নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কথা দিয়েই কথার জবাব দিন

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০২


কথার বিরুদ্ধে অনেকেই চাপাতি দিয়ে জবাব দিতে পছন্দ করেন। সাকিব আল হাসানের পূজা উদ্বোধন/পরিদর্শন একেবারেই তার ব্যক্তিগত বিষয়। হিন্দুত্ববাদী প্রতিক্রিয়াশীলরাও বলতে পারতো, কেন একজন মুসলিম ক্রিকেটার দিয়ে উদ্বোধন করানো হল? তারাও আপত্তি করতে পারতো! একজন সেলিব্রেটির ধর্ম গুরুত্বপূর্ণ থাকে না, থাকে ফেসভ্যালু। যে ধর্মান্ধ ধর্মীয় অজুহাতে তাকে কুপাতে চেয়েছে সে আবার মাদকাসক্ত বলে পত্রিকার রিপোর্টে দেখলাম। নিজের মাদকাসক্তিতে আপত্তি নেই অথচ একজন সেলিব্রেটি কি উদ্বোধন করলো তা নিয়ে আপত্তি। এটাই প্রতিক্রিয়াশীলতা।

বাক স্বাধীনতা থাকা উচিৎ সীমাহীন। বাজে ও মিথ্যা কথা যারা বলবে তারা সমাজেই মিথ্যাবাদী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে পরিত্যাজ্য হবে। একসময়ই কেউই চাইবে না নিজের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে। আমাদের সংবিধানে বাক স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে আবার আইন করেই অনেক স্বাধীনতা বন্ধ করে দেয়া আছে। অনুভূতির আঘাতের অজুহাত বাক স্বাধীনতা হরণ ছাড়া কিছুই না।

আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার দেয়ার জন্য আমার এক কট্টর মৌলবাদী আত্মীয় একটি ফেসবুক ফেক আইডি খুলেছিলেন। তিনি কদিন অনবরত মিথ্যা প্রচার দিতে থাকলেন আমার সম্পর্কে। বিষয়টি আমার নজরে আসলে আমি তার পরিবারকে অবহিত করি। তার পরিবার তাকে কুলাঙ্গার আখ্যা দেয়। সে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য ভয়াবহভাবে অনবরত মিথ্যাচার করেছিল। কিন্তু আমার বন্ধু-স্বজন, এলাকার মানুষ আমাকে জানে, চিনে। আমার কোন ক্ষতি হয়েছে বলে মনে হয়নি। এছাড়া স্থানীয় কতিপয় দুষ্কৃতিকারী-প্রতারক অনবরত আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা পোস্ট দেয়। অধিকাংশই আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড নন এবং আমার নজরেও আসে না। তাদের অনবরত মিথ্যা প্রচারণায় আমার কোন ক্ষতি হয়নি। ওদের অনেকেই প্রতারক/মিথ্যাবাদী ও প্রতিক্রিয়াশীল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আমি ওদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করিনি, খুব কমই জবাব দিয়েছি। জানতাম মিথ্যাবাদীরা সমাজে ধিকৃত হয়, হয়েছেও তাই।

কোন লেখকের লেখাকে তুলোধুনো করলে কি হয়? তার লেখার প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়ে। মানুষ পড়ে দেখতে চায়- কি কারণে এতো বিরোধীতা। কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার হলেও তা সহজেই মানুষ বুঝে ফেলে। প্রতিবাদ হতে থাকে। এতে যখন সত্যটা বেরিয়ে আসে তখন ওই ব্যক্তি সম্পর্কেও সমাজ আরো শ্রদ্ধাশীল হয়ে উঠে। তিনি পরীক্ষিত হন। কোন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনাও কাজে আসে না। মিডিয়া/প্রশাসন কোন না কোন ভাবে প্রকাশ করে যে অভিযোগ ভিত্তিহীন। তখন ওই রাজনৈতিক দলটি উল্টো লাভবান হয়, তাদরে প্রতি সহানুভূতি ও জনপ্রিয়তা বাড়ে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচন নিয়ে অনবরত মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। এতে তার সমর্থন দিনকে দিন কমতে থাকবে। তার দলও ক্ষতিগ্রস্থ হবে কিন্তু নির্বাচন ব্যবস্থাকে তিনি মিথ্যা বলে বিতর্কিত করতে পারেননি, পারবেনও না। সক্রেটিস, ব্রুনো, গ্যালিলিওর বিরুদ্ধে কত শত শত মিথ্যাচার করা হয়েছে। সক্রেটিসকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে, ব্রুনোকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, গ্যালিলিওকেও অসম্মান করে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছে। তাতে মৌলবাদী-মূর্খদের আখেরে রক্ষা হয়নি। মিথ্যাবাদী প্রতারকরাই শেষ পর্যন্ত ঘৃণিত হয়েছেন। ইউরোপের অন্ধকার যুগে মৌলবাদী খৃস্টানরা অতি বাড়াবাড়ি করেছিল ধর্ম নিয়ে। বহু মানুষকে তারা কতল করেছিল। সেই অতিরিক্ত চাপেই আজ আধুনিক-বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের বর্বরতাকে। যেকোন ধর্মের জন্যই এটা সত্য। যদি মানুষের উপর ধর্ম প্রয়োগ করে অনাচার করা হয় তার পরিণতি ভাল হয় না। আজ না হলেও কাল মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে- বর্বরতাকে, মিথ্যাচারকে, প্রতারণাকে। এতে ধর্মের বিপুল ক্ষতিই হয়। যদি কথার জবাব কথা দিয়েই দেয়া যায় এবং সত্যটা প্রতিষ্ঠা করা যায় তবেই টিকে থাকা যাবে, লাভবান হওয়া যাবে। একটা মিথ্যা বললে, সত্য তথ্য দিয়েই তার জবাব দিতে হবে। চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে সাকিবকে মেরে ফেললেও কোন লাভ হবে না, তাতে মানুষের ঘৃণাই জুটবে। সাকিবের কন্যাকে নিয়েও কদিন আগে একটি বাজে মন্তব্য হয়েছিল। মানুষই ওই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে প্রতিক্রিয়াশীলদের থামিয়ে দিয়েছিল। যদি সত্য থাকে, অন্তসার থাকে তবে ভয় কিসের?

