নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তোল পৃথিবী তোমার জন্য ভাল কিছু নিয়ে অপেক্ষা করছে।তবে ঠিক ততটুকুই তোমাকে সে দিবে যতটুকু তুমি নিজেকে গড়েছ।

পথিক৬৫

আমি খুব সাধারন একজন মানুষ,যে কিনা পৃথিবীর মানুষ গুলোকে হাসতে দেখলেই হাসে,আর কারো কান্না সহ্য করতে পারেন না। তবে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে ভুল করেন না।

পথিক৬৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কথিত আইএস এর ঢাকা হামলা ও জাকির নায়েক প্রসঙ্গঃ

০৯ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

বাংলাদেশের ইতিহাসে এবং বাংলাদেশের মানুষেকে নতুন করে আতঙ্কিত করে গত ১লা জুলাই পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাতে ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানে যে জঙ্গি হামলা হয়ে গেল সেটা বাংলাদেশের মানুষ কে নতুন এক বাংলাদেশের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটনার পর বাংলাদেশ কে আরেকবার জানিয়ে দিয়েছে যে এবার একটু সতর্ক হও।নিজেদের মাঝে কাঁদা ছোড়া ছুড়ি টা বন্ধ রেখে দেশ মাতাকে একটু বাঁচাও। আর এটা আমাদের রাজনীতির জন্য সন্ত্রাস দমনের শ্লোগান নিয়ে আবার এক কাতারে এসে এই জঙ্গি বা যে কোন হামলা থেকে দেশ বাঁচানোর উপায় হতে পারত।
কিন্তু দুঃখজনক হলে ও এটাই সত্য যে আমরা তার ছিড়ে ফোটা ও দেখতে পাই নাই।যেটা দেখেছি সেটা বহুকাল আগে থেকে দেখে আসা আমাদের রাজনীতির হর্তা কর্তাদের নিজেদের জ্ঞানহীন এবং জনগনের কাছে বিরক্তিকর বিরোধীদল কে দোষারোপ করে দেয়া বক্তব্য।
যেমনঃএটা শিবিরের প্রশিক্ষিত ছেলেরা করেছে।
অথবা এতে বিরোধী দল জড়িত।ইত্যাদি।

অথচ এটা হওয়া উচিত ছিল যে, প্রধান দু দল এক সাথে বসে বা নিজেদের অবস্থান থেকে এই জঙ্গিদের ধরতে সাহায্য করবে।
জঙ্গিদের হোটেল এর বেতরে মেরে ফেলা হল আর যে দুজন কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । এর মাঝে নাকি সেই হোটেলের বাবুর্চী বেচারাকে ও আটক করা হয়েছে।আমরা সবাই একে আমাদের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিশাল এক সফল অভিযান ঘোষনা দিয়ে নাম দিয়েছি "থান্টার বোল্ট" যা বাংলা করলে অনেকটা অর্থ আসে "সাহসী অভিযান"।যে অভিযানে মাত্র ৬ জন বা ৮ জন জঙ্গির কাছে তাদের টার্গেট অনুযায়ী সব বিদেশীদের মেরে ফেলা হল এরপর উদ্ধারে এসে তাদের কে ও মেরে ফেলা হল।(প্রশ্নবিদ্ধ যে তারা কি নিজেরা আত্মহত্যা করে ছিল নাকি আমাদের সেনাদের হাতে মারা গিয়েছে)। সেটাকে আমরা আসলেই কি কোন সফল অভিযান বলতে পারি(?) যদি না কেহ মারা যেত কিংবা আমাদের দেশ প্রেমিক পুলিশ অফিসারদের হারাতে না হত,তখন এই নাম টা তার প্রতি সুষ্ঠ বিচার করতে পারত।

