![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ
১৯৭২ সাল দেশ বিধ্বস্ত, কর্মকর্তাদের বেতন দেয়া যাবে কিনা অনিশ্চিত। এ অবস্থায় ড. ইউনুস আমেরিকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরী ছেড়ে দেশে ফিরলেন। তিনি চট্গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে যোগ দিলেন। তখন তার পারিবারিক অবস্থাও যথেষ্ট ভাল ছিল বলেই, পারিবারিক গাড়িতে করেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারতেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালযের পাশের একটি গ্রাম থেকে মহিলাদের মহাজনের হাত থেকে উদ্ধার করলেন নিজের পকেটের ৭/৮শ টাকা দিয়ে। এ ধরনের কাজটা তখন আর কে কে করেছে? তার কাছে আরো মানুষ আসলে, তিনি ব্যাংক থেকে নিজে জিম্মাদার হয়ে দরিদ্রদের ঋণের ব্যবস্থা করে দেন। এটা আজ পর্যন্ত আর কে করেছে? আমার এক আত্মীয় তাদের মেধাবী মেয়েকে গ্রামীণ ব্যাংকের শিক্ষা ঋণ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে পড়িয়েছে। সে এখন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা। এই ঋণের বহুদিন সুদ দিতে হয় না, চাকরী পেলে সামান্য সুদে পরিশোধ করতে হয়। এ কাজটিও আর কে করছে?
ইউনুস সাহেব নোবেল পেয়ে কি অপরাধ করেছেন? এই ব্লগেও বেশিরভাগই মনে হয় তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর নামে নরওয়ে টিভি একটি মিথ্যাচার করলো, আমরা প্রতিবাদ না করে, সেই মিথ্যাকেই সত্য ধরে, কত নাচলাম; মিছিল করলাম। যারা এসব করলেন তারা কি একটুও লজ্জা পাচ্ছেন না। তাঁর বিরুদ্ধে এই সব আক্রমণ হচ্ছে কারণ এই কি?
- তিনি কোন দল করেন না
- তিনি মুসলিম পরিবারে জন্মেছেন
- সারা পৃথিবীতে তিনি সম্মানিত হয়ে পড়েছেন
এবং তিনি নোবেল পেয়েছেন।
গ্রামীণ ব্যাংকের ইউনুছ সাহেব নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর একই ধরনের মন্তব্য মিথ্যা প্রমানীত হল।
কেন দেশে ড. ইউনূসকে এভাবে অপদস্ত করা হল? এর উত্তর পাই না। আমার কয়েকজন প্রবাসী বন্ধু বলেছে, মাইক্রোক্রেডিটের জনক এবং সামাজিক ব্যবসার প্রবর্তক হিসাবে বিশ্বব্যাপী ইউনূস সাহেবের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। তাঁকে বিশ্বব্যাপী মানুষ শ্রদ্ধা করে। মানুষ পুঁজিবাদের একটি ভাল দিক খুঁজে পাচ্ছে সামাজিক ব্যবসার ধারণা থেকে। সেখানে কয়েকজন রাজনীতিবীদ, কালেরকণ্ঠ-বাংলাদেশ প্রতিদিন এবং আমাদের সময় কেন ইউনূসের বিরুদ্ধে এভাবে মিথ্যাচার করলো ভেবে পাইনা। কদিন আগে একটি পোস্টে কয়েকটি অনুমান দিয়েছিলাম, মাইনাচ বেশি খাওয়াতে প্রত্যাহার করে নিয়েছি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, তিনি সুদখোর। তাহলে ব্যাংকগুলোর বিপক্ষে বলছেন না কেন? সুদের হার বেশি বলছেন। হার মাত্র ২০%; শিক্ষা ঋণ ৫% সরল (সম্ভবত গ্রেস প্রিয়ড আছে), ভিক্ষুক ঋণ ০%। ব্যাংক গুলো কত % দেয়? এখানে সুদ, ঘুষ, স্ট্যাম্প, দলিল, যাতায়াত ধরতে হবে। ২০% এর