নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"Diversity is the whole point of a garden."
উপরোক্ত কথাটি ধার করা। গ্রেট স্কিলে মাপলে আমার সব কথাই কোন না কোন সোর্চ থেকে ধার করা। তবে আমার লেখা অনুচ্ছেদের সমস্ত জুড়ে হাইপোথিসিস অনুপস্থিত সেটাও পুরোপুরি আমি মেনে নিতে চাই না।
যখন একতায় সমস্যা আসে তখন ইউনিফর্মিটিতে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। উদাহরণস্বরূপ একটি বাগান কল্পনা করা যেতে পারে। একটি ফুলের বাগানে নানা রকমের ফুল থাকতে পারে যেমন, গোলাপ, টিউলিপ, ডালিয়া, অর্কিড, সূর্য্যমুখী ফুল, লিলিফুল, ডেফোডিল, প্যারোট বীক, ব্লীডিং হার্ট, চেরি ফুল, গাঁদা ফুল, ক্যামেলিয়া, জবা ফুল ইত্যাদি। ইউনিফর্মিটি তে এই বৈচিত্রতা অবশ্য থাকবে। কিন্তু এত ফুলের সরব উপস্থিতি একটি ফুলের বাগান পয়েন্ট করবে।
এখন এই বিষয়টি যখন মানুষের সাথে ঘটবে তখন কিন্তু কিছু গড়বড় ঘটবে। কারণ ফুলের চিন্তাশক্তি বা কথা বলার ক্ষমতা নেই, মানুষের তা আছে। ফলে ইউনিটি তে বাত্যয় ঘটবে এবং ইউনিফর্মিটি ব্যর্থ হতে পারে। মানব সমাজে ইউনিফর্মিটির উদাহরণ হলো, চার্চ, মসজিদ, মন্দির, ক্লাব, সমিতি, সংগঠন বা ধরুন একটি রাজনৈতিক দল ইত্যাদি। এরা একই ধরণের চিন্তা বা কথা না বলুক অন্তত বৃহত্তর স্বার্থে এরা একই ধরণের আচরণ করে থাকে বা একই ধরণের আচরণ করতে বাধ্য থাকতে হয়।
• এখন "একতা" এর সংজ্ঞা কি একজন মানুষের সাথে অন্য একজন মানুষের সাথে মিলবে? অবশ্যই না।
• এটা আমাদের মধ্যে থাকা এক ধরণের তীব্র প্রবণতা। সহজ বাংলায়, আমরা যখন একই ধরণের চিন্তাশক্তি সম্পন্ন ও কাজের দক্ষতা সম্পন্ন মানুষকে খুঁজে পাই তখন একটি গ্রুপ খুলে বসি। এবং এমনটাই বলছে মানুষের পুরো ইতিহাস জুড়ে।
• কেউ কোন রাজ্যের বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যদি যুদ্ধ করতে চায় তখন দেখা যায় সেক্ষেত্রে তার শক্রপক্ষ এবং মিত্রপক্ষ উভয়েই উপস্থিত থাকেন বা হাজিরা দেন। এটা কীভাবে ঘটে? হ্যাঁ, এটাই হলো সংগঠিত হওয়ার তীব্র প্রবণতা যাকে ভিন্ন অর্থে আমি ইউনিফর্মিটি বলছি।
• এতে করে ঐ নির্দিষ্ট গ্রুপ তার সদস্যদের মানসিক ও শারীরিকভাবে সাপোর্ট ও শক্তি যোগান দিয়ে থাকে। এবং একটি কমফোর্টেবল পরিবেশ তৈরি করে। পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তির বিকাশও ঘটে।
• শুধু তাই নয়, এটি আমাদের সুরক্ষা ব্যবস্থাও নিশ্চিত করে থাকে। কাজেই আমাদের মধ্যে যে, তীব্র প্রবণতার কথা বলছি সেটা ঐ কমফোর্ট অঞ্চলে থাকার লোভ থেকে জন্মায়।
শুধু "একতা" দিয়ে ইউনিফর্মিটির উদ্দেশ্য সফল করা সম্ভব নয়। ইউনিফর্মিটি ঐ ইউনিটি কে ব্যবহার করে তাদের নিজস্ব ভিশন ও মিশন সম্পন্ন করবে। সুতরাং ঐ ইউনিটি যদি কাজের নাও হয় তারপরেও ইউনিফর্মিটির উদ্দেশ্য প্রতিষ্ঠা করতে সফল হয় তবে ইউনিটি এক্সিট নিলে নিতেও পারে, মানে এক্ষেত্রে দরকার নেই বলছি। অবশ্য এতে করে উক্ত সংগঠনের রাম্প্যান্ট হ্যাশলের শিকার হওয়া লাগতে পারে। সুতরাং ইউনিটি কখনোই ইউনিফর্মিটি নয়, কিছু দৈর্ঘ্য পর্যন্ত দরকার থাকলে থাকতেও পারে।
ইউনিফর্মিটি নিয়ে মোটাদাগে আমার ব্যক্তিগত কোন সমস্যা নেই। কিন্তু কোথাও না কোথাও এই কনসেপ্ট গিলতে পারিনি আজও। যদিও সমাজে বাস করতে গেলে এটি পালন করা অপরিহার্য হয়ে যায়। যাইহোক, ইউনিফর্মিটির সাথে যেসব সমস্যা জড়িত বলে আমার মনে হয়,