বাংলাদেশের যেকোন প্রান্তে ককটেল ফোটা থেকে শুরু করে সাইকেল এর টায়ার ফোটা সব দোষ সর্বদাই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের দিকে দেয়া হয়,আর সাথে প্রমান করার চেষ্টা হয় এরা মাদ্রাসার ছাত্র ছিল।যদি এটা প্রমানে ব্যর্থ হয় যে এরা মাদ্রাসার ছাত্র ছিল না, তখন বলা যে,ওই সাইকেলে মাদ্রাসার ছাত্র বসেছিল।সেটা প্রমান না হলে এই সাইকেল কোন মাদ্রাসার ছাত্রের গ্যারেজ থেকে সাড়ানো হয়েছিল । সেটা ও যখন প্রমানিত না হয় তখন বলা হয়,যে রাস্তায় এটা ফুটেছে সেই রাস্তা দিয়ে মাদ্রাসার ছাত্র হেটে গিয়েছিল।
কিন্তু এর মাঝে চতুর জনগন তাদের মিডিয়া দিয়ে বের করে ফেলে যে সেই সাইকেল এ আগে থেকে লিক ছিল আর যেটা করেছিল সাইকেল এর পেছনে সিটে বসে থাকা সাইকেল মালিকের বন্ধুই করেছিল।
কেননা সাইকেল মালিক এই সাইকেলটি ই তার এই বন্ধুর কাছের বিক্রি করার কথা ছিল ।এবার যদি সাইকেল এর টায়ার লিক দেখানো যায় তখন সাইকেল এর দাম কমে যাবে ৫০% আর বেচারা সেটা ২০ টাকা দিয়ে সাড়িয়ে পাংখা হইয়ে চালাবে।কিন্তু সাইকেল এর মালিক বোকা বন্ধু টা তার এই কংস মামা টাইপের বন্ধুটাকে আবার ও বিশ্বাস করে টায়ার বাস্ট এর তদন্তের কাজ টা দিয়েছে। এটাকে বিশ্বাস বলব না অনেকটা চাপেই কারনে। সাইকেল মালিক বন্ধুটি জানে যে এটা তার এই পেছনের মানুষটিরই কাজ।কিন্তু সে এটা জেনে ও তাকে তদন্তের কাজ দেয়া হচ্ছে কারন মালিক বন্ধুটির অতিত ইতিহাস আর প্রেমিকার কথা এই পেছনের জন ই তো জানে।তাই তাকে যদি কাজটা দেয়া না হয় সে তো মালিকের বাবা বা ভাইয়ের কাছে বলে দিবে। আর শেষে তদন্তের ফলাফল তো যা হওয়ার সেটাই সেই মাদ্রাসার ছাত্র দোষী ।কারন মাদ্রাসার ছাত্রটি রাস্তার পাশ থেকে হেটে যাওয়ার সময় তার লম্বা জামা দেখে সাইকেল এর চালক তার দিকে তাকিয়ে সাইকেল চালাচ্ছিল আর সেই কারনে এই দূর্ঘটনা।আর তাকে তো গ্রেপ্তার করা হবেই সাথে এই জাতীয় জামা যারা পরে সাবাই কে গ্রেপ্তার করা হবে।কারন আগামীতে কোন চালক যেন সাইকেল বা অন্যকিছু চালানোর সময়ে এদের দিকে না তাকায়।
তবে সেই তদন্ত জনগন আর মানে না কারন তাদের মিডিয়া দেখিয়ে দিয়েছে যে এটা সবাই ব্রাক মাদ্রাসা(?) নর্থ সাউথ হাফেজী খানা(?) কিংবা রাজউক বা আদমজী কওমী মাদ্রাসার(?) ছাত্র। আর তাদের পরিবার সব একটি বিশেষ দরবার শরিফের খাছ মুরিদ(?)।কেহ কেহ আমার দরবারের খাদেমও আছেন।
আমাদের এই কাঁদা ছোড়া ছুড়ি টা শেষ অব্দি গোবড় ছোড়া ছুড়ি এর দিকে টান করে আর তার মূল বিষয়টা জাতীকে ভুলিয়ে দিতে আমার কোন মাকাল ফল তাদের সামনে দেয়া হয়।যেমন যদি সাম্পতিক কিছু টা তুলে ধরি পুলিশ অফিসার বাবুল এর স্ত্রী হত্যা কে ডেকে দেয়া হল এই গুলশান এর ঘটনা থেকে (এখন বাবুল নিজে ও বোধায় তার স্ত্রী এর নাম ভুলে গেছে)গুলশান কে আবার হারিয়ে গেল শোলাকিয়া্য।কারন গুলশানে যারা ছিল তার প্যান্ট আর শার্ট পড়েছিল।এবং সেই বিশেষ দরবারের ও বিশেষ মাদ্রাসা গুলোর ছাত্র।তাই এটা ঘুরিয়ে দিয়ে লম্বা জামা ওয়ালা কাউকে দরকার ছিল। এটাকে ব্রেন ওয়াস থেকে জঙ্গি তে রুপ দেয়ানো খুব দরকার ছিল।ও আচ্ছা, আপনাদের তো এটা বলাই হয় নাই যে কারা ব্রেন ওয়াসড আর কারা জঙ্গি।আসলে যারা এই বিশেষ মাদ্রাসা গুলো পড়েছে এবং তাদের পরিবার বিশেষ দরবারের মুরিদ তারা যখন হামলা করে এটাকে ব্রেন ওয়াসড বলা হয়।আর যারা লম্বা জামা পড়ে হামলা করে এবং এই সব দরবারের মুরিদ না তাদের কে বলা হয় জঙ্গি।
বাংলাদেশের ব্যাপারে মোদ্দাকথায় যদি আসি এটাই বাংলাদেশের চিত্র যেঃ আটক যারা ছিলেন তাদের একজন গতকাল ঢাকা মেডিকেল এ মারা গেছেন।আগে যারা মারা গিয়েছে তাদের লাশ পরিবার নিতে চাচ্ছে না। বিশেষ দরবার থেকে বিরোধী দরবার কে যে দোষ টা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল সেটা বিটিভি দেখালেও জনগনের মিডিয়া তার মূল বের করার বিরোধী দরবারের খুব একটা ক্ষতি করতে পারে নাই।।

