নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেখা না দেখার বয়ান

নাজিব তারেক

নাজিব তারেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন আমি শিল্পী নই ০০১

২০ শে মে, ২০১৫ রাত ১:২১



১৯৮৭ সালে যখন ঢাকা চারুকলার ছাত্র হিসেবে ঢাকা শহরে আসি, তখন এ শহরে চিত্র প্রর্দশনী মানে এলিয়ন্সে কিংবা জার্মান কালচারাল সেন্টারে মাসে দু’মাসে একটি প্রদর্শনী। শিল্পকলার আয়োজনে একটি নবীন অথবা জাতীয় অথবা এশিয়ান। ঢাকা চারুকলার একটি বার্ষিক প্রদর্শনী হওয়ার কথা থাকলেও তা প্রায়সই দ্বী-বার্ষিক। চারুকলার দু’টি গ্যালারিই (বর্তমানে জয়নুল গ্যালারি) আহত নিহত ডংকি (চিত্রকলার ছাত্রদের বসবার আসন বিশেষ) ইদুর ও তেলাপোকার বাসস্থান। টিএসসিতে প্রতিবাদী (সামরিক শাসন বিরোধী) এক দুটি প্রদর্শনী।

সকল প্রথা ছিড়ে খুড়ে ১৯৮৮ তে জয়নুল জন্মদিনে আমরা সহপাঠিরা একখানা প্রর্দশনী করে ফেললাম, চারুকলার তৎকালীন প্রি-ডিগ্রীর বর্হিদেয়ালে। সে দিনই বোঝা হলো পা দিয়েছি সর্বনাশে। ১৯৯৪ পর্যন্ত তাই কাধে একটার পর একটা প্রর্দশনী আয়োজনের দায়। জলরং উৎসব, বৈশাখ র‌্যালী, বিজয় উৎসব, জয়নুল উৎসব, নতুন শিল্প মাধ্যম- ইন্সটালেশন, পারফরমেন্স সহ আরো এটা সেটা..

জয়নুল গ্যালারি হলো, হলো শিল্পাঙ্গন, হলো গ্যালারি টোন, লা গ্যালারি, চিত্রক ইত্যাদী ইত্যাদী..

ঐ যে পা দিয়েছি সর্বনাশে...

নাম টি ভুল করে আসেনি, পরের বার..
আসলে খুব ভালো আঁকে কিন্তু, টেকনিকটা কাঁচা..
আমরা একাডেমীক কাজ চাচ্ছিলাম তো, ওর ছবি তো আঁতেলি..
আসলে একটু বয়সে ছোট হয়ে যায়..
লিস্টে তো ছিল, পাঠানো তো হয়েছে, আমি চেক করে দেখছি..

বিরতী বিরতী বিরতী বিরতী
আরো বেশী আয়োজন, ঝা চক চকে আয়োজন, টুং টাং পার্টি.. ছবির হাটেরও পার হয়েছে ১০ বছর..

ও কি ছবি আঁকে, ও তো ব্যস্ত পত্রিকা নিয়ে, বহুজাতিকের ব্রান্ড মার্কেটিং নিয়ে..
আসলে হয়েছে কি জানিস/জানো/জানেন, ফোন নম্বরটা..

(১৬ মে ফেস বুকে দেখা গেল একটা প্রদর্শনীর ইভেন্ট। শেষ থেকে শুরু।
২০১৫, মে ১৮। চারুকলায়। চায়ের চেয়ারে। শেষ থেকে শুরু’র আয়োজক জাফর ইকবাল জুয়েল-এর সাথে দেখা।
জানালেন এ প্রদর্শনীতে একটা ছবি আছে যা নাজিব তারেকের আঁকা.. যা শিল্পকলা একাডেমির সংগ্রহ থেকে সংগৃহীত..

সূর্য কি পশ্চিমাকাশে উঠেছে?)



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০১৫ রাত ২:২৩

চাঙ্কু বলেছেন: হুম

২| ২২ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: নাজিব তারেক ,



আপনার লেখাটিও এবসট্রাক্ট ছবির মতো দূবোর্ধ্য মনে হলো ।
চিত্রশিল্পীদের আমি বিস্ময়ের চোখে দেখি কারন, কি একটা দুটো টানে সে যে কি করে একটি বাস্তবতা ফুঁটিয়ে তোলেন যা আমি পারিনে হাযার চেষ্টাতেও । তাই একজন শিল্পী কেন শিল্পী হয়ে উঠতে পারলেন না, তার এই খেদটি আর জানা হলোনা এই লেখাতে ।
অতৃপ্তি থেকে গেলো ।

৩| ২৬ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫

নাজিব তারেক বলেছেন: আহমেদ জী এস, এটি একটি ধারাবাহিক নোট বা ব্লগের সুচনা মাত্র... পড়তে থাকুন মতাতম দিতে থাকুন...
পুরো তৃপ্ত করবার সক্ষমতা হয়তো আমার লেখনিতে নেই, কিন্তু চেষ্টা থাকবে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.