বেশি দাঁড়াল দেখে হতাশ হচ্ছেন। দেখুন ব্যাংক আসলে এসব দরিদ্রদের ঋণই দেয় না। তারা মজে থাকে পুঁজিপতিদের পেছনে। কয়েকটি বেসরকারী ব্যাংক ফুটো হয়ে গেছে। একটি ব্যাংক তিন বছর গ্রাহকদের টাকা ও লাভ দিতে পারেনি। ওরা কিভাবে শেয়ারবাজারে টাকা লাগাচ্ছে সরাসরি বিও একাউন্টে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে পত্রিকায় এসেছে। ব্যাংকের অনেক অপকর্মের কথায় পত্রিকায় আসে না। ভিতরে খোঁজ নিয়ে জানুন। যাই হোক যে অবস্থায় ৭২ (সালটি কাছাকাছি অন্য বছরও হতে পারে) সালে অনিশ্চিত বেতন ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে ইউনূস দেশে ফিরেছেন আমেরিকার প্রফেসরি ছেড়ে, তা আর কজন করেছেন। ড. জাফর ইকবাল আরেক উদাহরণ। সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক প্রফেসর উন্নত বিশ্বে পালিয়ে এখন ট্যাক্সি চালক হয়েছেন। আমার এক বন্ধুও অষ্ট্রেলিয়ার ট্যাক্সি চালায়, ঢাবি থেকে ম্যানেজম্যান্টে মাস্টার্স, এমবিএ, কম্পিউটার ডিপ্লোমা করে। কেন? এদেশের ভবিষ্যত নাই ভেবেইতো। আজ দেশে দারিদ্রতা অনেক কমেছে, এখানে ইউনূস সাহেবের অনেক ভূমিকা রয়েছে। কয়েকটি পত্রিকা ও রাজনীতিবীদদের না হয় উদ্যেশ্য আছে। পুঁজিপতিরা ভাবতে পারে দারিদ্র দূর হলে, ২ হাজারে গার্মেন্টস কর্মী পাব না। বাড়িতে কাজের লোক পাব না। কিন্তু আমি তাদের মতো ইউনূসের বিরুদ্ধে বলব কেন? একজন লোবেল জয়ীকে এভাবে তার নিজ দেশ অপদস্ত করবে ভাবতে পারি না। আমি বিশ্বাস করি সামাজিক ব্যবসার প্রবর্তক হিসাবে তাঁর অর্থনীতিতেও নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যে লোক পৃথিবীতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন, আমরা তাকে অপদস্ত করতে পারি না।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৩
মুজিব রহমান বলেছেন: অনেকেই ভাবছেন, আমি নোবেল পেলাম না আর কোথাকার ইউনুছ পেয়ে গেলেন। শুধু এসব তুচ্ছ বিষয়ে একজন নোবেল প্রাপ্ত ব্যক্তিকে, যিনি প্রথম বাংলাদেশি বাঙালি; অসম্মান করছি। কেন তাকে অসম্মান করা হচ্ছে, এর একটি গবেষণা দরকার। আর দেশ নাকি আগায় নাই; দেশের এ অবস্থা, দারিদ্রতার হ্রাস কি করে হল? এ কি রাজনীতিবীদদের লুটপাটের অবদান নাকি ইউনুসদের অবদান। একজন মাল্টিপারপাসের মালিক ইউনুসের নিন্দা করলে তাকে বললাম, আপনি ৮০% সুদ নিচ্ছেন ইউনুস ২০% নিচ্ছে। ব্যাংক এসব দরিদ্রদের ঋণ দেয় না। এসব দরিদ্র মহিলাদের গ্রামীণ ব্যাংক সাহসী করে তুলেছে। অনেকে উপার্জন করছে, কেউ কেউতো ব্যর্থ হবেই, অথচ এটাই সামনে আসছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:২৩
কবি ও কবিতা বলেছেন: তিনি কোন দল করেন না
- তিনি মুসলিম পরিবারে জন্মেছেন
- সারা পৃথিবীতে তিনি সম্মানিত হয়ে পড়েছেন
এবং তিনি নোবেল পেয়েছেন।
+++++++++++++++
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৬