কিন্তু প্রশ্ন হল এই ঢাকা হামলার সাথে হঠাৎ করে জনাব জাকির নায়েক কে কেন ডুকিয়ে দেয়া হল? যিনি কিনা নিরন্তন ভাবে ইসলামের সেবা করে যাচ্ছেন,তার কথা ও বানী দিয়ে।যিনি কিনা বিশ্বজুড়ে সমাদৃত।সেই মানুষ টিকে নিয়ে টানা টানি আর ঢাকা হামলার জন্য দায়ী করার পেছনে কারন কি?
কারন হিসেবে যে টা ভারত সরকার এর থেকে দেখানো হচ্ছে বা বাংলাদেশ সরকার ও বুঝাতে চাচ্ছেন তা হচ্ছে সেই সাইকেল আর লম্বা জামার গল্পের মত।তিনি যে কথা বলেছেন যেই কথা থেকে নাকি এই জঙ্গিরা উৎসাহ নিয়েছে আর আইএস এ যোগ দিয়েছে।
তো আবার আসুন জঙ্গি হামলা বা নিরীহ মানুষ কে হত্যার ব্যাপারে জাকির নায়েক সাহেব বক্তব্য কি।
লিঙ্ক ১ঃ https://www.youtube.com/watch?v=iKfOVR3JfPg
এখানে দেয়া তার কথায় স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছেন যে "নিরিহ মানুষ কে হত্যা পুরো জাতী কে হত্যার সামিল।এটা কুরান ও হাদিসের বিপরিত"।
তো নীরিহ মানুষ হত্যার ব্যাপারে যে মানুষটির দর্শন হচ্ছে তাদের হত্যা করা যাবে না তাহলে তার কথা কিভাবে জঙ্গিদের উৎসাহ দিয়েছে?
তাহলে এবার আসুন দেখা যাক ২০০২ সালে চেন্নাইতে দেয়া তার বক্তব্যে কি ছিল।
লিংক ২ঃ https://www.youtube.com/watch?v=PzOKm4a0wow
এই বক্তব্যে তিনি স্পষ্ট উল্লেখ করে দিয়েছেন যে, যারা সন্ত্রাস হয় সেটা তাদের নিজেদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত কোন ধর্ম এর জন্য দায়ি না।তিনি এখানে হিটলার এবং মুসোলীনি এর উদাহরন দেন। যারা মুসলিম ছিলেন না।
তো এখন কথা হচ্ছে তা হলে তার পেছনে এই লেপন গুলো দেয়ার কারন কি বা যুক্তি কি?

