নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সখের লেখালেখি

মুহিব্বুল্লাহ

একত্ববাদী

মুহিব্বুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাইয়িদুনা হযরত আদম আলাইহিস সালামের অশ্রু:

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪


আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ইবলিসকে জান্নাত থেকে বের করে দিলেন। আর সাইয়িদুনা আদম আলাইহিস সালাম এবং তাঁর বিবি হাওয়ার জন্য জান্নাতের সমস্ত নি’আমত ও ফল-ফলাদিকে হালাল করে দিলেন। একটিমাত্র গাছ থেকে খেতে নিষেধ করেন, আর সতর্ক করে দেন যে, যদি তোমরা এই গাছের নিকটে যাও তাহলে তোমরা নিজেদের উপর জুলুমকারী হয়ে যাবে। অভিশপ্ত শয়তান যখন তাদেরকে এই খোশ হালতে দেখল তখন তার মনে হিংসার আগুন দাউদাউ করে জ্বলে উঠল। সে তাদের জন্য ফন্দি আঁটতে লাগল এবং ষড়যন্ত্র করতে লাগল; যাতে করে তাঁরা যেই নি’আমতরাজী উপভোগ করছে এবং যেই সুন্দর সুন্দর পোশাক পরিধান করছে তা যেন তাদের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
তাই সে আল্লাহ তাআলার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে আদম ও হাওয়াকে বলল, তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে এই গাছ থেকে খেতে নিষেধ করার কারণ হল, যদি তোমরা এই গাছ থেকে ভক্ষণ কর তাহলে তোমরা ফেরেশতা হয়ে যাবে। তারপর খানাপিনার কোনো প্রয়োজনই পড়বে না তোমাদের। আর তোমরা লাভ করবে অনন্ত জীবন এবং থাকতে পারবে জান্নাতের বাড়িতে সব সময়ের জন্য। আর ইবলিস শয়তান তার কথার সততার ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস দেওয়ার জন্য বারী তাআলার সত্ত্বার কসম খেয়ে বলল, আমি তোমাদের দু’জনের অত্যন্ত কল্যাণকামী, সে কারণেই এই গোপন কথা তোমাদেরকে বলে দিলাম। হাফিজ ইবনু কাছির রহিমাহুল্লাহ লিখেন:
‘ইবলিস কসম খেয়ে সাইয়িদুনা আদম ও সাইয়িদা হাওয়াকে ধোঁকা দেয়। আর একথা সত্য যে, মুমিন বান্দা ততক্ষণ পর্যন্ত ধোঁকা খায় না যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো অপবিত্র নাপাক ব্যক্তি আল্লাহকে মধ্যখানে না রাখে। অতএব সালাফদের বক্তব্য হল, মুমিন বান্দা আল্লাহর নামের পর নিজের হাতিয়ার ফেলে দেয়।’
শয়তান তাদেরকে অবাধ্যতা ও নাফরমানীতে লিপ্ত হতে হিম্মত জুগিয়েছে। সুতরাং যখনই তারা শয়তানের ধোঁকায় পতিত হয়ে সেই নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল খেয়ে ফেলে তখনই নাফরমানীর পরিণাম তাদের সম্মুখে উন্মোচিত হয়। পোশাক তাদের শরির থেকে আলাদা হয়ে গেল। তারা নিজেদের লজ্জাস্থান প্রত্যক্ষ করতে লাগল, তখন জান্নাতের এক বৃক্ষের পাতা নিয়ে নিজেদের শরির ঢাকতে লাগল। তখন আল্লাহ তাআলা তাদেরকে বললেন: আমি কী তোমাদেরকে এই গাছ থেকে ভক্ষণ করতে নিষেধ করিনি? আর বলিনি যে, শয়তান তোমাদের দুজনের প্রকাশ্য দুশমন? তখন তারা নিজেদের গুনাহর স্বীকারোক্তি দিল এবং নিজেদের কৃতকর্মের উপর অনুতপ্তের অশ্রু প্রবাহিত করল। অতএব এরশাদ হচ্ছে:
‘যখন আদম আলাইহিস সালামকে জান্নাত থেকে নীচে অবতরণ করালেন তখন তিনি অনুতপ্তের এই পরিমাণ অশ্রু ঝরালেন যে, এখন দুনিয়াবাসী এবং সাইয়িদুনা দাঊদ আলাইহিস সালামের কান্নার অশ্রুও তার সামনে নিতান্তই কম।’
অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাঁদেরকে শিখিয়ে দিলেন যে, নিজের অপরাধ ক্ষমা পাওয়ার জন্য এই দু’আ কর:
﴿رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ﴾
হে আমাদের পালনকর্তা আমরা নিজেদের প্রতি জুলম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তবে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব। (সুরা আ’রাফ: ২৩)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.