অভ্যাস কেমনে বদলে

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৫০

দিন দিন লেখালেখি থেকে কেন জানি মন উঠে যাচ্ছে। যেই আমার অভ্যাস ছিল যদি দিনে কিছুটা না লিখতে পারি তাহলে মাথা খারাপ হয়ে যেত, সেই আমি এখন দু তিন পর্যন্ত না লিখে কাটিয়ে দিচ্ছি।

লেখালেখির প্রতি এমন অবহেলা একসময় সম্পূর্ণভাবে লেখালেখি ও সাহিত্যচর্চা থেকে আমাকে বিদায় করতে পারে। আল্লাহ পাক এমন না করুন।

দিনে লিখতে পারি না মাদরাসায় ক্লাস করি বলে। রাতে আবার মুতালায় করতে হয়। ঠিক সময়ে না ঘুমালে তার প্রভাব পরের দিন পড়ে।

আর দিনদিন ব্যস্ততা কেবল বেড়েই যাচ্ছে। এদিকে বাড়িতে মাদরাসার ব্যবস্থা করে যাচ্ছি। তখন আল্লাহই জানেন কী হবে…? লেখালেখির ক্ষেত্রে আমাকে সহযোগিতা করবে এমনও কেউ নেই এখন। সবাই যার যার ব্যস্ততা।

আসলে চিন্তামুক্ত ও ঝামেলামুক্ত মানুষেরাই এ কাজ করতে পারে বাকিরা ছিটকে পড়ে।

আমার এক পরিচিত ভাই আছেন যিনি ছাত্রজীবনে বহু লেখালেখি করেছেন। অতঃপর যখন কর্মজীবন শুরু করেছেন তখন সেই যোগ্যতা ও দক্ষতাকে প্রায় ভুলেই গেছেন। আরেকজন ভাই আছেন যিনি ব্যবসায় মন দিয়ে লেখালেখি এখন বাদ।

অনেক মানুষ এই সাহিত্যের সঠিল মূল্যায়ন না পেয়ে হতাশ হয়ে এ পথ ছেড়ে দেয়। মাদরাসা পড়ুয়াদের মধ্যে এই ব্যাপারটি বিশেষভাবে পাওয়া যায়। কারণ মাদরাসা শিক্ষিতরা মাদরাসায় চাকরী করার পাশাপাশি হয়ত সে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান না অথবা সুযোগ পেলেও এর দাম পান না। কোনো বই কষ্ট করে লিখার পর বা অনুবাদ করার পর তার ন্যায্য পাওনা পান না কিম্বা প্রয়োজনের সময় পান না।

আমার পরিচিত এমন বহু আছে যারা বই লেখার পর প্রকাশকদের বাটপারি ও অবহেলার কারণে এই অঙ্গন থেকে সরে গেছেন। আমার উস্তাদও আছেন একজন, যিনি প্রকাশকের বাটপারীর শিকার হয়ে আর লিখেনই না। আল্লাহ পাক সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন।

০ টি +০/-০