নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তোল পৃথিবী তোমার জন্য ভাল কিছু নিয়ে অপেক্ষা করছে।তবে ঠিক ততটুকুই তোমাকে সে দিবে যতটুকু তুমি নিজেকে গড়েছ।

পথিক৬৫

আমি খুব সাধারন একজন মানুষ,যে কিনা পৃথিবীর মানুষ গুলোকে হাসতে দেখলেই হাসে,আর কারো কান্না সহ্য করতে পারেন না। তবে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে ভুল করেন না।

পথিক৬৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতির নষ্ট হিসেব।।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

লেখক আমি নই। লেখার সিমানাটা এই ফেইসবুকের নীল পাতা অব্দিই সিমাবদ্ধ। সেটা স্টাটাস (এর বাঙলা কি আছে জানা নেই) কিংবা মাঝে মাঝে দু একটা ব্লগের কলাম হিসেবেই স্থান পায়।
তবে এখন আর সেই লেখাটাও লিখার ইচ্ছে হয় না। অনেকে মাঝে মাঝে ম্যাছেজ করেন ভাই "এই ইস্যু যাচ্ছে ,আপনার লেখা আশা করি।কেন লিখছেন না।" আরেকজন তো সেদিন লিখেই ফেলল "কিরে ভাই এখন আর লিখেন টিখেন না,সরকারের দলে গেলেন নাকি?"

আমি হাসি দিয়ে বলেছিলাম "ভাই স্বাধীন দেশের মানুষ আমরা, তাই সেই স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে কি আমাকে সরকারের বিরোধিতা করতেই হবে?আমি ভিন্ন মতের মানুষ হতেই পারি, তাই বলে আমি তো আর নিজের ইচ্ছে মত আমার মতের প্রতিফলন দেখিয়ে দেশের নির্বাচিত সরকারের বিরোধীতা করতে পারি না।তাই না? তারা যদি ভাল কাজ করে তাতে ও কি আমাকে বিরোধীতা করতে হবে?" প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম।
জবাবে লিখল "ভাল কাজ বলতে কোন টা বুঝিয়েছেন?"

কবি অনেক টা নিরব থাকার মত আমিও নিরব হয়ে গেলাম।কাগজ আর পেন্সিল নিয়ে ভাল কাজের হিসেবে লিখতে বসে গেলাম।বেচারা কে একটা জবাব তো দিতেই হবে।
ভালকাজের দিক গুলো হিসেব করতে আমার থিওরী ছিল এমন যে, একটি খারাপ কাজ (দূর মিয়া সরকার কি কিছু খারাপ করে নাকি।তবুও তর্কের খাতিরে মেনে নিলাম) আর একটি ভাল কাজ যখন মিলে যাবে কাটাকাটি করে শুন্য করে ফেলব।
আর এই কারনেই পেন্সিল নিয়ে বসা,কলম নয়।আর হা,সাথে রাবার ও ছিল। তো অনেকটা সময় নিয়েই হিসেব নিকাশ করালাম। সেই ফলাফলে না হয় একটু পরে আসি।

মাথায় একটা নাড়া নিয়ে উঠল।পেছনে তাকিয়ে দেখি আমার বন্ধু সাগর দাঁড়িয়ে। কি করছিলাম তার কৈফিয়ত চাচ্ছিল।বেচারা কে দেশের রাজনীতির বিশাল অংকের হিসেব টা দেখাতেই বলে উঠলো " আচ্ছা তুই এই যে হিসেব করছি এর চুড়ান্ত ফলাফল কি?কারা তোর এই হিসেবে থেকে লাভবান হবে?"
বুক ফুলিয়ে বললাম " আমি যা করি তা তো দেশের মানুষ এর জন্যই করি।যাতে আমরা আমাদের রাজার নীতির মানুষ গুলোকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে তাদের কাজ গুলো বুঝিয়ে দিয়ে ভাল কাজের জন্য উৎসাহ আর খারাপ কাজের শোধরানো একটা পথ দেখাতে পারি।''

