![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“Ask yourself often, why do I have to think like other people think?”
-এই কে তুমি ?
-জ্বী আমি কারা মসজিদের ইমাম মনির হোসেন।
-কি চাও তুমি?
-আমি আপনাকে তওবা পড়াতে এসেছি।
-আমাকে তওবা পড়িয়ে কি লাভ,আমি কতশত পাপ করেছি তার কোনো অন্ত নেই।
-তবু আপনার মৃত্যুর আগে আপনাকে তওবা পড়ানোটা আমার দায়িত্ব,যেমনটা আপনি দায়িত্ব ১৯৭১ সালে নিরীহ বাঙালিদের মেরেছিলেন।
-আচ্ছা ঠিক আছে পড়াও।
-ইমাম সাহেব তওবা পড়িয়ে কনডেম সেল থেকে বেরিয়ে গেলেন।
তার কিছুক্ষণ পর....
-এই কারা তোমরা ?
কি চাও?
-আমরা সহকারী জল্লাদ আপনাকে জম টুপি পরাতে এসেছি।
-জম টুপি না পরালে হয় না?
-আপনি নিজ চোখে কি নিজের মৃত্যু সৈহ্য করতে পারবেন?
-খুব পারব। কত মানুষ মেরেছি এবং মারতে দেখেছি নিজ চোখের সামনে,ও আমার সয়ে গেছে।
-এত কথা শোনার সময় আমাদের নেই,সহকারী জল্লাদরা ততক্ষণে জম টুপি পরিয়ে কনডেম সেল থেকে বের করে তাকে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড় করিয়েছে।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই....
অপর এক জল্লাদ এসে জম টুপির উপর ফাঁসির ম্যানিলা রশি টেনে গলায় পরায় এবং হাত পা বেঁধে দেওয়া হয় তার।
ফাঁসির মঞ্চে দাড়ানো লোকটি কিছু বলতে চায় কিন্তু বড্ড দেরী হয়ে গেছে,হিসাব তো এখন কড়ায় গন্ডায় বুঝে নিতে হবে।
রাঁত ১২টা ১০ মিনিট....
জেল সুপার হাত থেকে রুমাল মাটিতে ফেলতেই জল্লাদ রাজু ফাঁসির রশির হাতলে টান দিয়ে কলঙ্কিত ইতিহাস মোচনের সেই ঐতিহাসিক কাজটি সেরে ফেললেন।
তারপরের ইতিহাস সবারই জানা,নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে জল্লাদ রাজু তার গোটা জীবনে প্রথমবারের মত সর্বশ্রেষ্ঠ ভালো কাজটি সম্পন্ন করে জাতিকে অনেকখানি কলঙ্ক মুক্ত করেছে।
১১ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯
মুক্তমনা ব্লগার বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১১ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:১৮
মোঃ মাকছুদুর রহমান বলেছেন: ইতিহাস এখান থেকেই শুরু,বড় নির্মম,বড় নিষ্ঠুর
১১ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮
মুক্তমনা ব্লগার বলেছেন: কেমনে নিষ্ঠুর।
৩| ১১ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫
বাংলার জামিনদার বলেছেন: যাক ভালয় ভালয় শেষ হলো ব্যাপারটা। যেভাবে নিজামী বার বার অসুখ বিসুখের কাহিনী করতাছিলো !!!!
১১ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮
মুক্তমনা ব্লগার বলেছেন: হুম ফাইনালি.…
৪| ১২ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:০২
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: 'মুক্তমনা' ভাই, আপনাদের এতো বুদ্ধি, আপনারা এতো পড়াশোনা করেছেন, তারপরেও এটাকে বলছেন বিচার!
শুধু কাদের মোল্লা বা নিজামী নয়, সমস্ত বিচার ব্যবস্থাটিকেই যে আপনারা খুন করেছেন সেটা এতো দিনেও আপনাদের মনে ধরা পড়লো না! হাসতে ভুলে যাই যখন আপনাদের নেতা ইমরান সরকার এখন বলে যে সে কৃষকের সন্তান তাই বিচার পাবে না, সে যদি প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হতো তাহলে বিচার পেত; আবার তারপর ফঁসিতে সন্তোষ প্রকাশ করে।
আপনারা জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করলেন, নাকি হাজার বছরের জন্য কলঙ্কিত করে গেলেন? মুক্তিযুদ্ধের নামে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ওপরে এর চেয়ে বেশি কলঙ্ক কি আর লেপন করা যাবে?
১৩ ই মে, ২০১৬ রাত ৩:৩০
মুক্তমনা ব্লগার বলেছেন: প্রথমত আপনি কি এই রায়ে খুশী নন ?
দ্বিতীয়ত আমরা সব সময় সরকারের সমালোচনা করে গেছি তার মানে এই নয় যে আমাদের যে দাবি ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সেটা যখন সম্পূর্ণ হয় তার এপ্রিসিয়েশন করব না।
আবার শুধু এই রায়ে যে আমরা খুশি তাও কিন্তু না,আমরা দেশের প্রতিটা অপরাধের বিচার চাই এবং চেয়ে যাব।
লড়ছি এবং লড়ে যাব ।
৫| ১৩ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২৪
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: এই বিষয়ে আমার আজকের পোস্টটা Click This Link পড়লে হয়তবা কিছু উত্তর পাবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
তারপরের ইতিহাস সবারই জানা,নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে জল্লাদ রাজু তার গোটা জীবনে প্রথমবারের মত সর্বশ্রেষ্ঠ ভালো কাজটি সম্পন্ন করে জাতিকে অনেকখানি কলঙ্ক মুক্ত করেছে।