![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুবই সাধারন একটা মানুষ।জ্ঞানের দিক থেকেও অতি ক্ষুদ্র ও নগন্য।তবে স্বপ্ন দেখি অনেক বিশাল।কারন স্বপ্ন দেখতে কোন খরচাপাতি লাগে না।আমি ধর্মের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল।তবে ধর্মান্ধ নই।
জাগো
---------------------------
সাধারন জনগন যতোদিন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সম্পদের উপর নিজেদের দাবি স্থাপন করার মানসিকতা গড়ে তুলতে না পারবে ঠিক ততোদিন এক শ্রেণীর মুখোশধারী শোষক গনতন্ত্রের মুলো ঝুলিয়ে লুটপাট, দূর্নীতি, আর নিজেদের সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলবে।এই মৎস্যন্যায় ঠিক ততোদিন পর্যন্ত চলতে থাকবে যতোদিন পর্যন্ত না আমরা আমার আমিত্ব থেকে বের হয়ে আমাদের চিন্তায় নিজের মানসিকতাকে পূর্ণতা দান করতে পারবো।আমাদের সেই জ্ঞানের জগতে প্রবেশ করতে হবে যে জ্ঞানের জগতে আমিত্বের কোন স্থান নেই। সাধারন কে অবশ্যই তার মস্তিস্কে এ কথা স্থাপন করা জরুরী যে,একটি রাষ্ট্রের মোট সামগ্রিক সম্পদের মালিকানায় সেও একজন অংশীদার।শাসক শ্রেণীকে আমরা আমাদের সামগ্রিক এ সম্পদের পাহাড়াদার রূপে নিযুক্ত করেছি মাত্র।ঠিক ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদারের মতো।আর সামগ্রিক সম্পদের দেখভালের জন্য আমরা তাদের নির্দিষ্ট পরিমান সম্মানীও ঠিক করে দিয়েছি।কিন্তু কোনভাবেই সামগ্রিক সম্পদের অংশীদার হিসেবে নিযুক্ত করিনি।তাই আমাদের সম্পদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ কাজে যদি শাসক শ্রেণী ব্যার্থতার পরিচয় দেয় তবে আমাদের কর্তব্য তাদের পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে সামগ্রিক সম্পদের দেখভালের দায়িত্ব নিজেদের কাধে তুলে নেয়া।কিন্তু দূর্ভাগ্য এই এক জায়গাতেই যে,
শাসক শ্রেণী আমাদের এই সামগ্রিক সম্পদের কর্তা রূপে নিজেদের অযৌক্তিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাধারনের সামনে গনতন্ত্রের মুলো ঝুলিয়ে জ্ঞানের জায়গাতে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে রেখেছে।আমরা সাধারন এই অন্ধকারে হাবুডুবু খেতে খেতে আমাদের থেকে আমিত্বে ঢুকে পড়েছি।আর এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে শাসক শ্রেণী পাহাড়াদার থেকে কর্তা রূপে, শোষক রূপে আমাদের কাধে চেপে বসে আছে।আমাদের এই কাধের বোঝা মুক্ত হতে হবে।নিজেদের সম্পদের উপর নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।আমিত্বের খোলস থেকে মুক্ত হয়ে সম্পদ রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে।তবেই বিলুপ্ত হবে শাসক শ্রেণীর শোষনের ধারা।এ অধিকার আমাদের কেই অর্জন করতে হবে।কেউ একজন দেবতা রূপে এসে আমাদের হাতের মুঠোয় অধিকার দিয়ে যাবে না।
©somewhere in net ltd.