![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি বা এর কিছু বেশী, আর ধার্মিক মানুষের সংখ্যা ৩৩ কোটি বা সে রকমই...
এই সব ধার্মিক মানুষের সমর্থনের উপর ভর করিয়াই লাখ খানেক ধর্ম ভিত্তিক দল ও সংগঠন দেশে তাহাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। রাস্তা আটকায়া নামাজ পড়ে, বাসে বাসে মসজিদের জন্য চাঁদা তোলে, ভাইয়ের জমি দখর করে মসজিদ বানায়, মিছিল করে-জনসভা করে, মাইকের উচ্চশব্দে ওয়াজ করে, খাজাবাবার খানবাজনা করে, এখানে সেখানে পূজার মন্ডপ বসায়া সার্বজনীন উৎসব করে...
জগতের সকল ধর্মেই নারীকে রক্ষা করিবার দায়ীত্ব পুরুষের, অথাৎ ইমান বা ধার্মিকতার বিচারে তিনিই পুরুষ-যার নারীকে রক্ষা করিবার ইচ্ছা বা সক্ষমতা আছে। ১লা বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের মধ্যে মাত্র ক’জন পুরুষ বা মুমিন পাওয়া গেল, যাহারা নারীকে রক্ষায় এগিয়ে গিয়েছিল। যে দেশের রাস্ট্রধর্ম ইসলাম সে দেশে পুরুষ বা মুমিন কিনা বিধর্মী (ছাত্র ইউনিয়ন, যাহাদের ভাবা হয় কমুনিস্ট* বা নাস্তিক) নেতা তো ডাবল বিধর্মী (কমুনিস্ট এবং হিন্দু)!!!
খ
পুলিশ ভাবিয়াছিল লক্ষ মানবাকৃতির বিপরীতে যাহারা ‘পুরুষ’ তাহারা না জানি কি ভীষন। তাহাদের পথ রোধে কিংবা নিরাপত্তায় রাস্ট্রের কাছে তাই জলকামান, রায়টকার সহ কত কি চাহিয়া লওয়া হইলো, দেয়া হইলো ডে্রেস রিহার্সেল।
কিন্তু একি! ক’একটি পুচকে ছোকড়া, তাহার মধ্যে আবার কিছু নারী-আকৃতিও আছে...
নারী আকৃতি কি ‘মুমিন’ বা রক্ষাকর্তা ‘পুরুষ’ হয়? এ অনেক পুরোনো প্রশ্ন!!! যদিও মা দিবস উপলক্ষে সকলে বলছিল--- মা জন্মদাত্রী, বিপদে আপদে মা’ই পরম আশ্রয়।
যাই হোক মাদ্রাসায় এ প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয় না, ছোটদের ইংরেজী স্কুলেও এ প্রশ্নের উত্তর নেই, পয়সা ওয়ালাদের ইংরেজী স্কুলে বছরে একদিন ‘মা’ দিবস পালন হয়, বাকী দিন...
শুধু মাত্র হিন্দু ধর্মে রক্ষা ও পালনকারী দেবতারা নারী আকৃতির মাতৃরুপেণ, তাই জগতের ধন সম্পদে তাহাদের কোন অধিকার নাই...
গ
পুলিশের ছোট কর্মীরা হয়তো মাদ্রাসার ছাত্র ছিল, বড় কর্তারা???... যে রাস্ট্রের ধর্ম ইসলাম সে রাস্ট্রের কর্তা তাহারা। এ রাস্ট্রের নাম পরিচয়টি ১৯৭১ সালে নির্ধারিত হয়। যাহারা এই নাম পরিচয় নির্ধারনে লড়িয়াছিলেন তাহারা ‘ধর্ম নিরপেক্ষতা বা সকল ধর্মের মানুয়ের সমান সুয়োগ’ এর জন্য লড়িয়াছিলেন। তাহারা লড়িয়াছিলেন সকল মানবাকৃতির (পুরুষাকৃতি বা নারী-আকৃতি) সমান সুযোগের জন্য। কিন্তু আমাদের সুশীলেরা তাহা অতীত বিষয় বলিয়া রায় দিয়াছেন, অতঃপর হাজার বছরের পুরোনো আরবী গ্রন্থ লইয়া ব্যাস্ত হইয়াছেন...
