নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো অন্ধকারের মধ্যে পার্থক্য নিরুপন করাটা কি কঠিন ? হয়তো........নয়তো.......! দেখা যাক.........

অসমাপ্ত কাব্য 21

মানুষ তাঁর নিজের প্রয়োজনেই বদলায়

অসমাপ্ত কাব্য 21 › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংখ্যালঘুদের ষাট হাজার ভোট গেলো কোথায়

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩৭

শেষ হয়েছে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ! সেখানে ধানের শীষ এবং নৌকা বরাবরের মতোই ফল পেয়েছে ! হার জিৎ নিয়ে চলছে উভয় দলেই চিরুনি বিশ্লেষণ !
এই যেমন বিএনপির বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র বরাবরের মতোই উক্তি দিলেন- "কুসিক নির্বাচনটা আনফেয়ার হইলেও ফলাফলটা ছিল ফেয়ার" , এমনিকরে নাসিক নির্বাচনের পর বলেছিলেন "নির্বাচন ফেয়ার ছিল কিন্তু ফলাফলটা আনফেয়ার" ! এখন তিনি এসব উক্তি ঝাড়তেই পারেন কারণ, ফলাফলটা তাঁদের পক্ষে গেছে ! আবার হেরে গেলে বেচারি নুরুল হুদা সাহেবের কি যে করতেন আল্লা মালুম !
পক্ষান্তরে কুমিল্লা আওয়ামীগের মধ্যে চলছে নেতা কিসিমের লোকগুলোর তুলোধুনো পর্ব কারণ লোটাস কামাল, বাহার সাহেবেরা এবার যে খেল দেখিয়েছেন তা কেবল শেখ হাসিনা নয় সমগ্র আওয়ামীলীগই দীর্ঘদিন মনে রাখবেন ! আর সারা দেশের আওয়ামীলীগাররা তো পুরো কুমিল্লাবাসীকে বানিয়েছেন খন্দকার মোস্তাক !

কেউ কেউ তুলেছেন নতুন সুর যেমন সংখ্যালঘুদের ষাট হাজার ভোট গেলো কোথায় ? যদি সংখ্যালঘুদের ভোট আওয়ামীলীগ পায় তাহলে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের ভোট গেলো কোথায়!

যাহোক, নুতন নির্বাচন কমিশনার নুরুলহুদা সাহেবকে ধন্যবাদ যে, তিনি তাঁর কথা কিছুটা হলেও রাখতে পেরেছেন এবং বিএনপি এতদিন মুখে যাই বলুক না কেন, এখন কিছুটা হলেও নুরুলহুদা সাহেবের প্রতি আস্থা ফিরে পেয়েছে !

এছাড়া বিএনপি এই নির্বাচনে জয়লাভের ফলে কিছুটা নয় পুরোটাই মেরুদন্ড সোঁজা করে দাঁড়ানোর শক্তি সাহস পেয়ে গেছে বলবো ! এতদিন খালেদা জিয়া নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের যে দাবি আন্দোলন করে আসছিলেন; এখন সেই দাবি আন্দোলনটা আরও স্পষ্ট এবং জোরালো হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই ! কারণ, তাঁরা জনগনের মনের মাপকাঠি অনেকটাই জেনে গেছে যে, জনগণ তাঁদের (বিএনপি) অতীত কর্মকান্ড পুরোটাই ভুলে গেছে কিংবা মনে রাখেনি ! বিএনপি এটাও বুঝে গেছে, যে জনগণ শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ড দেখে না সেই জনগণকে নিয়ে আরেকবার বাঁজি ধরা যেতেই পারে !

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কিছু এলাকায় জিয়ার সময়ও বি এন পি ফেল মেরে ছিল। সত্তরের নির্বাচনেও কিছু এলাকায় আওয়ামী লীগ হেরেছিল। এরকম এক এলাকায় হার-জিৎ যে সারাদেশে হারজিৎ নয় এটা যে মানুষ কেন বুঝে না, এটাই আমার বুঝে আসেনা।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: আসলে কুমিল্লার প্রেক্ষাপটটা ভিন্ন ছিল ! ওখানে সাক্কু সাহেব ছিলেন নামে মাত্র কিন্তু মূল গেম শো'টা ছিল আওয়ামীলীগ বনাম আওয়ামীলীগ !

