কর" -সুরা নিসা;৩
কোরানই একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যেখানে ১টি বিয়ে করার কথা বলা আছে। পৃথিবীর আর কোন ধর্মে একটি বিয়ের কথা নেই। সব ধর্মে বহু বিবাহের কথা বলা হয়েছে।
৮| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনি কেন ১১টি বিয়ে করলেন, সেটা উনার ব্যাপার; আমি আপনাদেরকে প্রশ্ন করিনি উনি কেন ১১ বিয়ে করলেন?
আমার প্রশ্ন, উনি আপনাকে উনার কারণ ব্যাখ্যা করেছিলেন, নাকি ব্যাখ্যা আপনি বের করেছেন?
৯| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
@আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত ,
উনি "কেন" ১১ বিয়ে করলেন, সেটা আমার প্রশ্ন নয়; আমার প্রশ্ন, উনার বিয়ের ব্যাপারে আপনি কেন ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, বিয়ে তো আপনি করেননি? উনি কি আপনার কাছে ব্যাখ্যা করেছিলেন?
১০| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০১
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ৭ যাইনাববিনতে জাহশ (রা) আল্লাহর ﷻ নির্দেশ (সূরা আহযাব:৩৭) ও পালক পুত্র যে নিজের পুত্র নয় এই ধারণা সমাজে প্রতিষ্ঠা করা ৫ম হিজরী এটা তাঁর ২য় বিয়ে।
বাহ্! এই যদি হয় ইসলামের সৃষ্টিকর্তার মনোভাবের নমুনা!! অন্তত এটার তার দেড়শটা হাত তালি প্রাপ্য।
১১| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
"বর্তমানে আমরা যে সমাজে বাস করি তাতে বিয়ের উদ্দেশ্য একটাই থাকে – সামাজিক মর্যাদা অনুযায়ী একটা ছেলে / মেয়েকে তার জীবনসঙ্গীর সাথে মিলিয়ে দেয়া। "
-বর্তমানে, অনেকে সৌদী ও মালয়েশিয়া যাবার টাকা যোগাড়ের জন্য বিয়ে করে থাকে!
১২| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪
বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: এই চাঁদগাজী টা একটা কাফির , নবীজির বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বিশ্বাসে মিলে ঈমান ,প্রশ্ন করা হারাম।
১৩| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
@বাবুরাম সাপুড়ে১ ,
আমি বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করিনি; এরা ব্যাখ্যা কেন দিচ্ছে, সেটা জানতে চাচ্ছি! রসুল ( স: ) কি এদের কাছে কারণ বলে গেছেন?
এরা নিজেরা অকারণ "কারণ" আবিস্কার করছে! আগে সবাই বেশী বেশী বিয়ে করতেন, সোজা ব্যাপার!
১৪| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪
বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: @চাঁদগাজী
"আগে সবাই বেশী বেশী বিয়ে করতেন, সোজা ব্যাপার! " আল্লার রাসূল কে আপনি সবাই এর ভিড়িয়ে দিলেন !! ..আগে তওবা করুন , নইলে আপনার জান্নাত ক্যানসেল।
১৫| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩
পাউডার বলেছেন: হাদিসের ভারে আপনার উত্তর গুলো বেঁকে গেছে।
উত্তর একটাই দেয়া যথেষ্ট ছিল যে রাসুলের আগে পুরুষের বিয়ের কোন লিমিট ছিল না। নবিজীর সময়ে এই লিমিট আনা হয়।
১৬| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
@বাবুরাম সাপুড়ে১ ,
সাধারণ মানুষ থেকেই নবী, রাসুল হয়েছেন।
১৭| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২
আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত বলেছেন: উনি "কেন" ১১ বিয়ে করলেন, সেটা আমার প্রশ্ন নয়; আমার প্রশ্ন, উনার বিয়ের ব্যাপারে আপনি কেন ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, বিয়ে তো আপনি করেননি? উনি কি আপনার কাছে ব্যাখ্যা করেছিলেন?
@চাঁদগাজী ভাই, ব্যখ্যা আমরা দিচ্ছি কারণ প্রশ্নটা আমাদের করা হয়।
১৮| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
@আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত ,
আপনারা যদি অকারণে, অন্যের হয়ে, বিনা লজিকে কথা বলেন, মানুষ প্রশ্ন তুলবে! এখন থেকে ২০০ বছর আগেও মানুষ অনেক বেশী বিয়ে করতেন; এখন গড়ে মানুষ কম বিয়ে করছে; এটা অর্থনীতি, সামাজিক ও ব্যক্তিগত ব্যাপার! আপনারা নিজকে জাহির করার জন্য এসব পুরোনো দিনের কথা তুলে আনছেন; যেগুলো আজকের সমস্যা নয়।
১৯| ১৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩
আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত বলেছেন: @চাঁদগাজী ভাই, "আপনারা যদি অকারণে, অন্যের হয়ে, বিনা লজিকে কথা বলেন, মানুষ প্রশ্ন তুলবে!"
