নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিশ্বাসী, কিন্তু মনের দরজা খুলে রাখাতে বিশ্বাস করি। জীবনে সবথেকে বড় অনুচিত কাজ হল মনের দরজা বন্ধ রাখা। আমি যা জানি সেটাই সত্য, বাকি সব মিথ্যা…এটাই অজ্ঞানতার জন্ম দেয়।

মুক্তমনা ব্লগার

“Ask yourself often, why do I have to think like other people think?”

মুক্তমনা ব্লগার › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহজালালে যাত্রী হয়রানি।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:২১


এয়ারলাইন্সের টার্কিশ ডেপুটি ম্যানেজার এসে ঘটনা শুনে সংশ্লিষ্ট অফিসারকে ইংরেজিতে শাউট করে তাৎক্ষণিক কাউন্টার ক্লোজ করে চলে যেতে বলেন এবং তিনিও চলে যান। এদিকে আতংকিত ঐ দম্পতি অফিসারদের পেছনে পেছনে দৌঁড়ে গিয়ে অনুরোধ করে এক মিনিট সময় চান এবং বলেন, বড় লাগেজের অতিরিক্ত মাল ফেলে দেবেন কিংবা ছোট লাগেজে নেবেন। অফিসাররা উল্টো তাঁর উপর বিরক্ত হয়ে কর্কশ ভাষায় তাকে চলে যেতে বলেন এবং রিজার্ভেশন অফিসে গিয়ে দুই টিকেটে ২২ হাজার টাকার মতো নোশো ও চেইঞ্জিং চার্জ দিয়ে টিকেট করে নিয়ে আসতে বলেন।

নিরুপায় হয়ে তারা ফিরে যাচ্ছিলেন রিজার্ভেশন অফিসে। পথিমধ্যে তাওহিদ ফোন দেন তার বন্ধুদের কাছে। বন্ধুরা তাকে ম্যাজিস্ট্রেটস অল এয়ারপোর্টস অব বাংলাদেশে নক করার পরামর্শ দেন। তাওহিদুল তখনই ফেসবুক পেইজ থেকে একটি নাম্বার নিয়ে সকাল ৮টার দিকে ফোন করেন বিমান বন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইউসুফকে। ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনা শুনে তাঁকে রিজার্ভেশন অফিসে না গিয়ে কোর্টে আসার পরামর্শ দেন এবং তিনিও তৎক্ষণাৎ অফিসে রওয়ানা দেন।

ইতিমধ্যে তিনি টার্কিশ এয়ারলাইন্সকেও খবর দিয়ে রাখেন, যাতে মিউচুয়ালি বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেয়া যায়। যাত্রীরা আসলেও এয়ার লাইন্সের দায়িত্বশীল অনেকেই আদালতে আসতে অনীহা প্রকাশ করছিলেন। সিসিটিভি দেখে তিনি যাত্রীর কথার সত্যতা পান এবং সংশ্লিষ্ট অফিসারও তা স্বীকার করেন।

ম্যজিস্ট্রেট সেই অফিসারকে আইন অনুসারে যাত্রীদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ ও থাকা-খাওয়া সহ টিকেটের ব্যবস্থা করে দিয়ে সমঝোতার ভিত্তিতে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে ফেলার অনুরোধ করেন। কিন্তু এয়ারলাইন্সের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। তাদের বক্তব্য, টার্কিশের কোনও দোষ নেই। এরপর বসানো হলো মোবাইল কোর্ট।

যে বিষয়গুলো উঠে আসে মোবাইল কোর্টে-

১। ডিপার্চারের একঘণ্টা পূর্বে অর্থাৎ ৫.১৫ মিনিটে কাউন্টার ক্লোজ করার অর্থ এই নয় যে, কাউন্টার বন্ধ করে অফিসার চলে যাবে। এই বন্ধ করার অর্থ হলো, এর পর আর কোনও প্যাসেঞ্জার অ্যাকসেপ্ট করা যাবে না। বরং সময়ের ভেতরে শেষ দিকে আসা প্যাসেঞ্জারের বোর্ডিং পাশ ইস্যু করতে আরও ১৫ মিনিট কাউন্টারে থাকা বাঞ্ছনীয়। আর সেই সময় হিসেব করেই ডিপার্চার টাইমের কমপক্ষে ৪৫ মিনিট পূর্বে ইমিগ্রেশনে ঢোকার টাইম নির্ধারণ করা হয়েছে।