লিংক ৩ঃ দেখুন বাংলাদেশের টিভিতে করা রিপোর্টঃ https://www.youtube.com/watch?v=O_qolqxM1
এখানে বলা হচ্ছে গুলশানের জঙ্গিরা নাকি জাকির নায়েক এর কথা শুনে জঙ্গি হয়েছিল। তো আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে,যদি আপনি আমার কথা বুঝতে না পারেন আর তার ব্যাখা আপনি ভুল বুঝেন সেই দায় কি আমার?

এবার দেখুন গুলশান হামলার একজন ইমতিয়াজএর যে পোস্ট থেকে নেয়ে হয়েছে যা জাকির নায়েক বলেছিলেন " Every Muslim should be a terrorist" । কি ছিল সেই কথার প্রেক্ষাপটঃ
লিংক ৪ঃ https://www.youtube.com/watch?v=Bxk5AAA5FbI
এখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তার কথা হচ্ছে "যদি ওসামা বিন লাদেন ইসলামের জন্য লড়াই করে তাহলে আমি তার সাথে কিন্তু আমি জানি না যে সে আসলে
কি করছে।আপনি দেখবেন যে নাইজেরিয়াতে হামলা হয়েছে সেখানে কিছু খুজে দেখার আগেই নাম দেয়া হচ্ছে লাদেন এর সাথে জড়িত।সকল মুসলিম কে টেরটিস্ট হয়ে হবে কিন্তু তোমাকে দেখতে হবে তুমি কার বিরুদ্ধে লড়াই করছ।যদি তুমি টেররিস্ট এর বিরুদ্ধে লড়াই কর তখন আমি তোমার সাথে"।

এই ভিডিওটির ১ ঘন্টা ১৩ মিনিট থেকে ১৯ পর্যন্ত দেখেন।
লিংক ৫ঃ https://www.youtube.com/watch?v=GCsV8oQX7qA
সেখানে কাকে বা কিভাবে সন্ত্রাসী বলা যাবে বা যাবে না কি এর কারন সেটা তুলে ধরেছেন।

এখন যদি আপনি তার কথা না বুঝে সেটা থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত না নিয়ে সন্ত্রাস হন তাতে দায়ভার কি তার? যদি তাই হয় তাহলে হিটলার এর কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে তার নাৎসি বাহিনী যে প্রায় ৩ লক্ষ ইহুদীদের মেরেছিল তার বিচারে তো তাকে কবর থেকে তুলে আবার ফাঁসিদেয়ার উচিত।কারন সেখানে হত্যার স্পষ্ট নির্দেশ ছিল।
টনি ব্লেয়ার এর শাস্তি তো সবার আগে হওয়ার কথা কারন ইরাকে হামলা তার স্পষ্ট নির্দেশনা ছিল।আর কিছুদিন আগে সে তার ভুল মেনে ও নিয়েছেন,যে ইরাকে হামলা তার ভুল ছিল।এখন আমেরিকায় মৃত সেনাদের পরিবার এর বিচার চাচ্ছে ,তারাই ঠিক।

কাজী নজরুল কে ফাসি দেয়া উচিত। কারন সে তো জেল ভাঙ্গতে উৎসাহ দিয়েছিল।কেন ওই যে লিখেছিল "লাথি মার ভাঙ্গরে তালা আগুন জ্বালা জ্বালা"।আপনি সেখানে তাকে হিরো বানাবেন আর নিজের স্বার্থে যখন লাগবে তখন সেটাকে নিজের উপোযোগী করে চালিয়ে দিবেন(!)।এটা কেমন বিচার?