• প্রথমেই আপনার ব্যক্তি স্বাধীনতা কেড়ে নিবে। ধরুন, আপনি কোন সংগঠনে আছেন তাহলে সংগঠনের বিধিনিষেধ আপনাকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। প্রশ্ন হলো, সেই মুখোশ আপনার নাও পছন্দ হতে পারে অথবা হলেও পুরোপুরি কখনোই হবে না।
• ডিসিপ্লিনড্ হওয়া শেখাবে। কিন্তু কাদের দেয়া সেই ডিসিপ্লিন? হ্যাঁ, অবশ্যই সেই সংগঠনের ডিসিপ্লিন যা আপনাকে প্রতি মূহুর্তে ঘড়ির কাঁটা দেখে চলতে বাধ্য করাবে।
• তারা অনেকক্ষেত্রে অতীতকে ভবিষ্যতে রি-প্ল্যান্ট করতে চাইবে। মানে গতানুগতিক ধারা আঁকড়ে ধরার তীব্র ইচ্ছে। আপনি একটু অনুসন্ধানে নামলেই সেটা খুঁজে পাবেন। ফলে ইউনিফর্মিটির বিশাল বড় শক্তির কাছে আপনার নতুন ব্যক্তিগত আইডিয়া গ্রহণযোগ্য না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
• তারা বলবে প্রকৃতি আমাদের এক হতে ডাকছে। তুমি কি স্রষ্টার ডাক শুনতে পাচ্ছো না? অথচ, আপনি কে? এবং আপনার স্রষ্টা কে? এসব আবিষ্কার করার অধিকার একচ্ছত্র মালিক শুধু আপনি। যা ইউনিফর্মিটি করতে দিবে না। বরং উল্টো ওদের নিজস্ব নর্ম আগে থেকেই প্রেসক্রাইবড্ করা আছে। ইতিহাসও এর ভিন্ন কিছুই বলছে না।
• মানুষ কিন্তু সামাজিক ও রাজনৈতিক জীব। আমি এই কথায় অনেক বেশি কনভিন্সড্। সুতরাং ওরা নিজের স্বার্থের জন্যে ইতিহাস পাল্টে দিবে। হাতে কিছু কনভিন্সিং নোট ধরে দিবে। আপনি যদি সমস্তটা সত্যি মনে করেন তাহলে মৃত ব্যক্তির কাছে কোনকিছু যেমন আশা করা যায় না ঠিক তেমনি আপনার অবস্থাও তেমন হবে।
• বাধ্য করবে দমিত বা নম্র হতে অথবা হিস্র হতে। পোষাক পরতে এবং সাথে ব্যাজ পরতে। সত্য চোখের সামনে দেখেও বলতে পারবেন না, বলার জন্য আপনার মুখটি ডেমোক্রেটিক হয়ে যাবে। যা অত্যন্ত ভয়ংকর।
ইউনিফর্মিটি নিয়ে এই ছোট্ট অনুচ্ছেদে পুরোপুরি নিজের মতামত জানানো প্রায় অসম্ভব। আবার ইউনিফির্মিটির যে দরকার নেই বা আবশ্যকতা নেই তা বলেও এই তর্কে জেতা যাবে না। ব্যক্তি তার পারিপার্শ্বিকতার সাথে ভয়ানক ভাবে কানেক্টেড। বিচ্ছিন্ন হতে গেলে "সন্ন্যাস" শব্দটি মাথায় আসে। কিন্তু আপনি কীসে কনভিন্সড্ হবেন সেটার অধিকারও আপনার নিজের। যদিও এই অনুচ্ছেদে আমি প্রায় ব্যর্থ হয়েছি আমার মতামত সম্পূর্ণ তুলে ধরতে। আর আমার লেখায় ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকলে কমেন্ট বক্স সেজন্য উন্মুক্ত রইলো।
আর যাদের কাছে এই শব্দটি নতুন তাদের জন্য কিছুটা চিন্তার খোরাক হতেও পারে।
ধন্যবাদ
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মতো আমিও বলতে চাই- ইউনিফর্ম নিয়ে আআম্র ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: মাল্টি কালচারালিজমের যুগ স্যার এখন। ক্রুড ন্যাশনাল রেজিস্টেন্সের ওয়াক্ত ছাড়া বাদবাকি সবসময়ই ইউনিফর্মিটির জবরদস্তী রেসিজম ডেকে আনে। ৭১ এর প্রেক্ষিতে "তুমি কে? আমি কে? বাঙ্গালী! বাঙ্গালী!" - খুবই প্রাসঙ্গিক একটা শ্লোগান ছিল। কিন্তু ২০২০ সালে একই শ্লোগান দিতে দিতে আগামীকাল পাহাড়ে অস্ত্র হাতে সান্ত্রী পাঠায়ে দেয়া সম্ভব। ইউনিফর্মিটির লাড্ডু যে বা যারাই খাওয়াইতে আসেন, তাঁদের দিকে সতর্ক দৃষ্টিতে তাকানো উচিৎ বলে মনে হয়।
দেখা যাক বাকিরা কি মতামত দেন।