নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেখা না দেখার বয়ান

নাজিব তারেক

নাজিব তারেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোন...

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১

মুক্তিযুদ্ধের গল্প মানে মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প, শরণার্থীদের গল্প নয়....


মুক্তিযোদ্ধা কে?


অস্থায়ী রাস্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম থেকে ত্রিপুরার ফিল্ড হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করা সাইদা কামাল টুলু, বাংলাদেশ সরকার ও তার অধিনের সকল বেসামরিক-সামরিক কর্মি হচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা।

২৫ মার্চ রাত ন’টায় বিদ্রোহ কারী মেজর রফিক থেকে ৯ বছরের ইনফরমার মাদারীপুরের ইমরান হচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা।

(১৭-১৯ মার্চ ১৯৭১-এর গাজীপুর, কর্নেল মাসুদের নেতৃত্বের বাঙ্গালী সৈনিকেরা ও আওয়ামী নেতৃত্বে প্রতিরোধ গড়েতোলা গাজীপুরবাসীও এ তালিকায় আসতে পারে)


শহীদ জননী জানানারা ইমাম থেকে নাম না জানা অজস্র মা বাবা, যারা সন্তানকে বলেছিলেন দেশ স্বাধীন করে তবেই ঘরে ফিরবি-তারা ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’।

গ্রামের পর গ্রামে সেই সব মানুষ যারা খাদ্য, আশ্রয় ও তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন তারাও ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’।

বিচারপতি সাইদ কিংবা অন্যান্য প্রবাসীরা যারা বিশ্ব জনমত গঠনে ও অন্যান্য ভাবে কাজ করেছেন তারাও ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, ফুটবল দল, লংমার্চ দল এরা সকলেই ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’।


(যে কোন যুদ্ধে বা ঘটনায় পার্শ্ব গল্প থাকে, সেটা অধিকাংশ সময়েই মূল ঘটনা বা গল্পের চেয়ে সংখ্যায় ও আকারে বড় হয়)


নির্যাতিতরা নির্যাতিত। সেটা শত্রু বাহিনীর নির্যাতনের গল্প।


আর যারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গ্যাছে শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে তারা সকলেই শরণার্থী। কিংবা আত্মীয় বা অন্য কোন খানে আশ্রয় নিয়ে প্রান বাচিয়েছে তারাও সকলেই শরণার্থী। শরনার্থীদের গল্প শরনার্থীদেরই গল্প যুদ্ধের গল্প নয়...


(যে কোন লড়াইয়েই মূল শত্রুর সাথে লেজ শত্রুও থাকে, এরা সর্বদাই ছ্দ্মবেশী ও ভয়ঙ্কর)


দলীয় বা গোষ্ঠিগত ভাবে চীনপন্থি বা মাওবাদী কমিউনিস্টরা শরণার্থী, তবে এরা সাধারন শরণার্থী নয়, বিভিন্ন ফোরামে আওয়ামী তথা মুজিব নগর সরকার ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বক্তব্য প্রদান করবার কাজটি এরা সুচারুভাবেই পালন করেছিল। সে অর্থে এরা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী বা রাজাকার শরনার্থী। সুবিধাবাদী শ্রেনীর এই সব সন্তানেরা মুক্তিযুদ্ধের পরে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট সবচেয়ে আগে সংগ্রহ করতে সচেস্ট হয়...


রাজাকাররা রাজাকার (জামায়াতে ইসলামী, মুসলীম লীগ, নেজামে ইসলামী ইত্যাদী)।


যে সব সংগঠনের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে যোদ্ধা হিসেবে অংশ নিয়েছিল: আওযামী লীগ, আওয়ামী ছাত্রলীগ, কমিউনিস্ট পার্টি (রুশ পন্থি), ন্যাপ (রুশ পন্থি), ছাত্র ইউনিয়ন (রুশ পন্থি)


বিঃদ্রঃ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙ্গালী কর্মকর্তাদের অনেকই ১৯৭১-এর জুলাই/আগস্টে পাকিস্তান ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছে। যারা ১৯৭৫-ঘটনাবলির প্রকাশ্য কুশিলব...

১৪ জুন, ২০১৪

সংযুক্তি: মুক্তিযুদ্ধ কি আমাদের গৌরব গাথা? যদি গৌরব গাথা হয়, তবে ছবি, লেখা বা যে কোন কিছু প্রকাশ/শেয়ার দেবার আগে আমরা নিশ্চই একটু মস্তিস্কের নিউরন গুলির ব্যবহার করবো! নিহত লাশ-এর ছবি, শরনার্থীদের ছবি,
নির্যাতীতাদের ছবি মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি নয়। একাত্তরে আমারা ভিক্ষে করিনি...

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল ও তত্ত্বসমৃদ্ধ লেখা উপহার দেয়ার জন্য লেখককে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা,সঙ্গে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩১

নাজিব তারেক বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আরো লিখতে পারতেন। অনেক কম লিখে ফেললেন। :(

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩২

নাজিব তারেক বলেছেন: সূচনা করিলাম বাকীরা বিস্তার করুক...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.