![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“Ask yourself often, why do I have to think like other people think?”
মুক্তমনার লক্ষ্য
মুক্তমনার মাধ্যমে আমরা – একদল উদ্যমী স্বাপ্নিক- দীর্ঘদিনের একটি অসমাপ্ত সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে পরিচালনা করছি, যে সাংস্কৃতিক আন্দোলন আক্ষরিক অর্থেই হয়ে উঠছে ‘চেতনামুক্তির’ লড়াই – যার মাধ্যমে জনচেতনাকে পার্থিব সমাজমুখী করে তোলা, প্রতিটি শোষণ ও বঞ্চনার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে সচেতন করে তোলা সম্ভব। মুক্তমনার পক্ষ থেকে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ভিত তৈরীতে ব্যাপক জোর দেয়া হয়েছে তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানমনস্ক মন-মানসিকতা গঠনের উপর। মুক্তমনা মনে করে বিজ্ঞানমনস্ক মন-মানসিকতা এমনি এমনি গড়ে ওঠে না, গড়ে ওঠে যুক্তির পথ ধরে, নিরন্তর এবং ব্যাপক বিচার-বিতর্কের মাধ্যমে। আজ ইন্টারনেটের কল্যাণে বিশ্বাস এবং যুক্তির সরাসরি সংঘাতের ভিত্তিতে যে সামাজিক আন্দোলন বিভিন্ন ফোরামগুলোতে ধীরে ধীরে দানা বাঁধছে, মুক্তমনারা মনে করে তা প্রাচীনকালের ব্রাক্ষ্মণ-চার্বাকদের লড়াইয়ের মত বিশ্বাস ও যুক্তির দ্বন্দ্বেরই একটি বর্ধিত, অগ্রসর ও প্রায়োগিক রূপ। এ এক অভিনব সাংস্কৃতিক আন্দোলন, যেন বাঙালীর এক নবজাগরণ।
গত কয়েক বছরে স্বচ্ছ চিন্তাচেতনা সম্পন্ন মুক্তমনা যুক্তিবাদীদের বিশাল উত্থান ঘটেছে বিভিন্ন ফোরাম এবং আলোচনাচক্রে, যা রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত প্রচার মাধ্যমে সম্ভব ছিল না মোটেই। জনগণের মধ্যে বিভিন্ন মত থাকা খুবই স্বাভাবিক এবং বিভিন্ন মতামতের দ্বন্দ্ব প্রয়োজনীয়, উপকারী এবং অনিবার্য। রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণবিহীন স্বচ্ছ এবং সুস্থ বিতর্কের অবকাশ সৃষ্টি হলে জনগণের মধ্যে মুক্তচিন্তা ও যুক্তিবোধের উপর আকর্ষণ বাড়বে এবং মিথ্যা বিশ্বাস পরিত্যাগ করে তারা ক্রমান্বয়ে যুক্তিনিষ্ঠ হয়ে উঠবে। যুক্তিনিষ্ঠ মন-মানসিকতাই অবশেষে জনগণকে পরিচালিত করবে আধ্যাত্মবাদ পরিত্যাগ করে মানবমুখী সমাজ বিনির্মাণে, সামিল করবে বঞ্চনা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সংগ্রামে। মুক্তমনার সদস্যরা তাদের ‘শখের তর্ক-বিতর্ক’কে ভিন্নমাত্রায় উন্নীত করে জনচেতনাকে একটি সঠিক পথ দেখাতে সর্বদা উন্মুখ।
মুক্তমনার নৈতিক ভিত্তি
