![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের করা ভুল গুলো মনে করিয়ে দেয় যে আমি ও মানুষ, ভুলের অনুশোচনায় পুড়ি বলেই আমি নই অমানুষ।
মুঘলদের পিলখানার অধিনে হাতির সংখ্যা গুণে শেষ করা যেত না। সম্রাট জাহাঙ্গীর তাঁর আত্মকথনে মোটামুটি একটা হিসেব দিয়েছিলেন।
যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করার মত মুঘলদের হাতির সংখ্যা ছিল প্রায় বার হাজার। সাথে ছিল আরো এক হাজার ছোট আকারের হাতি যেগুলো বড় হাতিদের খাবার সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত হত।
এর বাহিরে এক লক্ষ হাতি ছিল যেগুলো আমহারা বহন করত। আমহারা হচ্ছে কাপড়দ্বারা আচ্ছাদিত পাল্কির মত, শাহ পরিবারের মহিলাদের এবং শাহী পরিবারের মালামাল বহন কার্যে এগুলা ব্যবহৃত হত।
এই বিশাল পিলখানার প্রতিটি হাতি দেখাশুনা করার জন্য প্রয়োজন হত পনের জন লোকের। আর প্রহরী ছিল এক হাজার। একটা হাতির জন্য পনের জন লোক! অবিশ্বাস্য!
সম্রাট আকবরের পুত্র সুলতান দানিয়েল মারা যাওয়ার পর তার সম্পদের কিছু ভাগ সম্রাট জাহাঙ্গীর ও পেয়েছিলেন। সম্পদের অংশ হিসেবে একটা হাতি ও পেয়েছিলেন। জাহাঙ্গীর তার নাম দিয়েছিলেন ইন্দ্রগজ।
হাতিটি এত বড় ছিল যে তার পিঠে উঠতে চৌদ্দ ধাপের সিঁড়ি ব্যবহার করা হত। চলাফেরায় এত দ্রুততা ছিল যে দ্রুতগামী ঘোড়া ও তার সাথে এটে উঠতে পারত না। হাতিটির গুণপনায় মুগ্ধ হয়ে সম্রাট জাহাঙ্গীর তার জন্য এক বাদ্যদল নিযুক্ত করে দিয়েছিলেন। আর হাতিটির আগে আগে হেঁটে যেত চল্লিশ জন বর্শাধারী।
হাতিটির পানীয় হিসেবে বরাদ্দ ছিল এক মণ মদ। রোজ সকাল সন্ধ্যায় হাতিটির খাদ্য এক মন তেল কিংবা মাখনে বানান হত। তার খাদ্য ছিল চার মণ চাল ও দুই মণ গরু কিংবা খাসির মাংস।
সম্রাটের প্রাতঃভ্রমণ এর জন্য এটাই বেছে নেওয়া হয়েছিল। সেজন্য এটার পিঠে সোনার হাওদা স্থাপন করা হত। হাওদা হচ্ছে হাতির পিঠে স্থাপন করা রাজকীয় আসন, যাতে দুই এর অধিক লোক বসা যায়।
চার মন ওজনের সোনা গলিয়ে হাতিটির জন্য শিকল, আংটি, নাক, বুক ও পায়ের জন্য অনান্য গহনা বানানো হয়েছিল। রোজ হাতিটির সর্বাঙ্গ চন্দন কাঠের গুড়া দিয়ে মেজে দেওয়া হত।
একটা হাতির জন্য পনের জন লোক নিয়োগের ব্যাপারটা এই পর্যায়ে এসে আর অবিশ্বাস্য মনে হয় না। মানুষ এখনও নিয়মিত বড় কোন খরচ পরিচালনাকে হাতি পালনের সাথে তুলনা করেন। মুঘলদের এই বৃহৎ হাতিশালা রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য দৈনিক কত খরচ হত তা কল্পনাতীত!
