শেকড়

১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:২৯

মায়ের কাছে সন্তান শুধুই সন্তান
সে বহু প্রতিক্ষার ধন।
দিন রাত বুকে রেখে
তিল তিল করে বড় করেছেন কত মায়ায়।
মাঝরাতে যখন সবাই সুখের ঘুমে
মা তখন ঘুম ক্লান্ত চোখে
বারবার ছোট্ট সোনার
নোংড়া কাপড় দিতেন পাল্টে।
কতবার অসুস্থ মা
দুর্বল ঐ রাতে নিজে নোংড়ায় শুয়ে
সন্তানকে বুকে আগলে
উষ্ণ আদরে ঘুম বুলাতেন ছোট্টছোট্ট চোখে।
একটু হোচট খেলে একটু কাঁদলে উতলা হয়ে ছুটে আসতেন
--ওমা ওমা কি হয়েছে আমার মায়ের !
কত স্নেহ মায়ায় জড়িয়ে ব্যাথা যায়গায়
চুমু খেতেন।
কত যত্নে ভুল শুধরে দিতেন।
বকুনি দিয়ে আবার মায়ের বুকেই ঠাঁই দিতেন।
সেই নির্লিপ্ত মা বুক খালি করে
অন্যের ঘরে আলো জ্বালাতে
নিঃস্বার্থভাবে সন্তানটি দান করেন।
আঁচলে জড়ানো তার কোলের সেই ছোট্ট আদুরীকে !
না'জানি কতরাত সবার অগোচরে
আদুরীর ছোট্ট জামা বুকে জড়িয়ে
অবিরত কেঁদে মায়ার জলে নয়ন ভিজিয়েছেন--
না'জানি কতদিন সে মিথ্যা সান্তনা নিজেকে দিয়েছেন।
না'জানি কতবার মায়ের দুচোখ খুঁজেছে সন্তানের ছায়া
না'জানি কতবার ব্যাকুল পিপাসার্ত মন মুর্ছা যেত
ভুলে গিয়ে মধুর মা ডাকের নেশা !
না'জানি কত নির্ঘুম রাত
দু'হাত তুলে ভিক্ষা চাইতেন স্রষ্টার দরবারে --!
--অনেক সুখে রেখো আমার আদুরীকে !
কতদিন দেখিনি !
মরণের আগে দেখার নসিব করো
আমার নয়ন মণীকে ।
হায় !
যদি জানতে স্মামী রুপী পুরুষ তোমরা !
তবে কঠিণ নির্মম সংসার জীবনের মুখে ফেলে একলা
কখনও বলতে না--,
'এটাই জীবন ! একেই করো আপন !
ভুলে যাও অতীতের সব মায়া !
মেনে নাও বর্তমান
উপড়ে ফেলো পুরোনো যত শেকড় যত আদিখ্যেতা !'

০ টি +০/-০