নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাধারন একজন মানুষ,যে কিনা পৃথিবীর মানুষ গুলোকে হাসতে দেখলেই হাসে,আর কারো কান্না সহ্য করতে পারেন না। তবে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে ভুল করেন না।
২০০৮ সালের কথা। ছারছীনা মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেনীর ছাত্র। একদিন আছরের নামাজ শেষে বরিশালী হুজুর মাইকে জানালেন দোয়ার পর সবাইকে বসতে হবে, বিচার আছে।
সত্যি বলতে সেই বয়সে বিচারটা নিজের নামে হলে দেখতে ভালই লাগে। দোয়া শেষ করে কলারদোয়ানীয়া হুজুর দাঁড়িয়ে ১ জন ছাত্রকে ডাকলেন। যাকে ডাকলেন তারই বিচার হবে আজ। তিনি নিজেও সেটা জানতেন,কারন আগে থেকেই জানিয়ে দেয়া হয় এই সব বিচারের কথা।
ছাত্রটি সামনে আসল। লম্বায় হুজুরের সমান। হুজুর নিজেও বেশ লম্বা ছিলেন৷ ছাত্রের দাড়ি আর হুজুরের দাড়িও সমান লম্বা। জামাটা হুজুরের ছিল সাদা আর ছাত্রের ছিল গাড় আকাশী। বয়স হুজুরের থেকে ৫-৬ বছর ছোট। ছাত্রটি কামিলের ছাত্র। বাংলিশে বুঝালে মাস্টার্সের ছাত্র।
হুজুর ছাত্রটির অপরাধ ঘোষনা করে আমাদের জানালেন। এই ছাত্র, ৬ দিন আগে বাড়িতে গিয়েছিল ছুটি নিয়ে। বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করেছে। বিয়ের সুবাধে তাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নোকিয়া ১৬০০ মডেলের একটা ফোন উপহার দিয়েছে। ভদ্রলোক সেটা নিয়ে ছুটি শেষে মাদ্রাসায় এসেছেন। এনে নিজের তোষক কেটে তার মধ্যে লুকিয়ে রেখেছেন। রাতে বের করে একটু বউয়ের সাথে কথা বলেন।
প্রসংগে; মাদ্রাসায় তখন যে কোন ছাত্রদের মোবাইল চালানো নিষিদ্ধ।
ভদ্রলোকের এই মোবাইল লুকোচুরির কথা জেনে যায় কোন এক গুপ্তচর। মাদ্রাসায় হুজুরদের গুপ্তচর থাকে। আপনার পাশের জনও সেটা হতে পারে।
যাইহোক, মাঝরাতে যখন তিনি ঘুমাচ্ছিলেন তখন ৩-৪ জন হুজুরের একটা দল তার রুমে প্রবেশ করে। যখন বউয়ের সাথে কথা বলছিলেন তখনই হাতে মোবাইল সহ ধরে ফেলে। মোবাইলটি হুজুরেরা নিয়ে যায়। আর জানিয়ে যায় যে, আগামীকাল আছরের পর বিচার হবে। মানে আজ এখন সেই বিচার হচ্ছে।
ভদ্রলোকের এই বিশাল অপরাধনামা শুনে সবাই এটা ভেবে হাসছিল যে, "ইস বউয়ের সামনে কি লজ্জা!" যারা এই লজ্জা দিত তাদের নিয়ে কেউ মন্তব্য করলেন না।
কলারদোয়ানীয়া হুজুর শাস্তি ঘোষনা করলেন। তাকে ৫০ টা জোড়া বেতের আঘাত করা হবে। কলারদোয়ানীয়া হুজুর বিচারের এই সুযোগটি লুফে নিতে বরিশালী হুজুরকে অফার করলেন। উনি ইমামতির জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে ছাত্রটির দুই হাতে হিসেব করে ৩৫ টা বেত মারলেন৷ এবার উনি ক্লান্ত। উনি আবার অফারটি ফিরিয়ে দিলেন কলারদোয়ানীয়া হুজুরকে। ২ জন মিলে শাস্তির পুরো ডোজ বাস্তবায়ন করে, এই বিচার দিয়ে হাজারও ছাত্রকে শিখানোর তৃপ্ত নিলেন। ভদ্রলোক ছাত্র বড় হওয়ায় শরীরের আর কোথায় বেত নিতে চাইলেন না। শুধু হাতে জোড়া বেত খেয়ে বসে পড়লেন।
