নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রবিন.হুড

রবিন.হুড › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাচীনপন্থী(এ্যালোপ্যাথিক) চিকিৎসার ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে মুক্তির জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার আবির্ভাব

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২৩

প্রাচীনপন্থী (এ্যালোপ্যাথিক) চিকিৎসা পদ্ধতিতে কখনও রক্তাধিক্য কখনও বা রুগ্ন বস্তুুসমূহ এবং দূষিত পদার্থ সমূহের অস্তিত্ব পূর্ব হতে অনুমান করা হয়। তাই জীবন ধারনের অতি প্রয়োজনীয় বস্তুকে মোক্ষম করে নেয়া হয়। কাল্পনিক রোগ বস্তুকে বাহির করলে বা অন্য দিকে পরিচালিত করলে রোগ দূর্বল হবে বা নির্মূল হবে- এই সকল মিথ্যা বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে এটা করা হয়। প্রকৃত পক্ষে এতে রোগ যন্ত্রণা বৃদ্ধি পায় এবং এই সকল যন্ত্রণাদায়ক পদ্ধতি দ্বারা অতি প্রয়োজনীয় শক্তি পুষ্টিকারক রসসমূহ দে হতে নিষ্কাশন করা হয়।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিপোক্রিটাস চিকিৎসার ক্ষেত্রে সদৃশ নীতি ও বিসদৃশ নীতি নামে দুই ধরনের নীতির কথা উল্লেখ করেছেন। এ্যালোপ্যাথি হচ্ছে বিসদৃশ নীতি এবং হোমিওপ্যাথি হচ্ছে সদৃশ নীতি।

ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের "অর্গানন অব মেডিসিন" (Organon of Medicine) হল হোমিওপ্যাথির একটি মৌলিক ও প্রামাণ্য গ্রন্থ। এর ষষ্ঠ সংস্করণের ভূমিকা মূলত নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি উপস্থাপন করে:

১. হোমিওপ্যাথির দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি পুনর্ব্যাখ্যা
হ্যানিম্যান এই ভূমিকায় হোমিওপ্যাথির মৌলিক নীতিসমূহ—যেমন “সদৃশ বিধান” (Similia Similibus Curentur), একক ওষুধ, ন্যূনতম ডোজ, এবং ঔষধের শক্তিকরণ (Potentization)—এর যৌক্তিকতা ও প্রয়োজনীয়তা পুনরায় বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন।

২. ক্রনিক রোগের তত্ত্ব (Theory of Chronic Diseases)
ষষ্ঠ সংস্করণে হ্যানিম্যান তার “মিয়াজম তত্ত্ব” (Miasm Theory)-এর উপর বিশেষ জোর দেন। তিনি দীর্ঘমেয়াদি রোগের মূল কারণ হিসেবে সোরা (Psora), সিফিলিস (Syphilis) ও সাইকোসিস (Sycosis)-এর ধারণা উপস্থাপন করেন এবং এগুলির চিকিৎসার কৌশল নির্দেশ করেন।

৩. নতুন পদ্ধতি ও নির্দেশনা
এই সংস্করণে তিনি “এলএম পোটেন্সি” (LM Potency)-এর ব্যবহার প্রবর্তন করেন, যা ঔষধ প্রস্তুতির একটি নতুন ধারা। তিনি দুর্বল ও সংবেদনশীল রোগীদের জন্য নমনীয় ডোজ ও পুনরাবৃত্তির কৌশল সুপারিশ করেন।

৪. চিকিৎসকের কর্তব্য ও নৈতিকতা
হ্যানিম্যান চিকিৎসককে একজন সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষক, নিঃস্বার্থ সেবক এবং প্রকৃতির সহায়ক হিসেবে দেখেন। তিনি রোগের সমগ্রতা (Totality of Symptoms) অনুধাবন, রোগীর ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য বিবেচনা ও ঔষধ নির্বাচনে সতর্কতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

৫. হোমিওপ্যাথিকে একটি পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাবিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠা
হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথিকে প্রচলিত এলোপ্যাথিক চিকিৎসার বিকল্প নয়, বরং একটি স্বতন্ত্র, বিজ্ঞানসম্মত ও নিয়মভিত্তিক চিকিৎসাপদ্ধতি হিসেবে উপস্থাপন করেন, যা রোগের মূল কারণ অনুসন্ধান করে এবং প্রাকৃতিক নিয়মের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

৬. আধ্যাত্মিক ও গতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি
ষষ্ঠ সংস্করণে হ্যানিম্যান “ভাইটাল ফোর্স” (Vital Force)-এর ধারণাকে আরও গতিশীল ও আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করেন, যাকে তিনি রোগ ও স্বাস্থ্যের মূল নিয়ন্ত্রক শক্তি হিসেবে বিবেচনা করেন।

সারমর্ম:
ষষ্ঠ সংস্করণের ভূমিকা হল হোমিওপ্যাথির পরিশীলিত ও পরিপূর্ণ রূপের একটি ঘোষণাপত্র, যেখানে হ্যানিম্যান তার জীবনের চূড়ান্ত চিন্তাভাবনা, গবেষণা ও প্রায়োগিক নির্দেশনাগুলি সংকলন করেছেন, বিশেষত দীর্ঘমেয়াদি রোগ চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ কৌশলের ক্ষেত্রে। এটি হোমিওপ্যাথিকে একটি গতিশীল, ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসাপদ্ধতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৭

আদিবাসী শামুক বলেছেন: ধুর ব্যাটা ছাগোল!

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনি কি বলতে চান?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.