![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“Ask yourself often, why do I have to think like other people think?”
সমকামী ব্যক্তি, তারা আবার মানুষ নাকি? কি পরিবার, কি সমাজ, কি রাষ্ট্র সবখানেই তারা অবাঞ্ছিত। পরিবার থেকেই শুরু হয় সমকামী ব্যক্তিদের প্রতি নির্যাতন। যদি কখনো পরিবারের কোন সদস্য সমকামী বলে চিহ্নিত হয় তবে তাকে বিষমকামী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শুরু হয় নিষ্ঠুর প্রক্রিয়া। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সাথে সাথে বৈষম্য ও বিভিন্ন টোটকা চিকিৎসাসহ জোড়পূর্বক বিবাহ প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবন করে তোলা হয় দূর্বিসহ। এতে করে অনেকেই আত্বহত্যা করতে বাধ্য হয়। আর যারা আত্বহত্যা করতে পারে না তারা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সমকামী ব্যক্তিরা সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতি পদে পদে অবহেলা, বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার হতে থাকে। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে সমকামী ব্যক্তিদের অপরাধীর চোখে দেখা হয়। বিশেষ করে ধর্মীয় মূল্যবোধকে কাজে লাগিয়ে সমাজ সমকামী ব্যক্তিদের প্রতি জন সাধারণের নেতিবাচক দৃষ্টি ভংগি গড়ে তুলেছে। এমনকি সমকামী ব্যক্তিদের কতল করাও জায়েজ বলে সমাজে প্রচারিত আছে। যার মাধ্যমে একজন মানুষ হিসেবে সমকামী ব্যক্তির বেচে থাকার অধিকারও সমাজ অস্বীকার করে চলেছে।
এদেশে সমকামী ব্যক্তিরা এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে নিজেদের সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনের কথা প্রকাশ করতে পারে না। পারে না সম্মিলিতভাবে কোন সংগঠন করতে বা তাদের কথা কোথাও উত্থাপন করতে। না পুলিশ প্রশাসন, না আদালত –কোথাও তাদের ঠাই নেই। সবখানেই তারা অপরাধী। তারা কারো প্রতি কোন প্রকার অন্যায়, অবিচার, অপরাধ না করেও শুধুমাত্র নিজেদের ভিন্ন সেক্সুয়ায়াল অরিয়েন্টেশনের জন্য অপরাধী। একদিকে ধর্মীয় মৌলবাদীদের হুংকার অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় আইনী নির্যাতন। তাহলে সমকামীরা যাবে কোথায়? তারা কি এদেশের নাগরিক নয়?
বাংলাদেশের মহান সংবিধান জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার স্বীকার করে তার পরও সমাজে সমকামী ব্যক্তির বেঁচে থাকার অধিকার আছে বলে মনে হয় না। এমনকি রাষ্ট্র দন্ডবিধির ৩৭৭ ধারা দিয়ে সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে সমকামী ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। রাস্ট্র যেখানে সমকামী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্যমূলক মূলক আচরণ প্রদর্শন করে, রাষ্ট্র যেখানে নির্যাতনমূলক আইন প্রণয়ন করে সমকামিদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে চলেছে সেখানে সমকামী ব্যক্তির আশ্রয় কোথায়?
২| ০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০৬
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: সুন্দর পোস্টের জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
বিচার মানি তালগাছ আমার কে বলছি, আপনার মন্তব্য সম্পূর্ণ অবান্তর। সমকামীদের নিয়ে নেতিবাচক কিছু বলার আগে তাদের সমকামী হবার পেছনের কারণগুলো জানুন, তারপর মন্তব্য করুন। কেউই নিজ থেকে সমকামী হয়ে ওঠে না। এর পেছনে জিনগত, হরমোনজনিত কিংবা পরিবেশজনিত কারণ (যেমন শিশু যৌন নির্যাতন) থাকতে পারে। আর সমকামীদের বিসমগামি করার কোন চিকিৎসা নেই। যেটা প্রকৃতি প্রদত্ত সেটার জন্য কিসের চিকিৎসা করতে হবে আমি বুঝি না। তারা তো কারো ক্ষতি করে না। সমাজের আর সাধারণ মানুষের মত বেঁচে থাকতে চায়। বাংলাদেশের মত স্বাধীন রাষ্ট্রে যেখানে নারী - পুরুষের সমঅধিকারের কথা বলা হয় সেখানে সমকামী - বিসমগামি নিয়ে এত অহেতুক বৈষম্য কেন !
৩| ০৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৪৪
দুর্গম পথের যাত্রী বলেছেন: শুধু বাংলাদেশে নয়। পৃথিবীর কোথাও সমকামিতাকে সামাজিকভাবে স্বীকৃতি দেয় না এবং সেটা উচিত ও নয় ।কোন ধর্মে ও এটাকে স্বীকৃতি দেয় না।
৪| ০৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৪৪
সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন: ধর্মের ফেনা তোলা ভন্ডরা সমকামিতার কারণ জানলে ফটফট কম করতো
শুনসি আরবদেশে মোসলেমরা উটের সাথে সংগম করেন বেশি তেতে গেলে, সেগুলো দোষ না, সুন্নত
৫| ০৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১:০৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সব অসুখের চিকিৎসা আছে। সমকামীতারও আছে...
৬| ০৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮
জোয়ান অব আর্ক বলেছেন: সমকামিকা একটা অসুখ। সমকামীদের সাথে সবচেয়ে মানবিক আচরণ করা হবে যদি উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায়।
@সমকামী সৌমিক আহমেদ খান, আরব্দেশের মোসলেমরা তোমার জাতের না, তাই সুন্নত বিদাত তারা বুঝে শুনেই করে। আর শোনা কথায় এত কান দিওনা, তাহলে ভিড়ের মধ্যে তোমার পশ্চাদ্দেশ অক্ষত থাকবেনা।
৭| ০৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১২
টারজান০০০০৭ বলেছেন: সমকামী এবং তাহাদের সমর্থকদের জায়গা হইলো পাবনা মেন্টাল হাসপাতাল, কাশিমপুর কারাগার ! অথবা তাহাদের মগাচীপরে দিয়া ট্রেনিং দেওয়াইয়া মার্কিন নিগ্রো সমকামীদের কাছে রপ্তানি করিয়া দেশ প্রভূত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করিতে পারে !
উপরে একজন পাঁঠা নিজের বিচিতে কামড় দিছে দেহা যায় !
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সমকামী ব্যক্তি হলো সমাজের আবর্জনা। তাই তাদের বিশেষায়িত হাসপাতাল বা জেলখানাতে আশ্রয় দেয়া উচিত। এটা রাষ্ট্রের কর্তব্য...