আপনার এই কথাটা ঠিক হল না। কমেন্টে আমি বলেই দিয়েছি যে এন্টি ইসলামিস্টরা আমাদের এই সব প্রশ্ন করে তাই আমরা উত্তর দেই। তারা চুপ তথাকলে আমাদেরও উত্তর দেবার দরকার ছিল না। সুতরাং আপনার "অকারণ" শব্দটি এখানে অনুপযুক্ত।
"অন্যের হয়ে" কথাটিও এখানে সঠিক না। ইসলাম আমার ধর্ম, মুহাম্মদ (সা) আমাদের নেতা। মিথ্যাকে পুজি করে যখন তাদের সম্মান হানি করা হয় তখন মুসলিমের কর্তব্য তার প্রতিবাদ করা।
আর "বিনা লজিক" কথাটা বুঝলাম না। এখানে কোন কথাটা লজিক ছাড়া ছিল একটু ব্যখ্যা করে বলেন। আপনি আমাদের লজিকের ক্লাস নেন বরং
২০| ১৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৪
কানিজ রিনা বলেছেন: চাঁদগাজী আপনার মত একজন শিক্ষীত মানুষ
মহানবী হযরত মোহাঃ সাঃ আঃ কে নিয়ে
মন্তব্য করার নুন্যতম জ্ঞান টুকু হাড়িয়ে
ফেললেন কিকরে।
আপনার পর্যালচনায় অনেক সুন্দর উপস্থাপন
খুব ভাল লাগল। আমি সাধারন চিত্তে একটু
বলব তাহোল ইসলাম প্রতিষ্ঠায় অনেক গুল
স্বাদী করেছিলেন যেখানে ছিলনা কোনও
দৈহিক মনস্কামনা।
বেশীর ভাগ স্ত্রীরা ছিলেন স্বামী পরিতাক্তও
বিধোবা। আমি সাধারন ভাবে বলতে পারি
তখন থেকেই বিধোবা বিবাহর প্রচলন শুরু
হয়।
তবে আপনি নবী মোহাঃ সাঃ নুরের একথা
বলেছে। একজন মহা মানব মহাজ্ঞানী সৃষ্টির
মহান নেতা শ্রেষ্ঠ আইন প্রনেতা হযরত মোহাঃ
সাঃ তিনি মহা জ্ঞানী এই জ্ঞানইত নুর।
তিনি তো রাসুল আর কোনও নবী রাসুল নোন। নজরুল বলেছেন নুরেরও দড়িয়ায় স্নান
করিয়ায় কে এলেন মক্কায় আরবের নবী।
এত জ্ঞানের নুর যেজ্ঞানর আলো উত্তর মেরু
হতে দক্ষিন মেরু পুর্ব হতে পশ্চিম পর্যন্ত
ছড়ানো। আর এই কোরআন হীরা পাথরের
মত যার কোন খাদ নাই। আল্লাহ্ নবী মোহাঃ
সাঃ উপর প্রেরন করেছেন।
আমরা সাধারন মুসলিম এজ্ঞান বুঝার পরিধি
অনেক কম। আমরা নবী মোহাঃ সাঃ অনেক
স্বাদী মোবারক করেছিলেন একথার বলার
বেয়াদবী ধৃষ্টতা বৈকি।
যত নাস্তিক মুশরিক কোরআন নবীকে নিয়ে
মিথ্য বলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে ১৪ শত বছর
ধরে সবই ময়লার আবর্জনায় পরিনত হয়েছে।
আল্লাহ্ একমাত্র ধারক বাহক কোরাআনের
মোহাঃ সাঃ ইসলাম হেফাজত তিনি করবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
২১| ১৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:০১
হানিফঢাকা বলেছেন: These answers are not satisfactory, rather contradictory.
By the way how many wives did the prophet have? Any reference?
