নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে বোঝার আগেই মনের মধ্যে একটা চেতনা তাড়া করে ফিরতো। এই ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থাকে বদলাতে হবে, একটা বিপ্লব দরকার। কিন্তু কিভাবে?বিপ্লবের হাতিয়ার কি? অনেক ভেবেছি। একদিন মনের মধ্যে উঁকি দিয়ে উঠলো একটি শব্দ, বিপ্লবের হাতিয়ার \'কলম\'।

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল)

পৃথিবীতে ঘুরতে আসা কিছু দিনের পর্যটক

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোটা সংস্কার আন্দোলন, বাস্তবায়ন এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:০১


রাষ্ট্রকে একটি ট্রেনের সঙ্গে তুলনা করলে, সেই ট্রেনের চালক হচ্ছে রাজনীতিবিদরা, যন্ত্রাংশ ও ইঞ্জিন হচ্ছে দেশের আমলারা এবং সমস্ত বগীতে বসা যাত্রীরা হচ্ছেন দেশের জনগণ।বগীতে বসা যাত্রীদের ঝুঁকিমুক্ত নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিতে হলে প্রয়োজন দক্ষ ও কর্তব্যপরায়ণ চালক এবং উন্নত যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি ইঞ্জিন। এর বিপরীত হলে বগিতে বসে থাকা শতশত যাত্রীর জীবন হবে নিশ্চিত ঝুঁকির সম্মুখীন ।আমাদের রাষ্ট্র নামক রেলগাড়ির চালকগন কেমন দক্ষ ও কর্তব্যপরায়ণ তা আমরা সুবিধাভোগী চতুর জ্ঞানী ব্যক্তিরা ব্যতীত একজন সৎ নিরপেক্ষ নিরক্ষর ব্যক্তিরও জানা।এমন চালকের গাড়ির ইঞ্জিনও যদি তৈরি করা হয় জিঞ্জিরার যন্ত্রাংশ দিয়ে তাহলো এমন গাড়ির পরিণতি অনুধাবন করে আমাদের যাত্রীদেরই নিজেদের জানমাল রক্ষার্থে সচেতন হওয়া অত্যাবশ্যক।

সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী আন্দোলন একটি সময় উপযোগী, যৌক্তিক এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। যদিও এই আন্দোলনকে ভণ্ডুল করার কৌশল হিসেবে কোটার সুবিধাভোগী গোষ্ঠী নানা অপবাদ ও অপপ্রচার ছড়ানোর চেষ্টা করলেও বৃহত্তর সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে এবং সচেতন সাধারণ মানুষের সমর্থনে তা নস্যাৎ হয়ে গণ-মানুষের অধিকার আদায়ের দাবীতে প্রতিষ্ঠা লাভ করে তা বাস্তবায়নের পথে ধাবিত হয়েছে ।বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চাকুরীতে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও মহান মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য কোটা ব্যবস্থার অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে, তবে আমাদের দেশ ও জনগণের স্বার্থে সেই কোটা কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা যৌক্তিক ভাবে ভেবে দেখা উচিত।

