![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জ্ঞানে গুণে মানে আচার- আচরণে চিন্তায় চেতনায় কাজে কর্মে সৃজনশীলতায় অতি দরিদ্র, এই আমি। অবাস্তব জগৎ নিয়ে ভাবতে ভালবাসি; কিন্তু মাঝেমধ্যে কঠিন বাস্তবতা নিয়েও ভাবতে হয়। স্বপ্ন দেখি আকাশসম কিন্তু তার বাস্তবায়ন আদৌ সম্ভব কিনা জানা নেই। দেশের অর্জনগুলো যেমন নিজেকে অহংকারী করে তোলে ঠিক তেমনি সমাজের বৈষম্য, নীতিহীনতা, শঠতা অনেক ভাবিয়ে তোলে এই মস্তিষ্ককে। ফেবু আইডি : Md Zidan Khan
আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি বলতে যে ২ টি বিষয় প্রথমেই চলে আসে তা হলো গার্মেন্টস সেক্টর এবং রেমিট্যান্স সেক্টর। সেক্টর ২ টি নিয়ে আমরা গর্ব করি এবং এই ২ টি সেক্টরের উপরই আমাদের অর্থনীতি পুরোপুরিভাবে নির্ভরশীল। সেক্টর ২ টির উপর ভর করে আমরা স্বপ্ন দেখি মধ্যম আয়ের দেশে উপনিত হবার, ৭% থেকে ৮% প্রবৃদ্ধির অর্জন করার কথাও চিন্তা করে থাকি।
অথচ এই সেক্টর ২ টি যে শ্রমিক শ্রেণির উপর নির্ভরশীল; আমরা সার্বক্ষণিক তাদের যে পরিমাণ শোষণ, নিপীড়ন এবং অনিরাপত্তার মধ্যে রেখেছি তা কল্পনার বাইরে। যে RMG সেক্টরের উপর ভর করে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার চিন্তা করছি, তাদের রাস্তায় নামতে হয় বেতন-ভাতা পাওয়ার জন্য; তারা কিন্তু তাদের নূন্যতম মজুরিটুকুই চাইছে। নূন্যতম বেতন ভাতার জন্য তাদের আন্দোলন করতে হয়।
অন্যদিকে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী কর্মীরা তাদের বিদেশি কর্তাদের কাছে নিপীড়িত হয়, নির্যাতিত হয়, কাজ করতে গিয়ে মারা যায় নূন্যতম সুরক্ষার অভাবে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সেখানে কিছু করতে পারে না।
এভাবেই আমরা বছরের পর বছর এই শ্রমিক শ্রেণিকে শোষণ এবং অনিরাপদ রাখার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন শুষে নিয়ে আসছি; যার সুফল আমি, আপনি, সবাই উপভোগ করছি।
করোনার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও তাদের নূন্যতম সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে আমাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। যে মূহুর্তে আমরা বুঝতে পারলাম আমাদের অর্থনীতি বাচাতে হবে, ঠিক সে মূহুর্তেই আমাদের মনে হল গার্মেন্টস কর্মীদের নিরাপত্তা থাকুক কিংবা না থাকুক, গার্মেন্টস সেক্টর দিয়ে আমাদের অর্থনীতি বাচাতে হবে। সে মূহুর্তে আমি, আপনি হোম কোয়ারেন্টাইনে নিরাপদে থাকবো, Work from Home নীতি মেনে চলবো।
আর এই কর্মীদের কাজে যোগ দেয়া ছাড়া আর কোনো সুযোগও নেই। তাদের এই অসহায়ত্বের সুযোগ আমরা আগেও নিয়েছি, এখনো নিচ্ছি এবং ভবিষ্যতে নিতেও পিছপা হবো না। তারা দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে মাইলের পর মাইল পথ হেটে, ট্রাকে করে, শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে কাজে যোগাদান করবে। আর আমরা "STAY HOME, STAY SAFE" নীতি গ্রহণ করে তথাকথিত প্রণোদনা দিয়ে যাবো। কিন্তু যাদের জন্য প্রণোদনা তাদের কাছে অর্থ সহায়তা পৌছে দেয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করবো না। ইতোমধ্যে, আমরা ত্রাণ সহায়তা প্রকৃত সাহায্যপ্রার্থীদের নিকট পৌছে দিতে যে পরিপূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছি, তারপর প্রণোদনা কতটুকু সুচারুভাবে পৌছে দিতে পারবো; সেখানে একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন রয়েই যায়।
২| ০২ রা মে, ২০২০ সকাল ১১:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সব গার্মেন্টস কারখানা নিয়ম মেনে চালাতে পারবে না। আর তাছাড়া এটা অত্যন্ত শ্রমঘন শিল্প। আরেকটা ব্যাপার হোল করোনার কারনে বেশীর ভাগ কারখানার অর্ডার ৩০% থেকে ৪০% কমে যাবে। এত কম অর্ডারে ব্যবসাতে লাভ হবে না। ফলে অর্থ সঙ্কট লেগে থাকবে ক্রমাগত। সরকারি ঋণ নিয়ে আর কত দিন চালাবে। প্রতিষ্ঠান নিজস্ব শক্তিতে চলতে না পারলে ঋণ নিয়ে লাভ হয় না। ভালো সময়েই অনেক গুলি কারখানা এর আগে বন্ধ হয়েছে। তাই করোনা সঙ্কটে আরও কিছু কারখানা বন্ধ হবে।
৩| ০২ রা মে, ২০২০ দুপুর ১২:৩০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভারতে আরো দুই সপ্তাহ লকডাউন বাড়িয়েছে। আর আমাদের সব খুলে দিচ্ছে
৪| ০২ রা মে, ২০২০ দুপুর ১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: সরকারের উপর আমার আস্থা আছে। তারা যা করবেন দেশের ভালোর জন্যই করবেন।
৫| ০২ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭
রাসেল বলেছেন: Thanks to write, who have contribute to our national economy. If any responsible person, we may be glad.
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মে, ২০২০ সকাল ১১:২১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
উন্নত দেশগুলোতে কঠিন লকডাউনের ভেতরও জরুরি প্রোডাক্টশান খাত বন্ধ হয় নি।
আমেরিকার গাড়ী তৈরি কারখানা, বিশাল ফুড প্রসেসিং কারখানাগুলো, মোবাইল এসেম্বলি-প্যাকেটজাত করার ওয়াআরহাউস,
ইউএসপিএস, ফেডেক্স, ইউপিএস, আমাজনের আমদানি প্যাকেটজাত করা বিশাল ডিষ্ট্রিবিউশান কার্যক্রম, মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে কৃষি পন্ন অগনিত ট্রাক আগমন। সবই চলছে।
দোকান বন্ধ শপিং মল বন্ধ থাকলেও গ্রোসারি মল ড্রাইভথ্রু রেষ্ট্রুরেন্ট গাড়ী মেরামতের দোকান ডিলারশিপ গ্যারেজ চালু আছে।
সবাই সিডিসি গাইডলাইন মেনেই চালাচ্ছে।
নিউইয়র্কের কঠিন লকডাউনের ভেতরও ট্রেন সার্ভিস-বাস সার্ভিস সবরুটেই চালু আছে, জরুরি কাজে এক দুইজন প্যাসেঞ্জার মাঝে মাঝে ০ প্যাসেঞ্জার নিয়েই চলছে।
বাংলাদেশে অর্থনীতি বাচাতে কিছু প্রোডাক্টশান খাত সাবধানতার সাথে চললে কোন সমস্যা দেখি না।