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৫৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সংখ্যালঘুদের সবাই আওয়ামীলীগ হলে গয়েশ্বর তবে কি?

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: গয়েশ্বর চন্দ্র আওয়ামীলীগ করলে কোনোদিন এমপি- মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারতেন না ! আবার বিএনপির অসাম্প্রদায়িক সাইনবোর্ড টাঙাতেও গয়েশ্বর চন্দ্রদের খুব দরকার ছিল !

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:০২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আওয়ামী লীগের কিছু হার তাদের গলার হার হবে। এতে জনগনের প্রতি তাদের মনোযোগ বজায় থাকবে।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: কুমিল্লার নির্বাচনের শানে নুজুল এবং ফজিলত দুটোই আছে। সম্ভবত আফজাল খানের যোগ্য মেয়েটি হেরে গেছে ।
হারলে মেয়েটার দোষ নেই । হারবে মূলত নৌকা । সে হারায় প্রভাব থাকবে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়ার অন্যায়ের প্রতিবাদের প্রকাশ ।
যে নৌকাতে টেকনাফের বদি উঠে সে নৌকা অপবিত্র হয়। তখন তা আর নূহের নৌকা থাকেনা । রূপকাঠের নৌকাও থাকেনা। তখন তা হয় ইয়াবা ভর্তি জলদস্যুদের নৌকা।
বাংলাদেশের সব এমপি বদি নয়। কিন্তু মানুষ মনে রাখবে শুধু বদিকেই সিল মারার আগে । সে জন্যে কথা হলো যোগ্য মেয়েটির দোষ নেই।
তবে এটুকু স্বীকার করলে ভবিষ্যতের জন্যে মঙ্গলময় হবে যে, তিনশ এমপি এখন অবতারের জীবন যাপন করতেছেন। তাঁদের কোন কাজে প্রশ্ন করতে পারেন, চ্যালেঞ্জ করতে পারেন কিংবা তাঁদের কাছে জবাবদিহিতা চাইতে পারেন, তেমন মানুষ কেন বর্তমানে বস্তু জগতের দৃশ্যমান ফেরেশতাও নেই বাংলাদেশের ভূখন্ডে।
এ অবস্থায়, মানুষ অপেক্ষা করে। মানুষ ওৎ পেতে থাকে। সময় সুযোগ আর মাহেন্দ্রক্ষণ পেলে মানুষ প্রলয়ের দোলা দেয়। সেই দোলায় সকল সেটআপ ভেঙ্গে পড়ে। তখন সব গুটি বানে ভেসে যায়।
আবার আসি কুমিল্লাতে। কুমিল্লাতে আঞ্জুম সুলতানা সীমা হারেনি, হেরেছে নৌকা। আবার সাক্কুও জিতেনি, ধানের শীষও জিতেনি, মূলত এখানেও হেরেছে নৌকা।
মানে হলো, নৌকা হারার কারণেই জিতেছে সাক্কু। তারমানে সাক্কু নয়, নৌকার প্রতিকূলে কোন গাবগাছ দিলেও জিতে যেত। মানুষ সাক্কুদের চায় না, মানুষ নৌকা থেকে বদি মার্কা লোকদের নামাতে চায়।
সাক্কু কিংবা তাঁর দল রাষ্ট্রের কিংবা নিজেদের জন্যেও গত সাত বছরে তেমন কিছু করেনি যাতে মানুষ তাঁদের জিতাবে। আবার মানুষ এও জানে সাক্কুদের দল যদি কখনো কুদরতি হাতে গদিতে চলেই যায় তবে রাষ্ট্র হারিয়ে যাবে কোন চিপা গলিতে । সেই ২০০১ সালের আফগান মার্কা বাংলাদেশ....!

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


"বিএনপি এটাও বুঝে গেছে, যে জনগণ শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ড দেখে না সেই জনগণকে নিয়ে আরেকবার বাঁজি ধরা যেতেই পারে ! "

-আওয়ামী লীগ জাতে মাতাল তালে ঠিক; বিএনপি বুঝতে পেরেছে, যা পাবার পেয়ে গেছে।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: ভাই সময়ের তাগিদে দেশ ও জনগনের স্বার্থে অনেক কিছু স্বেচ্ছায় অথবা গায়ের জোরে করা যায়; মাঝে মাঝে গণতন্ত্র রক্ষা করাটাও স্বেচ্ছায় বলিদানের কারক বটে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.