![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমাদের বাবা-মা কিছুই শেখায় নি? এটা আমরাও কিশোরকালে শুনেছি, আজকালকার কিশোরেরাও শোনে হয়তো…
বাবা-মা কি শেখাবে? যা শেখাবেন সেটাই শিক্ষা।
শিক্ষা আসলে কি?
আমরা যে রকম সমাজ নির্মান করতে চাই সে লক্ষে আমরা আমাদের উত্তর পুরুষকে যা শিখাতে চাই তাই শিক্ষা। ইংরেজদের প্রয়োজন হয়েছিল আমাদের অধিনস্থতা এবং আমরাও তাই চেয়েছিলাম, তাই ‘কি লেখাপড়া শিখেছো, সামান্য ইংরেজী পারো না…’ তাই আমাদের দাদীরা ‘লেখাপড়া শিখে দারোগা হও’ আশীর্বাদ করেন…
খ
আমাদের সমাজেই ছিল ‘লেখাপড়া শিখে মানুষ হও’ সেটা এখনো হারিয়ে যায় নি…
গ
মানুষ সামাজিক জীব, তাই সমাজিক জীব হতে কিংবা মানুষ হতে আমাদের শিখতে হয় সামাজিক সৌজন্যতা ও নৈতিকতা। যতদূর জানি জাপানে তাই অক্ষর জ্ঞানের সাথে এ গুলোই শিশুকে শেখানো হয়।
ঘ
মানুষ ও অন্য প্রানীর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে সৃজনশীলতায়। সৃজনশীলতা বা শিল্পচর্চা তাই একটি অগ্রসর সমাজের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রথম পাঠ।
ঙ
একটি জনগোষ্ঠির হাজার বছরের জ্ঞান তার ভাষার শব্দ ভান্ডারে জমা থাকে। অক্ষর জ্ঞানকে আমরা শিক্ষা জানি। জনগোষ্ঠির নিজস্ব ভাষা থেকে বিচ্ছিন্নতা তাকে শুন্যতায় বা জ্ঞানহীনতায় ঠেলে দেয়। আর জ্ঞানহীন জনগোষ্ঠি ‘দাস’ হতে পারে ‘আশরাফুল মখলুকাত’ হওয়ার সুযোগ তার নেই।
চ
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, সে মেরুদন্ড যদি অন্য ভাষায় অন্য ভূমিতে থাকে তবে জাতির স্বাধীনতা কোথায়?
ছ
শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হাজার বছরে পূর্ব পুরষেরা যা তিলে তিলে অর্জন করেছে তা উত্তর পুরুষকে ক’বছর সময় কালের মধ্যে অবহিত করা। অথাৎ যে ছেলেটি চিকিৎসক হতে চায় তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞান শেখানো। যে মেয়েটি ক্রিকেটার হতে চায় তাকে ক্রিকেট শেখানো। যে মেয়েটি প্রকৌশলী হতে চায় তাকে প্রকৌশল শেখানো। যে ছেলেটি রাধুনী হতে চায় তাকে রান্না শেখানো।
পূর্ব পুরুষ যদি মনে করে ভাষা শিখিয়ে দিয়েছি সে শিখে নিবে তবে ভুল করছেন। উত্তরপুরুষ ভাববে ভাষা শেখাটাই শিক্ষা। শিক্ষিত বউ তাই সংসারে অচল হবেন, তৈরী হবে বিপুল জনসংখ্যার ভার। বনিককে (এলিট) তার দপ্তর-কারখানা চালাতে অদক্ষ কর্মী নিয়োগ দিতে হবে অথবা নির্ভর করতে হবে ‘বিদেশে’র উপর। তিনি হারাবেন স্বাধীনতা, আর জনগন কখোনই স্বাধীন হবেনা।
জ
কোন কোন মানুষ থাকেন তারা ভাষাটাই শিখতে চায়, ভাষা শিক্ষাটা তাদের জন্যই থাক। আর যারা পদার্থবিদ কিংবা গনিতবিদ কিংবা নৃতত্ববিদ কিংবা ক্রিড়াবিদ হতে চাই তাদের তা হওয়ার শিক্ষাটা দিন…
আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য ভাষাবিদেরা তো রইলেনই। সকলেই কথা বললে কাজ করবে কে?
বিন্দু বিন্দু জল
২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১০
মো:সাব্বির হোসাইন বলেছেন: চমৎকার কিছু কথা বলেছেন।
খুব ভালো লেগেছে।
শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০৪
হাসান ইমরান বলেছেন: শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হাজার বছরে পূর্ব পুরষেরা যা তিলে তিলে অর্জন করেছে তা উত্তর পুরুষকে ক’বছর সময় কালের মধ্যে অবহিত করা। অথাৎ যে ছেলেটি চিকিৎসক হতে চায় তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞান শেখানো। যে মেয়েটি ক্রিকেটার হতে চায় তাকে ক্রিকেট শেখানো। যে মেয়েটি প্রকৌশলী হতে চায় তাকে প্রকৌশল শেখানো। যে ছেলেটি রাধুনী হতে চায় তাকে রান্না শেখান.
সব ঠিক আছে....
তবে এগুলোর সাথে যোগ করতে হবে নৈতিকতা ।
নতুবা চিকিৎসক হতে গিয়ে হয়ে যাবে কসাই।
শিক্ষক হতে গিয়ে হয়ে যাবে পরিমল।
অনেক ভালো লিখছেন ....। ভালো লাগলো পড়ে.