অবশ্য তাঁদের বিশাল সম্রাজ্যের ঐশ্বর্য্যে পরিমাণ সম্পর্কে কিছুটা জানা থাকলে এটাকে খুব বেশি বলে মনে হয় না।
একবার সম্রাট জাহাঙ্গীর রাজকর্মচারী কিলিজ খানকে হুকুম দিয়েছিলেন রাজকীয় কোষাগার গুলোতে শুধু কতটুক স্বর্ণ আছে তার হিসেব দেওয়ার জন্য। ঐ কর্মচারী শুধুমাত্র আগ্রার কোষাগারে সঞ্চিত স্বর্ণ এর হিসেব দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন।
শহরের নানা বণিক থেকে চল্লিশ জোড়া দাঁড়িপাল্লা জোগাড় করে রাত দিন টানা পাঁচ মাস কাজ করেছিলেন মুদ্রা ও দামি পাথরের ওজন নেওয়ার জন্য।
পাঁচ মাস শেষে সম্রাট দেখলেন এখনো তাদের পক্ষে ঐ কোষাগারের স্বর্ণমুদ্রা আর দামি পাথর মেপে শেষ করা সম্ভব হয় নি। বলাবাহুল্য এটা ছিল শুধু মাত্র একটা শহরের কোষাগারের অবস্থা।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮
জাহেদ মুরাদ বলেছেন: ধন্যবাদ। লিখাটা সম্রাট জাহাঙ্গীর এর জীবনী থেকে কপি করা। মজার তথ্য, তাই শেয়ার করলাম।
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " ধন্যবাদ। লিখাটা সম্রাট জাহাঙ্গীর এর জীবনী থেকে কপি করা। মজার তথ্য, তাই শেয়ার করলাম।"
-সম্রাট হয়তো লাখ ও হাজারের পার্থক্য বুঝতেন না।
১ লাখ হাতি আমহারা বহন করতো? মাথা থাকলে ভাবতে হয়
-
৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:১০
বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা ... বটে!!
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫
জাহেদ মুরাদ বলেছেন: জীবনীতে কিছু অত্যুক্তি আছে বলে অনুবাদক ও স্বীকার করেছেন। সে ক্ষেত্রে তিনি পাণ্ডুলিপি নকলকারীদের দায় দিয়েছেন।
৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
জাহেদ মুরাদ বলেছেন, "জীবনীতে কিছু অত্যুক্তি আছে বলে অনুবাদক ও স্বীকার করেছেন। সে ক্ষেত্রে তিনি পাণ্ডুলিপি নকলকারীদের দায় দিয়েছেন। "
-এতটুকু জানার পর, আপনার লেখাটি কিছুটা হলেও এনালাইটিক্যাল হওয়ার দরকার ছিলো।
৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২
জাহেদ মুরাদ বলেছেন: বাদশাদের বাদশাহি কারবার। সে হিসেবে মুদ্রা মাপার বিষয়টি এনালাইসিস করা দরকার। সহজ সরল পাঠক হিসেবে এত কিছু ভাবি নি। পড়ে গেছি আর মনে মনে wow রিয়েক্ট দিয়ে গেছি
৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫
কূকরা বলেছেন: পাঁদগাজীর ফটফটানি দেখলে মেজাজ খারাপ হইয়া যায়। সব ব্যাপারে হালারে জ্ঞান দিতে হইব।
৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১
নীল বরফ বলেছেন: দুই মণ গরু কিংবা খাসির মাংস!!!!!
লাইফে এই প্রথম শুনলাম হাতি মাংস খায়!.
০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১
জাহেদ মুরাদ বলেছেন: সত্যি বলতে আমিও আগে শুনি নাই। এই প্রথম পড়লাম।
৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০
জাহেদ মুরাদ বলেছেন:
১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪
নীল বরফ বলেছেন: বাঙাল মুল্লুকের হাতীর মত যোদ্ধা হাতী পৃথিবীতে আর কোন জাতি পাই নাই; মুঘোলরাও না। আমদের হাতী আসলে কি রকমের ভয়ংকর যোদ্ধা ছিল রণক্ষেত্রে তার এক অসাধারন বর্ণনা রয়েছে The Baharistan-i-Ghaibi বইটিতে ,লেখক Mirza Nathan। মির্জা নাথান নিজেও একজন মাহুত ছিলেন, মুঘল সেনাবাহিনীর।রণক্ষেত্রে উনি বাঙাল মুল্লুকের হাতী দ্বারা মারাত্মক আহত হন। তখন তিনি এই বইটি লিখেন। আমাদের দেশের হাতীর রণকৌশল, প্রভুভক্তি আর অন্যান্য আচরন নিয়ে আলোচনা রয়েছে।
পৃথিবীতে প্রথম হাতীকে পোষ মানান এক বাঙালই ...তার নাম পালকাপ্য । উনি চট্টগ্রামের মানুষ ছিলেন। উনিই প্রথম তার পোষা হাতীকে সিন্ধু সভ্যতার রাজার কাছে নিয়ে যান। আমি ব্যক্তিগতভাবে হাতী অনেক পছন্দ করি এদের প্রখর স্মৃতি,গোত্রভাবে বসবাস,পানি খুঁজে বের করার কৌশল ইত্যাদি কারনে।
১১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮
জাহেদ মুরাদ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। বইটি পড়ার চেষ্টা করব।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো যে, আপনি অনেক অংক জানেন