বিয়ে নিয়ে গল্প

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

আমার লেখাটি পদ্য আকারে লিখেছি। ভুলএুটি হলে ক্ষমাপ্রার্থী

রাতুল হক দামী লোক আই.বি.এ.'র ছাত্র
আজকের বাজারে খুবই সুপাত্র
সুট বুটে ঢেকেছেন তিনি তার গাত্র
সব মিলে বলা যায় তাকে রাজপুত্র।

পেশাটা মন্দ নয় অপারেশন ম্যানেজার
মাল্টিন্যাশনালে পেয়েছেন পদ তার
বিসিএস এ ফরেনে সামান্য ঝুকছেন
সময় পেলেই তাই বইখানা খুলছেন।

বাবার আছে নাকি এলাহি কারবার
এক মাসেই ছুটে যান বিদেশে চারবার
উত্তরায় বাড়ি আছে, গুলশানে আছে ফ্লাট
ভাই বোন সব নাকি তারই মতো স্মার্ট।

মন্ত্রী আমলারা অনেকেই চেনা তার
এই নিয়ে কথাটা বলেছেন পাঁচ বার
কবিতাটা ভাল লাগে , সুরে ভেসে যায় প্রান
বিদেশী গানের কথায় বাড়ালেন তার মান
বাংলা গোলমেলে, নেই কোন সুর তাল
অযথাই রবীবাবু লিখেছেন সব গান।

এই সব বলা শেষে চশমাটা মুছলেন
ব্যান্ডটা অনেক দামি, ভাব দেখে বুঝলেম।
স্বপ্নাদি বোকা নন, সাধারন ছাত্রী
চুপচাপ বসে আছেন হয়ে সুপাত্রি
ফর্শা গায়ের রং, আধুনিক নিয়ে সাজ
ঠোঁটের কোনে তিনি একেছেন যেন লাজ।

ভাসাবির মসলিনে ঢেকেছেন অঙ্গ
আমি পাশে বসে আছি দিতে তার সঙ্গ।
পাত্র যথা রীতি একটু কেশে,
বলছেন তার কথা মুচকি হেসে
এবারে প্রশ্ন উত্তরের পালা
খুশি হলে পরবেন তিনি বরমালা
প্রথমেই সুধালেন জীবনের মানে!

উত্তর ভেবে বলুন যা আছে প্রানে
স্বপ্নাদি নড়েচড়ে বসলেন এবার
জীবনের মানে তিনি খুঁজলেন ক'বার
অবশেষে পেয়ে যান মগজের কোনে
বার কয়েক অওড়ালেন তিনি তার মনে।

দু কথায় আঁকলেন জীবনের ম্যাপ
কথায় ছিল না তার কোন গ্যাপ
বললেন life isn't about finding myself!
দুঃখী মানুষের আমি করতে চাই হেল্প।

পাত্র ও বুঝলেন জীবনের মানে
সব শেষে সম্মতি দিলেন ও কনে
কনের বাবা মা ছাড়লেন হাফ
শত হলেও কন্যা দায়গ্রস্থ বাপ।

পাত্রের মেঝ খালা দেখলেন মাপ
হীরের আংটির খুলে লাল ঝাপ
অবশেষে শেষ হল হীরের বদল
হয়ত হয়েছিল মনেরও কদর।

পাত্রীর বাবাও পয়সার লোক
উচু তালায় তাই তার বেশি ঝোঁক
সামনের মাসেই নাকি পাঁচ তারা হোটেলে
হাজার লোকের দাওয়াত করবেন টোটালে
অনেক খাবার, আর বাজিয়ে সানাই
পাত্র কে বানাবেন মেয়ে জামাই।

হাজার লোকের নামের দেখে সেই লিস্টি
স্বপ্নাদি হাসলেন একটু মিষ্টি
খাপ ছাড়া বুলালেন তিনি তার দৃষ্টি
হাহুতাসে বললেন করে অনাসৃষ্টি
চাচা, মামা, খালারা তো কেউ নেই এতে
তার কি আসবেন এম্নিই মেতে?

বাবার উত্তরে উঠলেন কেঁপে
কথার ওজন খানি দেখলেন মেপে।
এরা যদি আসে তবে কমে যাবে দাম
চাচারা গরীব মানুষ গায়ে খেটে খান
দাদা ও আছেন ভালই, যদি তিনি চান
বৃদ্ধা আশ্রমের ছাড়বেনা টান।

এরা যদি আসে তবে থাকবে কি মান?
আমি যেন একটু মরলাম লাজে
আমার নাম খানা দেখে তার মাঝে
লিস্টিতে যতগুলো আমলার নাম
দুর্নীতি দমনের হত ভাল কাম।

নিজের নাম খানা কালো দাগে কেটে
নিজেকে সুধালাম নিজেই ঝেটে
না হয় দিলাম একটা নামই ছেঁটে।

সবশেষে বললাম স্বপ্নাদি আসি
আমি বাপু চাইনা হতে কোলা ব্যাঙের মাসী
ভালো থেকো সুখে থেক বিয়ে হলেও বাসী।

২ টি +১/-০