পহেলা বৈশাখ...

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫০

শুভ নববর্ষ। পহেলা বৈশাখ বাংলা নব বর্ষ।এটা বাংলা ভাষাভাষীদের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। এই দিনটির জন্য সারাবছর বাঙালীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। নানা জল্পনা কল্পনা করে...।
খুব যখন কাছাকাছি চলে আসে দিনটি তখন বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী মজাদার খাবার নিয়ে গৃহীনিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আর ফ্যাশন সচেতন মানুষ সাধারণত তরুণ তরুণীরা ব্যাস্ত হয়ে পড়ে বিভিন্ন ফ্যাশনেবল পোশাক নিয়ে।
সাধারণত সাদা এবং লাল/মেরুণ কম্বিনেশনের শাড়ি, সেলোয়ার কামিজ, ফতুয়া , ধুতী , পাঙ্জাবী ইত্যাদি...।
তবে পোশাকে ব্যাপক বৈচিত্র এসেছে আজকাল। আজকাল শুধুমাত্র সাদা লালেই সীমাবদ্ধ নেই যোগ হয়েছে বিভিন্ন রুচিসম্মত সব রং। যেমন , সাদা, মেরুণ এর সাথে কমলা রং। আবার সাদা, লাল এর সাথে মেজেন্ডা, গোলাপী...আবার সাদা, কালো, লাল। আবার সাদার ভেতর উজ্জল সবুজ, হলুদ বা কমলা বা কখনও কখনও টিয়া রং।
রং এর যেমন বৈচিত্র এসেছে বৈশাখে তেমনি পোশাকের সাজ সজ্জায়ও এসেছে নতুনত্বের ছোঁয়া।
বিভিন্ন সুতি ও সিল্ক শাড়ি, সেলোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবী, ফতুয়া ইত্যাদি।
তবে ফ্যাশন সচেতন রুচিশীল মানুষ সবসময় উজ্জল, সাদামাটা পোশাক আবার কখনও বা জমকালো পোশাক প্রাধান্য দেয় তবে অবশ্যই তাতেও আছে বিশেষ রং ঢংয়ের কারুকাজ।
তার সাথে ম্যাচিং চুড়ি, কারো কাছে রেশমী চুড়ি, নূপুর।আর দিনের বেলায় খুব হালকা মেইক ওভার।
চুল খোলা অথবা সিম্পল খোঁপা সাথে বেলি ফুল গুঁজে দিতে পারেন। আবার সাথে উজ্জল হিজাব পড়তে পারেন।
হালকা সুগন্ধী.... ব্যাস!
সাথে স্নিগ্ধ হাসি, খোলামনে আদিখ্যেতাপূর্ণ আাচার ব্যবহার.. বন্ধুত্বপূর্ন আচরণ আপনাকে আরো জমকালো আলাদা করবে সবার থেকে। অযথা গোমরামুখে সৌন্দর্য অনেকটাই ম্লান করে দেয়।
তাছাড়া এটা সাম্য মৈত্রীর আদিখ্যেতার এক বিশেষ দিন বাঙালিদের জীবনে।
আর হ্যা সাথে মাঝে মাঝে রবীন্দ্রনাথের অসাধারণ গানটি গুন গুন করে গাইতে ভুলবেন না।
..." এসো হে বৈশাখ এসো এসো...."

_____ শুভকামনা_____

০ টি +০/-০