নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথানুবর্তিতা(Conformism) হলো, প্রতিষ্ঠিত বিধিমালা সমূহ মেনে চলার মতবাদ এবং এমন একজন ব্যক্তিকেই Conformist বলা হয়। এটিকে আবার সংস্কারবাদ বা Reformism এর সাথে গুলিয়ে না ফেলাটা শ্রেয় হবে কারণ সেটি ভিন্ন আলোচনা।
বর্ধিত সংজ্ঞায় যে পয়েন্টগুলো যুক্ত করতে যাচ্ছি,
• Conformist হলেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি পূর্বের প্রতিষ্ঠিত রীতিনীতি, পছন্দ-অপছন্দ, সংস্কার, মনোভাব, সংস্কৃতি, আচরণ, বিধি ইত্যাদি মেনে চলেন।
• Conformist ব্যক্তিরা পূর্বের প্রতিষ্ঠিত আদর্শও মেনে চলেন।
• Traditionalist শব্দটি Conformist শব্দটির প্রায় কাছাকাছি এবং অনেক ক্ষেত্রে একই।
• এই সম্পর্কে একটি বিখ্যাত উক্তি প্রচলিত আছে সেটি হলো,
"যখন অনেক মানুষ কোন একটি বিষয়কে অনুসরণ করবে তখন আপনারও ইচ্ছে করবে সেটিকে অনুসরণ করার। এজন্য আপনাকে Conformist হবার প্রয়োজন পড়বে না। বরং অনেক মানুষ বুঝে না বুঝে সেটি অনুসরণ করে যাচ্ছেন তাই আপনিও দূর্ভাগ্যবশত সেটি অনুসরণ করবেন।"
- ক্যাস আর সানস্টেইন
• Conformist ব্যক্তিরা কনফার্মড্ হওয়ার পলিসি পান মেজোরিটি যা বলছে বা করছে তাই থেকে। মাইনোরিটি যারা আছেন তাদের ক্রিয়াকলাপকে তারা তাচ্ছিল্যের সাথে বা অবজ্ঞার সাথে দেখে থাকেন।
একটি হাস্যকর উদাহরণ মনে পড়লো,
"বিয়ের জন্য গায়ে-হলুদ অত্যাবশ্যক নয়, ধর্মীয় নীতিতেও প্রায় নেই। কিন্তু Conformist আপনাকে গায়ে-হলুদ দিয়েই ছাড়বেন। এবং বিয়েটাও প্রতিষ্ঠিত আইডিয়া, তাই লিভ-টুগেদার করাকে কোন Conformist মেনে নিতে পারবেন না, পারেন না।"
• Conformist শব্দটি অদৌ কি কেউ পছন্দ করেন? তবে আমরা সবাই সামাজিক চুক্তির অংশ হিসাবে একটি নির্দিষ্ট ডিগ্রি অনুসারে মেনে চলি। আমরা সম্মত হলাম যে রাস্তার নির্দিষ্ট দিকগুলি সবার চালানোর জন্য ভাল। আমরা একমত হয়েছি যে, মুদ্রার নির্দিষ্ট কিছু সংজ্ঞা হল যা ব্যয় করা উচিত। যখন আমরা বলি যে আমরা মেনে চলছি না, তার অর্থ হল যে আমরা এমন কিছুর বিরুদ্ধে পিছনে চাপ দিতে ইচ্ছুক যা অনেক লোক অন্ধভাবে মেনে চলবে। কখনও কখনও এটি উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতা উৎপাদন করে, যা অবশ্যই ভাল ফলাফল। কিন্তু আপনি Conformist হোন বা না হোন আপনাকে নির্দিষ্ট একদিক দিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। হয় বামে, নতুবা ডানে। কারণ বাকিরাও তো তাই করছে এখন আপনি যদি না করেন তাহলে এক্সিডেন্ট অনিবার্য।
• এখন ডানে বা বামে যে ল-অর্ডার একটি দেশের করা থাকে সেক্ষেত্রে সবাই কমফোর্টেবল অনুভব করবে ব্যাপারটি কিন্তু এমন নয়।
একটি উদাহরণ দিচ্ছি,
"কোন ব্যক্তি ড্রাগস্ গ্রহণ করেন। এতে করে সেই ব্যক্তির ক্ষতি হয়। কিন্তু ক্রিমিনাল জাস্টিস আইন বলছে, তিনি অপরাধ করছেন। কিন্তু কীভাবে? তিনি স্রেফ নিজের ক্ষতি করছেন। হিসেব মতে তিনি ততক্ষণ অবধি অপরাধি নন যতক্ষণ অবধি তিনি ঐ ড্রাগস্ নিয়ে অন্য কারো ক্ষতি করছেন।"
এটির ইমপ্লিমেন্টেশন বাংলাদেশে না দেখা দিলেও উন্নত বিশ্বে খুঁজে পাবেন। এবং তারা নিশ্চয় আমাদের চেয়ে বোকা নয় বলে আমার বিশ্বাস।