আসুন তাহলে এবার দেখি এই জঙ্গিরা কি আসলে কারো ই কথা থেকে উৎসাহ নেয় না।নাকি কেহ আছেন যার থেকে এরা উৎসাহ পেতে পারেন।
লিংক ৬ঃ Click This Link
আমাদের মত যুবকদের বিপথগামী করতে যদি কোন ভিডিও থেকে তার একটি এটি। এখানে তিনি স্পষ্ট আইএস এর পক্ষ নিয়ে কথা বলেছেন।
আর তিনি নিজে ও একজন আল কায়েদা নেতা। তার নাম আনোয়ার আল-আওলাকি (Click This Link;)
এই লিংক এ তার জীবনী পাবেন।যদি বন্ধ করতে হয় এই জাতীয় মানুষদের ভিডিও বা প্রচার বন্ধ করুন।পিছ টিভি কেন?

পিছ টিভি বা জাকির নায়েক কেনঃ
এই কেন এর উত্তর আমাদের সবার কাছে অল্প আদটু জানা আছে।
ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৩ঃ৪% মুসলিম।আর সেটা বেড়েই চলছিল নিত্য। এর প্রধান ২ টা কারন হতে পারে।
১/কোন মুসলিম নেতা বা বক্তা যিনি সঠিক ভাবে এই মানুষ গুলো ইসলাম ধর্মের দিক্ষা দিচ্ছিলেন আর তাতে তারা তাদের হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হচ্ছিল।
২/হিন্দু ধর্মের জাত বৈষম্য বা নিচু জাতের হিন্দুদের জীবনকে নিপেরিত করছিল এবং তারা এর থেকে মুক্তির ভাল একটা সমাধান চাচ্ছিল।তো সেই সমাধান ইসলাম ধর্মে থেকে নিশ্চয়ই আর কোন ধর্ম দেয়নি।
আর এই দু এর মিশ্রনে যখন হিন্দুরা ইসলাম ধর্ম গ্রহন শুরু করল তখন উগ্র হিন্দুবাদী ভারতের কেহ এটা মেনে নিতে পারছিল না।তাই এর গোড়া কাটা দরকার।তো দিলাম জাকির নায়েক কে ঢাকা হামলার নায়ক বানিয়ে।

অন্য কারন হতে পারে এটা যেঃ
অল্প আদটু ইসলাম বুঝা মানুষ গুলোকে পীর পুজা আর মাজারের দিকে যুক্ত করে একটা মহল হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।তাদের এই ব্যাবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল জাকির নায়েক এর কারনে।কারন তিনি মানুষ কে এই সব শিরক থেকে ফিরে আসতে শিখাচ্ছিলেন।
তো যদি যাকির নায়েক এর টিভি আর তার নিজের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া যায়,হিন্দুদের আর সাথে এই পীর সাহেবদের সবার স্বার্থ রক্ষা।

এই প্রথম কারন টা বাংলাদেশে না থাকলে ও ২য় কারন টা বাংলাদেশে ভারতের থেকেও বেশী।উল্লেখ করে দিলে চট্রগ্রাম এর সুন্নী সাহেবদের,আবার দেওয়ান বাগী তো আছেই।সেই সাথে নাম না বললে ও আরো বহু প্রতিষ্ঠিত দরবারের ও এই লস টা হচ্ছিল।তাই জাকির নায়েক কে বন্ধ করা আবশ্যক ছিল।এবার ভারতে হয়েছে আর তার জন্য পীর সাহেবগন এই মানুষটির বিরুদ্ধের আন্দোলন করিতেছেন।
লিংক নং ৭ঃ (http://ebdupdate24.com/?p=2972)
আর এই সুযোগটির অপেক্ষাতেই তো তীর্থের কাকে মত অপেক্ষায় ছিলেন আমাদের পীর সাহেবগন।এবার তাদের ইচ্ছের পূরনের প্রান্তে।

