![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলামী বার্তা। লেখালেখির জগতে যার বদৌলতে আমি পদচারণ করছি। আজ দু’চার শব্দ লিখতে পারছি আমি এই ইবার কারণেই। হ্যাঁ পাঠক বন্ধুরা এটা একেবারেই সত্য কথা। কাফিয়ার বছর আমি এই ইবার খোঁজ পাই। ছোট ছোট লেখাগুলো খুবই মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। পুরাতন সংখ্যাগুলোও আনিয়ে পড়েছিলাম এক ভাইয়ের কাছ থেকে। ইবা পড়ার আগে ভাবতাম, সাহিত্য আর লেখালেখি মনে হয় শুধু বড়দের জন্য। যারা অনেক চিন্তক, দীন-ইমান ও দেশ-দশ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে তারাই তো কেবল লেখতে পারে। বাকি ছোটরা কী আর লেখতে পারে। মাদরাসায় দেয়ালিকা প্রকাশ হত। বড় বড় ভাইয়েরা লিখত দেয়ালিকায়। কিন্তু বেশিরভাগই দেখতাম কোনো বই থেকে কাটছাট করে লেখা দিচ্ছে। আর সেগুলোই দেয়ালিকায় ছাপছে। আমার এগুলো ভাল লাগতো না। তাই আমি লেখতামও না। কিন্তু ইসলামী বার্তা হাতে আসার পর আমার হাত একটু বেশি নাড়াচাড়া করতে লাগল। খাতার পাতায় নিজের মনের কথাগুলো লিখতে শুরু করলাম। লিখতে থাকলাম। একদিন সামান্য একটা লেখা দেখলাম খাতার পাতায়; যা আমিই কোনো সময় লিখে রেখেছিলাম। সেই লেখা থেকে একটা গল্প তৈরি করার ইচ্ছা করলাম। চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকলাম। দু’দিনের মাথায় সফল হলাম। তারপর পাঠিয়ে দিলাম ইবা সম্পাদক ‘এমদাদুল হক তাসনীম’ ভাই বরাবর। তিনি সেই গল্পটি ইবার পাতায় ছাপালেন। আমার প্রথম লেখা গল্প। ছোট্ট সুরাইয়া। আপনারা যারা নিয়মিত ইবা পড়েছেন, তারা হয়ত গল্পটি পড়ে থাকবেন। এরপর থেকে লেখালেখিতে আমার নতুন জগত উন্মোচিত হলো। তারপর আরো কয়েকটা লেখা দিয়েছিলাম ইবা পত্রিকায়। এবং পাশাপাশি মাদরাসার দেয়ালিকাতেও আমার লেখা নিয়মিত প্রকাশ হতে লাগল। একপর্যায়ে দেয়ালিকা সম্পাদক বানিয়ে দেওয়া হল আমাকে।
দাওরা ফারেগ হওয়ার পর অনুবাদের কাজে হাত দিলাম। আজ আমার অনূদিত একাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। তো পাঠকবৃন্দ! আপনারাও এই ইবার হাত ধরে হতে পারবেন বড় কোনো লেখক, কিংবা খ্যাতিমান কোনো সাহিত্যিক। নিয়মিত ইসলামী বার্তা
পড়ুন। লেখা পাঠান। এভাবেই আপনি হয়ে উঠবেন পুরোদস্তুর একজন লেখক। ইনশাআল্লাহ।
©somewhere in net ltd.