• কথায় কথায় আমরা একটি কথা বলে থাকি, "তুমি যদি এই কাজটি করতে চাও তাহলে তোমাকে এডজাস্ট করেই চলতে হবে"। মানে তখন কিন্তু আমরা কোন অল্টারনেটিভ রাস্তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করি না। এবং সেখান থেকেই লিগেছি মেইনটেইন করার চাপ আসে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়,
"ধরুন, আমাদের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে বা কর্মক্ষেত্রে একটি ট্যুর দেওয়া হলো। আপনি প্রথমে আপনার আর্থিক বা মানসিক কথা চিন্তা করে যেতে চাইলেন না। এখন আপনাকে মানানো হবে এটা বলে যে, সবাই যাচ্ছে অথচ দেখো তুমি যাচ্ছো না। এটা তোমাকে অসামাজিক করে তুলবে।"
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এরপর আপনি Conformist হোন বা না হোন আপনি ব্যাগ গুছিয়ে রাস্তা ধরবেন বাকি সবার সাথে।
• আবার কোন বিশেষ ব্যক্তিকে এত ইনফ্লুয়েন্স করা সম্ভব নয় Conformity এর দ্বারা। যখন ব্যক্তির রেজিস্ট্যান্স কম থাকে, কনভিন্স হয়ে পড়েন বা গলে পড়েন সহজে তখন এটি হয়। গ্রুপ প্রেসার, সাম্প্রদায়িক প্রেসার, ধর্মীয় অনুশাসন থাকবেই কিন্তু আপনার রেজিস্ট্যান্স কতটুকু শক্তিশালী তা নির্ধারণ করে আপনি কি করতে চলেছেন।
• Conformism আমাদের আচরণে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। আপনি মাথা নত করবেন, না কি হাতজোড় করবেন না কি হ্যান্ডশেক করবেন এসব কিছু নির্ভর করে Conformity এর উপর। যদি কোনো বড় গ্রুপ এর মধ্যে কোন একটি করে তাহলে আপনিও সেটি করবেন। সিনেমা চাই হোক ভাল বা মন্দ, কিন্তু বেস্ট ফ্রেন্ড বললে না করা যায় না, তাই তো? ঠিক বলছি কি?
• Conformism এর প্রভাব বেশ কিছু ভাগে ভাগ করা যেতে পারে,
(ক) তথ্যগত প্রভাব
(খ) আদর্শগত প্রভাব
(গ) পরিচয়গত প্রভাব(মানে Conformity মেনেই কিন্তু আমাদের বাবা-মা আমাদের নাম রেখেছেন। বিস্তারিত বুঝে নিন।)
(ঘ) সম্মত হতেও প্রভাব খাটায় এই "Conformity"
এবং
(ঙ) আচরণগত প্রভাব
অফ টপিকঃ আমার কাছের কিছু মানুষের ধারণা আমি বোধহয় Conformist হবো। কিন্তু আপনাদের এই ধারণাটি অনেকাংশে ভুল।
Conformity নিয়ে আমার সামান্য মতামত আপনার কাছে তুলে ধরলাম। এমন নয় যে, আমি ভুলের উর্ধ্বে বা সর্বজান্তা। তাই কমেন্ট বক্সে ধৈর্য্যের সাথে আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ
২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এক কথায় বলা যায় রক্ষণশীল বিপরীত প্রগতিশীল।এখন আপনি রক্ষণশীল হবেন না প্রগতিশীল হবেন সেটা আপনার নিজেস্ব ব্যপার।ভাল দিক মন্দ দিক দুটোই আছে কম বেশি।
পৃথীবি এগিয়ে চলছে।সেই সাথে যে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না সে বা তারা পিছিয়ে পরবে।
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫০
কল্পদ্রুম বলেছেন: আপনি লিখেছেন রেজিস্টার কম থাকলে conformity দিয়ে প্রভাবিত করা সহজ হয়। কিন্তু রেজিস্টার কি সেটা লিখেননি। লিখলে ভালো হয়।কনফরমিটি নিয়ে আপনার মতামতও আমি বুঝতে পারিনি।কনফরমিটি কিছু ক্ষেত্রে ভালো কিছু ক্ষেত্রে খারাপ এটা বুঝতে পারছি।কিন্তু মোটের উপর এটা ভালো না কি খারাপ?আমার কাছে ভালো বলে মনে হয়।বিপদে আপদে মেজরিটি টিকে থাকার সম্ভাবনা বেশি।আমি সেদিকে গেলেই লাভ বেশি।আবার মেজরিটি কোন অন্যায় করলে সবাইকে শাস্তি দেওয়ার সম্ভব হবে না।আমিও বেঁচে যাবো।
অফটপিকে যা লিখেছেন ওটা ব্যাখ্যা করবেন?
