![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদিও আমি কখনো দুঃস্বপ্নে বিভোর ছিলামনা এবং আজও না ।তবে একটা জাগ্রত স্বপ্ন দেখতাম ; একদিন ভালোবাসব ,ঐ আকাশের বিশালতার মতো নয় কেবল আমার মনের গভীরতা থেকে ।
১৮.১০.১৫
অনেক বছর হলো ; তবুও নিঃসঙ্গ বৃক্ষের মতো নির্জন নিস্তব্ধ মৌন পাহাড়ের মতোই একা পড়ে আছি আজও। একাই আছি এই দীর্ঘশ্বাসের মতো! তোমারও কি শুধু দীর্ঘশ্বাস,গ্রীলে বিষন্ন গোধূলী?
কতদিন শুনিনি তোমার মায়াবী কণ্ঠস্বর ;স্থির হয়ে থাকা টেলিফোন বেজে উঠেনি অনেক বছর। মনে হয় কয়েককোটি বছর রয়েছো তুমি শব্দহীন। ঝরাপাতার মর্মরে, পাখির শিসের মাঝে তোমারই কণ্ঠ ভেসে আসে নৈশব্দ্যের বুক ভেদ করে....।
তোমার সাথে কোনো কোনো দুপুরের খরতপ্ত রৌদ্রে ঢাকার রাস্তায়, এসব কিছু অতীতের দূর ম্লান স্মৃতি। বাসে চড়ে দূর পথ ; তোমার অসম্ভব মায়াময় সুন্দর মুখটি আর ঐ নীল ফ্রেমের চশমা ;মনে পড়ে খুব। সহস্র রাত কেটে গেলো তবু আজও দূর আকাশের তারা গুনি অবিরত। দূর সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে থেকেছি কতো তোমার অপেক্ষায়! তুমি ফিরোনি সেদিন আর আমার সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে শুরু হয়েছিল ভূমিকম্প ;সেদিন যদি তুমি একটিবারও ডাক দিতে তবে হয়তো ঝড় উঠতো মহাসাগরের বুকে। কিন্তু না ;ডাকোনি, তারপর আর কখনো শুনিনি বৃষ্টির কথা ; শুনিনি অশ্রুর কথা ;শুনিনি আবেগের কথা।
বড়ো ইচ্ছে ছিল তোমার জলে তৃষ্ঞা মেটাই, ইচ্ছে ছিল শুনবো তোমার মুখে গোপন অভিমান ; ইচ্ছে ছিল হারিয়ে যেতে তোমার মুগ্ধ ব্যাকুলতায়! হয়নি তা আর ;দূর পাহাড়ে একলা আমি দাড়িয়ে ছিলাম ঝর্ণার ধারে আর তুমি হারিয়ে গেলে দূরের ঐ অরণ্য বিহারে..........! তারপর থেকে দুঃখদহন যাতনা করছি বহন একলা আমি তোমার জন্য।
অতঃপর ;ভালোবাসাহীন,বহুদিন বুকের ভেতর হাহাকারময় ;বহুদিন দু'চোখের অশ্রু কেউ মোছায়নি ; বহুদিন পড়ে ছিলাম ভালোবাসাহীন, এলোমেলো অগোছালো ; শুধু বুকের ভেতর শোঁ-শোঁ চৈত্রের বাতাস উথালপাতাল আর শুষ্ক পড়ে ছিল ঐ বুক। কেউ ভালোবাসেনি ; কোথাও ভালোবাসা পাইনি। ইচ্ছে হয়েছিল অন্ধকারে হারিয়ে যাই, নদীর জলে ডুব দিই অথবা চলে যাই সুদূরে কোন নির্জন দ্বীপে। তবে না ; ফিরে আসি আবার ঐ আলো-আঁধারির যাণ্ত্রিক শহরে ধূলোবালি-ময়লা-আবর্জনা,যানজট আর আমি শুরু করি নতুন এক জীবন। যদিও অদম্য-অক্লিষ্ট ঘুম আমাকে কেবলি পিছু তাড়া করতো তবু দেয়ালে মাথা ঠুকে মরিনি ; করিনি আর অশ্রুপাত ;দগ্ধ হইনি, শুধু ছিল অফুরন্ত দীর্ঘশ্বাস। ইচ্ছে ছিল ঘুরি পথে পথে আর পার হই কয়েকশত বার ঐ ইংলিশ চ্যানেল।
তবে না ; জীবনের নেপথ্যে কখন যে এসে দাঁড়ায় এক স্বপ্নলোকের মানব, পেয়েছিলাম যার বুকে অনন্ত ভালোবাসার নদী। এই ভালোবাসাটুকু আর স্নেহছায়াটুকু না থাকলে জীবন কখন যে মরুভূমি হয়ে যেত। আজ আছে একটুকু ছায়া ;একটুকু স্নিগ্ধতা আর আছে পূর্ণতা। এখন আর তোমার কথা মনে হলে প্রিয় গানগুলো মনে পড়েনা ; বুকের ভেতর আর খরা শেষের বৃষ্টিও নামেনা। যান্ত্রিক এ শহরের ব্যস্ত রাস্তায় তোমার কথা ভাবতে ভাবতে আর পথ চলিনা ; আজ চোখের সামনে শুধু ভেসে আসছে এক সোনালি স্বপ্নের দ্বীপ।
তুমি তোমার সকল সুখ-আনন্দ-স্বপ্ন সমর্পন করতে চেয়েছিলে যার হাতে ;যার সাথে পাড়ি দিতে চেয়েছিলে দুর্গম পাহাড় ; দিয়েছিলে কি তাই? কতগুলি বসন্তপূর্ণিমা পার করেছিলে তুমি? আজ কেন এই নিঃসঙ্গ কয়েদির মতো বসে আছো শব্দহীন নির্জন! কেন আজ হয়েছো পাগল,লন্ডভন্ড করেছো জীবন? কার জন্যে নিঃশব্দে করেছো এ বিষপান?কার জন্যে হয়েছিলে দিওয়ানা-প্রেমিক আর আজ আপাদমস্তক এক ব্যার্থ মানুষ।!
