নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যেই সুন্দর সুন্দরই আমার সৌন্দর্য

মো: মেহেরুল ইসলাম

আমি খুবই সাধারন একটা মানুষ।জ্ঞানের দিক থেকেও অতি ক্ষুদ্র ও নগন্য।তবে স্বপ্ন দেখি অনেক বিশাল।কারন স্বপ্ন দেখতে কোন খরচাপাতি লাগে না।আমি ধর্মের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল।তবে ধর্মান্ধ নই।

মো: মেহেরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবে শেষ হচ্ছে উন্নয়ন মহাসড়কের শব যাত্রা

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৫



গত কয়দিন দেশের কয়েকটা জেলা ঘুরতে গিয়ে একটা কথা বেশ মর্মে মর্মে অনুধাবন করতে পারলাম আর সেটা হলো বর্তমান সরকারের উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রার নানাবিধ চালচিত্র । বিশেষ করে মহাসড়কের উন্নয়নের যাত্রা । অবাক কান্ড এই যে, সরকারের উন্নয়ন যে মহাসড়ক দিয়ে যাত্রা করছে খোদ সেই মহাসড়কেই খানাখন্দের কারনে সাধারনের নিরাপদে চলা বেশ কষ্টসাধ্য । সেখানে সরকারের উন্নয়ন কিভাবে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পাড়ি দিবে তা মোটেও বোধগম্য নয় ।
কিছুদিন দেখলাম আমাদের সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রীর প্রতিনিয়ত রাস্তা সফরের রমরমা রগরগে দৃশ্য । আর আমরা অতি উৎসাহী কিছু মানুষ ওনার নামকরন করে ফেললাম মন্ত্রী ফাটাকেষ্ট । অবশ্য ভারতীয় সিনেমার ফাটাকেষ্ট আর আমাদের ফাটাকেষ্ট এর কাজে,কর্মে,কথায় বিস্তর ফারাক সেই প্রথম থেকেই । এই যেমন ধরুন সিনেমার ফাটাকেষ্ট কথায় কথায় বৃন্দাবন পাঠানোর হুমকি দিতে পারলেও আমাদের মন্ত্রী ফাটাকেষ্ট তো কাউরে পেদিয়ে বৃন্দাবন পাঠাতে পারে্ন না । তবে হুমকি ধমকি দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন বেশ । কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি । উল্টো মন্ত্রী ফাটাকেষ্টকেই মহাসড়ক ছেড়ে এখন রুটিন মাফিক মন্ত্রীসভার কাজকর্ম সারতে হচ্ছে ।

আর তাইতো দেশের অধিকাংশ মহাসড়ক গুলোর বেহাল অবস্থা । অবস্থা এমনই খারাপ যে গাড়িতে যেতে পেটের নাড়িভুঁড়ি সব উল্টিয়ে যাবার যোগাড় । দু ঘন্টার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে প্রায় ৫/৬ ঘন্টা । আর এমন ভাঙ্গাচোড়া সড়কে দূর্ঘটনা যেমন ঘটছে তেমনি মনের মধ্যে একধরনের আশংকা থেকেই যায় সঠিক সময়ে নিরাপদে আমি আমার গন্তব্য যেতে পারবো তো ?

যেখানে বাজারের চাল এখনো জনসাধারনের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে ,পেয়াজের ঝাঁঝে কৃষকের চোখ দিয়ে পানি ঝড়ে , বিদ্যুৎ , গ্যাস থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ধাপে ধাপে বেড়েই চলছে , গুম , খুন এখন ডাল ভাতের মতো ঘটনাতে পরিনত হয়েছে সেখানে জানিনা সরকার আসলেই কোন উন্নয়নের মহাসড়ক দিয়ে পথ পাড়ি দিচ্ছে ?