গল্পটা শুধু এটা বুঝাতে লিখলাম যে, আসলে এই বিচার শুধু ছোটদের না। নিয়মের নামে একটা সদ্য বিবাহিত ছেলের প্রতিও করা হয়। সেদিন কেহ তার মানবিক দিকটা চিন্তা করে নাই। উল্টো আমি দেখেছি বেত খাওয়া ভাইটি যখন অযু করতে আসতেন তখন অনেকে আংগুল তুলে দেখাতেন আর এটা বলে মুচকি হাসতেন যে," ওই দেখ বউয়ের সাথে কথা বলতে গিয়ে মাইর খাইছিল এই লোক"। অনেকে অবশ্য সহানুভূতিও দেখিয়েছিল।
কথা হচ্ছে নিয়মের নামে এইসব নির্যাতন আসলে নতুন কিছু না। আমরা জাতী হিসেবেই মূখ ভাংচিতে বরাবরই ভাল। তবে আজ মোবাইল আছে। মানুষ ভিডিও করে বিধায় আমাদের সামনে আসে। ভিডিও ছাড়া যে কত কিছু ঘটে যায় এই জগতে!
প্রতিষ্ঠান গুলোতে সিসি টিভি এখন সময়ের দাবী। আর হা; যারা বাবা-মা তারাও ছেলেকে মাদ্রাসায় রেখে আসার সময় হুজুরকে " হুজুর মাংস সব আপনার, আমাকেই হাড় গুলো দিলেই হবে" এটাও বলে আসবে না। আমার আমার জন্যও বলেছিল। আবার অনেকদের ক্ষেত্রে বলতেও শুনেছি।
ভাল থাকবেন।
২| ১১ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:০৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সবার জন্য এক ধরনের শিক্ষা থাকা ভালো।
১১ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:২৯
পথিক৬৫ বলেছেন: না। শিক্ষার নানান দিক থাকা খারাপ কিছু না। তবে সুবিধাগুলো সমান হওয়া উচিত।
৩| ১১ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: শক্তভাবে তদারকি করা দরকার । থানা পুলিশ, অভিভাবক, কমিটি সবাইর নজর দেওয়া উচিত
৪| ১১ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৩৫
জাহিদ হাসান বলেছেন: অনেক বছর ধরে বলে আসছি, আমার নিজের জীবনে কওমী মাদরাসা ও আলিয়া মাদরাসায় পড়াশোনার অভিজ্ঞতা থেকে-
বাংলাদেশ থেকে কওমী মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা তুলে দিন। এর বদলে আলিয়া মাদরাসার বেশি প্রচার ও প্রসার করুন।
কওমী মাদরাসাগুলো দখল করে সরকার আলিয়া মাদরাসা বানাক। যার পরিচালনা করবে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড।
কেউ কানেই তুলে না। দেশটা আফগানিস্তান হওয়ার পরে এদের বোধোদয় হবে ।
৫| ১১ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
হুজুরেরা মাদ্রাসার গ্রেজুয়েট, মাদ্রাসায় পড়লে মানুষের কমনসেন্সও বিলুপ্ত হয়ে যায়।
৬| ১১ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্হা হচ্ছে, সমাজে বেকুব সৃষ্টির কারখানা গড়া
৭| ১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: মাদ্রাসা শিক্ষা অফ করে দেওয়া দেশের জন্য মঙ্গল।
৮| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ২:০৬
ডাব্বা বলেছেন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেকোনো ধরনের শারীরিক শাস্তি প্রদান বিলুপ্ত এবং একে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এসব নির্যাতন বন্ধ করার জন্য প্রশাসনকে উদ্যেগ নিতে হবে