বেচারা আমার কথা শুনে হেঁসে দিল।হাসির কারন জানতে চাইলাম।
আচ্ছা তুই কোন দেশের মানুষের জন্য লিখছিস? যে দেশের মানুষদের এখন বিশাল একটা অংশ ভোটের আগের রাতে ৫০০ টাকায় অতিত ভুলে ৫০০ টাকায় আগামীকাল একটি মুরগী আর কিছুটা তেল সাথে পোলাও চাল কিনার স্বপ্ন দেখে আর ভোটের বক্সে গিয়ে "যচ্চোর খচ্ছোর" টাইপের সেই ৫০০ টাকা দেয়া মানুষটাকে ভোট দিয়ে আসে।
যদিও বেচারার ই বা দোষ কি বল।বেচারা ছেলেটিকে অনেক কষ্ট করে জমিজমা সব খুইয়ে লেখা পড়া করিয়েছিল। আর সেই ছেলেটি আজ কোন কাজের সন্ধান না পেয়ে গ্রামের রাস্তায় সাইকেল এর টুং টাং আওয়াজ দিয়ে প্রাইভেট পড়িয়ে যা পায় সেটায় দিয়েই সংসার চলে। সাগর বলল।

আবার দেখ তুই তো সে জাতীর জন্যই কাজ করতে চাচ্ছিস যারা কিনা তাদের স্বাধীনতার প্রায় ৪৭ বছর পরেও তাদের জাতীর পিতা আর স্বাধীনতার ঘোষক ঠিক করতে পারে নাই।যে যখন দেশের ক্ষমতায় আসে সে তার মতে করে সিরাপ গুলিয়ে খাওয়ায় আর তারা খায়। একটা প্রতিবাদের মানুষ পর্যন্ত নেই।

দেখ তুই বেচারা এখনও অনেক ছোট মানুষ।এগুলো লিখে কারো টার্গেট হওয়ার কি দরকার। তারা কেহ তোকে ফেলে দিবে আর অসহায়ের মত তোর পরিবার ধুকড়ে কাদবে।কি দরকার এসবের।সাগর বলেই যাচ্ছিল।

আমি বললামঃ দেখ আমার মত চুনোপুটিকে কেহ টার্গেট করবে না তার কারন এর থেকে সেই সব মানুষের আরো অনেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ন কাজ আছে।আর যদি এমন কিছু টা ঘটেই যায়, আমি যদি ভিকটিম হই আমাদের দেশের মানুষ আর সারকার তো আছেই।আমার পরিবারকে তারা দেখবে।তারা আমাদের পাশে দাঁড়াবে।

বেচারা আবার হেঁসে উঠে বললঃ হা হা হা।তুই তো বেটা কোন চুনোপুটি।দেশের বীরশ্রেষ্ঠ'দের ছেলারা আজ ফেরিওয়ালা কিংবা মুক্তিযোদ্ধা নিজেই আজ মুচি কিংবা ভিক্ষার থালা হাতে ঘুরে বেড়ায় আর ভাষা শহীদের ছেলেটি সেই ভাষা জ্ঞান আর শিক্ষার অভাবে আজকাল তাকে ইটের ভাটায় দেখা যায়। তাদের কেহ দেখে না আর তো তোকে।আবার ও হাসল।

তুই এদেশে জন্ম নিয়ে ভুল করেছিস কিনা সেটা বলতে পারি না। তবে দেখ যদি জার্মানী তে জন্ম নিতে পারছি তুই সারা বিশ্বের দ্বারা নিন্দিত "হিটলার" হলেও তোর নিজের জাতীর কাছে তুই নন্দিত "হিটলার" হয়ে থাকতে পারতি।কিংবা মোস্তাফা কামাল আতাতুর্ক এর দেশে জন্ম নিলেও হত।

আচ্ছা তুই তো সেই জাতী নামক মানুষ গুলোর জন্য ই লিখছি যাদের সামনে ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ ঘটেছিল। তাই না?
আরে সেই ২১ শে ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ থেকে সময়ের তফাত টা দেখেছিস বেটা। সময় বদলাছে না।এখন আর কেহ রাস্তায় নামে না।সবাই নিজের খেয়ে নিজের ভাবে।

যারা আবার নিজেদের নিয়ে চিন্তা না করে তোর মত বেশি বুঝে ২৮ শে অক্টোবর ২০০৫ রাস্তায় নেমেছিল,কি হয়েছিল তাদের দশা ভুলে গিয়েছিস।কিংবা ৫ই মে এর সেই রাত। বাদ'দে এই সব।সাগর বলেই যাচ্ছিল।

দেশের মানুষকে তো মিডিয়া যেভাবে বুঝায় সেভাবে তারা বুঝে।তাদের দোষ কি। আমি সাংবাদিক হলে এগুলো লিখব না।ঠিকটাই লিখব।সাহস করে আমি বললাম।

