নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিশ্বাসী, কিন্তু মনের দরজা খুলে রাখাতে বিশ্বাস করি। জীবনে সবথেকে বড় অনুচিত কাজ হল মনের দরজা বন্ধ রাখা। আমি যা জানি সেটাই সত্য, বাকি সব মিথ্যা…এটাই অজ্ঞানতার জন্ম দেয়।

মুক্তমনা ব্লগার

“Ask yourself often, why do I have to think like other people think?”

মুক্তমনা ব্লগার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হত্যাগুলো জঙ্গি বা কন্ট্রাক কিলার করেছে সত্য কিন্তু নির্দেশে যদি ক্ষমতার শক্তি থাকে তাহলে খুনী কে?!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১০

অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডঃ অভিজিৎ রায় হত্যা হওয়ার সময় আমাদের দেশের ঐতিহ্য বাহী একুশে বই মেলাচলাকালীন ঐ এলাকায় লাইট বন্ধ করে দেয়ার কারনে ৪০টা সিসি টিভি থাকার পরও কোন সিসি টিভিতে ২ জঙ্গি চেহারা ধরা না পরা ,৫০ গজের মধ্যে পুলিশ থাকা এবং হত্যার পর স্ত্রী বন্যা সহ আশেপাশের মানুষের চিৎকার এর পরও ৫০ গজে থাকা পুলিশ সাহায্যের জন্য না আসা একারনগুলো না হয় বাদ-ই দিলাম যে কারনটা বাদ দেওয়া যায় না তাহল,

‘‘ ব্লগার অভিজিৎ রায়ের পরিচালনাধীন ‘মুক্তমনা’ ব্লগ অভিজিৎ রায় হত্যার ঠিক আড়াই ঘণ্টা আগে বাংলাদেশে বন্ধ করে দেয়া হয়।এখানে একটা প্রশ্ন জাগা নিশ্চয় অপরাধ নয় যে বাংলাদেশে কোন ব্লগ বন্ধ করে দেয়ার ক্ষমতা কার হাতে?”

এছাড়া কেন মুক্তমনা ব্লগ বন্ধ করা হয় সেটা সহজেই বুঝা যায় ব্লগার থাবা বাবা হত্যার পর জঙ্গিসংগঠন থাবা বাবার ফেক নামে একটা ফেইক লেখা অনলাইনে প্রকাশ করলেও থাবাবাবার অরজিনাল লেখাগুলো অনলাইনে ছিল বলে তখন দুইটা লেখার সত্যতা জাস্টিফাই করে অনলাইনে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল পরিনাম দুইদিনের মধ্যে থাবাবাবাকে খুন করা অস্ত্র পুকুর থেকে উদ্ধার সহ খুনিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।ঠিক হত্যার সময় এরকম পরিস্থিতি এড়াতেই মুক্তমনা ব্লগ বন্ধ করা হয় কেননা অভিজিৎ রায়ের কোন লেখায় ইসলাম বা কোন ধর্মকে কটাক্ষ করে করেন নাই সুতরাং জঙ্গিরা বরাবরের ন্যায় অভিজিৎ রায়কেও ইসলামকে নিয়ে কটাক্ষ করে লেখার অপবাদ দিয়ে হত্যা করলেও সাধারন মানুষ কারো মুক্তমনা ব্লগ বন্ধ থাকার কারনে অভিজিৎ রায়ের লেখা জাস্টিফাই করার সুযোগ নেই।

অভিজিৎ রায় হয়তো পলিটিকাল বলির শিকার হয়েছেন!তিনি যখন হত্যা হন দেশে পেট্রোল,সিরিজ বোমাবাজীতে মানুষের মৃত্যু সহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও সরকার দেশের ঐ অস্থির অবস্থা দমনে বরাবরের ন্যায় ব্যর্থ ছিল যে অস্থির অবস্থা অভিজিৎ রায়ের মৃত্যুর পর দেশে বন্ধ বা স্থির হয়েছিল । অভিজিৎ রায় যেহেতু মার্কিন নাগরিক ছিল সুতরাং মার্কিনীদের কাছেও অভিজিৎ রায়কে জঙ্গিরা মেরেছে বলেই চালিয়ে দেয়া গেল কেননা আমাদের মত দেশগুলোতে জঙ্গিরা কাউকে হত্যা করেছে তা অতি সহজেই বিশ্বাস যোগ্য মার্কিনীদের কাছে।

বিঃদ্রঃ সাগর রুনি এবং অভিজিৎ রায় এই দুটো হত্যায় আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এসে বিফলে ফেরত যাওয়া একটা কথা প্রমানীত বা স্পষ্ট হল,

“যে কোন হত্যা বা গুমের পেছনে যদি কোন দেশের ক্ষমতায় থাকা শক্তি জড়িত থাকে তাহলে সে দেশের জনগণকে বুঝে নিতে হবে সেই খুনের খুনি ধরার বা খুনের আসল রহস্য উন্মোচন পৃথিবীর সব ইন্টালিজেন্স বা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মিলেও করতে পারবে এমনটা শিউর হয়ে আশা করা ঠিক নয়।এটা বুঝতে পেরেই হয়তো অভিজিৎ রায়ের বাবা ছেলে হত্যার বিচার হবে এ আশা না করে বিচার-ই চান নি”

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.