............ চলে যাওয়া ট্রেনের দিকে,নক্ষত্রের দিকে তাকিয়ে কার জন্যে কাঁদছো আজ রাতের পর রাত; কার জন্যে আজ তোমার এতো অফুরান অশ্রু বিসর্জন! কার জন্যে তুমি আছো স্বেচ্ছানির্বাসনে ; কার জন্যে সব দুঃখ মাথা পেতে নিয়েছো নিজেই।! কার জন্যে এই ভাঙ্গাচোরা ব্যথীত জীবন নিয়ে ঘুরছো পথে প্রান্তরে! কার জন্যে আজ বাড়িয়েছো অচেনা দ্বীপের দিকে পা...... !!
যদিও আজ চোখের সামনে শুধু সোনালি স্বপ্ন তবু ফিরে পেতে ইচ্ছে করে তোমার হাতছানি। এখনো স্বপ্ন দেখি, জানতে ইচ্ছে করে তোমার কুশল প্রতিদিন। তুমিতো ইচ্ছে করলেই আজো পেতে পারো এই হৃতরাজ্য। আজো বুকের ভেতর একটা অচেতন কান্না পায় ;আজো হৃদয়ে জাগে একখানা পূর্ণিমার চাঁদ! আজ স্বপ্নে বিভোর এ মন নিঃশব্দ নির্জন কোন ছায়াপথে একদিন মিলবোই। যদিও এখন তোমাকে ভালোবাসা, তোমাকে আলিঙ্গন করা তুচ্ছ ও নিস্ফল তবুতো পৃথিবীতে বেচেঁ থাকা যায় এটুকু স্নিগ্ধ ছায়া নিয়ে।
আজো মনে হয় তোমাকেই ভালোবাসি তাই ভালোবাসি পূর্ণিমার চাঁদ, ভালোবাসি প্রকৃতি । তোমাকে ভালোবেসে আজ ভালোবাসা করি অর্থবহ। ভালোবাসি শ্রাবণের মেঘ, শরতের কাশফুল, তোমার ধ্যানেই মগ্ন থাকি কি না নিশিদিন। এতোটা বছর পরও সেখানেই ফিরে যেতে ইচ্ছে করে যদি পাই গাঢ় নিমন্ত্রণ ;যেখানে আছে আজো আমাদের পূরনো জীবন।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯
অবনি মণি বলেছেন: আমি ছিমছাম তো তাই!! ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:১৫
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সাবলীল, গতিময় লেখায় ভালোলাগা!
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০
অবনি মণি বলেছেন: ধন্যবাদ অশেষ!!
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৪
কাশফুল মন (আহমদ) বলেছেন: ভালোবাসার এতো হাহাকার ,,,,,,,,
দারুণ হয়েছে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১
অবনি মণি বলেছেন: ধন্যবাদ!! হাহাকার ছিল।এখন আর নেই!!
৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
"অনেক বছর হলো ; তবুও নিঃসঙ্গ,
বৃক্ষের মতো; নির্জন নিস্তব্ধ মৌন পাহাড়ের,
মতোই একা পড়ে আছি আজও।
একাই আছি এই দীর্ঘশ্বাসের মতো!
তোমারও কি শুধু দীর্ঘশ্বাস,গ্রীলে বিষন্ন গোধূলী?
কতদিন শুনিনি তোমার মায়াবী কণ্ঠস্বর,
স্থির হয়ে থাকা টেলিফোন বেজে উঠেনি
অনেক বছর।
মনে হয় কয়েককোটি বছর রয়েছো,
তুমি শব্দহীন। ঝরাপাতার মর্মরে, পাখির শিসের
মাঝে তোমারই কণ্ঠ ভেসে আসে নৈশব্দ্যের বুক ভেদ করে....। "
-কবিতা পড়তে ইচ্ছে হচ্ছিল!
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২
অবনি মণি বলেছেন: ওয়াও! আপনিই সাজিয়েছেন ভালো।ধন্যবাদ!
৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮
বিজন রয় বলেছেন: এই লেখার ভিতরে কি তিনটি চরিত্র লুকিয়ে আছে?
অনেক তরুণ বয়সের অভিলাষ!!
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৫
অবনি মণি বলেছেন: yes.thanks
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫১
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ছিমছাম লেখা।