বাংলাদেশ কর্ম কমিশন এর মাধ্যমে দেশের প্রশাসনের বিভিন্ন শাখায় যে নিয়োগ হয় সেই পদগুলো মূলত রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণী পদ। এই চেয়ারগুলো যারা অলংকৃত করেন তাদের হাতেই রাষ্ট্রের ভবিষ্যতের ভিত্তি নির্ধারণ হয়। স্বাধীন সার্বভৌম জাতি হিসেবে আমরা ৪৭ বছর পার করেছি, আমাদের হাতে হাতে প্রযুক্তি, ছোনের ঘরের পরিবর্তে ইট পাথরের ঘরে ঘুমাই,তিন বেলা খেয়ে পড়ে বাঁচার ব্যবস্থা হয়েছে , আসমানে আমাদের স্যাটেলাইট প্রদক্ষিণ করে,এক সময় ছেঁড়া বসনে আমাদের দিন কাটলে এখন কম বেশী সবাই রঙিন হরেক রকম পোশাক পড়ি।আজ এই অবস্থায় আসতে কৃষকের হাড় ভাঙা শ্রম, গার্মেন্টসে কর্মরত লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের বিরামহীন পরিশ্রম, বিভিন্ন শিল্প কারখানায় কর্মরত শ্রমজীবী মানুষের শ্রম এবং প্রবাসে অবস্থানরত এক কোটি মানুষের ত্যাগ ও তিতিক্ষা রয়েছে।দেশের জনগোষ্ঠীর বৃহৎ অংশ উৎপাদন ও অর্থনীতির সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট, এই জনগোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের উপর মূলত রাষ্ট্রের গতি সচল থাকে। এই জনগোষ্ঠীকে সঠিক ভাবে ও সঠিক পথে পরিচালনার জন্য নীতি নির্ধারণ,নানা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন,তাদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান ও নানাবিধ সেবা প্রদানের জন্য জনগণের করের টাকায় রাষ্ট্র প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ শাখাগুলোতে মেধাবী, সৎ, সুশিক্ষিত, উদ্যমী শিক্ষার্থীদের নিয়োগ প্রদান করবেন, এটাই রাষ্ট্রের কাছে সাধারণ মানুষের কাম্য।কিন্তু জনগণ সেবার জন্য যাদের বেতন দিয়ে সংসার চালায়, তাদের কাছ থেকে পরিপূর্ণ সেবা কি তারা পায়? এর উত্তর, সেবা পায় তবে তার জন্য আবার জনগণকে প্রায়শ বাড়তি টাকা গুনতে হয়, অর্থাৎ ঘুষ দিতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অর্জনকারী একজন মানুষ ঘুষ খায় এটা শুনতে বেমানান হলেও, কথিত শিক্ষিত সমাজ আজ দুর্নীতিগ্রস্ত এটাই বাস্তব সত্য। বছরের পর বছর পার হলেও এই অবস্থা থেকে আমাদের উত্তরণ হচ্ছেনা, এবং উত্তরণের পথও আমরা খুঁজছিনা।

প্রশাসনের নিয়োগপ্রাপ্ত বেশভূষায় ভদ্রলোকেরা কেন দুর্নীতিগ্রস্ত এর কারণ খুঁজতে প্রথমত যে বিষয়টি উঠে আসে তাহলো এদের নিয়োগ প্রক্রিয়া।দেশের সরকারি চাকুরীর নিয়োগের প্রতিটি ক্ষেত্রে ৫৬ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করে বাকি ৪৪ শতাংশ পদ সর্বসাধারণের মধ্য থেকে যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগের প্রথা চালু থাকলে এই ৪৪ শতাংশ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাবী নিয়োগের পরিবর্তে মন্ত্রী এম পি’দের তদবিরের ভিত্তিতে লক্ষ লক্ষ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের মেলা বসানো হয়।এই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ সরকারী চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী থেকে শুরু করে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা পর্যন্ত বিদ্যমান।আমাদের দেশে সরকারী চাকুরী মানেই শুধু বেতনের টাকায় নিজেকে স্বনির্ভর করা এবং একটি নিরাপদ জীবন যাপনকে বোঝায়।কিন্তু চাকুরী মানে নিয়োগকর্তার সেবা করা এই ধারণাই আমাদের মধ্যে অনুপস্থিত।প্রশ্ন সরকারী চাকুরীর নিয়োগ কর্তা কে? উত্তর সরকার।কিন্তু সরকার পরিচালনার দায়িত্বশীলদের দায়িত্বভার অর্পণকর্তা কারা? উত্তর- জনগণ।সরকার পরিচালনার অর্থের যোগানদার কে ?উত্তর- জনগণ। জনগণ কেন তার কষ্টার্জিত অর্থ সরকারকে দেয়? উত্তর তার অর্থে জীবিকা নির্বাহ করা সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মচারী জনগণকে সেবা করবে। যেখানে জনগণের কাছে তাদের নিয়োগ করা কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার কথা সেখানে উল্টো জনগণকেই তার কর্মচারীদের দ্বারা শোষিত হতে হয় এবং তাদের সেবা অর্থের (ঘুষের) বিনিময়ে কিনতে হয়।