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বাংলাদেশের তাবত মিষ্টির কারিগর ও মিষ্টির দোকান এখনও হিন্দুদের। হিন্দুদের তৈরি খাবার পণ্য বয়কট করুন। জাগো মুসলিম জাগো। - আসলেই কি সম্ভব হিন্দুদের মিষ্টি বয়কট করা। দিন দিন মুসলিম ওম্মাহ এমন হচ্ছেন কেনো? ঘাড়ের উপর চোখ নাক মুখ দেখা যায় - আসেলই কি এটি মাথা নাকি অন্য কিছু! মাথা হলেতো নূন্যতম জ্ঞান থাকার কথা!

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৭

মুজিব রহমান বলেছেন: জ্ঞান ও মানবিকতা অনুশীলন থেকে তারা ক্রমেই আরো দূরে সরে যাচ্ছে। মানহীন শিক্ষা ও হিংস্রতার অনুশীলন, বলাৎকার, জিহাদ, জঙ্গীপনা তাদের পেছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ধার্মিকদের দিক থেকে ধার্মিকরা ঠিক আছে,আবার শাকিবের দিক থেকে শাকিব ঠিক।এর একটা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এমন চলতেই থাকবে।
আজকে শাকিব,কালকে নকিব,পরশু রকিব এমনি চলবে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৩

মুজিব রহমান বলেছেন: না, কথা বলতে পারলে মানুষ সত্যটা উপলব্ধি করবে, মানবিক হবে।

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঠাকুরমাহমুদ - মিষ্টি কেন?
একটু অসুখ হলেও তো ভারতে দৌর দেয়

৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




হাসান কালবৈশাখী - হিন্দু ভাইদেরও প্রচুর তেল চর্বি, তারা ইচ্ছা করে কুকর্মটি করেছে। তারা ভারতের ভিরাট কোহলিকে নিয়ে আসতে পারতো, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে আসতে পারতো। সাকিব মিয়াকে নিয়ে টানাটানি করে এখন ধর্ম যায় যায় দরবার লাগিয়ে মজা নিচ্ছে।

সাকিবের অবস্থা এখন কেমন? সাকিবকে দুই প্যাকেট ওর স্যালাইন দেওয়া হোক।

৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৮

লর্ড ভ্যারিস বলেছেন: কিছু ওলি আউলিয়া পর্যায়ের মানুষের সমস্যা একটাই! সাকিবের বউ হিজাব পরেনা ক্যান!!! =p~
হিজাব পরলে বুঝি সাকিব্বাইকে এসব সহ্য করা লাগতোনা! =p~

৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: অতি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হাউকাউ করার কোনো মানে দেখি না। ওরা কারা, ফালতু বিষয় নিয়ে সাকিবের পেছনে লেগেছে?

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৭

মুজিব রহমান বলেছেন: ওরা খাঁটি প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদী

৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৫

এমেরিকা বলেছেন: এই লোকের ক্ষমতা আছে সাকিবের লেজের কাছাকাছি পৌঁছায়? এরে এত হাইলাইট করা হচ্ছে কেন? তাতে কি সাকিবের ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ছে?

হিন্দুদের বানানো মিষ্টি কি সমস্যা করল? আমাদের রাসূল (স) তো কাফিরদের দাওয়াতে গিয়ে তাদের জবেহ করা পশুর মাংসও খেয়েছেন।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৯

মুজিব রহমান বলেছেন: একটি লোক সাকিবকে কোপানোর হুমকি দিবে। ভয়ে সাকিব ক্ষমাও চেয়ে নিবে। আর এসব নিয়ে কথা বলবে না। দেশে উগ্রপন্থীদের হাতে খুন হওয়া মানুষেতো কম নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.