নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন বড় চঞ্চল

মিমমা সুলতানা মিতা

কি লিখবো?

মিমমা সুলতানা মিতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছিঃ ছিঃ কি লজ্জ্যা ! কি লজ্জ্যা !

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

প্রায় ই আমরা পত্রিকা খুললে দেখতে পায় ডাষ্টবিনে পতিত শিশু, ভাঙ্গা বিল্ডিং এর কোনায় নবজাত শিশু, নালা, ডোবা, গর্তে অবৈধ্য সদ্যজাত মৃত বা জীবিত ফুটফুটে শিশু। আর সেই সব লেখাতে কত মুখোরোচক কমেন্ট। ওই সব মা কুলাঙ্গার, নষ্ট মেয়েমানুষ, ওই সব ছেলে মেয়েকে মেরে ফেলা দরকার, ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কিছু। কিন্ত এগুলো হচ্ছে কেন? কি সমস্যা কেও কি তা ভেবে দেখেছি?
আমার মতে এই ধরনের সমস্যার মুল কারন নারী পুরুষের জৈবিক চাহিদা পুরন। বিজ্ঞানের ভাষায় প্রতিটা সুস্থ্য নারী পুরুষের ই জৈবিক চাহিদা তৈরী হয়, আর না হলে সে অসুস্থ্য। তো একজন সুস্থ্য স্বাভাবিক নারীপুরুষের চাহিদা তৈরী হয় সাধারনতো ১২/১৩ বছর বয়স হতে। কিন্ত বর্তমানে আমাদের দেশে শিক্ষার সাম্যতা, মা/বাবা হওয়ার স্বাভাবিক সময়, শিশু লালন পালনের যোগ্যতা এসব মিলিয়ে ১৮ বছর (মেয়ে) ২৫ বছর (ছেলে) বয়স ধরা হয় প্রাপ্ত বয়স বা বিবাহ উপযুক্ত বয়স। কিন্ত শারিরীক গঠনে তা বলেনা, ছেলে মেয়ে উভয়ের প্রাপ্ত বা সুস্থ্যতা সুচনা হয় ১২/১৩ বছর বয়সেই যখন থেকে তার বয়োসন্ধি শুরু হয়। তখন থেকেই সে বাবা মা হওয়ার উপযুক্ত। কিন্ত পারিবারিক, সামাজিক, ধার্মিক, ভাবে চাপিয়ে দেয়া নীতিমালা গুলো থাকার কারনে অনেক ছেলে মেয়ে গোপনে ওই বয়সের পর তার শারীরিক চাহিদা পুরন করছে যা তার জন্মগত অধিকার। সুক্ষভাবে বিচার বিশ্লেষন করলে দেখা যাবে মোট জনসংখ্যার ৯৯়৯৯ ভাগ ছেলে মেয়ে ১২/১৩ বছরের মাঝেই তাদের কুমারিত্ব নষ্ট করছে, কেও বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেনা তিনি ভাল আছেন, যিনি বলবেন তিনি একজন অসুস্থ্য রুগী। তার অবশ্যই ট্রিটমেন্ট দরকার। যাহোক অনেকে বুঝতে পারেনা, অনেকে না জানার কারনে গর্ভধারন করেন এবং অবৈধ সন্তান প্রসব করেন, কিন্ত সমাজ, তথা ধর্ম, তথা রাষ্ট্রিয় নীতি, বিধানে তা অবৈধ এবং লজ্জাজনক হওয়ায় মাএর মমতা জলাঞ্জলী দিয়ে বুকে পাথর চাপিয়ে, যন্ত্রনায় ছটফট করে গোপনে ফেলে আসে ডাষ্টবিন বা আনাচে কানাচে। তখন তারা হয় অপরাধি, চরিত্রহীন, কুলাঙ্গার মা, কিন্ত সত্যি কি তাই ? একদিকে সেই সব মায়েরা হয় সমাজে নিগৃহীত, অন্যদিকে বিবেকের যন্ত্রনা, মমতার আত্বহত্যা, কে নেবে এর দায়? কয়জন ছেলে মেয়ে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে? যৌবনের প্রাকৃতিক চাহিদা পূরনে সকলেই মোহবিষ্ট হয়ে যায় কেও সদরে কেও গোপনে। কেও বুঝে কেও না বুঝে। এর জন্য দায়ী কে?