২২| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
@কানিজ রিনা ,
আমি মহানবীর বিয়ে নিয়ে কথা বলনি; আমি লেখক ও অন্য এক কমেন্টকারীকে বলেছি, উনারা কেন মহানবীর হয়ে, মহানবীর বিয়ের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন? মহানবী কাউকে কি উনার নিজের বিয়ে নিয়ে ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। তখনকার সমাজে তিনি নিজের মতো করে বিয়ে করেছেন; পিরিয়ড।
২৩| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
@আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত ,
আপনি বলেছেন, " এখানে কোন কথাটা লজিক ছাড়া ছিল একটু ব্যখ্যা করে বলেন। আপনি আমাদের লজিকের ক্লাস নেন বরং "
-আমি কোন বাক্যকে লজিকহীন বলিনি; আমি আপানার প্রচেস্টাকে লজিক হীন বলার চেস্টা করেছি; ১৪০০ বছর আগের সমাজে, মহানবী বিয়ে করেছেন, সেই সমাজের রীতি অনুসরণ করে; আপনি উনার হয়ে, নিজের ভাবনা দিয়ে "ব্যাখ্যা" করার কোন লজিক থাকতে পারে না; ইহাকে ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে নেন; সেটা সহজ হবে।
২৪| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৪৯
স্বপ্ন কুহক বলেছেন: হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ৭ যাইনাববিনতে জাহশ (রা) আল্লাহর ﷻ নির্দেশ (সূরা আহযাব:৩৭) ও পালক পুত্র যে নিজের পুত্র নয় এই ধারণা সমাজে প্রতিষ্ঠা করা ৫ম হিজরী এটা তাঁর ২য় বিয়ে।
বাহ্! এই যদি হয় ইসলামের সৃষ্টিকর্তার মনোভাবের নমুনা!! অন্তত এটার তার দেড়শটা হাত তালি প্রাপ্য।
### হাতুড়ে লেখক কে বলছি--আপনি হয়ত জানেন না যে ইউরোপ ও আমেরিকাতে আইন হয়েছে পালক মেয়ে কে বিয়ে করার।
পালক কন্যা কি নিজ কন্যার সমতুল্যা?
২৫| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৫২
স্বপ্ন কুহক বলেছেন: বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: এই চাঁদগাজী টা একটা কাফির , নবীজির বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বিশ্বাসে মিলে ঈমান ,প্রশ্ন করা হারাম।
@@ বাবুরাম সাপুড়ে ------ আপনি কাউকে কাফির বলতে পারেন না। যেখানে চাদ্গাজী নবীজীর নামের পাশে (সাঃ) লিখেছেন। আপনি তার কাছে ক্ষমা চাইলেই মহান আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করবেন। ইসলাম ধর্ম পালন মানেই অতিরঞ্জিত বা অতিরিক্ত নয়। কাউকে কাফির বলার আগে আগে পিছু অনেক ভাবার প্রয়োজন আছে।
২৬| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:৫০
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: যাই হোক চাঁদগাজি একজন সচেতন ব্লগার। কিছু স্পশ কাতর ব্যাপার নিয়ে আপনার আরো সংযত হয়ে মন্তব্য করা প্রয়োজন।
আর নবীজি (স সম্পকে আমি যতদূর জানতে পড়েছি, নবীজি (স
৯ টি বিয়ের পড় কোরানের ৩ টি বিয়ের করার আয়াত নাজিল হয়। এরপর সকল সাহাবীগন তিনের অধিক বিবিদের তালাক দিয়ে দেয়। যেহেতু নবীজি (স
বিবিরা আমাদের মায়ের সমতূল্য তাই তাদের স্পস করার ক্ষমতা কোন ব্যাক্তির নাই, তাই তিনি রেখে দেন।
আর যারা এইসব বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করেন, নবীজি (স প্রথম বিবি থাকা অবস্থায় আর একটি বিয়ে ও করেন নাই।
২৭| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:৫৩
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: (সা হবে। টাইপ ভুলের কারনে এই ইমু দেখাচ্ছে।
২৮| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫৫
শাহ্জাদা আল- হাবীব বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৯| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২৫
নাগরিক কবি বলেছেন: স্বপ্ন কুহক বলেছেন: হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ৭ যাইনাববিনতে জাহশ (রা) আল্লাহর ﷻ নির্দেশ (সূরা আহযাব:৩৭) ও পালক পুত্র যে নিজের পুত্র নয় এই ধারণা সমাজে প্রতিষ্ঠা করা ৫ম হিজরী এটা তাঁর ২য় বিয়ে।
বাহ্! এই যদি হয় ইসলামের সৃষ্টিকর্তার মনোভাবের নমুনা!! অন্তত এটার তার দেড়শটা হাত তালি প্রাপ্য।
### হাতুড়ে লেখক কে বলছি--আপনি হয়ত জানেন না যে ইউরোপ ও আমেরিকাতে আইন হয়েছে পালক মেয়ে কে বিয়ে করার।
পালক কন্যা কি নিজ কন্যার সমতুল্যা?
