কৃপণতা পরিহার করুন

০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২৩

সমাজের সকল মানুষ সমান নয়। সকল মানুষ শিক্ষিত নন। সবাই চাকরি করে নিজের পেট চালান না। আমাদের মধ্যে যারা একটু উপরের স্তরের লোকেরা আছেন তাদের জন্য আমার এই পোস্ট। আমরা সময়ে সময়ে সিএনজি, অটোরিকশা বা রিকশাতে আরোহন করি। নিয়ম হলো পূর্বে ভাড়া ঠিক করে নেওয়া। ইসলামের শিক্ষাও তা--ই বলে। কিন্তু আমরা অনেকেই জিজ্ঞেস করিনা যে, ভাড়া কতো। কিংবা জিজ্ঞেস করেও সঠিক ভাড়া দেই না। যা মারাত্মক অন্যায়। ইসলামি নিয়ম হলো আপনি যদি পূর্বে ভাড়া ঠিক না করেন তাহলে সে যা চাইবে তা-ই আপনি দিতে বাধ্য থাকবেন। কারণ আপনি তো আগে থেকে ভাড়া ঠিক করেননি। আর এটা তার হক। সে যা চাইবে তা দেওয়া বাধ্যতামুলক। কিন্তু আমরা কি করি? রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে এমনকি চড় থাপ্পর মেরে টাকা কম দিই।
একে তো আমি ভাড়া কম দিলাম আবার ভাড়ার টাকাও কম দিই। কত আর কমবেশ হতে পারে? এই তো পাঁচ দশ টাকা। পাঁচ দশ টাকা বেশি দিলে আমার কিইবা ক্ষতি হয়ে যাবে? চায়ের স্টলে বসে তো বন্ধু-বান্ধবকে নিয়ে কয়েকশো টাকা শেষ করে ফেলি। সিগারেট তো কম্বলসারি চলছেই। এর মাঝে দু’চার টাকা বেশি কি দেওয়া যায় না রিকশাওয়াকে? এতো কৃপণ কেন? বন্ধু-বান্ধবের সামনে কৃপণতা কোথায় চলে যায়।
এরকম করা উচিত নয়। যা চায় তাই দিয়ে দেবেন। বেশি হয়ে গেলে বলবেন যে, আগে তো ভাড়া ঠিক করতে মনে নেই বা করিনি, ভাই কিছু কম রাখেন। রিকশাওয়ালারা আপনার মতো এমন মনমানসিকতার নয় যে আপনাকে থাপ্পর মারবে বা ধমক দেবে। খুব সহজেই বলে দেবে যে, ভাই ভাড়া এইটাই, বা ঠিকাছে একটু কমই দেন।
আমাদের বোঝা উচিত।

১ টি +১/-০