নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সখের লেখালেখি

মুহিব্বুল্লাহ

একত্ববাদী

মুহিব্বুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাওলানা মামুনুল হক ও অন্যান্য প্রসংগ

২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫৬

মাওলানা মামুনুল হক ও আমাদের আলেমসমাজ। বর্তমান সময়ের নব-প্রজন্মের আইডল ছিলেন মামুনুল হক। ছাত্র-শিক্ষক, আলেম ও সাধারণ জনতার প্রায় সবাই তাঁকে গ্রহণ করে নিয়েছিল। শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর সন্তান হওয়ার কারণে বড়দের কাছে তিনি আরো সমাদৃত হয়ে উঠেছিলেন। তাকে নিয়ে চলছে খেলা। এই খেলা আর কতদিন চলবে তারও কোনো ইয়ত্তা নেই।
তিনি জাগতিক উপায়ে তথা গণতান্ত্রিক নিয়মে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা চিন্তা করেন। যেটা তার রাজনৈতিক প্লাটফরম ইসলামী খেলাফত মজলিস এর রাজনীতি থেকেই বোঝা যায়। ইলমের ময়দানে অনেক বড় হাস্তি তিনি একথা অনস্বীকার্য। তবে ইলমের ময়দান আর ওয়াজের ময়দান ছাড়াও আরো ময়দান আছে। হযরতকে নারী ঘটিত মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। যেভাবে তাঁকে ফাঁসানো মিথ্যার মাধ্যমে সেরূপ কাজও যদি বড় কোনো মন্ত্রী মিনিস্টার করত তবুও সরকারের কিছু আসতো যেত না।
তিনি মূর্তিবিরোধী কর্মকান্ডে মূল ব্যক্তি। যা দেশের সরকারের দৃষ্টিতে অপরাধ। এই অপরাধের শাস্তি সরকার তাকে কোনো কোনোভাবেই দিবেনই। ২০১৩ সালেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু তখন তাঁর সাথে অনেক লোক ছিল। ছিল টাকা পয়সা। সরকার তাকে মূল কোনোকিছু মনে করেনি। তাই তেমন কোনো গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু আজ যখন সে একজন মূল অনুসৃত ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছে, মানুষেরা যখন তার কথা শুনতে শুরু করেছে, তখনই তার মধ্যে কালিমা লেপন করা হয়েছে। এর নাম হল পূঁজিবাদি তথা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা।
শাইখুল হাদিসের আমলে শাইখুল হাদিস সাহেবকেও সরকার গ্রেফতার করেছিল, কিন্তু ভক্ত অনুরক্ত এবং উলামা তলাবাদের জন্য রাখতে পারেননি। ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ওয়াজের ময়দানে তো মামুনুল হকেরও ভক্তের কমতি ছিল না। কই তারা কী পারল তাদের নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে?
বড় কষ্ট হয়, যখন মানুষেরা সুসময়ে সঙ্গ দিয়ে দুঃসময়ে সরে যায়। তাকে যখন ধরা হল, মনে করেছিলাম তাকেও হয়ত জেল ভেঙে হলেও বের করা হবে। কিন্ত না, আজ জাতি তার নাম পর্যন্ত ভুলে গেছে। হকের কথা কিছুটা হলেও মামুনুল হক সাহেবের মত লোকের মুখ থেকে বেরোচ্ছে। কিন্তু সামান্য হক কথা বলার কারণেই এতকিছু, ইসলামের বাকি বিধানগুলোর কি হবে? আসলে আমরা বাঙালিরা আবেগপ্রবণ জাতি। আর মুনাফিকিতের এক নম্বর। আমি কখনো ওয়াজ হোক বা ইলমি কোনো ক্ষেত্রেই মামুনুল হক সাহেবকে আইডল হিসেবে মানিনি। সেটা আমার একান্ত ব্যাপার। কিন্তু তাঁকে জেলে নেবার যারপরনাই মর্মাহত হয়েছি। নামাজান্তে তার মুক্তির জন্য দুআ করেছি।
আসলে জালেমের সাথে আঁতাত করে কোনোভাবে চলা যায় না। জালেম তাকে ফাঁদে ফেলে তার প্রতি অন্যায় অত্যাচার করবেই। তাই, জুলুমবাজির দিন পরিবর্তনের জন্য নতুন করে ডাকতে হবে, দিন বদলের দিন আনতে হলে আবারো জাগ্রত হতে হবে। জাতি আজ ঘুমিয়ে পড়েছে। ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
(আদালতে নেওয়ার সময় মামুনুল হক)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.