![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফাজায়েলে দরূদের ২১ পৃষ্ঠায় বলা হচ্ছে: হুজুরে পাক (ছ-এর স্বয়ং শ্রবণ করার ব্যাপারে কোন প্রশ্ন আসিতে পারে না কেননা আম্বিয়ায়ে কেরামগন কবরের মধ্যে জীবিত আছেন।…আমরা এই কথার উপর ঈমান রাখি এবং বিশ্বাস করি যে হুজুরে পাক (ছ
কবর শরীফে জীবিত আছেন।
অন্য স্থানে এও উল্লেখ আছে যে, রাসূল (সা একজনকে রুটি খেতে দিয়ে ছিলেন।
অর্থাৎ তাদের আকিদা রাসূল (সা জীবিত এবং রিজিকও (রুটি ইত্যাদি) পেয়ে থাকেন।
সুতরাং তারা বলছে যে নবী (সা কবরে জীবিত আছেন এবং তিনি শ্রবণ অর্থাৎ কথা শুনতে পান। এই আকিদা ইসলামের আকিদা নয়।
সবারই মৃত্যু হবে এবং আমাদের রাসূল (সা এরও মৃত্যু হয়েছে তার প্রমান কুরআন থেকে পাওয়া যায়:
আপনার পূর্বেও কোন মানুষকে আমি অনন্ত জীবন দান করিনি। সুতরাং আপনার মৃত্যু হলে তারা কি চিরঞ্জীব হবে? প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে…সূরা: আম্বিয়া, ৩৪-৩৫
ভূপৃষ্টের সবকিছুই ধ্বংসশীল। একমাত্র আপনার মহিমায় ও মহানুভব পালনকর্তার সত্তা ছাড়া…সূরা: আর-রহমান, ২৬-২৭
নিশ্চয় তোমারও (ও মুহাম্মাদ) মৃত্যু হবে এবং তাদেরও মৃত্যু হবে…সূরা: আল’জুমার, ৩০
সুতরাং বুঝা যাচ্ছে যে রাসূল (সা মৃত্যু বরণ করেছেন।
কিন্তু আল্লাহ্ অন্য সূরায় বলছেন:
আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না…সূরা: বাকারাহ, ১৫৪
এর অর্থ হচ্ছে শহীদরা এবং আম্বিয়াগন জীবিত আছেন। হাঁ বারযাখে তারা জীবিত আছেন, পৃথিবীতে বা পৃথিবীর মানুষের মত জীবিত নয় যে তারা আমাদের কথা শুনতে পান, খেতে পান। তাই আল্লাহ্ বলেছেন ‘কিন্তু তোমরা তা বুঝ না’…
আল্লাহ্ কুরআনে আরও বলছেন:
কবরের ব্যক্তিরা জীবিতদের কথা শুনতে সক্ষম নন: আপনি কবরে শায়িতদেরকে শুনাতে সক্ষম নন। …সূরা: ফাতির, ২২
এর দ্বারা প্রমানিত হয় যে রাসূল (সা মৃত্যু বরণ করেছেন এবং বারযাখে জীবিত আছেন, আর তিনি আমাদের কথা শুনতে পান না এবং রুটিও খেতে পান না। বারযাখ জীবনে রাসূল (সা
কি রকম জীবিত আছেন আমরা জানিনা। কারন আল্লাহ্ বলছেন আমরা বুঝব না। নবী (সা
কবরে জীবিত আছেন এবং তিনি আমাদের কথা শুনতে পান, তাই তার কাছে সরাসরি চাওয়া যেতে পারে এই সব বিশ্বাস করা শির্ক এবং ইসলাম পরিপন্থীদের আকিদা, পীরপন্থিদের আকিদা।
২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৬:২৭
মিনহাজুল আবেদিন বলেছেন: আসলে আপনি যেই হাদিস টি জানেন হাদিসটি জাল।
৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫
মুমাইন বলেছেন: এ ব্যাপারে আরো কোনো তথ্য উপাত্ত পেতে পারি কি? পারলে জানাবেন দয়া করে।
৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৬:১৭
মিনহাজুল আবেদিন বলেছেন: আপনার জানা হাদিসটা মেসকাত শরীফে কিতাবুস সালামের মধ্যে পাওয়া যায়। কিন্তু হাদিসের যেই বর্ণানার ধারা তথা সনদ, এই হাদিসের সনদে ৩য় স্তরে কোন রাবি বা বর্ণনা কারী খুজে পাওয়া যায় না। সুতরাং হাদিসটি রাসুল (সঃ) পর্যন্ত ই পৌঁছায় না। আরো মজার ব্যাপার হল হাদিস টার ৫ম স্তরে যেই রাবি পাওয়া যায় তার নাম আব্দুররহমান মুলজিম, এই লোক ইতিহাসে জাল হাদিস তৈরি কারী হিসাবে খ্যাঁত।
৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩
মুমাইন বলেছেন: কতটুকু সত্য তা জানি না। তবে ভেবে অবাক হই মেশকাত শরীফে কীভাবে এ ধরনের দুর্বল হাদিস জায়গা করে নিয়েছিল। জাল হাদিসের ওপরে কোনো ভালো বইয়ের রেফারেন্স দিতে পারবেন। লিঙ্ক দিলে ভালো হয়। ধন্যবাদ।
৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯
মিনহাজুল আবেদিন বলেছেন: আপনি বাজারে গিয়ে একটু খোজ করলে ই পাবেন খুব সুন্দর একটি বই আছে এই বিষয়ে বইয়ের নাম
"হাদিসের নামে জালিয়াতি"
লেখক- ডক্টর খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮
মুমাইন বলেছেন: কিন্তু আমি ছোটবেলা থেকে একটি হাদিস শুনে আসছি যে, কেউ যদি রাসুল স. এর কবরের পাশে বসে দরুদ পড়ে তাহলে তিনি তা নিজে শুনতে পান। এবং কেউ যদি অন্য কোথা থেকে তা পাঠ করে তাহলে নাকি ফেরেশতাগণ তা তাঁর নিকট পৌঁছিয়ে দেন। একথা ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন ওয়াজ-মাহফিলে শুনে আসছি। এর সত্যাসত্য কীভাবে যাচাই করব?