![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুবই সাধারন একটা মানুষ।জ্ঞানের দিক থেকেও অতি ক্ষুদ্র ও নগন্য।তবে স্বপ্ন দেখি অনেক বিশাল।কারন স্বপ্ন দেখতে কোন খরচাপাতি লাগে না।আমি ধর্মের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল।তবে ধর্মান্ধ নই।
গত কয়দিন দেশের কয়েকটা জেলা ঘুরতে গিয়ে একটা কথা বেশ মর্মে মর্মে অনুধাবন করতে পারলাম আর সেটা হলো বর্তমান সরকারের উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রার নানাবিধ চালচিত্র । বিশেষ করে মহাসড়কের উন্নয়নের যাত্রা । অবাক কান্ড এই যে, সরকারের উন্নয়ন যে মহাসড়ক দিয়ে যাত্রা করছে খোদ সেই মহাসড়কেই খানাখন্দের কারনে সাধারনের নিরাপদে চলা বেশ কষ্টসাধ্য । সেখানে সরকারের উন্নয়ন কিভাবে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পাড়ি দিবে তা মোটেও বোধগম্য নয় ।
কিছুদিন দেখলাম আমাদের সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রীর প্রতিনিয়ত রাস্তা সফরের রমরমা রগরগে দৃশ্য । আর আমরা অতি উৎসাহী কিছু মানুষ ওনার নামকরন করে ফেললাম মন্ত্রী ফাটাকেষ্ট । অবশ্য ভারতীয় সিনেমার ফাটাকেষ্ট আর আমাদের ফাটাকেষ্ট এর কাজে,কর্মে,কথায় বিস্তর ফারাক সেই প্রথম থেকেই । এই যেমন ধরুন সিনেমার ফাটাকেষ্ট কথায় কথায় বৃন্দাবন পাঠানোর হুমকি দিতে পারলেও আমাদের মন্ত্রী ফাটাকেষ্ট তো কাউরে পেদিয়ে বৃন্দাবন পাঠাতে পারে্ন না । তবে হুমকি ধমকি দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন বেশ । কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি । উল্টো মন্ত্রী ফাটাকেষ্টকেই মহাসড়ক ছেড়ে এখন রুটিন মাফিক মন্ত্রীসভার কাজকর্ম সারতে হচ্ছে ।
আর তাইতো দেশের অধিকাংশ মহাসড়ক গুলোর বেহাল অবস্থা । অবস্থা এমনই খারাপ যে গাড়িতে যেতে পেটের নাড়িভুঁড়ি সব উল্টিয়ে যাবার যোগাড় । দু ঘন্টার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে প্রায় ৫/৬ ঘন্টা । আর এমন ভাঙ্গাচোড়া সড়কে দূর্ঘটনা যেমন ঘটছে তেমনি মনের মধ্যে একধরনের আশংকা থেকেই যায় সঠিক সময়ে নিরাপদে আমি আমার গন্তব্য যেতে পারবো তো ?
যেখানে বাজারের চাল এখনো জনসাধারনের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে ,পেয়াজের ঝাঁঝে কৃষকের চোখ দিয়ে পানি ঝড়ে , বিদ্যুৎ , গ্যাস থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ধাপে ধাপে বেড়েই চলছে , গুম , খুন এখন ডাল ভাতের মতো ঘটনাতে পরিনত হয়েছে সেখানে জানিনা সরকার আসলেই কোন উন্নয়নের মহাসড়ক দিয়ে পথ পাড়ি দিচ্ছে ?