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। বলুন কেন ওরা তাকে এভাবে অপমান করতে চায়। তাঁর বিরুদ্ধে মিছিল করছে ছাত্রলীগ। অবস্য ছাত্রলীগ অনেক কিছুই করছে। তাঁদের কাছে ভাল কিছু আশা করি না। কেন দেশ এতোটা এগিয়েছে, এখানে গ্রামীণ ব্যাংকের অবদান অনেক। আমি এনজিও নিয়ে গবেষণা করেছি, তাদের অনেক কার্যক্রম কাছ থেকে দেখেছি। দেশের নারীদের ঘরের বাহিরে এনে কর্মক্ষম করতে তাদের অবদান অনেক। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৬
ইশতিয়াক আহমেদ বলেছেন: +++++++++++++++
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৮
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমি বেশ কিছুদিন যাবৎই মন খারাপ অবস্থায় ছিলাম বিষয়টি নিয়ে। তার জীবনি যেদি ফ্রাঙ্কফুট বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল, পড়ে বিমোহিত হয়েছি। তার প্রতি এবং গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রমের প্রতি একটি শ্রদ্ধা রয়েছে, কিন্তু দুই প্রধানমন্ত্রী যখন বললেন, তখন আমিই দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েছিলাম। নরওয়ের ব্যাখ্যা এবং বক্তব্য এখন দ্বিধামুক্ত। অনেকের উচিত তার সম্পর্কে বাজে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার।
৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৬
এক চিলতে আলো বলেছেন: এইটা যোগ করলেন না??--
নোবেল পাওয়ার সাথে সাথে রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা করেছিলেন
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৯
মুজিব রহমান বলেছেন: সেটা ছিল তার সাময়িক ভুল সিদ্ধান্ত। এভাবে রাজনৈতিক দল করা উচিত নয়। এর সাথে নোবেল পাওয়া ও তাকে অসম্মানিত করার সম্পর্ক থাকা উচিত নয়।
৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৭
তুমি আর আমি বলেছেন: আমাদের প্রধানমন্ত্রীর এখন উচিত জনসমক্ষে মাফ চাওয়া। উনার আগের দেয়া বক্তব্য ফিরায় নেয়া উচিত।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪০
মুজিব রহমান বলেছেন: আমাদের প্রধানমন্ত্রীরা ঈশ্বরের চেয়েও ক্ষমতাধর। তারা ক্ষমা চান শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, গিয়ে চান না।
৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৭
আজমান আন্দালিব বলেছেন: আমাদের দুর্ভাগ্য...জাতির দুর্ভাগ্য...আমরা গুণীজনকে অপমান করে তাড়িয়ে দেই...অন্য দেশ আমাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে উন্নতি করে।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪৩
মুজিব রহমান বলেছেন: এটা আমাদের দুর্ভাগ্যই আমরা আমাদের কৃতি সন্তানদের বিতাড়িত করতে তুলনাহীন। এখনো একজন মেধাবী, সত ও ভালমানুষের বসবাসের উপযোগি হয়ে উঠল না আমার প্রিয় স্বদেশ। অন্যদেশে যারা সম্মানিত হয়েছেন তারা এদেশে থাকলে আজও অসম্মানিত হতে থাকতেন। জগদীশ বাংলাদেশে থাকলে মারা পড়তেন, কলকাতায় থাকায় নোবেল পাননি। ফজলুর রহমান এদেশে থাকলে কি হত?
৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৫১
এক চিলতে আলো বলেছেন: দেখেন,আমি সোজা কথার লোক।ইউনুস নোবেল পাওয়ায় আমি,যতটা খুশি হয়েছিলাম,বিরক্ত হয়েছিলাম,সে কেন পায়েছে,তা জেনে।মহাজনীর বিরুদ্ধে অনেক গল্প পড়েছি।
আমি ব্যক্তিগতভাবেও অনেককে চিনি,যারা ক্ষুদ্রঋণের মাইনকা চিপায় নিঃস্ব হয়েছে।
ইউনুস মানুষকে ঘর বানাতে যে ঋণ দেয়,তা শোধ করতে গিয়ে ঘর,জমি দুটোই হারাতে দেখেছি অনেককেই।
দেশের মানুষের বাঁশ দিয়ে,বিদেশিদের কাছে সম্মান খয়রাত করার কোন আগ্রহ আমার নেই;আপনাদের মত মহাজনী মানসিকতার লোকদের থাকলে থাকুক।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৫৮
মুজিব রহমান বলেছেন: যে ক্ষুদ্র ঋণের মাইনকা চিপায় পড়েছে তার আগের অবস্থাটা কি ছিল। একজন দরিদ্র মানুষ এবং এবং ঋণগ্রস্থ মানুষের মধ্যে পার্থক্য থাকে। যে টাকা ব্যয় করেছে তার সম্ভাবনা থাকে আয় করার। এই নিঃশ্ব লোকদের কাছে কোন সরকার যায়নি, কোন ভদ্রলোক যায়নি গিয়েছেন ইউনুছ। ব্যাংকও ব্যবসা করে, মহাজন এবং ব্যাংক এক নয়। এখনো শহরে-গ্রামে মাল্টিপারপাসের নামে ৮০% তে মানুষ ঋণ নিচ্ছে। এদের মোট ব্যবসা অনেক বৃহৎ ব্যাংকের চেয়ে বেশি। এদের নিয়ে কথা বলেন না, স্বর্ণ ব্যবসায়ী যারা ৩৬-৬০% হারে ঋণ দিচ্ছে তাদের নিয়ে বলেন না। ইউনুস ২০% নিচ্ছেন তাতেই তাকে সুদখোর, মহাজনী ব্যবসায়ী ইত্যাদি বলছেন। মানুসিকতা আর বোঝের কথা এক নয়। ব্যাংক পৃথিবীব্যাপী কাজ করছে, আপনি কি ব্যাংকমুক্ত মানুষ।
৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:০৭
এক চিলতে আলো বলেছেন: আমি ব্যাঙ্ক মুক্ত না,তবে ইউনুসের ব্যাঙ্কের সাথে,আমার ব্যাঙ্কের পার্থক্য হইল,আমি যে ব্যাঙ্কের ক্লায়েন্ট,তারা ড্রাকুলার মতো নিঃশব্দে গরিবের রক্ত চোষে না।বাংলাদেশে গরিবদের জন্য কৃষি-ব্যাংক রয়েছে।কই,কোন দিন তো শুনিনি,কৃষি ব্যাংক কারো ঘরের চালা খুলে নিয়ে গেছে,বা কোন বৃদ্ধকে গাছের সাথে বেধে রেখছে!!
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২১
মুজিব রহমান বলেছেন: কৃষিব্যাংক একেবারে হ্যাভনটদের ঋণ দেয় না। কৃষিব্যাংকের সুদের হার কত পড়ে? আপনি গ্রামের একটি শাখায় কৃষি ঋণ নিতে যান। ধরুন সুদ ১০%, ঘুষ ৫-১০%, দালাল ৩-৫%, স্ট্যাম্প+বন্ধক+ যাতায়াত+ কাগজপত্র ইত্যাদি ৩% মোট ২১-২৮%। এখানে গ্রামীণ ব্যাংক ২০% হারে ঋণ দিচ্ছে, তাহলে ড্রাকুলা কে? বেসরকারী ব্যাংকগুলো কতটাকা সার্ভিসচার্জ, মেইনটেন্যান্স চার্জ, সমাপনি চার্জ, মাসিক চার্জ, ডাক চার্জ, কার্ড চার্জ নিচ্ছে হিসাব আছে। অনেকের সমস্যা গ্রামের হতদরিদ্ররা ঋণ পেয়ে স্বাবলম্বি হলে বাড়িতে কাজের মানুষ পাওয়া যাবে না। আসলে এ মানসিকতাও দূর করতে হবে।
৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৬
মুনযুর-ই-মুর্শিদ বলেছেন: ছোট তবে তেজী লেখা ।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:১৩
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:০০
মুহিব বলেছেন: গ্রামীন ব্যাংক একটি প্রতিষ্ঠান যারা ঋন দেয়। যিনি ঋন নেন তিনি নিশ্চয়ই শোধ করার উপায় আছে জেনেই নেন। গৃহঋন থেকে তো আর আয় হয় না। তাই নেয়ার আগেই চিন্তা করা উচিৎ। এর জন্য তো আর ড. ইউনূস দায়ী নন। এমন অনেক অর্থনীতিবিদ আছেন যারা থিউরি দিয়েই শেষ। কিন্তু তিনি হাতে কলমে কাজ করে প্রমান করে দেখিয়েছেন।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:১৪
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। তিনিই সম্ভবত ক্ষুদ্রঋণের প্রথম বাস্তবায়নকারী।
১১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:১৯
ইশতিয়াক আহমেদ বলেছেন: অনেক ব্যাংক আছে যারা গ্রামীন ব্যাংকের চেয়ে বেশী সুদ নেয়...কিন্তু তারা নিম্নবিত্ত মানুষদের ঋণ দেয় না...