আমার মতে সমাজ ব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় নিয়মনীতি।
আমেরিকান দেশ গুলোতে দেখা যায় একজন ১২/১৩ বছরের কিশোরী মা হয়ে যাচ্ছে তার স্কুল বন্ধুদের সাহচর্যে। তখন সরকার তাদের স্পেশাল ভাতা বরাদ্দ করে মা আর শিশুর ভোরন পোষনে। এভাবে প্রায় ৯৯ শতাংশ ছেলে মেয়ে এসব ভাতাতে বড় হয়ে উঠছে। তাদের পেতে হচ্ছেনা, লজ্জা, অবৈবাহিক গর্ভধারনে হতে হচ্ছেনা নির্যাতিত নিগৃহীত। ফেলে দিতে হচ্ছেনা নাড়ি কাটা আদরের মানিক কে। কারন কি? রাষ্টীয় নীতি, রাষ্ট্রিয় অনুশাসন। আমেরিকানরা এটুকু জানে প্রাকৃতিক প্রবৃত্তিকে রোধ করা সম্ভব না। তারা জানে নারী পুরুষের এটা জন্মগত অধিকার। তারা আবেগ, অনুভুতি, শারিরীক চাহিদা কন্ট্রোল করতে পারেনি, কারন এটা নারী পুরুষের প্রাকৃতিক প্রজনন রহস্য। সকল প্রানী কুলের এই চাহিদা বা ক্ষমতা রয়েছে। অনেক গবেষনা করেও আজ পর্যন্ত কোনো গবেষক শারিরীক চাহিদার কারন ও তা রোধ করার ঔষধ বের করতে পারেনি, বরং চাহিদা সৃষ্টি করার ঔষধ বের করেছে। কারন তারা জানে যাদের কোনো শারিরীক চাহিদা নেই তারা অসুস্থ্য, তাই আমরা কিছুতেই এসব দায় একজন নারী বা পুরুষের উপর বর্তাতে পারিনা।
হ্যা যেহেতু আমাদের দেশ ধর্মীয় অনুশাসনের দেশ। ধর্মীয়ভাবে যেমন বাংলাদেশ ইসলামী রাষ্ট্র তেমনই বিয়ের ব্যাপারটাই মেয়েদের ১২ আর ছেলেদের ১৩ বছরের মাঝেই রাখা উচিত ছেলে মেয়ে উভয় এর জন্য। আর ১২/ ১৩ বছরেই তাদের লেখাপড়ার পাশাপাশি কাজের ব্যবস্থা করে দিতে হবে যাতে তারা সব দিক দিয়েই সমস্যামুক্ত থাকে।
এ ক্ষেত্রে অনেকে বলবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কথা। সেটাও সরকার পারে দমন করতে। এমন একটা আইন করতে হবে ২টা বাচ্চা শুধু থাকবে, তার বেশি হলে তাদের কাজ বাতিল করতে হবে। বা কম হলে তাদের পুরুষ্কৃত করতে হবে, তাহলে অটোমেটিক আমাদের নষ্ট সমাজ সুস্থ্য হয়ে যাবে, একটা সমৃদ্ধশালী, মানষিকভাবে সুস্থ্যসবল এক জাতি গঠন হবে।
অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মানুষের মেধা বেশি, তবু কেন বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে? এর একটাই কারন আমাদের বাংলাদেশে মানুষের ব্রেনে টর্চার করা হয়। ব্রেনের উপর চাপ সৃষ্টি করে রাখা হয়, ভয়, হিংসা, জড়তা, লজ্জা, সংকীর্নতা, এগুলো মগজে ঢুকে সর্বক্ষন মানষিক চাপের মাঝে থাকে সমাজের ৮০% মানুষ, এখন মানষিক রুগী ই যদি থাকে ১০০ তে ৮০ জন তাহলে বাংলাদেশের উন্নয়ন কেমনে কি?
এত ভাবার দরকার নেই, তার চেয়ে আমরা মুখে বলে কর্তব্য সেরে দেই, আসুন আমাদের এই দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভেষে গেছে, আমরাও ভেষে যায় সেই জোয়ারে, জানিনা কোথায় পাল তুলবো? আর কে ধরবে সেই পাল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.