![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“Ask yourself often, why do I have to think like other people think?”
মুক্ত-মনারা ধর্ম-বিরোধী নয়, বলা যায় অনেক মুক্তমনাই ধর্মের কঠোর সমালোচক। কারণ তাঁরা মনে করেন ধর্ম জিনিসটা পুরোটাই মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত। মুক্তমনারা সর্বদা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি আস্থাশীল, আজন্ম লালিত কুসংস্কারে নয়। কুসংস্কারের কাছে আত্মসমর্পণ আসলে নিজের সাথে প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। তবে মুক্তমনাদের ধর্ম-বিরোধী হওয়ার একটা বড় কারণ হল, ধর্মগুলোর মধ্যে বিরাজমান নিষ্ঠুরতা। প্রতিটি ধর্মগ্রন্থের বিভিন্ন আয়াত এবং শ্লোকে বিধর্মীদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হয়েছে ঢালাওভাবে, কখনো দেয়া হয়েছে হত্যার নির্দেশ। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ধর্ম আসলে জ্বিহাদ, দাসত্ব, জাতিভেদ, সাম্প্রদায়িকতা, হোমোফোবিয়া, অ-সহিষ্ণুতা, সংখ্যালঘু নির্যাতন, নারী নির্যাতন এবং সমঅধিকার হরণের মূল চাবিকাঠি হিসেবে প্রতিটি যুগেই ব্যবহৃত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আরও জানার জন্য :
বিশ্বাসের ভাইরাস
ধর্ম সবকিছুকে বিষাক্ত করে তুলছে
পুরুষ রচিত ‘ধর্মে’ বিকলাঙ্গ নারী
‘সনাতন ধর্মে’র দৃষ্টিতে নারী
ধর্মঃ শিশু নির্যাতনের এক স্বীকৃত হাতিয়ার
ধর্ম মেনেও কিছু মানুষ ভালই আছেন?
ধর্ম মেনেও তো কিছু মানুষ ভালই আছেন- মানবিকতা তো বিসর্জন দেন নি, তাই না?
যারা ভাল তারা এমনিতেই ভাল, ধর্ম মানার কারণে নয়। তারা ভাল কারণ তারা কাণ্ডজ্ঞান বা কমন-সেন্সের চর্চা করেন, ধর্মীয় আইনের নয়। কোরানে নির্দেশিত থাকলেও অনেক মুসলমানই আছেন যারা কাফির দেখলেই জিহাদি জোশে তাদের উপর নাঙ্গা তলোয়ার হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন না, কিংবা তাদের বন্ধুত্ব প্রত্যাখ্যান করেন না। কিংবা অনেক হিন্দুই মুসলমানের ছোঁয়া লাগলে গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করার জন্য দৌড় লাগান না, কিংবা তার আত্মীয়াকে সহমরণে যেতে প্রলুব্ধ করেন না। মানুষের সাথে ভাল ব্যবহারের দিকগুলো আসলে আস্তিক নাস্তিক নির্বিশেষে সবাই সামাজিক শিক্ষা হিসেবে সমাজ, পরিবেশ আর অভিভাবকদের থেকে গ্রহণ করেন, ধর্মগ্রন্থ থেকে নয়। আগেই বলা হয়েছে, মানুষের সুগুণ বা সু-বৈশিষ্ট্যের জন্য ধর্ম কখনই একমাত্র দাবিদার হতে পারে না। সামাজিক এবং নৈতিক উন্নতির জন্য যে সমস্ত মনীষীরা এ পৃথিবীতে অবদান রেখেছেন তাঁদের একটা বিরাট অংশই ধর্মীয় নিগড় থেকে মুক্ত ছিলেন, যেমন – আলবার্ট আইনস্টাইন, বার্ট্রান্ড রাসেল, চার্লস ডারউইন, এলিজাবেথ স্ট্যান্টন, থমাস এডিসন, মারি কুরী, এইচ. এল. মেনকেন, সিগমুন্ড ফ্রয়েড, আব্রাহাম কোভুর, আরজ আলী মাতুব্বর, আহমদ শরীফ, বিদ্যাসাগর, মেঘনাদ সাহা, ইলা মিত্র এবং আরো অনেকে, যাদের দ্বারা মানবতা আকণ্ঠ সমৃদ্ধ হয়েছে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭
মুক্তমনা ব্লগার বলেছেন: ঘুড়ি উড়ুক ঘুড়ির মত নিয়ন্ত্রণ থাকুক নিজের হাতে।
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪
হাসান ইমরান বলেছেন: ধর্ম মানুষকে অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করে...
যেমন ইসলাম ধর্মের পরকালের বিশ্বাস মানুষকে মানবিক করে তুলে...
একজন নাস্তিক কোন অন্যায় করতে দ্বিধা করবেনা,কেননা সে যেটাই করুক তার কোন বিচার হবে না(তার ভাবনা)...
কিন্তু আস্তিক এ চিন্তা হতে মুক্ত...সে অন্যায় করতে এটা ভাববে যে তার একদিন বিচার হবে।তাই সে সংযত।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯
মুক্তমনা ব্লগার বলেছেন: যদি সংযত হয়েই থাকে তাহলে চাপাতি দিয়ে কোপায় ক্যা??
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৩২
সাগর মাঝি বলেছেন: ধর্মান্ধতা নিপাত যাক!!!
১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৪৮
মুক্তমনা ব্লগার বলেছেন: মুক্ত চিন্তা মুক্তি পাক।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩
নকীব কম্পিউটার বলেছেন: ঘুড়ি তুমি ওড়ো নাটাই মালিকের কাছে।