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৯
মি. বিকেল বলেছেন: দেখুন, প্রথমত রেজিস্ট্যান্স হবে ওটা রেজিস্টার নয়। দ্রুত টাইপ করতে ভুল হয়েছে। রেজিস্ট্যান্স হচ্ছে, বিদ্যুৎ প্রভাবে পরিমিত অর্থে বাধা দেওয়া কিন্তু পুরোপুরি নয়। মানে যেটুকু বিদ্যুৎ লাগবে শুধু ততটুকুই দেওয়া বা নেওয়া হবে
দুঃখিত, ইচ্ছে থাকলে বিশাল বড় অনুচ্ছেদ লেখা যায় না বা অনেকক্ষেত্রে উচিতও নয়। ফলে সংক্ষেপে যেটুকু তুলে ধরা যায়। এখানে আরো অসংখ্য প্রশ্ন আমি নিজেই খুঁজে পচ্ছি। আর অফ টপিকে আমি নিজেকে একটু প্রগতিশীল বলে দাবী করার চেষ্টা করেছি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাল একটি বিষয় তুলে ধরেছেন, কিন্তু "রেজিস্টার" বলতে আপনি ঠিক কী বুঝিয়েছেন? এই ভুল শব্দটি আপনি দু'জায়গায় ব্যবহার করেছেন দেখে আপনার এ লেখার মৌলিকতা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। নিজের কমনসেন্স থেকে বুঝতে পারছি, শব্দটা হবে 'রেজিস্ট্যান্স', "রেজিস্টার" নয়।
আলোচনাটি অন্য কোন উৎস থেকে নেয়া হলে সে সূত্রটি উল্লেখ করবেন বলে আশা করি।
এটুকু ত্রুটি সত্ত্বেও, পোস্টে ভাল লাগা রেখে গেলাম, একটা তাত্ত্বিক বিষয়ে লেখার জন্য। + +
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৩
মি. বিকেল বলেছেন: ভুলটি ধরিয়ে দেবার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ওটা স্রেফ একটি টাইপিং মিসটেক বৈ আর কিছুই নয়
আর সূত্র বলতে আমি একজন সাহিত্যের ছাত্র ছিলাম। তবে তারপরেও বেসিক কিছু বিষয়ের জন্য গোগল ঘাটতে হয় সময় সময়।
৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০০
শোভন শামস বলেছেন: ভালো লাগলো চিরায়ত প্রথার অনুগত অনুসারীদের নিয়ে এই লেখাটি।
৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬
রুদ্র নাহিদ বলেছেন: চিরায়ত প্রথাগুলো সবসময় একই রকম থাকে না, নতুন প্রথা আসে, নতুন ভাবে সেটা সবাই চিরায়ত প্রথা হিসেবে ধরে নেয়৷চিরায়ত প্রথাই আবার প্রথাবিরোধী সৃষ্টি করে। ন্যাচারাল ব্যালেন্স।
৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো পোস্ট।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১৬
স্থিতধী বলেছেন: ভালো লাগলো conformity/ চিরায়ত প্রথার অনুগত অনুসারীদের নিয়ে এই লেখাটি। সম্প্রতি কার্ল ইঊং এর মনোবিজ্ঞান ও মানুষের ব্যাক্তিত্বর শ্রেণীবিভাগ নিয়ে একটা লেখা আমার ব্লগে লিখেছিলাম। সেখানে ওনার দেয়া আট টি ব্যাক্তিত্বের প্রধান আচরণ গুলো নিয়ে স্বল্প আলোচনা ছিল।
সচরাচর যায় যে অন্তর্মুখী ইন্দ্রিয় অনুভূতিপ্রবণ (introverted sensing) অথবা বহির্মুখী আবেগী (extroverted feeling) মানুষেরা ( অর্থাৎ যাদের ব্যাক্তিত্বের প্রধান চরিত্র introverted sensing বা extroverted feeling) তারাই সবচাইতে বেশী conformist ঘরানার মানুষ হয়ে থাকে। কারন প্রতিষ্ঠিত প্রথা অথবা সামাজিক বা পারিবারিক বন্ধন ও সংস্কৃতির প্রভাব তাঁদের ভেতরে সবচাইতে বেশী ক্রিয়াশীল থাকতে দেখা যায়।
আশা করি এসব নিয়ে লেখা ও আলোচনা অব্যাহত রাখতে পারবো আমরা। শুভকামনা রইলো।