সর্বোপরি কথা হচ্ছেঃ লেখাটা একটু বর হলে ও তথ্য দিয়ে এটাই তুলে দেখানোর চেষ্টা করেছি যে গুলশান হামলা এর পেছনে আর জাকির নায়েক কে দোষ দিয়ে কারা কারা ফায়দা নিতে চাচ্ছেন।তবে শেষ বেলার এই একটি কথা দিয়ে শেষ করি, পীর সাহেবরা "এদিনে দিন নয় আরো দিন আছে,এদিনেরে নিয়ে যাবে সেদিনের কাছে"।
তাই ইসলাম কারো নিজের পৌত্তিক ধর্ম না।এটা নিয়ে ব্যাবসা বন্ধ করে এই মহান মানুষটির পেছনে না লেগে চিন্তা করুন যারা আজ আপনাদের এই মানুষটির পেছনে লাগিয়েছে তারা আপনার পেছনে যে কাউকে লাগাবে না তার গ্যারান্টি কে দিবে??

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: আপনি সঠিক পথেই আলোচনা পেশ করেছেন কিন্তু যারা বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং ইসলামের দুশমন তারা এর শেষ না দেখে ছাড়বেনা। দলে এরা ভারী। প্রকোশল আর অর্থ সেই সাথে বিশ্বের বড় বড় মাতুব্বর এসব অপচ্ছায়াদের ছায়াসঙ্গী। কোন ভাবেই ইসলামের এই অগযাত্রাকে এগুতে দিবেনা। এখন কিছু সন্ত্রাসী জঙ্গী মানবতার দুশমনদের সাথে নিয়ে বিরাট এক মিশন বাস্তবায়নে সবাই একই সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এদেরকে কোন যুক্তি বুদ্ধি দিয়ে বুঝালে লাভ হবেনা। কারণ, এদের এজেন্ডা হলো ইসলাম ও ইসলামিজম এবং মুসলমানদের নাম নিশানা পৃথিবী থেকে মুছে দেয়া। আইএস আই এর মতো আরো যত জঙ্গী সংগঠন রয়েছে এসবের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে আমেরিকা আর ইসরাইল গ্যাং সুতরাং এদের খেলা ততদিন চলবে যতদিন ইসলাম ধ্বংস না হয়ে যায়।
** ডাক্তার জাকির নায়েক একজন নিরীহ ধর্ম প্রচারক তিনি ভারতবাসীর বিরাট ক্ষতি করে ফেলেছেন কারণ, সেখানে বসে ইসলাম ধর্ম প্রচার করছেন। তাঁর দরবারে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয়। সরাসরি বিতর্ক হয় যেখানে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ঠান সবাই যুক্তি তর্কের ভিত্তিতে কথা বলেন এটা ইসলামের দুশমনেরা মেনে নিতে পারছেনা। আর, তাই ওনার সংগে আই এস এর যোগাযোগ ঘটাইয়া দিয়া এই ইসলামিক মিশন বন্ধ করে দেয়ার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে, মজার বিষয় হচ্ছে উনি যা বলেন তার সবই রেকর্ডেড। কোন লুকিয়ে কিছুই করছেননা। এখন দেখা যাক ধর্ম নিরপেক্ষ? ভারত কতটুকু কী করে?
ভালো লিখেছেন ভাই। লিখে চলুন সতত। নিরাপদে থাকুন। সতর্ক থাকুন।

২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১৬

পথিক৬৫ বলেছেন: THANKS

৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:১১

এস. দেওয়ান বলেছেন: জাকির এর বিরুদ্ধে জঙ্গীরা স্টেটমেন দিয়েছে এখানে পীর আউলিয়াদের দোষারোপ করছেন কেন ? ভারতের আদালত শক্তিশালী, জাকির নিরপরাধ হলে তাঁর কিছুই হবে না । আমাদের দেশে আক্রমণ হয়েছে তাই আমরা তো বিভিন্ন জনের ওপর সন্দেহ করবোই ।

০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:২৬

পথিক৬৫ বলেছেন: প্রথমত সম্মানিত মানুষদের সম্মান দিতে শিখেন।আর পীরদের কথা কেন বলেছি সেটা তাদের কার্জ গুলো আরো একবার দেখেন।আর ভারতের আদালত শক্তিশালী তাই না।তো তারা দিয়েছিল না আপনার বোন ফেলানীর হত্যার বিচার।পেয়েছিলেন সেই বিচার? আর আপ্নারা সন্দেহ করার আর লোক পেলেন না এই মানুষ টির উপর পড়তে হল।নিরপেক্ষ দিকে চিন্তা করেন।

৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:২৮

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ভাই #এস দেওয়ান# ডাক্তার জাকির এর বিরুদ্ধে জঙ্গীরা কোথায় স্টেটমেন্ট দিয়েছে একটু বলবেন। এটা কোনদিনের খবর? লেখক কিন্তু পীর বলতে মাঝার ব্যবসায়িদের কথা মীন করে বলেছেন। মাঝার পুজারীদেরকে লাইনে আসার জন্য জাকির নায়েক অনেক অনেক আলোচনা করেছেন। আর এটা উনাদের গায়ে লেগেছে। সন্দেহ অনেক দিকেই যায়। কিন্তু, এরকম সন্দেহ দিয়েতো আরো অনেক সন্দেহ তৈরি হচ্ছে, নয় কী? ভালো থাকবেন। আমি আপনাকে এটাই বলতে চেয়েছি দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে সবাইকে আরো অনেক দায়ীত্বশীল ও সচেতন হতে হবে। ধন্যবাদ।

৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=1Tl05g7zk0U
উপরের এই ভিডিওটিতে ডাক্তার জাকির নায়েক ঢাকার গুলশানে টেরোরিস্ট এটাকে উনাকে জড়ানোর বিষয়ে জবাব দিয়েছেন।

৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:০৪

হেৃদওয়ানুল জান্নাহ বলেছেন: সুর্যসেন যদি সন্ত্রাসী হয়, তিতুমীর যদি সন্ত্রাসী হয়,পিতিলতা সেন যদি সন্ত্রাসী হয়,বঙ্গবন্ধু যদি সন্ত্রাসী হয়, মুক্তিযোদ্ধারা যদি সন্ত্রাসী হয়, জর্জ ওয়াশিংটন যদি সন্ত্রাসী হয়, নেলসন ম্যন্ডেলা যদি সন্ত্রাসী হয়,কার্ল মার্কস যদি সন্ত্রাসী হয় তাহলে সেই অর্থে সকল মুসলমানদের সন্ত্রাসী হওয়া চাই।
এমনকি তারা প্রকৃত মুসলিমই হতে পারবে না; যদি তারা পিন্জরাবদ্ধ মানবতাকে পরাধীনতা থেকে মুক্তি দিতে সন্ত্রাসী না হয়।
আর পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সন্ত্রাসীতো মুহাম্মদ (স:)

৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:২৭

নিনজা টার্টল বলেছেন: ১লা জুলাই জুমাতুল বিদা ছিল,লাইলাতুল কদর ছিল তার পরের দিন। :|

৮| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১৮

saamok বলেছেন: জাকির নায়েক তুলানামূলক ধর্মীয় বিশ্নেষন করেন। তিনি সরাসরি বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে থাকেন। জাকির নায়েক নিজস্ব কোন মতবাদ বা নতুন কোন মতবাদ প্রচার করেন না।
মুশকিল হল তার এই তুলানামূলক ধর্মীয় বিশ্নেষন বিভিন্ন ধর্মের দুর্বল, মিথ্যা অযৌক্তিক বিষয়াবলী প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। পৃথিবীর ইতিহাসের একমাত্র ইসলাম ধর্মের প্রচারক গণই বিভিন্ন বাধা-বিপত্তির সম্মক্ষিন হয়েছেন।
জাকির নায়েক তুলানামূলক ধর্মীয় বিশ্নেষনে ইসলাম ধর্মের বিপরীতে অন্যান্য ধর্ম সমূহের অসারতা প্রকাশিত হবে আর সেসকল ধর্মের অনুসারীরা তাকে ছেরে দিবে এটা ভাবা ঠিক হবেনা বরং আরও কঠিন বিপদের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

৯| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:১৫

তট রেখা (১) বলেছেন: তারা ইসলামের আলো ফুঁৎকারে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তা প্রজ্বলিত রাখেন। আর শয়তানের চক্রান্ত বড়ই দুর্বল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.