নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাধারন একজন মানুষ,যে কিনা পৃথিবীর মানুষ গুলোকে হাসতে দেখলেই হাসে,আর কারো কান্না সহ্য করতে পারেন না। তবে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে ভুল করেন না।
আমার স্ত্রীর পাসপোর্ট করতে দিয়েছি এই মাসের শুরু দিকে। যথাযথ সব পূর্ন করে আবেদন জমা দেয়া হল। ডেলিভারি দেয়ার দিন আগামী মাসে। সাধারন ভাবেই পুলিশ বিভাগ থেকে ভেরিফিকেশন আসবে। সেটা দেশে এবং ঢাকায় তার অবস্থানে।
আজ ঢাকা পুলিশের SB থেকে ফোন দেয়া হল। আমি সহ আমার স্ত্রীকে যেতে বলা হল। আমি খবর পেয়ে আমার আব্বু, যিনি নিজেও একজন পুলিশ অফিসার, তাকে ফোন দিলাম। আব্বু ভদ্রলোকের সাথে কথা বলল। আমাকে আব্বু জানাল, "কোন সমস্যা নেই। উনি আমাদের সব কিছু চিনে, আমি কথা বলেছি। আর কোন টাকাও দেয়া লাগবে না"। পাসপোর্ট এর আবেদন এর জন্য দেয়ার টাকার বাহিরে দেয়া কোন টাকাই অন্যায়। যা এখন নিয়ম-ই হয়ে গিয়েছে।
সেই পুলিশই বলেছে, যে আপনার থেকে কিভাবে টাকা নেই স্যার। শুধু কিছু ডকুমেন্টস লাগবে। সেটা দিয়ে গেলেই হবে। আমার মামা শ্বশুর এবার তার সাথে কথা বলে সব পেপার নিয়ে গেলেন। বাহিরে প্রচুর বৃষ্টি থাকার পরেও গেলেন। মূলত ৫ টার পরেই এই সব অফিস বন্ধ হয়ে যায়। তবুও রাতেই ডেকে নিলেন। আগে টাকা নিবেন না বলেও টাকা দাবী করলেন। ৫০০ দিলে সেখানে ১০০০ চাইলেন।
৫০০ নিয়ে ৫০০ টাকা ফোনে দিতে বললেন। নইলে নাকি রিপোর্ট ভাল দিবেন না। যদিও আমার স্ত্রীর খারাপ দেয়ার মত রিপোর্ট মিথ্যেই বানাতে হবে তাদের।
সম্পুর্ন ঘুষের টাকা। সাথে এটাও বলে দিলেন যে, দেশেও যাবে পুলিশ। সেখানেও তাদের খুশি করে দিয়েন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে দেশের মানুষকে চাপ দিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে হেনস্তা করার বিষয়ে কতৃপক্ষ কি কোনদিনই কোন ব্যবস্থা নিবেন না? মানুষ কি কোন দিনও জানতে পারবে না এই জাতীইয় হেনস্তা করলে কোথায় যেতে হবে?
এই হেনস্তার বিষয়ে পদক্ষেপ কি ডিজিটাল বাংলাদেশের আওতায় মধ্যে কোনদিনও আসবে না?
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪১
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সময়ই সেটা বলে দিবে।
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: এই টাকা ভিক্ষা মনে করে দিয়ে দিবেন।
কোনো উপায় নাই। দিতেই হবে।
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১২
মৃত্যু হবে একদিন বলেছেন: একই অভিজ্ঞতা আমার নিজের ও আছে। আপনার ১০০০ টাকায় হয়েছে আমার ৫০০০ হাজার অপরাধ একটায় আমি মাদ্রাসার ছাত্র ছিলাম।
৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭
বিবেকহীন জ্ঞানি বলেছেন: আমিও একই পরিস্থিতির শিকার হলাম।
যাই হোক একটা সাহায্য চাচ্ছিলাম।
আমাদের পাসপোর্ট এ এলাকার নাম আর স্থানীয় এলাকার/পোস্ট অফিসের নাম ২ রকম।এটা নিয়ে কি ইউএসএ ইমিগ্রেশন এ সমস্যা হবে?বা অন্যান্য কোন সমস্যা হবে??
৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনি কি বোকা নাকি? নিজের বাবা পুলিশ থাকার পরও কেন টাকা দিতে গেলেন? টাকা না দিলেও ওরা পাসপোর্ট বানাবেই - এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে দেরি হতে পারে। এই ব্লগেই কয়েকজন তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলেন। ওদের টাকা না দিয়ে সঠিক পেপার সাবমিট করুন। দেখবেন কাজ হয়ে যাবে। আর আর্জেন্ট লাগলে কুত্তার বাচ্চাদের ১০০০ টাকা দিবেন আর কী!...
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫১
পথিক৬৫ বলেছেন: ১, নিজেকে বোকা মনে হয় না। ২, কেন দিতে হইয়েছে সেটা লিখেছি। ৩, তারা দেরিতে বানিয়ে আমাদের টাইমের পরে দিলে আমাদের সমস্যা। আমাদের কাছাকাছি সময়ের মধ্যে দরকার।৪, ভুল বা বেঠিক কিছুই সাবমিট করা হয় নাই।৫, সেটাই করা। সাথে গালি
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: এই অভিজ্ঞতা আমার জন্য নতুন নয় তবুও সহমর্মিতা জানাচ্ছি। আমেরিকার পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করেছিলাম কোন এক পোস্ট অফিস থেকে। নির্দিষ্ট ফি আর এ্যাপলিকেশন জমা দিয়েছি, পাসপোর্ট বাসায় এসেছে কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে বাংলাদেশের জন্য অপার মায়া আর ভালোবাসা সত্ত্বেও এইসব ছ্যাঁচড়ামির কারণেই আর কোনদিনও বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করবো না আর আল্লাহও যেন না করায়।