নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইচ্ছে করে ঘাস ফড়িঁং হয়ে উড়ে বেড়াতে ।

কাজ করি সত্তিকারের মানুষের তরে ।

মুস্তাক

কাজ করছি উন্নয়নে

মুস্তাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা দান করা না বিক্রি করা হয়?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯

আগেকার দিনে যে শিক্ষা পেত সেটা প্রাথিষ্ঠানিকই হোক আর সামাজিকই হোক এর সাথে যদি বর্তমানের শিক্ষাকে তুলনা করি তাহলে কোনটা ভাল বা কোনটায় মানুষকে প্রকৃত অর্থে শিক্ষিত করে । আমি আমার লিখার যত ভুল প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কারন আমি জানি আমার অনেক বুল হয় লিখতে গেলে আর সে কারনে খুব একটা লিখাও হয়ে উঠেনা; আজ অনেকা ক্ষুব নিয়ে লিখতে সাহস করলাম । বাংলাদেশে বেশ কটি পাবলিক ইউনির্ভাসিটি রয়েছে যেখান থেকে ভাল মানের শিক্ষা দান করা হচ্ছে আর অগনিত বেসরকারী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যাদের কেউ কেউ ভাল মানের শিক্ষা বিক্রি করছেন আর বাকি যা রয়েছে তাতে বাজারের সস্তা একটা সার্টিফিকেট বিক্রি বলাচলে ।

আমি সেই সার্টিফিকেটের দোকানের কথা বলছিনা; বলছি মেধা বিক্রির দোকানের কথা । এমন একটা সময় ছিল যখন শিক্ষকদের দেখলে জরু-সরু হয়ে দাড়িয়ে সালাম দিয়ে চিন্তা করতাম কখন সরতে পারব, কেননা একটা ভয় কাজ করতো মনে, আমাদের শিক্ষাদান করেন উনি যদি কোন বেয়াদবি হয় । জানিনা আজো হয়তো সেই বিদ্যেটা লালন করা হয় কোন কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে । তবে এটা আমি নিঃশ্চিত যে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ওটা নেই কারন ওখানে শিক্ষা দান করা হয়না শিক্ষাকে বিক্রি করা হয়, মোট অংকের টাকা দিয়ে যখন শিক্ষাকে বিক্রি করা হয় তখন ছাত্রদের ভাললাগার উপর নির্ভর করে কোন শিক্ষক আগামী মাস থেকে ক্লাস নিবেন । শিক্ষক মেধা বিক্রির সময় সবচেয়ে ব্যাস্ত থাকেন যেন কেউ অভিযোগ করতে নাপারে, আর এমন পরিস্থিতিতে ছাত্র/ছাত্রীদের ভাল লাগা বিষয় গুলিকেই বেশি মূল্যায়ন করা হয় । শিক্ষা কিক্রির জন্যে কয়েকটা ক্লাস রুম, কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি আর মনুষত্ত্ব বিকাশের ভাবনার কোন প্রয়োজন বোধই করেনা, কেবল বইয়ের কিছুলিখা মুখস্ত করিয়ে দেয় আর ইংরেজিতে কথা বলাটা রপ্ত করিয়ে দেয়া হয় । ছাত্ররা ইংরেজিটাকে রপ্ত করে ভাবছেন অনেক বড় মাপের শিক্ষিত মানুষ হয়ে গেছেন, একবারও ভাবেননা যে, ওটা কেবলি মনের ভাব প্রকাশের একটা ভিনদেশি ভাষা মাত্র; আমি এই ভাষাটাকে খাট করে দেখছিনা কেবল বুঝাতে চাচ্ছি যে, একজন অশিক্ষিত মানুষও যে কোন ভাষা আয়ত্ত্ব করে ভাল যোগাযোগকারী মাধ্যম হতেপারেন কিন্তু শিক্ষিত নয় । আজ আমরা টাকার মাধ্যমে একটা ভাষায় কথাবলা শিখে নিজেকে শিক্ষিত ভাবছি । নাম প্রকাশ না করেই লিখছি যে, গত বেশ কদিন আগে আমি একটা চায়ের দোকানে চা খাব বলে দাড়াঁলাম, পাশেই কয়েকটি ছেলে মেয়ে চা খেতে খেতে গল্প করছিল, আমি ফিরে গেলাম আমার সেই ছাত্র জীবনে, চায়ের কাপে ফুক দিয়ে বন্ধুদের সাথে গল্প করার সপ্নে, আমি একটু চমকে গিয়ে লক্ষ করছিলাম তাদের কথা গুলি, একটা মেয়ে তাদের ফ্রেন্ডদের সাথে গল্প করছে যা কেবল বিবাহিত মেয়েরাই করতে পারে, ছেলে বন্ধুরা বলছে তুই বিয়ে করে আর কি দিবি স্বামীকে? মেয়ে গুলির ভাবনা বেশ আধুনিক, কাকে কখন বিয়ে করব আর তার জন্যে এভাবে কষ্ট করতে পারবোনা বাবা, বিয়ের সময় বিয়ে, পাশে দুটি ছেলে সিগারেটের মধ্যে গাজা ঢুকাচ্ছে, মেয়ে গুলি বলল তুরা এখনও সেই ব্যাকডেটেই রয়ে গেলি, কত সহজ পদ্ধতি হাতের নাগালে আর তুরা পারসও রে । আমরাতো ক্লাসে ঢুকার আগেই মেরে আসলাম । আমি কিছু বিষয় বুঝেছি আর কিছু বিষয় বঝিনি; মেয়ে গুলি বেশ লুভনিয় জামা কাপড় পরে ছিল, আর তখনি শফি সাহেবের কথা মনে পড়ল, অঅমার ধারনা শফি সাহেব এরকম মেয়েদের কথা ভেবেই বলেছিলেন তেতুল তত্ত্ব; যাক সে সব কথা, আমার প্রশ্ন হচ্ছে অভিভাবকরা বি চাচ্ছেন ছেলে মেয়েদের ঐশির মত করে পাশে পেতে নাকি অন্য কিছু? আসলে আমাদের ছেলে মেয়েদের কোন দোষ নেই, পিতা-মাতাই চাচ্ছেন মেয়ে আমার বড় হবে আমায়....................ক্ষমা করবেন যাদের আতেঁ ঘা লাগবে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.