‘নৈতিকতা’ ব্যাপারটিকে মুক্ত-মনারা কোন গায়েবী-বস্তু বলে মনে করে না। নৈতিকতা বিষয়টি মূলত জৈববিবর্তনীয় পথেই উদ্ভূত। সমাজে চারিদিকে চোখ রাখলেই দেখা যাবে, বহু নাস্তিক, ধর্মে-অবিশ্বাসী মানুষজন আছেন যারা অন্য সবার মতই রাষ্ট্রের আইন-কানুন মেনে চলেন, এবং ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে কেউ স্নেহময়ী মা অথবা দায়িত্ববান বাবা। অন্য মানুষের দুঃখ দেখে তারাও কাতর হন, দুস্থ মানুষের সেবায় তারাও অন্য সবার মতই এগিয়ে আসেন। কাজেই ধর্ম কোনভাবেই নৈতিকতার একমাত্র দাবিদার হতে পারে না। আসলে সামাজিক গবেষণায় দেখা গেছে, কোন বিশেষ ধর্মের আনুগত্যের উপর মানুষের নৈতিক চরিত্র-গঠন নির্ভর করে না, নির্ভর করে একটি দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট আর সমাজ-সাংস্কৃতিক পরিবেশের উপর। অধিকাংশ আস্তিকই ‘ধর্ম’ এবং ‘নৈতিকতা’কে এক করে ফেলেন। ভাবেন ধর্মে আনুগত্য না থাকলে বা ঈশ্বরের ভয় না থাকলে সমাজ বুঝি উচ্ছন্নে যাবে। কিন্তু ঈশ্বরের ভয় দেখিয়েই যদি মানুষকে পাপ থেকে বিরত রাখা যেত, তা হলে তো রাষ্ট্রে পুলিশ, আইনকানুন, কোর্ট-কাচারি কোন কিছুরই আর প্রয়োজন হত না।
ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি ১৯৮৮ সালে ভারতের জেলখানায় দাগী আসামীদের মধ্যে একটি জরিপ চালিয়েছিল। জরিপের ফলাফল ছিল অবাক করার মত। আসামীদের শতকরা ১০০ জনই ঈশ্বর এবং কোন না কোন প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মে বিশ্বাসী। আজ বাংলাদেশে জরিপ চালালেও একই ধরনের ফলাফল পাওয়া যাবে। ঈশ্বরে বিশ্বাস, পরকালে বিশ্বাস, বেহেস্তের লোভ বা দোজখের ভয় কোনটাই কিন্তু অপরাধীদের অপরাধ থেকে নিবৃত্ত রাখতে পারেনি। আল্লাহর গুনাহর ভয়েই যদি মানুষ পাপ থেকে, দুর্নীতি থেকে মুক্ত হতে পারত, তবে তো বাংলাদেশ এতদিনে আক্ষরিক অর্থেই সোনার বাংলায় পরিণত হত। কিন্তু বাংলাদেশের দিকে তাকালে আমরা আজ কী দেখছি? বাংলাদেশে শতকরা ৯৯ জন লোকই আল্লা-খোদা আর পরকালে বিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও দুর্নীতিতে এই দেশটিই আজ পৃথিবীর শীর্ষে। ধর্মে বিশ্বাস কিন্তু দেশবাসীকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে পারেনি। তাই আবারও ঠিক একই কথার উল্লেখ করতে হচ্ছে, ধর্ম কোনভাবেই নৈতিকতার ‘একমাত্র’ দাবিদার হতে পারে না।
নাস্তিক বা মুক্তমনারা কি ধার্মিকদের থেকে কম নৈতিক? এটা নির্ভর করছে ‘নৈতিকতা’ বলতে আসলে ঠিক কী বোঝানো হচ্ছে। যদি বিধাতার প্রতি বা ধর্মীয় আইন কানুনের প্রতি অন্ধ আনুগত্যকে ‘নৈতিকতা’ হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করা হয়, তবে তো মুক্তমনারা অবশ্যই ‘অনৈতিক’। তবে সাধারণভাবে কেউ যখন নৈতিকতার কথা বলেন তিনি মূলত মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ন্যায়-অন্যায়ের কথাই মূলত বলতে চান। আর সে হিসেবে মুক্তমনারা মোটেও অনৈতিক নন। অন্তত গবেষণায় তার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি। অধিকাংশ মুক্তমনাই মূলত মানবতাবাদী। অধিকাংশ মুক্তমনা ধর্মবিশ্বাস ত্যাগ করেছেন ধর্মের মধ্যে বিরাজমান নিষ্ঠুরতা আর অমানবিকতা উপলব্ধি করেই। তাই চুরি-ডাকাতি-খুন-ধর্ষণের মত সামাজিক অপরাধকে অপরাধ বলেই গণ্য করেন তারা।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০
