![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পৃথিবীটা আমার মত করেই সাজাতে চাই ৷
আবহমানকাল থেকেই বাংলায় হেমন্ত ঋতুতে কৃষকের ঘরে নতুন ফসল উঠলে আয়োজন করা হত পিঠা উৎসব ৷এই ধারাবাহিকতা চলত শীতকাল পর্যন্ত ৷ এই পিঠা বাংলাদেশের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ ৷সারা বছরই নানা উৎসবে পিঠা-পুলি খাই আমরা ৷ পহেলা বৈশাখে নকশী পিঠা, গ্রীষ্মেকালে তালের পিঠা ৷
তবে শীতের সাথেই পিঠার সম্পর্ক নিবির। খেজুরের রস শীতের পিঠা খাওয়ার মজা আরো বাড়িয়ে দেয়। তবে নানা রকম বিদেশি খাবারের প্রাচুর্য্যের কারণে নতুন প্রজন্মের শহুরে নাগরিকরা অনেকেই অনেক পিঠা চেনে না বা এর আসল স্বাদ পায় না ৷
বাঙালী ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবছর আয়োজন করে থাকে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানাদি ৷খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ও এর ব্যতিক্রম নয় ৷ প্রতিবছরের ন্যয় এবার বেশ আড়ম্বরের সাথে পালিত হয় পিঠা উৎসব ১৪২৩ ৷ সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের তৈরিকৃত ৬৫ রকমের পিঠা প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয় ৷ উৎসবে উল্লেখযোগ্য পিঠার মধ্যে ছিলো ইলশেগুড়ি, ফুলঝুরি, পৌষালি, চিংড়িপুরি, পার্বতীপুরি, বৌ সোহাগী, শীতের শিশির, মধুবন, রসমাধুরী, ধোয়াসা, লবঙ্গলতিকা, স্বাদের হাড়ি, ময়ূরাক্ষি, পাটিসাপটা, চুটকি, লাভেরিয়া, ফুলস্তরি, কুসুমসুন্দরী, ডুকডুগি, চাঁদপুলি, জামাইজি, কাটুসকুটুস, পুডিং ইত্যাদি।
এবারের পিঠা উৎসবের আয়োজক ছিলো ১৫ ব্যাচ ৷ তারা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজটা সম্পন্ন করেছে যা প্রশংসার দাবিদার ৷ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি আয়োজনই খুলনাবাসীর মন কাড়ে ৷ এখানের পহেলা বৈশাখ, র্যাগ ডের অনুষ্ঠান দেখতে খুলনার সংস্কৃতিমনা মানুষগুলোর উপচে পড়া ভীড় সবসময় পরিলক্ষিত হয় ৷ এবারও তার ব্যতিক্রম ছিলেনা ৷ মুক্তমঞ্চের সাংস্কৃতিকসন্ধা দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিলো বেশ! রাজশাহীর আঞ্চলিক ভাষার দৃশ্টিনন্দন উপস্থাপনার সাথে প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের পূথীপাঠ মন কেড়েছিলো হাজার হাজার সাংস্কৃতিকমনা মানুষের ৷
শীতকাল মানেই যেন পিঠা । তাই শীতকালকে আজ থেকে পিঠাকাল বললেও কেউ বোধহয় ভুল হবে না! শীত এলে তাই গ্রাম থেকে শহর অব্দি শুরু হয়ে যায় পিঠা বানানো আর খাওয়ার ধুম। আমাদের দেশের পিঠাগুলো কেবল খেতেই মজা নয় বরং এগুলোর নামগুলোও অনেক মজার।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮
Mohibbullah Al Maruf বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ৷
সত্যি বলতে কি, ব্লগে আসার পিছনে ব্লগার নান্দনিক নন্দিনী এবং আপনার লিখনীর অবদানটাই বেশী ৷
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগে স্বাগতম।
পিঠা সুস্বাদু হয় মা, বউ ও আত্মীয় বাড়ীতে; বাকীগুলো হাউকাউ