নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুজুকি জিক্সার (Suzuki Gixxer) একটি অসাধারন রাজকীয় বাইক। এই মোটরসাইকেলটি যেমন দ্রুত গতির ঠিক তেমনি এক ব্রেকিং সিস্টেমও অসাধারন। বাংলাদেশে যতগুলো গুড লুকিং বাইক রয়েছে তাদের মধ্যে সুজুকি জিক্সার আমার চোখে সেরা। সুজুকি জিক্সার মুহূর্তের মধ্যে আপনার পার্সোনালিটির পরিবর্তন করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক সুজুকি জিক্সার এর বিস্তারিত:
মোটরসাইকেলটির লুকিংঃ আমার কাছে বাইক কেনার আগে একটি গুড লুকিং বাইক পছন্দ করা খুব জরুরি। এর লুক আমার মতে খুব সুন্দর এবং সহজেই তরুন বাইকারদের আকর্ষিত করতে পারে। তাছাড়া বাইকটিতে বসেও সামনের দিকে একটা সুন্দর লুক পাওয়া যায় । অনেকেই জিক্সারের সুন্দর লুক দেখেই প্রথমে এটা কিনেছেন।
ইঞ্জিন পারফর্মেন্স এবং সাউন্ডঃ সুজুকি জিক্সার ইঞ্জিন অনেক বেশি রিফাইন এবং শক্তিশালী। ১০০ কিমি চালালেও এই বাইকের কোন ইঞ্জিনে ভাইব্রেশন হয়না। একেবারে অবাক করার মত ঘটনা । যতদিনই চালান না কেন কোনদিনও ভাইব্রেশন কি জিনিষ টেরও পাবেন না।
সুজুকি জিক্সারের রয়েছে ১৫৪.৯ সিসি একটি একক ওভারহেড ক্যামশফ্ট (SOHC) ইঞ্জিন। ১৪.৮ ব্রেক হর্স পাওয়ারের সাথে রয়েছে ১৪ ন্যানোমিটারের টর্ক যা মোটরসাইকেলটিকে করেছে শক্তিশালী। সুজুকি জিক্সারের রয়েছে ৮৫০ মিঃলিঃ ইঞ্জিন ওয়েল ধারন করার ক্ষমতা। এর একটি স্বচ্ছ গ্লাস উইন্ডো রয়েছে যা ইঞ্জিন ওয়েল এর লেভেল দেখায় এবং এটি ইঞ্জিন ওয়েলের পার্ফেক্ট রিডিং পাওয়ার জন্য খুব উপকারী ।
আর সাউন্ড এর কথা কি বলবো। ইঞ্জিনের সাউন্ড ভালো তবে হাই আর পি এম এ ইঞ্জিনের গ্র্যান্টি সাউন্ড চমৎকার ফিল দেয়। আপনি যখন জিক্সার স্টার্ট দিয়ে এর সাউন্ড শুনবেন তখনি বুঝতে পারবেন এটা কতটা পাওয়ারফুল বাইক। নরমাল মিস্টি সাউন্ড নয় এটির, বরং বেশ লাউড আর থ্রটি সাউন্ড। আমার মতে সুজুকি জিক্সার এর মত সেরা সাউন্ড আর কোন বাইক এর নেই।
আর যখন থ্রটল ঘুরাবেন তখন দেখবেন মুহূর্তেই স্পীড ৬০কিমি +। প্রথম প্রথম আপনি এক স্পীড দেখে অবাক হবেন এই বাইক কিভাবে এত দ্রুত স্পীড তোলে? অনেক পাঞ্চি এর পাওয়ার ডেলিভারি। যখন যেইখান থেকেই, যেই গিয়ার থেকেই থ্রটল ঘুরাবেন, টের পাবেন যে কি হচ্ছে।
রাইডিং কম্ফোর্টঃ সুজুকি জিক্সার সত্যি সত্যিই অনেক কম্ফোর্টেবল একটি বাইক । আপনি একবারের জন্যও ডিসকম্ফোর্টেবল ফিল করবেন না। ব্যাক পেইন,আর্ম পেইন এগুলো কোনদিন আপনার ধারের কারছও ভিড়বেনা। এটার ইঞ্জিন ভাইব্রেশন ও অনেক কম হওয়ায় কারণে এটি সবচেয়ে কম্ফোর্টেবল একটি বাইক।
মাইলেজঃ সুজুকি জিক্সারের মাইলেজ হাইওয়েতে গড়ে প্রায় ৫০কিঃমি/লিটার । এছাড়া সিটি রাইডিং এ ৩৮-৪০ কিঃমিঃ/লিটার অনায়াসে পাওয়া যায়। এটা অনেক সন্তুস্ট হওয়ার মতই একটি ব্যপার।
স্পিড এবং এক্সালারেশনঃ আমার পরিচিত অনেকেই জিক্সারের টপ স্পিড ১২৮ কিঃমিঃ/ঘন্টা তুলতে সক্ষম হয়েছে। এটার এক্সেলারেশন চমৎকার ও খুব দ্রুত গতি তুলতে পারে।
ব্রেকিংঃ একটা বাইকের সবথেকে বড় গুন হলো এটার ব্রেকিং সিস্টেম। কেননা আপনি যত দ্রুত গতিতে ছুটবেন আপনার ব্রেকিং ক্ষমতা তত ভালো মানের হতে হবে। আর সুজুকি জিক্সারের ব্রেকিং সিস্টেম যঠেষ্ঠ ভালো। অনেক দ্রুত গতি নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম। ভালোব্রেকিং এর জন্য ভালোমানের ফ্রন্ট শক এবজর্বার, ডিস্ক, টায়ার, পেছনে মনোশক, মোটা রিয়ার টায়ার ইত্যাদি এটিকে সমৃদ্ধ করেছে ।প্যানিক ব্রেকিং এর সময়ও এটি অনেক ভালো সাপোর্ট দেয়।
সাস্পেনশনঃ এই বাইকের সামনে দুটি টেলিস্কোপিক সাস্পেনশন রয়েছে আর পিছনে রয়েছে এডজাস্টেবল মনোশক সাস্পেনশন। এর কারণে হাইওয়ে রাইডিংয়ে এটি অনেক কম্ফোর্ট ।
টায়ারঃ ১০০/৮০ ফ্রন্ট এবং ১৪০/৮০ ব্যাক টায়ার রাইডিং এ আপনাকে দিবে অসাধারন স্টাবিলিটি এবং কর্নারিং পাওয়া যাবে আলাদা কনফিডেন্স।
দামঃ ২০১৭ সালের বাংলাদেশে বাজার অনুসারে সুজুকি অনুমোদিত সকল শো-রুম থেকে সুজুকি জিক্সার মোটরসাইকেল টি কিনতে পারবেন মাত্র ২,২৪,৯৫০/= টাকায়।
পরিশেষে একটি কথাই বলব বিভিন্ন ফিচার, সুবিধা, স্টাইলিস আর গুড লুকিং বিবেচনা করলে এই সুজুকি জিক্সারের তুলনা হয়না।
আপনি চাইলে দেখে নিতে পারেন এক নজরে বাংলাদেশের সকল মোটরসাইকেলের মুল্য তালিকা ২০১৭।
Motorcycle Price in Bangladesh
সৌজন্যে মোটরসাইকেলবিডি.কম
©somewhere in net ltd.