ঘ
যে রাস্ট্রের ধর্ম ‘ইসলাম’ সে রাস্ট্রে কমুনিস্ট ও নাস্তিকদের মাথা কাটা গেলে রাস্ট্রের দায়ীত্ব নয় তাহা সুরাহা করা। তাই হুমায়ুন আজাদ-অভিজিৎরা মরে ১৪ ডিসেম্বর’৭১ এর নীল নকশায়।
ঙ
নাগরিক ও রাস্ট্রের নিরাপত্তার প্রয়োজনে ছাত্র ইউনিয়ন বা কমুনিস্টদের শাহবাগেই আটকে দেয়া হয়েছিল...
চ
নাছোড় কমুনিস্টরা টি এস সি, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট হয়ে যাত্রা করেছিল...
ছ
পুলিশ নাগরিক ও রাস্ট্রের নিরাপত্তায় সকাল থেকেই রাস্তায় ব্যারিকেট দিয়ে যান ও জান চলাচল বন্ধ রেখেছিল, অপেক্ষায় ছিল...
জ
ছাত্র উইনিয়নের যে কোন অনুষ্ঠান শুরু হতে ঘন্টাখানেক দেরী হয়। এর পর তারা গ্যাছে ঘুরপথে... এই গরমে রায়টকার, জলকামান আর আর্মড পুলিশ কতক্ষন অপেক্ষা করবে? পুলিশ কি মানুষ নয়? ওরা কি এখোনো ব্রিটিশ-পাকিস্তানের ঠোলা?
ঝ
এতো প্রস্ততি, এতো প্রস্ততি...
কিন্তু একি! ক’একটি পুচকে ছোকড়া, তাহার মধ্যে আবার কিছু নারী-আকৃতিও আছে... পোলাপাইনের চেয়ে সাংবাদিকের সংখ্যাই বেশী, আর পুলিশ...
ফাইজলামো পাইছো মিয়া... সরকাররে কি জবাব দিমু? রায়টকার, জলকামান, আর্মড-ড্রেস সব জনগনের পয়সায় কেনা, রিকুজিশন এর পয়সাও তোমগোর বাপের পকেটের...
ঞ
বংশী বাজাও, জলকামান মারো, রায়টকার চালাও... বংশী বাজাও... বংশী বাজাও... রাধা আসবেই...
অতঃপর রাধা আসিলেন, ফুলের টব ছুড়িয়া মারিলেন...
ছবি তোল... ছবি তোল... ছবি তোল...
ট
দায়ীত্বরত পুলিশকে টব সমেত ফুল দিতে নাই, এটা অন্যায়...
ধোঁয়া হয়, আগুন হয় এমন কিছু দেয়া যেতে পারে... তাতে পুলিশের না দেখবার সুবিধা হয়। ১লা বৈশাখে পুলিশ কিছুই দেখে নাই, সি সি ফুটেজের ছবিও স্পস্ট নয়...
১২ মে ২০১৫
* ইসলাম ও জামায়াতে ইসলাম যেমন আলাদা, কমুনিস্ট ও চীনপন্থি বা মাওবাদী কমুনিষ্টও তেমন আলাদা। ওরিজিনাল ব্র্যান্ড আর চাইনিজ প্রডাক্ট আর কি...
চীনপন্থি বা মাওবাদী কমুনিষ্টরা নাস্তিক নয় তাহারা আধ্যাত্মিক, এ জন্যই তাহারা ১৯৭১ এ বাংলাদেশ কে সমর্থন দেয় নাই, ১৯৭২ থেকে বাংলাদেশ ও আওয়ামী বিরোধী রাজনীতিকে নেতৃত্ব দিয়েছে... যুদ্ধাপরাধী বিচার প্রশ্নে, এরাই প্রথম উচ্চারন করে ‘বিচারটি হতে হবে, সচ্ছ-ট্রান্সপারেন্ট...’
©somewhere in net ltd.