![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উচ্চশিক্ষা কি প্রাথমিক শিক্ষার মতই সকলের জন্য উম্মুক্ত?
পুজিবাদী রাস্ট্র ব্যবস্থা ও সোভিয়েত রাস্ট্র ব্যবস্থার অালোকে... আশা করি জবাব পাবো...
আর হ্যা কোথাও পড়েছিলাম আধুনিক বিশ্বের বৃহৎ ও নামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বেসরকারী ভাবে বা ব্যাক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত। এটারো সত্যাসত্য জানতে চাই...
উপরোক্ত বাক্য সমূহ আমার আজকের ফেবু স্ট্যাটাস। আর নিচে আরো কিছু ছোট ছোট ভাবনা...
গতকাল আমার কন্যা এই ভ্যাট প্রসঙ্গ নিয়ে আমার সঙ্গে তর্কে নেমেছিল। সে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে যাচ্ছে। বাবা-মার অর্থনৈতিক পরিস্থিতী বিবেচনা করে সে তার পড়ালেখার ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবিই উদ্বিগ্ন। গণ-জাগরন মঞ্চের কর্মী সে, তার মা তাই তার মিছিলে যাওয়া ঠেকাতে বললো ‘ভ্যাট দিচ্ছি, ভ্যাট দিয়েছি, ভ্যাট দিতে লাগলে দেব?’ (সে ও তার ভাই ইংরেজী মিডিয়াম ইস্কুলের ছাত্র)। তার মা নব্বই আন্দোলনের কর্মী/নেত্রী নিজের অতীত মনে রাখলে এ ছেদো বাক্যে মেয়েকে ঠেকাতে চাইতো না...
এখন আসা যাক মূল প্রসঙ্গে
উচ্চশিক্ষা কি?
বিশেষায়িত শিক্ষাই উচ্চ শিক্ষা। এটা ‘সকলের পড়তে পারার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে’ অথাৎ ‘শিক্ষা মানুষের অধিকার’ নয়, এটা ‘সক্ষমের অধিকার’। এটা মেধার মূল্যায়নের প্রশ্ন। হ্যা মানুষ সমাজ যেমন প্রাকৃতিক তেমনি মানবিক। শিক্ষা, আইন, অর্থ সবই মানবিক। অার তাই শিক্ষা মানুষের অধিকার নয় তার নিজেরই দায়ীত্ব, আর রাষ্ট্রের প্রয়োজন। আর অর্থবান হতে পারা একটি মানবিক সক্ষমতা। শিক্ষা বা অন্য যে কোন প্রশ্নেই অর্থের রয়েছে বিশেষ সুযোগ, কারন সমাজ চলনে ব্যাক্তির সঙ্গে ব্যক্তির সম্পর্কের মানবিক নিয়ামক অর্থ/সম্পদ। শিক্ষার ক্ষেত্রেও তাই, মেধাবিদের পাশাপাশী অর্থবানেরাও বিশেষায়িত শিক্ষা বা উচ্চ শিক্ষার সুয়োগ পাবে। কিন্তু যে মেধায় অক্ষম, উচ্চশিক্ষার ২য় স্তরে অথাৎ ‘গবেষনায়’ অর্থবান আর ‘গবেষক’ হওয়ার সুয়োগ পায় না, সে হয় তখন বিনিয়োগকারী (সোভিয়েত ব্যাবস্থায় রাষ্ট্রই সকল সম্পদ/অর্থের মালিক, তাই সেই বিনিয়োগকারী এবং সকল স্তরের শিক্ষাই প্রায় নিখরচার)। উন্নত বিশ্বে বৃত্তি বা scholarship মেধাবীদের জন্য। দরীদ্র পরিবারের মেধাবীদের জন্য সংরক্ষিত নয়। তাই সেখানে মেধাই মূখ্য বিবেচ্য। ‘উচ্চশিক্ষা সকল মেধাবিদের অধিকার’ এ স্লোগানকেই ধারন করে।
‘শিক্ষা মানুষের অধিকার’ ঠিকই কিন্তু উচ্চশিক্ষা মেধাবিদের অধিকার, সকলের নয়। প্রতিষ্ঠান অনেক সময়ই প্রস্তুত থাকে না বা up to date থাকে না। তাই নতুন বিষয়ের পথ প্রদর্শকেরা (pioneer) স্কুল ড্রপ-আউট। যেমন বিল গেটস, যেমন পিকাসো, যেমন রবীন্দ্রনাথ।
আর যদি ‘আধুনিক বিশ্বের বৃহৎ ও নামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বেসরকারী ভাবে বা ব্যাক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত’ এটা হয়ে থাকে তবে আমার প্রস্তাব রইলো সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকেও বেসরকারী খাতে দিয়ে দেয়া যেতে পারে এবং ভ্যাট প্রযোজ্য।
এ দেশের বড়লোকেরা বড়লোক হইলো না। এরা টাকা লুকায় রাখতেই পছন্দ করে। কেন? এরা নিজেদের মুসলমান বলে কিন্তু ‘বনিজ্যকে করা হইলো হালাল’ কোরানের এ বানীকে হালাল করিতে পারিলো না...