আপনারা যেহেতু যুক্তিসহ কথা বলছেন। স্বপ্ন কুহুক ভাইয়ের কাছে এরকম একটি উত্তর আশা করা যায় না। ইউরোপ ও আমেরিকা সহ পৃথিবীর অনেক দেশে রাষ্ট্রীয় ভাবে অনেক কিছু অনুমদিত কিন্তু ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। উদাহরণ এ আমি যাচ্ছি না।
তবে আমি চাইবো কেউ হয়ত উপরোক্ত প্রশ্নের যথাযথ যুক্তিগত উত্তর দিবে।
৩০| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৮
স্বতু সাঁই বলেছেন: পোস্টটা পড়া এতটা গুরুত্ব বলে মনে হয় নি, তবে এসব পোস্টের মন্তব্য পড়ে আইডিগুলোর আসল পরিচয় পাওয়া যায়।
@চাঁদগাজীর উদ্দেশ্য লালনের একটি গানের কয়েকটি পঙক্তি:
পাপ পূণ্যের কথা আমি কারে বা শুধাই,
এউ দেশে যা পাপ গণ্য অন্য দেশে পূণ্য তাই।।
এই গানের অন্তরায় লালন আর একটি কথা বলেছেন:
তিব্বত নিয়ম অনুসারে
এক নারী বহু পতি করে
এই দেশেতে হলে পরে
ব্যভিচারী দণ্ড হয়।।
এই গানের তৃতীয় অন্তরায় লালন ব্যখ্যায় বলেছেন:
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
সূক্ষ্মজ্ঞান বিচার করে
পাপ পূণ্যের নাই বলাই।।
এই গানেরই শেষ অন্তরায় গিয়ে সমাধানে বলছেন:
পাপ হলে ভবে আসি
পূণ্য হলে স্বর্গবাসী
লালন বলে নমি ঊর্বশী
নিত্য নিত্য তার প্রমাণ পাই।।
অন্যরাও যদি মনে করেন তো গানটি থেকে জ্ঞান নিতে পারেন। জ্ঞান নিতেই হবে তা কিন্তু বলছি না। জ্ঞান আহরণ করা নিজ নিজ চিত্তের স্বাধীনতা।
৩১| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮
বনসাই বলেছেন: ১ খাদিজাবিনতে খুয়াইলিদ (রা) সাধারণ সামাজিক বিয়ে নবুয়তের ১০ম বছর খাদিজার প্রস্তাবে দুই পরিবারের সম্মতিতে সাধারণ বিয়ে। এটা ছিল খাদিজার ৩য় বিয়ে।খাদিজা জীবিত থাকতে রাসূলুল্লাহ ﷺ আর কোন স্ত্রী গ্রহণ করেননি। খাদিজার মৃত্যুর সময় রাসূলুল্লাহ ﷺর বয়স ছিল ৫০ বছর। তাঁরা দীর্ঘ ২৫ বছর সংসার করেছিলেন
নবীজী সাঃ এর প্রথম স্ত্রী ছিলেন হযরত খাদিজাতুল কোবরা রাঃ; তাঁর সাথে যখন বিয়ে হয় তখন বরের বয়স ছিল ২৫ আর কনের ৪০ বছর। বিয়ের ১৫ বছর পর হযরত মুহম্মদ সাঃ নবুয়ুত লাভ করেন। পরে আরো ১০ বছর নবীজীর প্রথম স্ত্রী বেঁচে ছিলেন। হযরত খাদিজাই ছিলেন ইসলামগ্রহণকারী প্রথম নারী। এমনটাই স্কুলে পড়েছিলাম বলে মনে পড়ছে।
তাই এটা স্পষ্ট হলো না, নবুয়তের ১০ম বছর খাদিজার প্রস্তাবে দুই পরিবারের সম্মতিতে সাধারণ বিয়ে।
৩২| ১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১৮
অধীর হাওয়া বলেছেন: লেখা দেখিয়া আমি মুগ্ধ!!!!!!!!!!!!!
কি রেসিপি চাও ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!!!
ঝাল ঝাল, নাকি মিষ্টি মিষ্টি? টকটক নাকি টকমিষ্টি, নোনতা নোনতা নাকি টক মিষ্টি ঝাল????
বলো বলো বলো এখুনি হাজির করছি সেই রেসিপিই!!!!!! প্রিয় ভাইয়ুমণিতা!!!!
বলো বলো বলো ভাইয়ু সোনামনি!!!!!!!!!!!
৩৩| ১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এইগুলো আলোচনা না করাই ভালো। আমরা যদি ভালো আর সৎ থাকতে পারি তাহলেই হবে।
৩৪| ১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩
ইয়াশফিশামসইকবাল বলেছেন: অধীর হাওয়াকে একটা লাথথি দিয়ে বের কোরে দেওয়া হোক...
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
"”সাধারণ মুসলিম পুরুষ না ৪টার বেশী বিয়ে করতে পারে না? উনি তাহলে ১১টা বিয়ে করলেন কেন?” "
রাসুল্লাহ ( স: ) ১১টা বিয়ে কেন করেছিলেন, সেটা উ্ত্তর আপনি দেবেন? উনি আপনাকে বলে গেছেন, কেন উনি ১১টা বিয়ে করলেন?