![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ বুধবার। মসজিদে আজ দাওয়াতের আমল হয়েছে। প্রতি বুধবার মসজিদে তাবলিগি নেসাবমতে দাওয়াতের আমল হয়। আর বিকেলবেলা মক্তব চলছে শীত আসার পরে থেকে। তো আজও মক্তব চলল। মক্তবের পোলাপানের দুষ্টুমীর মাঝখান দিয়ে মসজিদে দীনি কথাবার্তা বলা ও শোনা উভয়টিই মুশকিল। তাই বুধবারে বিকেলের মক্তব শুক্রবারে হবে।
মাগরিবের নামাজের পর কিছু কথা বললাম। দাওয়াতের গুরুত্ব ও ফজিলত এবং দাওয়াতের কাজ না করার পরিণতি সম্পর্কে। বিশ মিনিট অবধি আলোচনা করলাম। আলোচনা করার কারণে অনেক জটলা ছুটে যায়। আগে জুমার বয়ান দিতেই হিমশিম খেতে হতো, আস্তে আস্তে আলহামদুলিল্লাহ। ছাত্রকালীন সময়ে প্রতি বৃহস্পতিবার বক্তৃতার আয়োজন ছিল। প্রথম প্রথম লুকিয়ে লুকিয়ে থাকতাম অংশগ্রহণ না করে। অতঃপর যখন উপরের ক্লাসে উঠলাম তখন সময় হয় না আমাদের। প্রতিযোগিতার মত চলছিল। তখন যদি বক্তৃতা ঠিকমত দিতাম তাহলে আল্লাহ চাহে তো ওয়াজের ময়দানে তরক্কি করতে পারতাম। যাহোক আল্লাহ তাআলা সব কাজ সবার দ্বারা করান না। দাওরা শেষ হওয়ার পর কিতাব বিভাগে কয়েক মাস ক্লাস করিয়েছি। মাদরাসা ভাল না। জায়গা পরিবর্তন করলাম, তখন ভাল কোনো খেদমত হচ্ছে না। হিফজখানায় হয় শুধু। উস্তাদদেরকে বললেও তারা কেবল হিফজখানার ব্যবস্থা করে দেন। আর হিফজখানায় চাকরি আমার দ্বারা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সাহস করে এক জায়গায় গেলাম। সবকিছু ঠিক আছে। যে কারো চাকরি এমন স্থানে হয় না্। জায়গা পছন্দ হয়েছে। কিন্তু আমার মন টেকে না। একদিন থেকে পরের দিন চলে আসতে উদ্যত হলাম। আমার ব্যাপারে আমার উস্তাদদের কাছ থেকে জেনে নিয়েছিল। উস্তাদরা চোখ বন্ধ করে আমাকে রেখে দেওয়ার কথা বলেছিল। চলে আসার সময় তারা কোনো ভাবেই ছাড়বে না। কি আর করা। একজন লোক বের করে দিয়ে আমি ছুটে এসেছিলাম। তারপর থেকে আজো পর্যন্ত কোনো ভালো খেদমত জুটেনি। অগত্যা ইমামতি নিলাম। পাশাপাশি লেখালেখি অনুবাদ চলছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যা করছেন ভাল কাজ করছেন।