ওদিকে আমাদের দেশে গৃহপালিত সংসদীয় বিরোধীদল প্রায়ই সংসদ অধিবেশনে এসব নানাবিধ সমস্যার কথা তুলে ধরার চেষ্টা করলেও সরকার পক্ষ তাদের এসব কথা হাসি তামাশার ছলে উড়িয়ে দিচ্ছে । কারন গৃহপালিত দলের কথা আর কেউ গুরুত্ব দিক বা না দিক অন্তত মনিব মানে সরকার কখনোই গুরুত্ব দিবে না এ কথা হলফ করে বলা যায় । আবার এই গৃহপালিত সংসদীয় বিরোধীদল জাতীয় নানা সমস্যায় সরকারের বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে সেটাও সম্ভব নয় । কারন তাদের দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সাংগঠনিক সক্ষমতার যথেষ্ট ঘাড়তি রয়েছে ।
সংসদের বাহিরে তথাকথিত বিরোধী দল বলে একটা দল আছে । আসলে তারা নিজেরাও জানে না তারা কি চায় । সোনামনিদের প্রি-ক্যাডেট স্কুলে যাবার মতো সকাল –বিকাল কাগুজে কিছু নোট মিডিয়ার সামনে খুটে খুটে পড়া ছাড়া গত ৯ বছরে তাদের কাজকর্মের আর কিছু চোখে পড়ে নাই । অবশ্য একাজে তাদের একজন কে নিয়োগ দেয়াটা জনমনে বেশ হাস্যরসের উদ্রেক করেছে । কারন কপাল গুনে রসিকজন কাগজে কলমে দপ্তর থেকে সিনিয়র যুগ্ন-মহাসচিব হলেন বটে কিন্তু তার চেয়ার বদল হলো না । সেই এক চেয়ারে বসেই তিনি টানা ৯ টি বছর ভাঁড় হয়েই কাটিয়ে দিলেন । কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবার কখনো নির্দলীয় সহায়ক সরকার এই দুই দাবির বাইরে আজ পর্যন্ত অন্যকোন জনবান্ধব বার্ণ ইস্যুতে তাদের মুখে টু শব্দ ও শোনা যায় নি । কাজকর্মে মনে হয় ক্ষমতায় যাওয়া ছাড়া আর ক্ষমতা টিকে রাখা ছাড়া এই প্রধান দুই দলের আর কোন কাজ নেই । কথায় কথায় ওনারা বলেন দেশের জনগন নাকি তাদের সাথেই আছে । কথাটা শতভাগ সঠিক এই কারনে যে, জনগন নামক গাধার পিঠে চড়েই তো আপনারা ক্ষমতার স্বাদ ভোগ করেন । আর জনগনের সামনে উন্নয়নের মূলো ঝুলিয়ে নিজেদের সেকেন্ড হোম বাড়ি গাড়ি আরাম আয়েশের বন্দোবস্ত করেন ।
সংসদের বাহিরের তথাকথিত বিরোধী দলের প্রতি অনুরোধ থাকবে এসব কাগুজে নোট খুটিয়ে খুটিয়ে পড়া বাদ দিয়ে অন্তত জনবান্ধব বার্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে রাস্তায় নামুন জনগন সত্যিই আপনাদের সমর্থন করবে । মনে রাখা উচিত নালী আর দেড় টাকা সের নাই । সময়ের প্রেক্ষাপটে সব পাল্টিয়েছে , বদলিয়েছে । আর সরকারের প্রতি অনুরোধ থকবে শুধু উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রার গল্প শুনিয়ে জনগন কে আর ধোকা দেয়া যাবে না । অনেক ভালো কাজ করেছেন ,দেশকে মধ্যেম আয়ের দেশে উন্নীত করেছেন , তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছেন এসব কথা জনগন ভুলে যাবে না । অবশ্যই মনে রাখবে । কিন্তু সকল উন্নয়ন জনগনের সামনে দৃশ্যমান করতে না পারলে প্রত্যাখ্যাত হবেন একথা নিশ্চিত করে বলা যায় । চালের বাজার , কাঁচা বাজারের দাম , গ্যাস , বিদ্যুৎ এর দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসুন , সকল অশুভ শক্তির লাগাম টেনে ধরুন , মুখে অসাম্প্রদায়িক আর মনে মনে সাম্প্রদায়িক শক্তির পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করুন তাহলেই জনগন আপনাদের মনে রাখবে ।
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৬
আবু তালেব শেখ বলেছেন: সব দাদারাই এক নারকেলের জোড়া।
সব দলকেই আমরা চিনি। তারা আসে লুটপাট করতে
৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪৯
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: যতটা তোড়জোর ততটা তো অবশ্যই হয় নি।। বেশীর ভাগই রাজধানীকে কেন্দ্রীক।। বাকীসব উন্নয়ন ভুয়া।।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
সরকারের লোকেরা ঢাকা শহরে থাকে, ব্যবসা করে ঢাকায়; রাস্তার বানানোর ঢাকা ভাগ হয় ঢাকায়