আর কমুনিস্টরা, বেচারা লেলীন কেন যে বলিয়া ছিলেন Communist should be more than Bourgeois। সম্ভবত লেলীন কি বলিলো তাহাতে কি আসে যায়, চেয়ারম্যান মাও তো বলে নাই...
বিঃদ্রঃ উন্নত দেশের উচ্চশিক্ষায় আগত তরুনেরা নিজেদের উপার্জিত পয়সাতেই উচ্চশিক্ষা নেয়। অনেক কারনের সঙ্গে এ কারনটির জন্যই সেমিস্টার সিস্টেম। বাবা-মার উপর তারা নির্ভরশীল বা পর-নির্ভরশীল নয়। ১৮ বছর মানে একজন পূর্ন মানুষ বা নাগরিক। অনেকই বলবেন ওদেশের সমাজ ও রকম, মিছিলে দাড়িয়ে বিপ্লবের কথা বলছেন... বিপ্লবটা কবে করবেন? ১৮ বছর মানে একজন পূর্ন মানুষ বা নাগরিক কবে হবেন, ৩৬ সে গিয়ে?
আমরা সরকারের কাছে সবই চাই, কিন্তু ট্যাক্স ও ভ্যাট দিতে আমাদের সকল আপত্তি...
সংযুক্তি:
অনেকই জানতে চাইছেন---তিন মাস পরে এসে এনবিআর’র দেয়া এই বিবৃতির মানে কি?
সঙ্গে এও বলছেন... সরকার এই চাতুর্যপূর্ণ সিদ্ধান্তটা নিতে পেরেছে এই কারণে যে, সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা যে পরিমান শক্তি প্রদর্শন করতে পারে, ভিন্ন ভিন্ন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তারা সেই শক্তি প্রদর্শন করতে পারবে না। সুতরাং টাকাটাও হাতে আসবে, আর আন্দোলনও হবে না।
এই চতুরতার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই...
: সরকারের এ চতুরতার নিন্দা জানাবো না বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করবো?
তার আগে একটি প্রশ্ন ---
ছাত্রদের আন্দোলন কেন সরকারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী, অন্যদের ক্ষেত্রে নয় কেন?
একটু ভিন্ন ভাবে তাকালে একটি যৌক্তিক কারন হচ্ছে, ছাত্রদের আন্দোলনের যুক্তিগুলি তাদের নয়, সে গুলি ভিন্ন ভিন্ন কর্তৃপক্ষের। ছাত্ররা গুটি মাত্র...
(সরকার যা বলছে সে-রকম নির্দেশ দিয়েই কতৃপক্ষকে ৩ মাস আগে নোটিশ দিয়েছিল বলেই আমার ধারনা, কতৃপক্ষ সেটা এড়াতেই তৈরী করছে আন্দোলনের বাহানা। গুটি হতে প্রস্তুত বিশাল ছাত্র সমাজ ও নিদ্রামগ্ন সরকার থাকলে কতৃপক্ষ তাদের প্রয়োজনে এরকম করতেই পারে...)
সরকারের অবশ্য পুরো বিষয়টিকে মনিটর করা এখন জরুরী কর্তব্য হয়ে গেল…
বিঃদ্রঃ কয়টা গবেষনা পত্র প্রকাশ করিলো বিশ্ববিদ্যালয় গুলি?
কয়টা পেটেন্ট গ্রহন করিলো?
নাকি তাহারা কিন্ডার গার্ডেন মাত্র...
১০-০৯-২০১৫
১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬
নাজিব তারেক বলেছেন: বিপরীত বাক আপনার মতামতের অপেক্ষায় আছি...
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯
বিপরীত বাক বলেছেন: দারুণ লিখেছিলেন তো!! কাহিনী ও বেশ জটিল।
সেভ করে রাখলাম। পরে ধীরে সুস্থে আবার পড়বো। জানার ও বলার অনেক কিছু আছে লেখা টাতে।
আগে যে কেন চোখে পড়লো না?