জ্ঞান মানুষকে মহৎ করে এবং সুশিক্ষিত মানুষ হয় আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ।একজন মানুষ যখন জ্ঞান অর্জনের ভেতর দিয়ে নিজেকে তৈরি করার পর তার মেধা প্রমাণের সিঁড়িগুলো অতিক্রম করে করে কোন দায়িত্বে আসীন হন তখন তিনি বৃহত্তর স্বার্থকে সামনে রেখে দক্ষতা, সেবার মানসিকতা এবং সততার সমন্বয় ঘটিয়ে দায়িত্ব পালন করেন। এমন মানুষেরাই মূলত একটি জাতির দিক নির্দেশনা দেয় এবং একটি স্থিতিশীল সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখে। অপরদিকে কোন মানুষ যখন ঘাম না ঝরিয়ে মেধা প্রমাণের সিঁড়ি অতিক্রম ছাড়াই কোন দায়িত্বের আসন লাভ করে তখন তার মধ্যে প্রথমত প্রাপ্ত দায়িত্বভারের বিশেষ গুরুত্ববোধ উপলব্ধি হয়না।এছাড়া একজন অযোগ্য লোকের প্রধান চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হয় আত্মকেন্দ্রিক, যেহেতু তার যোগ্যতা দিয়ে নিজেকেই রক্ষা করতে অক্ষম তার কাছ থেকে বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষার আশা করা অনর্থক। এমন মানুষের কাছ থেকে দেশ ও জাতির সেবার পরিবর্তে বরং ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভানাই বেশি।নিজেকে রক্ষার চিন্তায় নিমগ্ন এমন মানুষেরাই অসৎ পথে আত্মনির্ভর হয়ে অন্যকে ছাড়িয়ে যাবার প্রচেষ্টায় ব্যতিব্যস্ত থাকে। যার প্রমাণ রাষ্ট্র যন্ত্রের প্রতিটি ক্ষেত্রের বর্তমান বিরাজমান অরাজকতা এবং আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্র।রাজনীতি থেকে শুরু করে করে রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্র আজ অযোগ্য মানুষদেই আধিক্যে।

