![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনে চাচ্ছিল দেশীয় ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে কিছু লিখি। কিন্তু আমার সীমিত জ্ঞানের আলোকে বলাটা ঠিক হবে কীনা জানি না। সবচেয়ে বড় কথা হলো এদের এক দল আরেক দলের বিপরীতমূখী অবস্থানে আছে। সবচেয়ে বড় দল হল জামাতে ইসলামী। এদের বিরুদ্ধে দেশোদ্রোহীতার অভিযোগ। এবং তাদের সাপোর্টার ও কর্মীরা আলিয়া মাদরারাসা থেকে আসে এবং এরা অনেক মর্ডানিজমের দিকে আকৃষ্ট। ইসলাম তাদের মূখ্য বিষয় কিনা জানি না। তবে লেবাস পোশাকে এরা সবচেয়ে বেশি আধুনিক। সাংগঠনিক কর্মকান্ড অন্যান্য দলের চেয়ে ভিন্ন এবং মজবুত। কর্মী সংগ্রহ, দাওয়াতি কার্যক্রম সবই অন্যদের চেয়ে আলাদা। কিন্তু এরা কওমি মাদরাসা ও কওমি পন্থি আলেমদের দেখতে পারে না। মাওলানা মওদুদি সাহেবের চিন্তাধারার উপর প্রতিষ্ঠিত দলটি। তাছাড়া এরা ইসলাম প্রতিষ্ঠার একমাত্র মাধ্যম মনে করে গণতন্ত্রকে। ক্ষমতায় যেতে পারলে তবেই ইসলাম কায়েম হতে পারবে। সুতরাং আগে ক্ষমতা দখল করতে হবে। ৭১ সালে জামাতে ইসলামী পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল বলে তাদেরকে দেশবিরোধী আখ্যা দেওয়া হয়। যদিও সেসময় পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া বহু ব্যক্তি ও সংগঠন আজ সম্মানের আসনে বসে আছে। আরেকটি দলের নাম হলো ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ। এই দলটির নেত্রীত্বে রয়েছেন চরমোনাই দরবারের পির সাহেবরা। মূলত দলটি চরমোনাইর সাথে খাস করে ফেলা হয়েছে। যদিও বলা হয় যারা এ দলের সাপোর্টার বা কর্মী হতে চায় তাদের মুরিদ হওয়া আবশ্যক না। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। সবাই চরমোনাই দরবারের সাথে জড়িত। এরাও অন্য দলগুলোকে দেখতে পারে না। হিংসুক মনোভাব তাদের মধ্যে বিদ্যমান। চরমোনাই মুরিদেরাই এই দলের প্রধান কর্মী ও সাপোর্টার। সেজন্য জামাতে ইসলামির পরেই এদের অবস্থান লক্ষ্য করা যায়। এর পরবর্তীতে আমি কোনো জরিপ করতে পারছি না। একটি দলের নাম খেলাফত আন্দোলন। এই দলটি হাফেজ্জি হুজুর (রহ.) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শুরুতে এ দলের সাথে বহু আলেম যুক্ত ছিলেন। হাফেজ্জি হুজুর নির্বাচনও করেছিলেন। কিন্তু... ক্ষমতায় যেতে পারেন নি। তারপর আস্তে আস্তে দল থেকে মানুষ সরে আসতে শুরু করে। তৈরি হয় আরে অনেক দল। আরেক দলের নাম হলো জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। দলটি অনেক প্রাচীন। সেই হোসাইন আহমদ মাদানির জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। তারপর পাকিস্তান ভাগের সময় একাংশ চলে যায় পাকিস্তানে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নামে। সেখান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ অংশের জমিয়ত সমর্থকরা এ নামে জড়ো হয়। এবং দলটিতে অনেক বড় বড় উলামায়ে কেরাম রয়েছেন। নুর হুসাইন কাসেমী রহ. এ দলের ছিলেন। আরেকটি দলের নাম খেলাফত মজলিস। খেলাফত মজলিসও একাধিক রয়েছে। ইসলামী খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এগুলোর নেতৃত্বেও রয়েছেন একেকজন। আরেক দলের নাম হচ্ছে ইসলামি ঐক্যজোট। যেটি প্রতিষ্ঠা করেছেন মুফতি আমিনী রহ.। দলটি মুটিয়ে গেছে।
যাহোক এই দলগুলো যদি একত্রে থাকত। এক দল হয়ে যেতো তাহলে বলা যেতো যে, বিশাল ইসলামি দল। কিন্তু... কি হাল এসব দলের?? কত সময় কত দল থেকে যে দাওয়াত আসে?? কোনে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারি না। এদের নিয়ে। আল্লাহ পাক এফতেরাক থেকে উম্মতকে বাঁচান।
©somewhere in net ltd.