ওদিকে আমাদের দেশে গৃহপালিত সংসদীয় বিরোধীদল প্রায়ই সংসদ অধিবেশনে এসব নানাবিধ সমস্যার কথা তুলে ধরার চেষ্টা করলেও সরকার পক্ষ তাদের এসব কথা হাসি তামাশার ছলে উড়িয়ে দিচ্ছে । কারন গৃহপালিত দলের কথা আর কেউ গুরুত্ব দিক বা না দিক অন্তত মনিব মানে সরকার কখনোই গুরুত্ব দিবে না এ কথা হলফ করে বলা যায় । আবার এই গৃহপালিত সংসদীয় বিরোধীদল জাতীয় নানা সমস্যায় সরকারের বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে সেটাও সম্ভব নয় । কারন তাদের দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সাংগঠনিক সক্ষমতার যথেষ্ট ঘাড়তি রয়েছে ।

সংসদের বাহিরে তথাকথিত বিরোধী দল বলে একটা দল আছে । আসলে তারা নিজেরাও জানে না তারা কি চায় । সোনামনিদের প্রি-ক্যাডেট স্কুলে যাবার মতো সকাল –বিকাল কাগুজে কিছু নোট মিডিয়ার সামনে খুটে খুটে পড়া ছাড়া গত ৯ বছরে তাদের কাজকর্মের আর কিছু চোখে পড়ে নাই । অবশ্য একাজে তাদের একজন কে নিয়োগ দেয়াটা জনমনে বেশ হাস্যরসের উদ্রেক করেছে । কারন কপাল গুনে রসিকজন কাগজে কলমে দপ্তর থেকে সিনিয়র যুগ্ন-মহাসচিব হলেন বটে কিন্তু তার চেয়ার বদল হলো না । সেই এক চেয়ারে বসেই তিনি টানা ৯ টি বছর ভাঁড় হয়েই কাটিয়ে দিলেন । কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবার কখনো নির্দলীয় সহায়ক সরকার এই দুই দাবির বাইরে আজ পর্যন্ত অন্যকোন জনবান্ধব বার্ণ ইস্যুতে তাদের মুখে টু শব্দ ও শোনা যায় নি । কাজকর্মে মনে হয় ক্ষমতায় যাওয়া ছাড়া আর ক্ষমতা টিকে রাখা ছাড়া এই প্রধান দুই দলের আর কোন কাজ নেই । কথায় কথায় ওনারা বলেন দেশের জনগন নাকি তাদের সাথেই আছে । কথাটা শতভাগ সঠিক এই কারনে যে, জনগন নামক গাধার পিঠে চড়েই তো আপনারা ক্ষমতার স্বাদ ভোগ করেন । আর জনগনের সামনে উন্নয়নের মূলো ঝুলিয়ে নিজেদের সেকেন্ড হোম বাড়ি গাড়ি আরাম আয়েশের বন্দোবস্ত করেন ।
সংসদের বাহিরের তথাকথিত বিরোধী দলের প্রতি অনুরোধ থাকবে এসব কাগুজে নোট খুটিয়ে খুটিয়ে পড়া বাদ দিয়ে অন্তত জনবান্ধব বার্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে রাস্তায় নামুন জনগন সত্যিই আপনাদের সমর্থন করবে । মনে রাখা উচিত নালী আর দেড় টাকা সের নাই । সময়ের প্রেক্ষাপটে সব পাল্টিয়েছে , বদলিয়েছে । আর সরকারের প্রতি অনুরোধ থকবে শুধু উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রার গল্প শুনিয়ে জনগন কে আর ধোকা দেয়া যাবে না । অনেক ভালো কাজ করেছেন ,দেশকে মধ্যেম আয়ের দেশে উন্নীত করেছেন , তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছেন এসব কথা জনগন ভুলে যাবে না । অবশ্যই মনে রাখবে । কিন্তু সকল উন্নয়ন জনগনের সামনে দৃশ্যমান করতে না পারলে প্রত্যাখ্যাত হবেন একথা নিশ্চিত করে বলা যায় । চালের বাজার , কাঁচা বাজারের দাম , গ্যাস , বিদ্যুৎ এর দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসুন , সকল অশুভ শক্তির লাগাম টেনে ধরুন , মুখে অসাম্প্রদায়িক আর মনে মনে সাম্প্রদায়িক শক্তির পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করুন তাহলেই জনগন আপনাদের মনে রাখবে ।


মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরকারের লোকেরা ঢাকা শহরে থাকে, ব্যবসা করে ঢাকায়; রাস্তার বানানোর ঢাকা ভাগ হয় ঢাকায়

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৬

আবু তালেব শেখ বলেছেন: সব দাদারাই এক নারকেলের জোড়া।
সব দলকেই আমরা চিনি। তারা আসে লুটপাট করতে

৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: যতটা তোড়জোর ততটা তো অবশ্যই হয় নি।। বেশীর ভাগই রাজধানীকে কেন্দ্রীক।। বাকীসব উন্নয়ন ভুয়া।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.