মুক্তিযোদ্ধারা হচ্ছেন আমাদের আঠারো কোটি মানুষের মাথার মুকুট।বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন তাদের ঋণ রক্ত দিয়েও শোধ করার নয়।মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ তার জীবন। সেই জীবনকেই তুচ্ছ জ্ঞান করে অস্ত্র হাতে হানাদার মুক্ত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্ব অক্ষুণ্ণ রেখে একটি মানচিত্র ও পতাকা উপহার দিয়েছেন আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা।স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ পুনর্গঠনে দেশের সেবায় অবদান ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিকভাবে সহায়তার জন্য ত্রিশ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ ছিল একটি সময় উপযোগী প্রশংসনীয় সিদ্ধান্ত।দেশ আজ তার সাতচল্লিশ বছরের সময়কাল পারি দিয়েছে।সময়ের প্রয়োজনে মেধা, প্রযুক্তি নির্ভর ও সুসভ্য জাতি বিনির্মাণে দেশকে নতুন করে পুনর্গঠন আজ প্রতিটি মানুষের মধ্যে অনুভূত।মুক্তি যোদ্ধার সন্তান ও তার উত্তরসূরিদের রক্তে দেশপ্রেমের ধারা বহমান।দেশের স্বার্থে ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিলে প্রথম পদচারণা হবে তাদের, আমরা সেটাই কামনা করি।সরকারী প্রতিটি চাকুরীর ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তাদের পোষ্যদের জন্য ত্রিশ শতাংশ চাকুরী ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা বলবদ থাকার কারণে অনেক অসৎ মানুষ রাজনৈতিক সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধার সনদের অধিকারী হয়ে রাষ্ট্রের এই উদারতাকে অপব্যবহার করে চলছে।আমার দেখা ত্রিব্য আত্মমর্যাদা সম্পন্ন অনেক মুক্তিযোদ্ধা জীবনে কখনই সরকারের নিকট সনদের জন্য দ্বারস্থ হননি এবং তাদের সন্তানদের যোগ্য মানুষ হওয়ার মন্ত্রে দীক্ষিত করে বড় করেছেন।তাদের অনেকেই যোগ্যতার মূল্যায়নে দেশ বিদেশে সম্মানজনক পদে আসীন।প্রতিটি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার উত্তরসূরি বা পোষ্যদের উচিত যোগ্য মানুষ হয়ে রাষ্ট্রের সেবায় অংশগ্রহণ করা। কোন অনুগ্রহ বা অনুকম্পায় শুধু বেতন পাওয়ার আশায় একটি চাকুরীর জন্য রাস্তায় দাঁড়ানো তার পূর্ব পুরুষের বীরত্বকেই খাটো করার হয় । আমার দেখা ছাত্র জীবনের প্রতি স্তরে মেধার সাক্ষর রাখা অনেক বন্ধু ও বড় ভাইকে দেখেছি সরকারের নিয়োগ প্রক্রিয়া নীতির কারণে সরকারী চাকুরীর সুযোগ না পেয়ে বাধ্য হয়েই কোন বেসরকারী মাদ্রাসায় চাকুরী করছে অথবা শুধু জীবীকার প্রয়োজনে বিদেশের মাটিতে শ্রমিকের জীবন বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে।অথচ তার মেধা দেশকে এগিয়ে নেবার স্বার্থেই সরকারের কাজে ব্যবহার হওয়া উচিত ছিল।অথচ মুক্তিযোদ্ধার সনদধারী একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার শিক্ষা জীবনের সকল ক্ষেত্রে টেনেটুনে পাশ করা সন্তান প্রথম দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকুরীর পদ দখল করে বসে আছে।আমার মতে এই অনিয়মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরই প্রথম দায়িত্ব।আমরা যদি মেধা ও সততার উপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রীয় কাঠামো দাঁড় করাতে পারি তাহলে হয়তো আজ যে চাকুরীকে কর্মসংস্থান ও জীবিকা অর্জনের ভিত্তি ভেবে যে দ্বন্দ্বের সম্মুখীন হয়েছি সেই ধারণাই হয়তো সবার বদলে যেতে পারে। মানুষ হয়তো সরকারী চাকুরী না খুঁজে আরও ভালো কিছু উদ্ভাবনের মাধ্যমে নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিজেই করে সম্মানের সহিত মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখবে।

স্রোতের বিপরীতে লড়াই করার দৃঢ় মানসিক শক্তিতে বলীয়ান ছাত্র সমাজের ত্রিব্য আন্দোলনের মুখে বাধ্য হয়েই সরকার এই ন্যায্য দাবির বাস্তবতা অনুধাবন করে দেশের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারী চাকুরীর নিয়োগের ক্ষেত্রে সকল প্রকার কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।যা অরাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি ঐতিহাসিক বিজয় এবং সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পরবর্তী আন্দোলন সংগ্রামের অনুপ্রেরণা। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত সরকারের বড় বড় অপকর্মের মাঝে এটি একটি সময় উপযোগী বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত। আমাদের বৈষম্যমূলক সমাজ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধী ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মানুষ সামাজিক ভাবে অবহেলার স্বীকার। সমাজের এই শ্রেণীর মানুষের পাশে থাকা রাষ্ট্রের অপরিহার্য দায়িত্ব।সেই লক্ষ্যে তাদের রাষ্ট্রের সেবায় অংশগ্রহণ ও সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকুরীতে কোটা সংরক্ষণ অত্যাবশ্যক।তবে অপমানের দৃষ্টি ভঙ্গীতে না দেখে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর চাকুরীতে শুধু মাত্র অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটানোর তাগিদে অন্যান্য কোটা একটা নির্দিষ্ট সময়কাল নাগাদ বলবদ রাখার প্রয়োজন অনুভব করি।

কোটা বাতিল হয়ে গেলেই সরকারী চাকুরীতে মেধাবীদের মেলা বসে যাবে এমন ভাবাও অর্থহীন।নিয়োগ বাণিজ্যের আড়তদাররা এখনো আমাদের মাথার উপর বসে আছে, সেই সাথে চাকুরীর প্রশ্নপত্র ফাঁস,দলীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে নিয়োগ ইত্যাদি সমস্যা সংক্রামক ব্যাধির মত বিরাজমান।এবার সংগ্রাম শুরু হোক এই সংক্রামক ব্যাধিকে সমূলে নির্মূলের।

