| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা সবাই পাগল কিন্তু স্বীকার করি না। কেউ ভবের পাগল, কেউ ভাবের পাগল, কেউ লাভের পাগল, কেউ ভালোবাসার পাগল, কেউ টাকার পাগল, কেউ সুখের পাগল, কেউ বা মনের দূঃখে পাগল। কেউ বদ্ধ পাগল আবার কেউ চৈতা পাগল। আসল কথা হচ্ছে প্রকৃত পাগল দেশ ও দশের জন্য ক্ষতিকারক না। কোন পাগল দূর্ণীতি করে না, কোন দেশের সম্পদ লুটপাট করে না, কারো সম্পদের প্রতি লোভ নেই।
হাজার বছর আগের দুই পাগলের আদর্শ আমরা আজও ভুলতে পারি না। বাহলুল পাগলার নিকট থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন বাদশা হারুন অর রশিদ। পাগল দার্শনিক ডায়াজোনিস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ছিলেন মহাবীর আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট।
আলেকজান্ডারের জীবনে দুজনের প্রধান দার্শনিক সম্পর্ক ছিল: অ্যারিস্টটল এবং ডায়োজিনিস। অ্যারিস্টটল ছিলেন আলেকজান্ডারের শিক্ষক, যিনি তাকে দর্শন, নৈতিকতা, এবং বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং তার ব্যক্তিত্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। অন্যদিকে, সিনিক দার্শনিক ডায়োজিনিস ছিলেন একজন সরল ও কঠোর জীবনযাপনে বিশ্বাসী দার্শনিক, যার সাথে আলেকজান্ডারের বিখ্যাত সাক্ষাৎ হয়।
আলেকজান্ডার ও অ্যারিস্টটল
শিক্ষক ও ছাত্র: অ্যারিস্টটল ১৩ বছর বয়স থেকে প্রায় ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত আলেকজান্ডারের শিক্ষক ছিলেন।
প্রভাব: অ্যারিস্টটলের কাছ থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা আলেকজান্ডারকে একজন ন্যায়পরায়ণ ও বিচক্ষণ শাসক হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। তিনি শুধু দর্শনই নয়, চিকিৎসা, তর্কবিদ্যা এবং অন্যান্য অনেক বিষয়েও জ্ঞান লাভ করেছিলেন।
আলেকজান্ডার ও ডায়োজিনিস
সাক্ষাৎ: আলেকজান্ডার যখন করিন্থে ছিলেন, তখন তিনি বিখ্যাত দার্শনিক ডায়োজিনিসের সাথে দেখা করতে যান।
বৈশিষ্ট্য: ডায়োজিনিস ছিলেন একজন সিনিক দার্শনিক যিনি জাগতিক বিলাসিতা, সম্পদ ও ক্ষমতাকে অবজ্ঞা করতেন এবং অত্যন্ত সরল জীবনযাপন করতেন।
ঘটনা: কিংবদন্তি অনুযায়ী, ডায়োজিনিস সূর্যের আলো থেকে আলেকজান্ডারের ছায়া সরে যেতে বলেন এবং আলেকজান্ডারের কাছে তাঁর জন্য কী করতে পারেন তা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "আমার সূর্য থেকে সরে যান"। এই ঘটনাটি আলেকজান্ডারের জীবনে দার্শনিকদের প্রভাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়।
মৃত্যু: প্লুটার্কের মতে, আলেকজান্ডার এবং ডায়োজিনিস একই দিনে মারা যান, ৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
©somewhere in net ltd.