নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সখের লেখালেখি

মুহিব্বুল্লাহ

একত্ববাদী

মুহিব্বুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহ তাআলার জন্য কোনো জিনিস পরিত্যাগ করলে, আল্লাহ তাআলা এর বদলা আরো ভাল কিছু দিয়ে দেন:

২০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৪৬


নবি হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম আল্লাহ তাআলার মহব্বতের নিদর্শন স্বরূপ নিজের ঘোড়াগুলো জবাই করে দিলেন তখন আল্লাহ তাআলা তাঁর এই জযবার বদৌলতে বাতাসকে তাঁর অনুগত ও বশীভূত করে দেন। আর বাতাস সুলাইমান আলাইহিস সালামের ইচ্ছা ও বাসনা মোতাবেক প্রবাহিত হতো।

মহান আল্লাহ এরশাদ করেন:
﴿وَوَهَبْنَا لِدَاوُودَ سُلَيْمَانَ ۚ نِعْمَ الْعَبْدُ ۖ إِنَّهُ أَوَّابٌ إِذْ عُرِضَ عَلَيْهِ بِالْعَشِيِّ الصَّافِنَاتُ الْجِيَادُ فَقَالَ إِنِّي أَحْبَبْتُ حُبَّ الْخَيْرِ عَن ذِكْرِ رَبِّي حَتَّىٰ تَوَارَتْ بِالْحِجَابِ رُدُّوهَا عَلَيَّ ۖ فَطَفِقَ مَسْحًا بِالسُّوقِ وَالْأَعْنَاقِ﴾
আমি দাউদকে সোলায়মান দান করেছি। সে একজন উত্তম বান্দা। সে ছিল প্রত্যাবর্তনশীল। যখন তার সামনে অপরাহ্নে উৎকৃষ্ট অশ্বরাজি পেশ করা হল, তখন সে বললঃ আমি তো আমার পরওয়ারদেগারের স্মরণে বিস্মৃত হয়ে সম্পদের মহব্বতে মুগ্ধ হয়ে পড়েছি-এমনকি সূর্য ডুবে গেছে। এগুলোকে আমার কাছে ফিরিয়ে আন। অতঃপর সে তাদের পা ও গলদেশ ছেদন করতে শুরু করল। (সূরা সোয়াদ: ২৯-৩৩)

এখানে আল্লাহ রব্বুল আলামিন এরশাদ করছেন যে, তিনি দাউদ আলাইহিস সালামকে সুলাইমান নামের এক প্রিয় পুত্র সন্তান দান করেছেন। তারপর তিনি সুলাইমান আঃ এর প্রশংসা করে বলেন যে, সে তার প্রকৃত মাওলার দিকে খুব বেশি প্রত্যাবর্তনশীল হবে, খুব বেশি মহব্বতকারী হবে। তারপর ঘোড়ার ব্যাপারে তাঁর যে কাজ ও কুরবানি ছিল তার বর্ণনা দেন আল্লাহ তাআলা। তারপর আল্লাহর সাথে তাআল্লুকের বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেন যে, সুলাইমান আঃ রব্বুল আলামিনের রেজা ও সন্তুষ্টি কল্পে উত্তম যুদ্ধের ঘোড়াগুলো জবাই করে ফেলেন।

ঘটনাটি কিছু এই রকম: ঘোড়া জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি বস্তু। এই কারণে ঘোড়া সুলাইমান আঃ-এর কাছে খুব প্রিয় একটি জন্তু। তাঁর নিকট ভালো ভালো, দ্রুতগামী, ত্যাজস্বী, শক্তিশালী পেশি সম্পন্ন ও পরওয়ালা ঘোড়া ছিল। যার সংখ্যা বিশ হাজার ছিল। একবার তিনি ঘোড়ার দেখাশোনা করা, সুবিন্যস্ত করা ইত্যাদিতে লেগে গিয়েছিলেন। খুব ব্যস্ততার দরুণ কখন যে আসরের ওয়াক্ত চলে গিয়েছে সে ব্যাপারে তাঁর কোনো খেয়াল ছিল না এবং অজ্ঞতার কারণে নামাজ ফওত হয়ে যায়। যখন বুঝতে পারেন যে, এই সকল ঘোড়ার কারণে আমার নামাজ ফওত হয়ে গেছে, তখন খুবই হয়ে মর্মাহত হয়ে পড়েন। ব্যথিত হৃদয়ে বলতে শুরু করেন: সুলাইমান! রব্ব তাআলার ইবাদত থেকে কোনো জিনিস বিমুখ করতে পারে না। তারপর সুলাইমান আঃ ঘোড়াগুলো একত্রিত করলেন, এবং গর্দান ও পা গুলি কেঁটে দিলেন। যে জিনিস সুলাইমান আঃ-কে রবের ইবাদত থেকে উদাসীন রাখে সুলাইমান আঃ-এর সে জিনিসের ব্যাপারে এই ফায়সালা।

যখন আল্লাহ তাআলা দেখলেন, আমার বান্দা সুলাইমান আমারই সন্তুষ্টিকে সম্মুখে রেখে এবং আমার ইবাদতের মাঝে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি হওয়ার জন্য উত্তম উত্তম ঘোড়াগুলোকে জবাই করে দিল; যা তার নামাজ বিলম্বিত হওয়ার কারণ হয়েছিল, তখন আল্লাহ তাআলা সুলাইমান আঃ-এর জযবাকে মর্যাদা দেওয়ার জন্য এগুলির বদৌলতে আরো উত্তম জিনিস দান করলেন। বাতাসকে তার বশীভূত করে দিলেন। যাতে করে তিনি খুবই সহজে যেখানে তিনি যেতে চাইতেন সেখানে যেতে পারতেন। সুতরাং বাতাস ঘোড়া থেকে উত্তম ও অধিক দ্রুতগামী।

সুলাইমান আঃ যখন রবের সন্তুষ্টির জন্য নিজের পছন্দনীয় জিনিস ঘোড়া কুরবান করে দিলেন তখন আল্লাহ তাআলা এর বদৌলতে এর চেয়ে উত্তম জিনিস ও অধিক দ্রুতগামী ‘বাতাস’ কে তার অনুগামী বানিয়ে দিলেন।
রাসুলে কারিম সাঃ এরশাদ করেন:
তুমি আল্লাহকে ভয় করে কোনো জিনিস পরিত্যাগ করে দিলে আল্লাহ তাআলা এর বদৌলতে তোমাকে এরচেয়ে উত্তম জিনিস দান করবেন। (মুসনাদ আহমাদ: ৫/৭৮, সুনানুল কুবরা-বায়হাকি: ৫/৩৩৫)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.