ছবি ইন্টারনেট থেকে নেয়া ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:১৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো ভাই আপনার আলোচনা, মাঝে বাংলার বীর সন্তানদের সম্পর্কে দারুণ সম্মানজনক কথা বলেছেন।
তবে আমার একটা কথা বলতে ইচ্ছে করছে, আমি একটা চাকরি করি সরকারি, চাকরিটা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রাপ্য, আমার চাকরির সারকোলারে যে সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছিল তারচেয়ে একটা বেশিই আছে আমার, আর চাকুরির ইন্টারভিউতে সব বাঁছাই যাচাই করে টিকানো হয়েছিল ৫৬ জন, অথচ চাকরি হবে মাত্র ৬ জনের, আমি চাকরি করবোনা মনোভাবের ছিলাম তাই পরিক্ষাটা কোনরকম দিয়েছিলাম যেন ফেল করি, কিন্তু দেখা গেল আমি ৫৬ জনের মধ্যে তৃতীয় হলাম। এখন আপনি বলুন আমি কি শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটার কারণেই চাকরিটা পেলাম?? মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কি মেধা নেই ? নাকি তারা বাংলা বুঝে না? নাকি কোন সার্টিফিকেট ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের চাকরি দিয়ে দিচ্ছে সরকার?

আসলে সমস্যা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের চাকরিতে ঢুকিয়ে সরকার দেশের অতন্দ্র প্রহরী বাড়াচ্ছে সেটাই একশ্রেণির কাছে বিষের মতো লাগছে,
এখনো অনেক মুক্তিযোদ্ধা অমানবিক পরিশ্রম করে কেউ বা ভিক্ষা করে দিন পার করছে, অথচ আমরা মুখে মুক্তিযোদ্ধাদের মাথার মুকুট বানিয়ে রাখছি!!

লজ্জা লাগে যখন মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে কোন মেধাবীর চাকরি ঠেকে আছে এমন শুনতে হয়, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি দয়া দেখানোর কথা বলে কটাক্ষ করে। আবার কিছু কিছু রাজাকারের বাচ্চাকাচ্চা গায়ে রাজাকার লিখে সগৌরবে বাংলার রাজপথে মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষ করে। আমি কোনদিন ক্ষমতা পেলে দেশ থেকে রাজাকারের রক্তনির্মূল করতাম, এতে যদি হিটলার হতে হয় তবুও।

কষ্ট নিবেন না, যদি বিরক্তকর মন্তব্য মনে করেন তো মুছে দিবেন।

শুভকামনা আপনার জন্য

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৪

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন ভাই ......।আমাদের দেশে সৌদি আরবের পাঠানো দুম্বার মাংস যেমন প্রকৃত অধিকারীরা পায়না, তেমনি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ সুযোগ সুবিধা নিয়ে বাণিজ্য হয় বলেই এখনো অনেক মুক্তিযোদ্ধা অমানবিক পরিশ্রম করে, কেউ বা ভিক্ষা করে দিন পার করছে। আপনার আবেগ ও অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা ......।।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০১

হাবিব বলেছেন: মেধার জয় হোক। দেশের বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা। চমৎকার উপস্থাপনা।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৫

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার ......।

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০২

রাজীব নুর বলেছেন: কোটা ব্যাপারটা এখন তিতা হয়ে গেছে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৬

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় রাজীব নুর ভাই ...।।

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:২১

প্রন্তিক বাঙ্গালী বলেছেন: আমিও একজন মুক্তিযুদ্ধার সন্তান। তবে আমি বলতে চাই কোঠার কোন প্রয়োজন নাই। মেধাই হোক যোগ্যতার মাপকাঠি।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৭

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) বলেছেন: আপনার অভিব্যক্তির জন্য ধন্যবাদ

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১

সনেট কবি বলেছেন: পড়লাম

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৮

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.