দূর বেটা।সাগর রুনী হতে চাস।৪৮ ঘন্টা'টা আজও শেষ হল না গো।কি লাভ বল।নিজের অবস্থান থেকে ভাল কিছু করতে চাস তো করতে পারিস কিন্তু মাঝে মাঝে যে সাগর রুনী কিংবা এস পি বাবুল আক্তারদের মত বলির পাঠা হতে হবে না সেই গ্যারান্টি কিন্তু আমি দিতে পারব না।

আর তুই তো দক্ষিন অঞ্চলের মানুষ।মরার পর লাশটাও মাওয়া ফেরিতে পচে যাবে,বুঝেছিস।যদি পদ্মা সেতুটা হত তাহলে অবশ্য পচা লাগত না। সেই ভরসা তো আর দেখি না রে। কি আর করার।

ভরসা দেখবি না কেন।পদ্মা সেতুর কাজ তো শুরু হয়েছে।আর এখানে কোন দূর্নীতি ও ছিল না।কানাডার আদালত তো সেটাই বলেছে।আমি বললাম।

তুই কি কানাডার আদলতে ছিলি নাকি বেটা।তুই তো তাদের থেকেই জেনেছিস সে মিডিয়ার কথা একটু আগে মাত্র বললাম।
আর পদ্মা সেতু তো হবেই।কাজ যেহেতু শুরু হয়েছে কেস্ট দা থাকতে শেষ না হইয়ে কোথায় যাবে।তবে সেটা কোন কেস্ট এর আমলে শেষ হবে সেটা ভাবতে হবে।

তবে ২০২১ বা ২০৪১ সাল অব্দি বেচে থাকলে ডিজিটালাইজেশন এর প্রক্রিয়া হিসেবে বর্তমান কেস্ট দা এর আমলেই দেখেতে পারিস।যদি ভাগ্য থাকে।

তবে হা।সেই অব্দি বেচে থাকলে যে তোকে আবার নব্য রাজাকার হিসেবে ফাসি দিবে না সেটা কিন্তু আমি বলতে পারব না।আর শোন তোর দোস্ত হই আর যায় হই না কেন, পড়া শুনা করে আমার ও যখন কোন কাজের সন্ধান হবে না,তখন ৩ বেলা বিরিয়ানীর জন্য কিংবা বড় ভাইদের লাইন আপ পাওয়ার জন্য আমি যে তোর ই বিচারের কিংবা ফাসির জন্য নতুন কোন চত্বর খুলে বসব না সেটা বলতে পারছি না।আর যদি মার্কেট পেয়েই যায় তবে আর ঠেকায় কে ।এক ধাক্কায় বড় লোকের জামাই হয়ে যাব গো।
হাসতে হাসতে বলছিল সাগর।

আর আমি যে রাজনীতি করব সেটা তো ঘোষিত।তবে কার দলে কখন থাকব সেটা আমি বলতে পারছি যে।বোঝনাই ব্যাপার টা।

আচ্ছা বাংলাদেশ যে আমাদের প্রিয় মুক্তিযুদ্ধের প্রিয় বন্ধুদের সাথে হাত মিলিয়ে দেশে এখন জঙ্গি দমনের জন্য ভারত আর বাংলাদেশের সেনাবাহীনী একটি চুক্তি করতে যাচ্ছে। আর সেখানে কিনা লিডিং এ থাকবেন ভারতের সেনারা।এ ব্যাপারে কি কিছু জানিস। আমি জানতে চাইলাম।

আরে ভাল তো সেটা।এখন ভারতের সেনাবাহীনী আমাদের দেশে ডুকবে আর এরপর ধীরে ধীরে সেখানের লোকজন আর একটা পর্যায়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মত আমাদের ও ভারতের সাথে যুক্ত করে নিবে।ভাল না এটা!
তখন বিনা ভিসাতেই ভারত যেতে পারবি।আহ!কত বড় ভারত। ঘুরবি ফিরবি, আরো কর কি। আর চিন্তা করতে পারিস,তোর আম্মুর প্রিয় হিন্দি সিরিয়াল গৌড়ি কিংবা তোর প্রিয় নায়ক সালমান খান আর তুই একই দেশের মানুষ হবি।ভাবতেই কি ভাল লাগে। তাই না(?) আরো কত কিছু যে আছে সেখানে।আর দাদা বাবুদের আদরে দেয়া সেই অর্ধেকটা ডিম পুরোটা ভাগাভাগি করে খেয়ে সেই লেভেল এর মজা পাবি যে।
কথাগুলো টিটকারীর ছলেই বলছিল সাগর।