পুরা দেশের অর্থনীতি চলে সুদের উপর...
কিন্তু কিছু মানুষ ডঃ ইউনুস কে সুদখোর বলছে...
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪৪
মুজিব রহমান বলেছেন: বহু প্রতিষ্ঠান ৮০ শতাংশ হারে ঋণ নিচ্ছে, তারাও গ্রামীণ ব্যাংকের সমালোচনা করে!!!
১২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভাই, ক্ষুদ্র ঋণ বুঝতে হলে বছর খানেক ব্রাক কিংবা গ্রামীন ব্যাংকে চাকরি করে আসুন। তখন বুঝবেন ক্ষুদ্র ঋণ কাকে বলে। শুনতেই ভাল লাগে যে গরীব মানুষ স্বনির্ভর হচ্ছে। আসলে গরীব মানুষ এনজিও দের হাতের গিনিপিগ মাত্র। তবে কিছু বেকার মানুষ চাকরি পাচ্ছে এটা সত্য। আর যারা এখানে চাকরি করে তারাও অনেক ধরনের হতাশায় থাকে।
তবে ক্ষুদ্র ঋণের সংস্কার করলে আমি আছি এর সাথে। কেউ ঋণ নিলে তাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় দিতে হবে। যেমন ধরুন, আপনি মুরগী কেনার জন্য ১০০ টাকা ঋণ নিলেন। এখন এনজিও-র উচিত এমন একটা সময় দেয়া যাতে আপনার মুরগী টা অন্তত ডিম পারার মতো বড় হবার সুযোগ পায়। নইলে ঋণের কিস্তির টাকা তো মূল টাকা থেকেই দিতে হয়। এটাই তো ক্ষুদ্র ঋণের বর্তমান বাস্তবতা।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪৭
মুজিব রহমান বলেছেন: আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করছি না। কিন্তু এসব গরীব, ভূমিহীন, অসহায় মানুষকে ঋণ দিবে কে?
সরকার দিবে না
ব্যাংক দিবে না
মহাজন দিবে না
গ্রামীণ ব্যাংক ও অন্যান্য এনজিওর মধ্যে সুদের হারের পার্থক্য রয়েছে। এনজিও গুলো নারীদের বর্হিমুখি করে তুলেছে।
১৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৮
হাম্বা বলেছেন: গ্রামীন ব্যাংকের কর্যক্রমকে পুরোপুরি সমর্থন না করলেও আপনার লেখাটা সমর্থন করলাম
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৩৩
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। আমিও সব কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করি না। ওদের সুদের হার ২০% থেকে কমানো দরকার। ইউনুছ সাহেব আমাদের একমাত্র নোবেল লরিয়েন্ট। তাকে অপমান করি কি করে।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:২২
মুহিব বলেছেন: ড. ইউনূসকে নিয়ে আমরা গর্ব না করলেও তাকে অপমান করে নিজেদের ছোট করে লাভ কি? প্রধানমন্ত্রী যা বললেন ড. উইনূস সাথে সাথে তা গ্রহন করলেন। এর আগে তিনি নাকি এত দ্রুত কোন কিছুর উত্তর দিতেন না। এখন কি প্রধানমন্ত্রী কিছু বলবেন? ড. উউনূস যদি লবিং করেও নোবেল পান সে তো আমাদেরই পাওয়া। নোবেল পুরষ্কার সবসময়ই সেরা জন পান তা হয় না তবে যিনি পান তিনি অবশ্যই পাওয়ার যোগ্য। নিজেদের উপর ঘৃনা জন্মে যাচ্ছে। আজকেই দেখলাম ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সাথে ড. ইউনূসের ছবি। অন্য দেশের প্রেসিডেন্ট যেখানে তাকে সম্মান করছে সেখানে আমরা কি নির্লজ্জ মিথ্যাচার করলাম।