![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী। ফিচার এডিটর- বাংলাপোস্ট, যুক্তরাজ্য।
নষ্ট হয়ে গেছি
বড় নষ্ট হয়ে গেছি, অন্তত আমার ধারণা সুকুমার দা আমাকে নষ্ট ছেলেই ভাবতেন।
একদিন সুকুমার দা'দের বড়ির পাশ দিয়ে যেতে যেতে
যখন বৌদির হাঁটু অব্দি কাপড় তোলা ধব ধবে পায়ের দিকে তাকিয়েছিলাম
ফেলনি জাল দিয়ে পুকুরে বৈচা আর কাচকি মাছ ধরতে ধরতে
সুকুমার দা খুব কষে বকে দেয়ার ভঙ্গিতে আমার দিকে কটমট করে তাকিয়েছিলেন।
অথচ জানেন সবিতা বৌদি আমাকে একা যেতে দেখলেই
মাঝে মাঝে বুকের উপর ল্যাপটে থাকা আঁচলখানা এমন ভাবে ফেলে দিতেন
যেন সেদিন বাতাসের বেগটা একটু বেশীই ছিল।
তারপর যখন বড় হয়ে একটু বুঝতে শিখেছি
আমার আর সুকুমার দা'র কথা মনে পড়ত না,
তবু আমি পুজো বা ঈদ অথবা গ্রীস্মকালীন বন্ধে যখন কলেজের হোস্টেল ছেঁড়ে বাড়ি যেতাম
কোন এক অচীন টানে সুকুমার দা'দের পুকুরের পাশের পথ দিয়ে হেঁটে যেতাম;
আমার কানে সুনসান দূপুরের নৈঃশব্দতা ভেদ করে
সবিতা বৌদির রান্নার দু' একটা টুং টাং শব্দ ছাড়া আর কিছুই ভেসে আসত না।
তারও অনেকদিন পরে আমাদের যখন পড়াশোনা শেষ
আমাদের মধ্যে কেউ কেউ ডাক্তার হয়েছে, কেউবা উকিল,
আবার কেউ কেউ এজলাসে বিচারকের চাকুরী নিয়ে চলে গেছে কোন দূরের শহরে।
আমাদের যে বন্ধু উত্তরের শহরে তল্পি তল্পা বিছিয়ে ডাক্তারী শুরু করেছিল
তাকে একদিন হঠাৎ চমকে দিয়েই বলেছিলাম, 'স্টেশনে থেক, আসছি'।
আমার সাথে মাধবীর পরিচয় সেখানেই,
তাকে অপ্রস্তুত করে একদিন বলেছিলাম 'তোমার কিতাবি নামটা বড্ড সেকেলে'।
মাধবী এক্টুও বিচলিত না হয়ে বলল 'আমাকে মাধবী নামেই ডেক'।
আমি মুহুর্তেই মাধবীর চোখে ফাগুণের আগুণ আকাশ দেখি,
মাধবীর বুক থেকে ওড়না খসে পড়ে।
আমার সবিতা বৌদির কথা মনে পড়ে যায়
অথচ দু'জনের মধ্যে কত মহাকাল ব্যবধান।
৪ঠা অক্টোবর ২০১৬
যুক্তরাজ্য।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯
মোহাম্মদ বাসার বলেছেন: হাহাহা! অনেক ধন্যবাদ। এটা তাহলে কবিতা হয়নি!
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:২৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
নষ্টনীড়!
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: সমরেশ মজুমদারের লেখার মত স্বাদ পেলাম। ভাললাগা জানবেন। শুভ কামনা।