![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ তাঁর নিজের প্রয়োজনেই বদলায়
ছাত্র রাজনীতি উপমহাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্যধারা ! ইতিহাস বলে এই ছাত্রদের হাতেই উপমহাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ও রচিত হয় ! এক্ষেত্রে আজকের রাষ্ট্র ও রাজনীতি মূলত ছাত্রদের হাতেই রচিত হয়েছিলো যা এখন এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ! এই উপমহাদেশে অনেক বিশ্ব বরেণ্য ব্যক্তিত্ব তৈরী হয়েছিল এই ছাত্র রাজনীতির হাত ধরেই যাদের নাম আলাদা করে না লিখলেও চলে !
তখনকার ছাত্ররা খুন, ধর্ষণ, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, শিক্ষকদের লাঞ্চিত অপমান করতো কিনা জানি বা ইতিহাসেও খুঁজে পাইনি ! আমার এ লেখাটিও মূলত ছাত্র রাজনীতির সেকাল ও একাল নিয়ে !
একটা সময় ছাত্র রাজনীতি নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতরেই সীমাবদ্ধ থাকতো ! বিশেষ বিশেষ কারণে (ছাত্রদের প্রয়োজনীয় দাবী-দাওয়া নিয়ে) রাস্তায় নেমে আসতো ! আর এখন ?
অধিকাংশ ছাত্র রাজনীতিকরা থাকে বিভিন্ন বাজার স্ট্যান্ড, উপজেলা চত্বর, টেন্ডার অফিস, ভূমি সাবরেজিট্রি অফিস এবং অন্যান্য ইনকাম সোর্স পয়েন্টে ! নিয়মিত কাজ হিসেবে নেতাদের বাসায় গিয়ে দোয়া লওয়া, নেতা এলাকায় কখন আসবে সেই মতো প্রস্তুতি লওয়া, সবার আগে গিয়ে নেতাকে নিজের মুখশ্রীখানা প্রদর্শন পূর্বক করমর্দন করাটা যেন এখন প্রতিযোগিতা ! নেতার পিছনে কে কতজন নিয়ে হাজিরা দিয়েছেন, স্লোগান দিয়েছেন, মারামারিতে অংশ নিয়েছেন উপরোক্ত নেতা মহোদয়গণ তো এসবই দেখে দেখে হিসেবে রাখেন অতঃপর নুতন কমিটি গঠনের সময় এলে ছাত্রদের এসব প্রোফাইল চেকইন করে পদমর্যাদা দিয়ে থাকেন ! এরফলে কারো ভাগ্য খুলে যায় আবার কারো কপালে ফুটে উঠে হতাশা ক্ষোভের রেখা ! কেউ কেউ তো পাল্টা গ্যাং চালু করে বসেন !
অনেক ছাত্র নেতা তো নিজেই অনেক সময় মনে করে বলতে পারে না যে, সে কোন ক্লাসের অথবা কোন সাবজেক্টের ছাত্র ! তবে হ্যা ! এসকল ছাত্র নেতা ভাইয়েরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাঝে মাঝে প্রবেশ করে; তবে বিশেষ কোনো কাজের জন্য !
আগে ছাত্ররা শিক্ষকদের শ্রদ্ধা-সম্মান, ভক্তি-ভয় করতো ! কিন্তু এখনকার শিক্ষকেরা ঘাড় মটকানি খাওয়ার ভয়ে তটস্থ থাকেন ! আগেরকার ছাত্র নেতাদের পকেটেও কলম থাকতো আর এখনকার ছাত্র নেতাদের পকেটে থাকে গোল্ড লিফ, বেনসন........... ইত্যাদি !
সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে অতি সহজে জাতির এসকল সাহসী মেধাবী নেতাদের চিনতে পারে সেজন্য ডিজিটাল পোস্টার ব্যানারে ছাপিয়ে এরা কত রোদ-বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করে গাছে গাছে, তারের খাম্বা খুঁটিতে ঝুলে থাকে বছরের পর বছর ধরে !
ছাত্রদের অবিভাবক তো পিতা-মাতা, শিক্ষক গুরুজনদের হওয়ার কথা কিন্তু এসকল ছাত্র নেতাদের অবিভাবক রাজনৈতিক নেতারা !
সরকারী কিংবা আধা সরকারী কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্ররা ছাত্র রাজনীতির সুফল হাড়ে হাড়ে ভোগ করে থাকেন ! এছাড়া এই সংগঠনটার শেকড় এখন তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত !
অতএব এটাকে এখন বৃহৎ নেতাদের হাতিয়ার বা লেজুড়বৃত্তি সংগঠন বললে ভুল হবে বলে মনে করি না ! কেননা ছাত্র শিক্ষকদের প্রায় সকল দাবিই সরকার কতৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে বাস্তবায়ন করে দিয়েছে এবং দিচ্ছে !
তাই এই সংগঠনটির হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া বা নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা আছে কিনা জানিনা ! অথচ জাতির মেরুদন্ড হিসেবে এই সকল ছাত্রদের নিজস্ব গৌরব ও আত্মসম্মানবোধ হারিয়ে কোনো ক্ষমতাবানদের লেজুড়বৃত্তি না করে কেবল নিজস্ব শিক্ষা নিয়েই ভাবা উচিত ছিলো ! তাহলে এরা জাতির অহংকার হিসেবেই পুরোনো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পারতো !
০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:২৯
অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: সমর্থন না দিয়েই বা উপায় আছে কি ? স্রোতে তো গাঁ ভাষাতেই হবে !
২| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষের পেশা থাকে, ডাক্তারী, কারিগরি, ব্যুরোক্রসী, রাজনীতিবিদ; ছাত্র-ডাক্তার, ছাত্র-কারিগর, ছাত্র-ব্যুরোক্রেট নামে কিছু নেই; তা'হলে ছাত্র-রাজনীতিবিদ কোথা থেকে এলো?
৩| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ছাত্র রাজনীতিবিদ হিসেবে বড় অসফলতার প্রমাণ রেখে গেছেন নামকরা লোকজন।
ছাত্র সংগঠন হিসেবে "ইসলামী ছাত্র সংঘ" ইতিহাসের সেরা জল্লাদ বাহিনীর ইতিহাস গড়েছে।
৪| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ২:৩৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বর্তমানে ছাত্র রাজনীতির আর কোন দরকার নেই। যারা টিকিয়ে রাখতে চায় তারা দেশের ভালো চায় না...
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৩২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আগের কথা জানি না, তবে এখন শিক্ষাদাতারাই প্রকাশ্যে সমর্থন দিচ্ছেন!!