২। যাত্রী নির্ধারিত সময়ের ৬ মিনিট পূর্বেই চেক-ইন করেছেন।

৩। তিনটি ওয়েট-মেশিনের মধ্যে দু'টির রিডিং এবং যাত্রীর দাবি একইরূপ। আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য সেখানে ডিউটিরত মেশিন অপারেটরের মতামত নেয়া যেত কিংবা আরও সন্দেহমুক্ত হতে চতুর্থ মেশিনে চেক করা যেত। অথচ পরে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বাইরের নিরপেক্ষ ওয়েট মেশিনে মেপে রিডিং ৩০ কেজিই পাওয়া যায়। এতে অফিসার কর্তৃক প্রথম মেশিনের সন্দেহযুক্ত রিডিংকে ফাইনাল ধরে যাত্রীর সাথে রূঢ় আচরণ করা অন্য কিছু ইঙ্গিত দেয়।

৪। যাত্রীকে মালামাল অন্য লাগেজ শিফট করা বা ফেলে দেয়ার সুযোগটি পর্যন্ত না দিয়ে কাউন্টার ত্যাগ করা কোনও ধরনের যাত্রীসেবার সংজ্ঞায় পড়ে না।

৫। সবচেয়ে অন্যায় করা হয়েছে, একজন চেকিং করা যাত্রীকে লাগেজের এক্সট্রা ওয়েটের কারণে একান্তই যদি অফলোডই করতে হয়, তাকে অবশ্যই শেষ প্রশ্ন করতে হবে এই ভাবে যে, "সঙ্গত কারণে আমরা আপনার লাগেজ বুকিং নিতে পারছি না, কিন্তু আপনি চাইলে ঐ লাগেজ ছাড়া ফ্লাই করতে পারেন, এটা আপনার অধিকার।" এ ধরনের কোনও প্রশ্ন না করেই তার এন্ট্রি ক্যান্সেল করা বা অফলোড করা সেবার নামে জবরদস্তিমূলক অত্যাচারের পর্যায়ে পড়ে।

৬। উপরন্তু এটা সহজে অনুমেয় যে, ওজন কারসাজি বা নোশো চার্জের লোভে কূটকৌশলী হয়ে কাজটি করা হয়েছে।

অভিযুক্ত এয়ারলাইন্সের পক্ষে দুই অফিসার আবু হায়াত মোহাম্মদ আফসান উদ্দিন এবং আব্দুস সাত্তার সিদ্দিক এর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দায়িত্ব অবহেলার কারণে সেবা গ্রহীতাগণ প্রতিশ্রুত সেবা না পাওয়ায় এবং তাদের আর্থিক ও মানসিক স্বাস্থ্যহানির ঘটানো বা ঘটানোর চেষ্টার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুসারে পৃথক দুজন যাত্রীর পৃথক পৃথক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এয়ারলাইন্সের দুই কর্মকর্তাকে ২ লক্ষ টাকা করে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন, অনাদায়ে প্রত্যেককে তিনমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদানের আদেশ দেন মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইউসুফ। পাশাপাশি একই আইনের ৭৬ ধারায় জরিমানার ২৫% ক্ষতিগ্রস্তদের প্রদানের নির্দেশ দেন তিনি।

সূত্র: kalerkantho.com

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:২২

বিজন রয় বলেছেন: খুব খারাপ।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৩২

মুক্তমনা ব্লগার বলেছেন: শুধু খারাপ নয় দাদা এটা খুবই বিশ্রী পর্যায়ের খারাপ।
They dont care about us!!

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩

গোধুলী রঙ বলেছেন: শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে শেষ হয়েছে ঘটনাটা। তবে কয়েকটা বিষয় লক্ষনীয়

১/ বিদেশি এয়ারলাইন কর্মকর্তা, যাত্রী বাংলাদেশি বলে এই ধরনের ঘটনা শুরু করতে পারলো।
২/ এয়ারপোর্টের মোবাইল কোর্ট যে স্বচ্ছ উপায়ে এবং ত্বরিত এই ঘটনা তদন্ত করে সঠিক বিচার করলো এটা অবশ্যই উন্নতির দিক, প্রফেশনাল এবং টেকনিক্যাল উভয় ক্ষেত্রে

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

মুক্তমনা ব্লগার বলেছেন: এয়ারপোর্টে কিছু কিছু কাজ আজকাল সত্যিই প্রশংসনীয়।

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

আশরাফুল ইসলাম রাসেল বলেছেন: এই জন্যই নাম পরিবর্ন করা হয়েছে!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬

মুক্তমনা ব্লগার বলেছেন: কিসের নাম ?

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আসল পাগল বলেছেন: ধন্যবাদ বিষয়টি সকলের গোচরে আনার জন্য। তথ্যসূত্রটি উল্লেখ করলে আরও ভালো হতো।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

মুক্তমনা ব্লগার বলেছেন: ধন্যবাদ সূত্র আপডেটেড।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.