মুক্তমনা ব্লগার বলেছেন: ভাল বলেছেন।
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬
নকীব কম্পিউটার বলেছেন: শুদ্ধ শব্দটি- ‘আল্লাহ’
-
-
-
তাই আবারও ঠিক একই কথার উল্লেখ করতে হচ্ছে, ধর্ম কোনভাবেই নৈতিকতার ‘একমাত্র’ দাবিদার হতে পারে না।
অথচ পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক বলেন- ইন্নাদ দীনা ইনদাল্লাহিল ইসলাম।
আল ইয়ামা আকমালতু লাকুম ইসলামা দীনা।
মহান আল্লাহর নিকট- একমাত্র ইসলাম ধর্মই গ্রহণীয়।
আর আল্লাহ পাক ইসলাম তথা দীনকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন।
-
-
-
পবিত্র কুরআনের কোন বিধানই মানুষের অকল্যাণের জন্য সৃষ্টি হয়নি।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১
মুক্তমনা ব্লগার বলেছেন: মানবধর্ম সবচেয়ে বড় ধর্ম।
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৪
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: লিখেছেন, "ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি ১৯৮৮ সালে ভারতের জেলখানায় দাগী আসামীদের মধ্যে একটি জরিপ চালিয়েছিল। জরিপের ফলাফল ছিল অবাক করার মত। আসামীদের শতকরা ১০০ জনই ঈশ্বর এবং কোন না কোন প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মে বিশ্বাসী।" -সূত্র দেওয়া আবশ্যক ছিল, যাতে পাঠক যাচাই করতে পারে।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২১
মুক্তমনা ব্লগার বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯
মহা সমন্বয় বলেছেন: নিঃশন্দেহে পৃথিবীর সবগুলো ধর্ম গ্রন্থের চেয়ে একজনমাত্র মুক্তমানার মধ্যে নৈতিকতা বেশী।
মুন্তমনারা কখনোও অরাজকতা করেনা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তারা বড় ধরনের অপরাধ থেকে মুক্ত।
৯৯% মুক্তমনারা বড় ধরণের অপরাধ থেকে মুক্ত থাকে কারণ তারা মানুষের তৈরী দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
আর তাদের এই অপরাধ প্রবণতা থেকে মুক্ত থাকার জন্য প্রয়োজন হয় না কোন ধর্মের। প্রয়োজন পরে না পরকালের ভয় এবং লোভের। তারা যে ভাল কাজগুলো করে তা নিতান্ত্যই মানুষের জন্য করে আর এই ভাল কাজের তারা কোন প্রতিদান আশা করে না। মুক্ত মনাদের মধ্যে যারা আস্তিক তারা বিশ্বাস করে স্রষ্টা সর্বোচ্চো তত্ব জ্ঞানী। আর তারা প্রকৃত স্রষ্টাকেই বিশ্বাস করে কোন ধর্মের বানানো স্রষ্টায় বিশ্বাসী নয়।
আর মানুষ হিসবে শুধুই মানুষের উপকার করার মধ্যেই প্রকৃত শান্তি লুকায়িত রয়েছে আর এটাই হচ্ছে প্রকৃতির নিয়ম। আস্তিক/নাস্তিক/ধার্মিক/অধার্মিক কেউই এই নিয়মের বাইরে নয়। পৃথিবীর সবগুলো ধর্মের মধ্যেও তার ১% শান্তিও পাওয়া যাবে না যদিও তারা শান্তির বানী প্রচার করে বলে দাবী করে থাকে।