নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যেই সুন্দর সুন্দরই আমার সৌন্দর্য

মো: মেহেরুল ইসলাম

আমি খুবই সাধারন একটা মানুষ।জ্ঞানের দিক থেকেও অতি ক্ষুদ্র ও নগন্য।তবে স্বপ্ন দেখি অনেক বিশাল।কারন স্বপ্ন দেখতে কোন খরচাপাতি লাগে না।আমি ধর্মের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল।তবে ধর্মান্ধ নই।

মো: মেহেরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশু শিক্ষার হালচাল

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮

শিশু শিক্ষার হালচাল
------------------------------------

''সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,
সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি''

অথবা,
''পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইলো,
কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিলো''

আমার শিক্ষা জীবনের শুরুটা ''আদর্শ লিপি'' নামক লাল মলাট ওয়ালা কয়েকটি পাতার বইয়ের এসব ছড়া মুখস্ত করেই হয়েছিলো।শুধু আমার একার না অনেকেই আদর্শ লিপি বইয়ের এসব ছড়া পড়েছেন কমবেশি।সকাল সকাল উঠে বারান্দায় অথবা উঠানে পাটি বিছিয়ে আমার মা এসব পড়াতেন।পড়া না পারলে সাথে পিটুনি ছিলো উপুরি পাওনা।
পড়া শেষ হলেই কেবল সকালের খাবার জুটতো কপালে।পড়া শেষে গোসল দিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানো।সে সময়
স্থানীয় পযায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়া এতো এতো কেজি বা বেসরকারি স্কুল ছিলো না বললেই চলে।আমার স্কুলের বই বলতে তখন ছিলো শুধু ঐ আদর্শ লিপি।দুপুর পর্যন্ত স্কুলে থেকে বাড়ি।আর বিকালে খেলা আর সন্ধ্যার পর হাতমুখ ধুয়ে পড়তে বসা।অবশ্য যখন একটু বড় ক্লাসে উঠেছিলাম তখন প্রাইভেট শিক্ষকের জন্য আলাদা একটু সময় বরাদ্দ রাখতে হয়েছিলো।আবার বড় ক্লাসে উঠার সাথে সাথে খেলাধুলা আর স্কুলে যাওয়া আসার সময়ের সাথে কিছুটা তারতম্য হয়েছিলো যদিও, তারপরেও খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসা আর সন্ধ্যার পর হাতমুখ ধুয়ে পড়তে বসা ,এই নিয়মটা ক্লাস টেন অবধি চালিয়ে যেতে হয়েছে।নিয়মের ব্যতয় ঘটলেই উপুড়ি পাওনা।মানে মায়ের হাতে বেতের বাড়ি।

সে যাই হোক ,এতো গেলো আমার ছোটবেলার পড়ার চিত্রপট।এখন আসি বর্তমান শিশু শিক্ষার ক্ষেত্রতে।যদিও আমার শৈশব সময় থেকে বর্তমান ছেলে মেয়েদের শৈশব সময়ের ব্যবধান খুব যে বেশি তা কিন্তু নয়।তবুও একটা সুষ্পষ্ট সু-দীর্ঘ পার্থক্য বিদ্যামান।অনেকে হয়তো বলবেন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হচ্ছে।তাদের উদ্দেশ্য বলতে চাই আমরা কি যুগ কে এগিয়ে নিচ্ছি নাকি যুগই আমাদের এগিয়ে নিচ্ছে? এতো আমার দৃষ্টিতে লেজ কুকুরকে নাড়ানোর মতো ব্যপার।আমি যুগের বা সময়ের সাথে অবশ্যই এগিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতি।কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার নামে নিজেদের নীতি,নৈতিকতা,শৃষ্টাচার ,সৌজন্যবোধ হারানোর পক্ষে নই।থাক সেসব।আজকাল ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের আর সেই সকালে উঠে মুখ ধুয়ে পড়তে দেখি না।মায়েদের সকাল সকাল ঘুম থেকে ছেলেমেয়েকে জাগিয়ে পড়তে বসানোর পরিবর্তে ভোর ৬টার সময় স্কুলে পাঠানোর দৃশ্যটি চোখে পড়ে।আরো অবাক করার মতো ব্যপার হচ্ছে ঐ ৪ বছরের শিশুটির পিঠে ৫ কেজি ওজনের একটি ব্যগ থাকে এবং ব্যগের সাইজ ও ঐ শিশুটির সাইজের থেকে কয়েক গুন বড়।শিশুটি পিঠে ব্যগটি বহন করতে পারে না বিধায় অগত্যা সাথে তার মা কেও স্কুলে যেতে হয়।বলি কি দরকার এসবের? তারপর স্কুলে গিয়ে তো এক অসম প্রতিযোগীতা ।এ প্রতিযোগীতায় অবশ্য শিশুদের অংশ নিতে হয়না।বরং যার যার মায়ের দায়িত্বটাই থাকে প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনার।যে শিশুটি ঠিকমতো অ,আ,ক,খ উচ্চারনটি ও ঠিকমতো করতে পাচ্ছে না, বা তার কষ্ট হচ্ছে (কেননা ৪বছর বয়সে ওটা আমরাও পারিনি,কিন্তু আমার শিশুটিকে সেটা মুখস্ত করতেই হবে) সেখানে তাকে মুখস্ত করতে বাধ্য করছি ''Twinkel twinkel lettle star''।আবার শিশুটি ক্লাসে ১ নম্বর অন্য শিশুটির থেকে কম পেয়েছে দেখে লজ্জায় তো মাথা হেট।বাসায় এসে আচ্ছামতো বকুনি।ঐ ১ নম্বর অর্জনের জন্য শিশুটিকে আরো একটি প্রাইভেট টিওটর ।শিশুটিকে যে প্রত্যাক টি বিষয়ে ১০০করে নম্বর পেতেই হবে।

(চলবে)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫

বিজন রয় বলেছেন: ভাল বিষয়ের অবতারনা।
++++

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

মো: মেহেরুল ইসলাম বলেছেন: thanks

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

ডেল p4 বলেছেন: ডিস টিভি ,মোবাইল,ইনটারনেট ই এসবের জন্য দায়ি

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭

মো: মেহেরুল ইসলাম বলেছেন: আসলে আমরা নিজেরাই অতি আধুনিক হতে গিয়ে নিজেদের কে হারিয়ে ফেলছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.