নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সখের লেখালেখি

মুহিব্বুল্লাহ

একত্ববাদী

মুহিব্বুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মার্টফোন

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২



মাগরিবের নামাজ পড়তে গেলাম মসজিদে। তাড়াহুড়ো করে গেলাম। পাছে জামাত না ছুটে যায়। জামাত দাঁড়িয়ে গেছে। কেরাত পড়া শুরু হয়ে গেছে। মসজিদের বারান্দায় পা রেখে একটু দূরে চেয়ে দেখলাম দু‘টো মেয়ে ঐদিকের বাড়ি থেকে বের হয়ে আসছে। হয়তো এই বাড়িতে গিয়েছিলো এখন চলে আসলো। কিন্তু... তাদের হাতে থাকা স্মার্টফোন আমাকে চিন্তায় ফেলে দিলো। যাহোক আমি মনোযোগ ঘুরিয়ে তাড়াতাড়ি জামাতে শরিক হলাম।

কিন্তু নামাজেও সেদিকে মনোযোগ গেলো। শয়তান সেদিকে নিয়ে আমার নামাজের মনোযোগ নষ্ট করতে পারে এটাই স্বাভাবিক। তাই কষ্ট করে মনোযোগ ঠিক রেখে নামাজ শেষ করলাম। নামাজান্তে বাড়ি ফেরার সময় চিন্তা করলাম, ওরা একেবারেই অল্প বয়সী। এই হয়তো ফাইভ সিক্সে পড়ে। এখনই তাদের হাতে স্মার্টফোন। এখন চিন্তা করে দেখলাম এ বয়সী অনেকের হাতেই স্মার্টফোন উঠে গেছে। ফাইভ সিক্স না হলেও নাইন টেনে পড়ুয়া বহু ছেলেমেয়ের হাতে এখন এই অ্যান্ড্রয়েড ফোন বা স্মার্টফোন। যা তাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে, চারিত্রিক ক্ষেত্রে সব ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর।

এ সময়টাতে ছেলেমেয়েরা একটু অন্যদিকে ঝুকতে চায়। নিজেকে রিপ্রেজেন্ট করে মানুষকে দেখাতে চায়। একটু ভাব দেখাতে চায়। আমাদের সময়টাও এমন ছিলো। কিন্তু... আমাদের মা বাবারা এতোটা অসচেতন ছিলেন না।
এখনকার ছেলেমেয়েরা যেখানে স্মার্টফোন নিয়ে প্রেম পিরিতির আলাপে ব্যস্ত সেসময়ে আমরা কেবলই এফএম রেডিওতে গান শুনি কিংবা ওয়াকমেনে ক্যাসেট বাজাই। তাও সেটা ভয়ে ভয়ে, পড়ালেখা করে তারপর। আর এখন এরা গান শুনছে, টিকটক করছে, প্রেম করছে, ভিডিও দেখে আরো কতকিছু??? ক্লাস ফাইভে পড়া মেয়েটিও এখন প্রেম বুঝে... কীভাবে প্রপ্রোস করতে হয় তা জানে। শুধু তাই নয় ছেলেদের কাছ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারিতে ফুল পাবার আশায় থাকে।

আমি চিন্তা করে দেখলাম, এলাকার বহু ছেলেপেলে চিপায় চাপায় বসে গেম খেলে। এবং এই গেমের জন্য স্কুল কামাই করে। সারাদিন এবং প্রায় অর্ধরাত পর্যন্ত ঘরের পাশে কিংবা উঠোনে বসে থেকে গেম খেলে। কেউবা টিকটক লাইকিতে ভিডিও শ্যুট করে। বিভিন্নভাবে নিজেকে রিপ্রেজেন্ট করে। এগুলো অবশ্যই পড়ালেখার জন্য ক্ষতিকর। এর প্রভাবে শরীরচর্চা খেলাধুলা কিছুই হয় না। আমরা ছোটোবেলা বিভিন্ন খেলা করতাম। গোল্লাছুট, মেয়েদের ভৌ দৌঁড়, দারিয়াবান্দা, ফুটবল, ক্রিকেটসহ নানানরকম খেলা। এখনকার ছেলে মেয়ে কেউই ওসব খেলার কথা তেমন বলতে পারবে না। এমনকি শরীরচর্চার জন্য এখন কেউ খেলে না বললেই চলে। মা বাবারাও এখন খেলায় উত্সাহিত করেন না। তারা একটু বড় হলেই হাতে স্মার্টফোন তুলে দেন। তারা তুলে দিক আর না দিক বাচ্চারা স্মার্টফোন নিবেই। এমন জিদ করে বসে থাকে। কারণ ছোটোবেলা থেকেই স্মার্টফোন দেখে এসেছে, বাবার হাতে মায়ের হাতে।

এই অবস্থা থেকে যদি না ফেরানো যায় আমাদের শিশুদের মনন মস্তিষ্ক নষ্ট হয়ে যাবে। ব্রেইন ডেভলপ হবে না। সে ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতেও পারবে না। খুব দ্রুতই এর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। শুধু মা বাবারা পারবে না এ সমস্যার সমাধান করতে। জাতীয় পর্যায়ে সরকারের পক্ষ থেকে কদম বাড়াতে হবে। আমাদের দেশকে বাঁচাতে হলে, জাতিকে বাঁচাতে হলে এই সমস্যার সমাধান করা খুবই জরুরি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.