আমাদের দেশের মানুষ গুলো সত্যিই যেন প্রতিবাদ করতে ভুলে গিয়েছে।আমি বললাম।

আচ্ছা বাদ দিলাম আমাদের সাধারন মানুষের কথা অন্তুত আমি একজন মুসলিম হিসেবে আমার দেশের মুসলিম গোষ্ঠি গুলোর পাশে আমার থাকা দরকার।তাই না? আমার প্রশ্ন।

আচ্ছা তুই আমাকে বল যখন ভেতরের কিতাব গুলোতে লিখা আইন গুলো যথাযথ
ব্যবহার হচ্ছে না।
শাসক গন তাদের ইচ্ছে মত দেশের আইন আর বিচার ব্যবস্থাকে ভুলে গিয়ে রাজার নীতিতে বিচার করে সেই বিচারালয় এর সামনে কুরআন এর ছবি থাকল নাকি কারিনা কাপুর এর মূর্তি থাকল তাতে কি আসে যায় বল? আর এই হুজুর গুলো কাজের কাজ কিছু নেই ভেতর টা ফেফে ফুলে নষ্ট হচ্ছে আর উপরের সেই মূর্তির জন্য জীবন দিয়ে দিচ্ছে।
আর সেই হুজুরদের জন্য কাজ করবি! "আমিন" না লিখে যাবে না ।আমিন লিখলে আপনার রোগ মুক্তি হবে আর না লিখলে আপনার অমুক টা হারাবেন।এই জাতীর মানসিকতা আর চিন্তার খোড়াক নিতে বেড়ে ওঠা গোষ্ঠি জন্য লড়াই করে তাদের কি বা এনে দিতে পারবি।

যারা আজও মানুষ তার বাড়ির গাছের পাকা পেপে টা নিজের মাকে না দিয়ে হুজুর কেবলা কে এনে দিলে আর সেই হুজুর খেয়ে দোয়া করে মুরিদ কে জান্নাতে পাঠিয়ে দেয়। এদিকে মা এত দিন কষ্টে কষ্টে পেপেটি পাহারা দিয়েছে যেন পাখি না খায়।আর ছেলেটী হুজুরের জন্য নেয়ার সময় মা দু ফোটা জল ও ফেলেছিল কিন্তু ছেলে সেটা দেখে নাই। সেই চিন্তার হুজুর কেবলাদের জন্য তুই কাজ করবি?

যারা কিনা আজও মনে করে তাদের দরবারে টাকা দিলে রোগ মুক্তি মিলে।ডাক্তারের কোন কাজ নেই সেই মানুষ দের জন্য লড়াই করবি?

লিল্লাহ বোডিং এ একটি গরু কিংবা ভেড়া দান করে মসজিদে দাঁড়িয়ে লেকচার দিলেই মানুষগুলো গ্রামের ছেচ্ছোর (অনেক খারাপ টাইপের মানুষ) মেম্বার চেয়ারম্যান কিংবা এলাকার এম পি সাহেব কে জান্নাতের সাথী করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুরিদ বানিয়ে নেয়। ভাল মানুষের তাজকিয়া(সার্টিফিকেট) দিয়ে দেন,তাদের সাথে নিয়ে বা তাদের জন্য সংগ্রাম করলে তো তুই সবার আগে মারা পরবি।

বাদ'দে এসব।নিজের লেখা পড়া কর আর বাবা মায়ের সেবা কর।ভুলে যা এই সব দেশ সেবা আর নীতি কথা।আমি গেলাম।
আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই চলে গেল সাগর।

এবার আমি ভাবছি।ওর কথার গুলোর যৌক্তিকতা আর অযৌক্তিকতা।খুব একটা অযৌক্তিকতা খুজে পেলাম না।
হঠাৎ একটু আগে করা হিসেবের কাগজটার দিকে তাকালাম।আর ফলাফলটা কেটে দিলাম।যোগ বিয়োগ টা এখন না ।২০২১ বা ২০৪১ এরপর করব।কারন এই গনিতকে রানিং অংক বলে।এর উপকরন কেবল বাড়তেই থাকবে।
তবে হা ধর্মের নামের এই "আমিন" গ্রুপের হিসেব টা শুরু করি নাই।আর করবও না ভাবছি।কারন এই গোষ্ঠির হিসেব কিয়ামত এর আগের দিন অব্দি রানিং থাকবে ।তাদের উপকরন শেষ হওয়ার।যদি আল্লাহ হেদায়াত না দেন।আর আমি সে অব্দি থাকব না সেটা বলাই যায়।আর এই হিসেবে তাই আমার দ্বারা করা গেল না।দুঃখিত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.